নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাবিবুর রহমান জুয়েল

হাবিবুর রহমান জুয়েল

জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....

হাবিবুর রহমান জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

গাভীর দুধের বাঁটে হাত দিতেই, গাভী লাফ দিয়ে দুই হাত পরিমান উপরে উঠে গেল

০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:০০

সাকিবের প্রসঙ্গে অনেকেই একটি প্রবাদ বাক্য আওড়া্চেছন,

প্রবাদ বাক্যটি হচ্ছে-

" দুধ দেওয়া গরুর লাথিও ভালো"



তো এই প্রসঙ্গে একটি দুধ দেওয়া গরুর গল্প বলি শুনুন-



খাঁটি দুধ খাবেন বলে আব্বা গাবতলীর হাঁট থেকে একদিন বাছুরসহ একটি গাভী কিনে আনলেন। টুকটুকে লাল রঙের গাভী। বেশ নাদুস নুদুস। শিং দুটি স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বড়।

আব্বা খুশি খুশি গলায় বললেন, " একেবারে সস্তায় নিয়া আইলাম। মন ভইরা দুধ খামু। দোকানের পানি পানি ভেজাল দুধ আর ভাল্লাগে না।"



আমাদের বাড়ির পাশে গাভী পালার ব্যবস্থা করা হলো। গাভীর জন্য সুন্দর করে নতুন টিন দিয়ে ঘর বানানো হলো। পালা এবং দুধ দোহানোর জন্য গ্রাম থেকে অভিজ্ঞ রাখাল নিয়ে আসা হলো।

আব্বা ঘোষণা দিলেন, "তিন দিন অতিক্রান্ত না হলে দুধ দোহানো যাবে না।"

আমরা খাঁটি দুধ খাওয়ার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনতে লাগলাম।



তিন দিন শেষে রাখাল আঙুলের ডগায় ভালো মতো সরিষার তেল মেখে হাসি হাসি মুখে গাভীর দুধের বাঁটে হাত দিতেই, গাভী লাফ দিয়ে দুই হাত পরিমান উপরে উঠে গেল।

আমরা যে যার মতো দিলাম দৌড়।

ফিরে এসে দেখি, রাখাল কাঁত হয়ে পড়ে আছে।

ইতি মধ্যে আব্বা হাজির । রাখালকে লক্ষ্য করে বললেন," কি মিয়া, কি হইছে তোমার?"

রাখাল বলল," ছার, বজ্জাত গরু লাথি মারছে।"

আব্বা হুঙ্কার ছাড়লেন, "চুপ গাঁধা, দুধ দেওয়া গরুর লাথিও ভালো।"

রাখাল বলল, "জ্বি ছার! আফনে ঠিক বলছেন"



সেদিন দুধ দোহানো ইস্তফা দেওয়া হলো। পরের দিন আবার শুরু। এদিন লাথি-টাথি খেয়ে প্রায় আধা লিটারের মতো দুধ বের করতে সক্ষম হলো রাখাল।

এভাবে কাটতে লাগলো দিন........লাথি বনাম দুধ দোহানো। দুধ দোহানো বনাম লাথি। দুধ দোহানো শেষে বেচারা রাখালের চেহারাটা দেখে ভীষণ মায়া হতো আমাদের। আহারে!



এরপর আসলো সেই দিন। যেদিন এক লাথিতে রাখালের সামনের তরতাজা দুইখান দাঁত খুলে পড়ে গেল।

দন্ত চিকিৎসকের কাছে রাখালের ট্রিটমেন্ট শেষে আব্বা বললেন, "বহুত দুধ খাওয়া হইছে, এইবার গরু বিক্রি করাই উত্তম।"

আব্বার মুখের কথা যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না রাখালের। আব্বার মুখের দিকে তাকিয়ে সে অবিশ্বাসী কণ্ঠে বলল, "ছার, হাছা কইতাছেন?"



আব্বা বললেন,"হুম হাছা কইতাছি, দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো।"



..................!



































মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৩৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: :-P B:-/ B:-/ B:-/ :-P

২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৮

খাটাস বলেছেন: =p~ =p~ =p~

৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৮

খাটাস বলেছেন: =p~ =p~ =p~

৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৪৯

করিম বস বলেছেন: চমৎকার ++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.