নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাবিবুর রহমান জুয়েল

হাবিবুর রহমান জুয়েল

জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....

হাবিবুর রহমান জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

জলিল ভচের গোলাগুলি মাঝ পথে কোলাকুলি

০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৪৯

একটা সময় ছিল যখন ঈদের পঞ্চাশভাগ আনন্দই থাকতো হলে গিয়ে সিনেমা দেখার মাঝে। আমার মতো সিনেমা পাগলরা ঈদে নতুন ছবি দেখার আশায় মুখিয়ে থাকতাম।

খুব মনযোগসহকারে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমাগুলোর উপর রেডিওতে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের অনুষ্ঠানগুলো কানপেতে শুনতাম।

আজ সবই অতীত। সেই রেডিও-ও নেই, নেই সেই সিনেমাও।



বহু বছর পর গতকাল ঘাটের পয়সা খরচ করে সিনেমা হলে ঈদের ছবি দেখতে গেলাম।

ছবির নাম '' মোস্ট ওয়েলকাম-২''

ছবি শুরুর আগেই রসিক দর্শকগণ এক চোট হেসে নিলেন। আমি বেহুদা দর্শকদের এই হাসির কারণ কিছুই বুঝলাম না।

ছবি শুরু হলো।

মিনিট দশেক দেখার পর মনে হলো- নাম সিলেকশনে জলিল ভচ খানিক ভুল করেছেন। ছবির নাম হওয়া উচিত ছিল ''মোস্ট ওয়েলকাম টু হেল'' এরপর ২,৩,৪,৫,৬...১০০ যা খুশি যোগ হওয়ার হইত। অন্যথায় নাম দেওয়া উচিত ছিল ''জলিল ভচের গোলাগুলি মাঝপথে কোলাকুলি'' নাম সিলেকশনে জলিল ভচের এহেন ভুল মন কিছুতেই মাইনা নিতে পারছিল না।

আধ ঘণ্টা যাওয়ার পর মনে হইলো কাউন্টারে গিয়া টিকিট ফিরত দিয়া জরিমানাসহকারে টিকিটের দাম ফেরত লই, আর মাথাটা দেয়ালের সাথে বার কতক ঠুইকা নেই।

এ তোমার কেমন তেলেসমাতি রে বাপু? গুলি করো পিস্তল দিয়া আর বাইর হয় কামানের গোলা? সেই গোলা ছোট বেলায় খেলা মোস্তফা গেমসের বাজুকার গুলির ন্যায় সব কিছু উড়াই পোড়াইয়া ছাড়খার কইরা দেয়! এ্যাঁ?



ছবি দেইখা মাথা যখন ঘুড়ান্টিস মারতাছে, তখন দেখি ১২/১৩ বছরের এক প্রতিবন্ধী শিশু সিনের মাঝে খানিক বাদে বাদে আসে আর একশ' বিশ ত্রিশ বছরের বৃদ্ধের ন্যায় মাথা সামনে পিছনে ননস্টপ ঝাঁকাইতাছে।

মাইরি, এমন প্রতিবন্ধী আমি কেন, আমার পরদাদাও দেখছেন কি-না সন্দেহ আছে।

সোহেল রানা, চম্পা, দিতির মতো গুণি অভিনেতা অভিনেত্রীগণও জলিল ভচের ছোঁয়ায় এভাবে অভিনয় ভুলে যেতে দেখে অবাক না হয়ে পারি না।

ইতিলিয়ানদের ইংরেজিও যে জলিল ভচের মতো এই ছবির প্রধান ভিলেনের মাধ্যমে সেটাই প্রমাণিত হইলো।

জলিল ভচের ভান্ডারে বোধ হয় টান পড়তে শুরু করেছে, পুরা ছবি জুড়েই বিদেশি রিয়েল সিনের পরিবর্তে ওয়াল পেপার, আর কাটপিস দিয়া আমার মতো বোকা দর্শককে আরও বোকা বানানোর চেষ্টা করা হইছে।

পুরা ছবি জুড়ে অসঙ্গতি, কাটপিস, আর ভাঁড়ামি।



দুই ঘণ্টা পর ছোট ভাই সজীব খোঁচা দিয়া কয়, ভাই চলেন যাই। বহুত হইছে।

আমি বললাম, এত ট্যাকা দিয়া টিকেট কিনলাম, শেষ সিন না দেইখাই যাইবার চাও?

যদিও দর্শকদের কেউ কেউ ততক্ষণে বাড়ির পথ ধরেছেন।



শেষ সিন দেইখা কপাল চাপড়াইতে চাপড়াইতে বাসায় ফিরা ঘুমাইতে যাবার আগে একটা প্যারাসিটামল (হাসতে হাসতে খিল ধরে যাওয়া তল পেটের ব্যথা কমাতে) আর একটা ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়া নিলাম।



বিদ্র: ব্যক্তি অনন্ত জলিলকে আমি শতভাগ সম্মান করি, তিনি আমার মতো তরুণ ব্যবসায়ীদের জন্য আইকন স্বরূপ। ব্যক্তি অনন্ত জলিল আর অভিনেতা অনন্ত জলিল কখনো এক নন। ব্যক্তি জলিলকে কেউ চারশ' টাকা টিকিট কেটে দেখতে যাবে না নিশ্চয়ই!



















মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:১০

ইলি বিডি বলেছেন: ছবির রিভ্যউ পইড়া ত মাথা আমার ঘুড়ান্টিস মারতাছে ভাই।।

০২ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯

হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: দুই হাত দিয়া মাথা কেচকি দিয়া ধরেন, নইলে খুইলা পড়ার সম্ভাবনা আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.