নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাবিবুর রহমান জুয়েল

হাবিবুর রহমান জুয়েল

জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....

হাবিবুর রহমান জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুগুর ছাড়া আমাদের যেন চলেই না.....

২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২৩

মালয়েশিয়া এয়ারপোর্টে যে লোকটিকে দেখলাম, সুবোধ বালকের মতো খুব নম্র ভদ্র আচরণ করছেন।

খানিক বাদে বাদে এক্সকিউজ মি আর সরি বলছেন।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন ধরে ইমিগ্রেশন পুলিশের সামনে ঠোঁটে হাসি ঝুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।

স্যুটকেসের খোঁজ করতে গিয়ে খুব মোলায়েম কণ্ঠে জানতে চাচ্ছেন, তার স্যুটকেসটি কোথায় গেলে পাওয়া যাবে। কিংবা ওয়াশ রুমটি কোনদিকে- ইত্যাদি ইত্যাদি....।



সেই ভদ্র লোকই বাংলাদেশ এয়ারপোর্টে নেমে এতটা অভদ্র অধৈর্য হয়ে গেলেন, দেখে সত্যিই অবাক হলাম।

স্যুটকেস পেতে সামান্য কি যেন ঝামেলা হওয়ায়, ইংরেজিতে দেশের চৌদ্দ-গোষ্ঠি উদ্ধার করলেন। একে ওকে একের পর এক গালি গালাজ করতে লাগলেন।

সিস্টেম সম্পর্কে বিদেশের উদাহরণ টানলেন।



আমি হাসলাম।



এটাই আমাদের প্রবলেম, আমরা মুগুর পছন্দ করি। একটা প্রবাদ আছে না, যে "যেমন কুকুর তেমন মুগুর"

আজ একই কাণ্ড যদি তিনি মালয়শিয়া এয়ারপোর্টে করতেন, তবে তার অবস্থাটা কি হতো একবার ভেবে দেখুন!

মালাই পুলিশের ডাণ্ডা খেয়ে নিতম্ব ডলতে ডলতে তিনি এয়ারপোর্ট থেকে বের হতেন।

আর মুখে বলতেন, সরি স্যার, সরি স্যার। আই এম একট্রিমলি সরি!



মুগুর ছাড়া আমাদের যেন চলেই না.....:P









মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৩৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ঠিক তাই। এখানে সিগনাল পোষ্টে কোন ট্রাফিক বা পুলিশ না সত্বেও যেভাবে আমরা থেমে অপেক্ষা করি সেই আমরাই দেশে গেলে রিক্সাআলাকে ধমক দিয়ে আইন অমান্য করতে বাধ্য করি।।
একই অঙ্গ,কত রূপ!!

২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫০

হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: হুম, ঠিকই বলছেন ভাই..........

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:১০

ভিটামিন সি বলেছেন: ভাই হেতি কি লাগেজ পাইয়া হম্বি-তম্বি করছে না না-পাইয়া করছে। না পাইয়া করলে কোন কথা নাই। মাঝে মাঝে আমাদের দেশে লাগেজ হাওয়া হয়ে যায় তো তাই ঠেলা দিতে হয়। লাগেজ স্টোরে আমার একদিন হান্দাইবার অভিজ্ঞতা আছে। ভিত্রে দেহি হাজার হাজার লাগেজ। সবগুলার ভিতর থেকে কাপড়-চোপড়, কসমেটিকস আধা বের হয়ে আছে, পড়ে আছে। দেখলে মনে হয় কালা বিলাই অপারেশন চালাইছে লাগেজে।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫২

হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: আপনার কতা হাছা, তয় হেতে লাগেজ আরায় নাই.......

৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:০৭

জাফরুল মবীন বলেছেন: মুগুর ছাড়া আমাদের যেন চলেই না... :P :P :P অতি বাস্তব কথন।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫৩

হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: :P

৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:০৮

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আপনার পোষ্টের মধ্যেই আপনার উত্তর। কেবল আচরণের সমস্যা তা না, ভেবে দেখতে হবে সিস্টেমের পার্থক্য। সিস্টেমের উপর বিশ্বাস। আইন আর মুগুর তো অনেক আছে দেশে কিন্তু সিস্টেম লসে কোনটাই কাজের না। আর মানুষের আচরণও তাই ভিন্ন। কারণটা মুখ্যত অবিশ্বাস।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫৪

হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: হুম, অবিশ্বাসেই তো সব খাইলো

৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১৬

হেডস্যার বলেছেন:
যেখানে যেইরকম ব্যবহার করা দরকার সেইটাই করছে।
স্থান কাল পাত্র ভেদে ব্যবহারে ও তারতম্য হবে। এইটাই স্বাভাবিক।

আপনার সাথে একমত নই।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫৫

হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: একমত না হওয়ার জন্য ধন্যবাদ, সবাই একমত হইলে তো বিপদ...:P

৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২৯

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সিংগাপুর বা মালয়শিয়ার বিমানবন্দরের সাথে আমাদের বিমানবন্দরের কর্তাব্যক্তিদের আচরণে আকাশ-পাতাল পার্থক্য আছে। বিধায় আমাদেরকেও সেভাবেই রিপ্লাই দিতে হয়।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫৬

হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: হুম তবে, ওদের চেয়ে আমাদের সিস্টেম অনেক সহজ...

৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:১২

অতনু অর্ঘ বলেছেন: আমার ধারণা - সমস্যাটা আমাদের মানসিকতার। সিস্টেমকে চালায় মানুষ। মানুষ এবং সেই মানুষের মানসিকতা যদি সাপোর্ট না করে, তাহলে যত রকম সিস্টেমই আপনি বানান না কেন, সিস্টেম ফেল করবেই। এজন্যই এত এত সিস্টেম করার পরও ঈদের টিকেট পেতে শেষ পর্যন্ত যেতে হয় কালোবাজারেই। এয়ারপোর্টে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই - আমাদের কারুরই কারও প্রতি বিন্দুমাত্রও শ্রদ্ধা নেই। সে তিনি যাত্রীই হওন কি এয়ারপোর্ট কর্মকর্তাই হওন। অতীত অভিজ্ঞতা বা কালচার - যে নামেই বলা হোক, তাতে ভদ্র যাত্রী হয়েও যেমন অপমানিত অথবা বিড়ম্বিত হতে হয়, তেমনি ভাল মানসিকতার কর্মচারী হয়েও একইরকম ভুক্তভোগী হতে হয়। সহনশীলতার চরম অভাব। সবখানেই ক্ষমতার অপব্যবহার, ক্ষমতা দেখানোর দাম্ভিকতা। সবখানেই ক্ষমতাবানকে তাঁবেদারি, আর দুর্বলের জন্য ঝাঁটার বাড়ি। এই কালচার আমাদের রক্তের কণায় কণায় ঢুকে গেছে। এই মানসিকতা বা কালচার থেকে আদৌ মুক্তি পাবো কিনা - এই নিয়ে আমি প্রচণ্ড সংশয়বাদী।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫৮

হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: একদম কথা সত্য, আমাদের মানসিকতা ঠিক হলেই সব ঠিক... ধন্যবাদ মূল্যবাণ মতামতের জন্য।

৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৫০

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনি প্রথমে নিজের মাথায় মুগুর দিয়ে একটা বাড়ি দিন। আপনি কি বললেন আর কি যুক্তি দিলেন। মুগুর ছাড়া চলেনা বলেই আমাদের লাগেজ পেতে ঝামেলা হয়। এখানে যে লোকটা লাগেজ না পেয়ে অধৈর্য হয়ে চিৎকার চেচামেচি করছে তার জন্য মুগুর নয়, মুগুরটা দরকার যারা ঝামেলাটা করছে।
ঈদের আগে দেশে গিয়েছিলাম, এয়ারপোর্টে নেমে কোন ট্রলি পাওয়া যাচ্ছিল না, দেখলাম ওখানের কর্মচারীরা বাহির থেকে ট্রলি নিয়ে এসে যাত্রীদের দিচ্ছেন, বিনিময়ে টাকা নিচ্ছেন। মালয়েশিয়া এয়ারপোর্টে যে লোকটিক সুবোধ বালকের মতো নম্র ভদ্র আচরন করলো সে জানে সামান্য ট্রলি নিয়ে এই অনিয়ম ওদেশে হবার নয়। বাংলাদেশে নেমে সে তো ভুক্তভোগী, অন্যের দায়িত্বহীনতা, অবহেলা, অসততার জন্য তাকে ভুগতে হচ্ছে। অতএব আপনি ঠিক কোন যুক্তিতে মুগুরটা দায়িত্বহীন, অসৎ এর দিকে না ছুড়ে যে ভুক্তভোগী তার দিকে ছুড়ছেন বোধগম্য হলো না!!!
ভাই বিমানের কর্মচারী নন তো? তাইলে সালাম ভস, চালায় জান যেভাবে চলছে - আপনাদের তুলনা আপনারাই.......।

৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:০০

হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.