![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
......সিলেটের বিজিবি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ চত্বরে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চোখ বুজে আরামছে আয়েশি ঢঙে বিড়ি টানছেন মাননীয় সমাজ কল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী।
ছবিটি দেখে রবীন্দ্রের বাপের কথা মনে পড়ে গেল আমার।
গাবমাখা কুচকুচে কালো রঙের মাছ ধরার জাল কাঁধে নিয়ে দলবল সমেত গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াতেন রবীন্দ্রের বাপ।
বহু কাল ধরে পুকুর, নদী-নালায় জাল বেয়ে মাছ ধরার পেশা তাঁর।
আশপাশের দু'চার গ্রামে চরম বিড়ি-খোর হিসেবে পরিচিত ছিলেন রবীন্দ্রের বাপ।
মাছ ধরতে নামার আগে পুকুর পাড়ে বসে চোখ বুজে আয়েশি ঢঙে একের পর এক বিড়ি টেনে চলতেন- এক বিড়ির গোড়ার নিভু নিভু আগুন দিয়ে জ্বালাতেন আরেক বিড়ি।
কাছে এগিয়ে গেলে কুণ্ডলি পাকিয়ে ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বলতেন, "ভাতিজা বিড়ি খাইবা? খাও একখান বিড়ি?"
আমাদের কেউ কেউ তাঁর হাত থেকে ফুরিয়ে যাওয়া বিড়ির অবশিষ্টাংশ নিয়ে ঠোঁটের আগায় লাগিয়ে স্বাদ আস্বাদনের বৃথা চেষ্টা চালাত।
বাকিরা এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে তাঁর বিড়ি খাওয়ার সেই অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করতাম।
বিড়িতে সুদীর্ঘ টান মেরে আমাদের লক্ষ্য করে বলতেন,"বুঝলা ভাতিজা, এইডা হইতাছে সুখ-টান। দিবানি একটা সুখ-টান?"
তারপর বিড়ি সমেত হাতটা সামনে বাড়িয়ে ধরে বলতেন, "নেও, দেও একটা সুখ-টান।"
...আজ অনেক বছর হয়ে গেল রবীন্দ্রের বাপের কোনো খবর জানা নেই আমার। কোথায় আছেন, কেমন আছেন কিছুই জানি না আমি। জানি না এখনও কোনো বাড়ির পুকুর কিংবা নালায় মাছ ধরতে গেলে কাছে দাঁড়িয়ে কিশোরের দল আগেকার দিনগুলোর মতো তাঁর সুখ-টানের দৃশ্য উপভোগ করে কি-না। কিংবা হাত থেকে ক্ষয়ে যাওয়া বিড়ির অবশিষ্টাংশ নিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে বৃথা স্বাদ আস্বাদনের চেষ্টায় চালায় কি-না.... জানি না, কিছুই জানি না আমি।
সকালে ঘুম থেকে উঠে পত্রিকায় মন্ত্রী মহোদয়ের সুখ-টান সম্বলিত ছবিখানা দেখে চোখ জোড়া ভিজে আসে আমার। মনে হলো বহু বছর পর রবীন্দ্রের বাপ-ই বুঝি মন্ত্রী মহোদয়ের রূপ ধরে হাজির হয়েছেন আমার সামনে। আর ডেকে বলছেন,
"ভাতিজা, বিড়ি খাইবা? খাও একখান বিড়ি? দেও একটা সুখ-টান....।"
নাকের ডগা বেয়ে মটর দানার ন্যায় কয়েক ফোঁটা চোখের জল টপ টপ করে মন্ত্রী মহোদয় তথা রবীন্দ্রের বাপের ছবির উপর গড়িয়ে পড়ল আমার।
হাতের উল্টোপিঠ দিয়ে সবার অলাক্ষ্যে তা মুছে নিলাম। বুকের গহীন থেকে বেরিয়ে এলো এক দীর্ঘশ্বাস, হাঁড় কাঁপানো দীর্ঘশ্বাস.....
.
হায় রবীন্দ্রের বাপ, কোথায় আছেন, কেমন আছেন আপনি?
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২৭
হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: হুম, বলেছেন ঠিক...
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৪
এম এ কাশেম বলেছেন: শালার পাছায় হাজার লাথি
শালা মুর্খ মাতাল।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮
হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: এসব অশিক্ষিত বর্বর মহা দুর্ণীতিবাজ অসভ্যরাই পার্লামেন্টে আমাদের প্রতিনিধি!