![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
........কয়েক বছর আগের কথা, তখন আরেফিন সিদ্দিক স্যার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হন নি। ডাকসু নির্বাচন নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরী করি আমি। সেই প্রতিবেদন-এ ডাকসু নির্বাচন না হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাই স্যারের কাছে।
স্যার সোজা বলে দিলেন- বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চায় না, তাই ডাকসু নির্বাচন হয় না। চাইলে অবশ্যই হতো।
.......স্যার, আজ অনেকগুলো বছর হয়ে গেল আপনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রধান। কই, আপনিও তো ডাকসু নির্বাচনের কোনো উদ্যোগই নিলেন না। -এখন কী বলবেন আপনি? সরকার চায় না তাই ডাকসু নির্বাচন হয় না? না-কি এখনও বলবেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চায় না তাই......।
স্যার, আপনাদের অযুহাতের অভাব হয় না। অভাব ইচ্ছা শক্তির। অভাব সৎ সাহসের। অভাব বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতি আপনাদের মমতাবোধের..। ভালোবাসার।
....আপনারা নিজেদের স্বার্থে রাজনীতি করেন,- লাল, নীল, সাদা, বেগুনি, হলুদ, কালো, এ্যাশ কালার- কতো দল, কতো রঙ আপনাদের। যখন যিনি প্রশাসনের প্রধান হন, তখন তিনি তাঁর প্রিয় রঙের আদলে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে রাঙাতে চান। প্রতি পাঁচ বছর পর পর সরকার বদলের সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের রঙও বদলায়। এরকম বদলাতে বদলাতে আজ প্রায় বিবর্ণ হতে চলেছে আমাদের প্রিয় স্বপ্ন-তীর্থ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
আজ ভাবলে ব্যথিত হই, কিছুটা লজ্জাবোধও উদিত হয় আমাদের মনে,- আপনারা এক রঙের একজন পিএইচডি হোল্ডার নির্লজ্জের মতো বিপরীত রঙের আরেকজন পিএইচডি হোল্ডারের পাছায় আঙুল দেবার জন্য সর্বদা কেমন মুখিয়ে থাকেন, ব্যাকুল হয়ে থাকেন। বিষয়টি গঠিয়ে আপনারা বিন্দুমাত্র লজ্জিত না হলেও লজ্জিত হই আমরা। ভীষণ লজ্জিত। লজ্জায় কুকড়ে যায় আমাদের দেহ-মন।
স্যার, আমরা এর সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা ভেবে পাই না, আপনারা কেন সরকারের পায়ের নিচে পড়িয়া ম্যাঁও ম্যাঁও করিয়া মরেন। আপনাদের পবিত্র ওষ্ঠাধর দিয়ে সরকারের পদযুগলে চুম্বন অঙ্কিত করেন। যে অঙ্কিত চুম্বন পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্কিত করে দেয়। কলঙ্কিত করে দেয় পুরো সভ্যতাকে।
..............................................................................................
আজ প্রাণ প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩ তম জন্ম দিনে আপনাদের কাছে সবিনয় অনুরোধ, রঙ-বেরঙের খেলা বাদ দিয়ে আলোর দিশারীগণ আলোর পথেই থাকুন। কী লাভ মিছে মিছে অন্ধকারের ছায়া মাড়িয়ে 'অন্ধকারের মানুষ' হয়ে বেঁচে থাকার......
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সবার তরে আন্তরিক অভিনন্দন
শুভ সুচনায় ঢাবি
আজ শুধুই আনন্দ আর মধুমিলন