![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
গুলশান-২ ডিসিসি মার্কেটের মামা হালিমের দোকানে দাঁড়িয়ে আমার ড্রাইভার রাসেল আর আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হালিম খাচ্ছি।
একবাটি খাওয়ার পর রাসেল গাড়ির কাছে ফিরে গেল। আমি আরেক বাটি নিলাম।
দ্বিতীয় বাটি খাওয়ার মাঝ পথে চার জন পথশিশু এসে পাশে দাঁড়ালো আমার। চার জনের হাতে চারটা ছোট পলিথিন। পলিথিনের তলায় খানিক উচ্ছিষ্ট ইফতারি। বুট মুড়ি পেঁয়াজুর মিশ্রণ।
চারজনই হা-করে করুণ চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। দৃষ্টিজুড়ে রাজ্যের আকুতি।
পাশ থেকে এক ভদ্রলোক তার অর্ধ খাওয়া হাড়টা ওদের একজেনর হাতে দিয়ে বললেন, "নে খা।" সম্ভবত হাড়ের বাকি মাংসটুকু দাঁত দিয়ে ছিড়তে পারছিলেন না তিন।
হাড়টা নিয়ে একপ্রকার কাড়াকাড়ি পড়ে গেল চারজনের মাঝে। কার আগে কে জিহ্বার খানিক পরশ বুলাবে হাড়টিতে !
আমার চোখের পাতা ভারি হয়ে এলো। চোখ দুটো টলমল করে উঠল। প্রতিদিন কতো কতো পদের ইফতারি আর বাটি বাটি হালিম খাই আমরা। অর্ধেক খাই তো অর্ধেক উচ্ছিষ্ট করি।
দীর্ঘশ্বাস ছাড় লাম আমি।
আহা রে জীবন!
আমরা সবাই একই স্রষ্টার সৃষ্টি "আশরাফুল মাখলুকাত"।
মনে প্রশ্ন জাগে আমার। আসলে আমরা সবাই-ই কি "আশরাফুল মাখলুকাত" তথা সৃষ্টির সেরা জীব?? উচ্ছিষ্ট হাড় নিয়ে কাড়াকাড়িতে মত্ত থাকা এই চারটি পথশিশুও কি সৃষ্টির সেরা জীব?
আমি দোকানি মামাকে বললাম, চারটা নলা দেন।
তিনি চার বাটিতে চারটা নলা দিলেন।
বাটি চারটা চার শিশুর হাতে দিলাম আমি। খানিকটা ভয়ে ভয়ে বাটি চারটা হাতে নিয়ে চারজনই ভাষাহীন অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
"খা তোদের জন্য নিছি, টাকা দিতে হবে না। আমি দিয়ে দিবো।" একজনের মাথায় হাত বুলিয়ে কথাগুলো বললাম আমি।
ওরা খুব মজা করে নলা খাচ্ছে, আর আমি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি ওদের দিকে। নিজে খেয়ে যতটা না তৃপ্তি পেলাম, ওদের খাওয়া দেখে তার চেয়েও অধিক তৃপ্ত হলাম.....।
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৪৪
হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: হুম
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৪৬
হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: হুম
২| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০১
আজমান আন্দালিব বলেছেন: বেশ!
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৫৩
অবাধ্য সৈনিক বলেছেন: