![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
মাঝে মধ্যে হঠাৎ হঠাৎ নেজের অজান্তেই শৈশব আর কৈশর এসে নাড়া দিয়ে যায়।
এই যেমন- আজ বিকেলে ইঞ্জিনঅলা রিক্সায় চলতে চলতে ছোট বেলায় রিক্সা চালানোর কথাটা মনে পড়ে গেল।
আমাদের বাড়িতে রিক্সা করে কোনো আত্মীয় স্বজন এলে আমরা চাচাতো ভাই বোনরা আনন্দে লাফিয়ে উঠতাম। না, আত্মীয় স্বজন আসার আনন্দে নয়, বাড়িতে একটা রিক্সা এসেছে, সেই আনন্দে।
বিশাল উঠোনে রিক্সাঅলা রিক্সা রেখে একটু এদিক সেদিক গেলেই রিক্সা নিয়ে বেড়িয়ে পড়তাম আমরা।
চালকের ভূমিকায় থাকতাম আমি, আর অন্যদের কেউ হতো যাত্রি আর কেউ পেছনে ঠেলতো।
চালক হিসেবে আমার অগ্রাধিকার সবসময়ই বেশি ছিল, কেননা "রিক্সার ব্রেক সবসময় একদিকে টানে" এই সূত্র আমি ছাড়া অন্যরা তখনো ধরে উঠতে পারে নি।
দাঁত-মুখ খিঁচে প্যাডেল মারতাম আর ভাবতাম, ইস্ রিক্সায় যদি একটা ইঞ্জিন থাকত তাইলে কত্ত মজা হইতো !
প্যাডেল মেরে রিক্সা চালানোটা ছিল যত আনন্দ দায়ক, ঠিক ততটাই কষ্টকর।
......................................................
আমার শৈশবের সেই ভাবনা আজ সত্যতে পরিণত হয়েছে। রিক্সার ইঞ্জিন আবিষ্কৃত হয়েছে। ইঞ্জিন চালিত রিক্সায় এখন আর প্যাডেল মারতে হয় না। হাতলটা খানিক ঘুরালেই ইঞ্জিনঅলা রিক্সা চড় চড় করে সামনের দিকে এগিয়ে যায়।
তবে দুঃখের বিষয়, রিক্সায় ইঞ্জিন লাগলেও এখন আর শৈশবের মতো চালকের আসনে বসতে মন চায় না।
ইঞ্জিনঅলা রিক্সায় বসে যাযাবরের একটি কথা ই মনে পড়ে গেল আজ-
"বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ।"
হায় যাযাবর, আপনার কথাটা যথার্থ প্রমাণিত হয়েছে আজ.........
©somewhere in net ltd.