নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাবিবুর রহমান জুয়েল

হাবিবুর রহমান জুয়েল

জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....

হাবিবুর রহমান জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

জয়নুদ্দিন শালা একটা বোগাস! আমার কণ্যা রাশি-টাশি কিছুই না। সব মিথ্যা, সব মিথ্যা আর ভাওতাবাজি।........

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০

নব্বই'র দশকের শেষ দিকে হাইকোর্ট মাজারের পাশে জয়নুদ্দিন নামে একজন ভাগ্য বিশারদ ছিলেন। পুরনো মলিন বর্ণের কিছু খাম আর কাঁধের উপর বসিয়া থাকা লম্বা লেজ ওয়ালা একটা টিয়া নিয়া হাসি হাসি মুখ করিয়া বসিয়া থাকিতেন।



কয়দিন পর পর নিজের ভাগ্য-ভবিষ্যত জানিবার জন্য তাহার কাছে যাইতাম আমি।



আমাকে দেখিলেই জয়নুদ্দিন হাসিয়া বলিতেন, "আফনের রাজ কপাল, আফনে বড় ভাগ্যবাণ" বলিয়া ই টিয়াটাকে খামের উপর ছাড়িয়া দিতেন।



টিয়া দুই তিন চক্কর মারিয়া মাঝ হইতে একখান খাম উঠাইতো।



আমার বুকের মধ্যখানটায় তখন ধুক ধুক করিতেছে। কে জানে টিয়া কোন খাম আনিয়া জয়নুদ্দিনের হাতে দেয়!



খাম খুলিয়া জয়নুন্দিন উচ্চস্বরে পড়িতেন,"আফনার মতো চান কপাল লইয়া এই দুনিয়ায় দ্বিতীয় কোনো মানব শিশু জন্মায় নাই, আফনার জন্য অতি রূপবতী এক রাজ কণ্যার জন্ম হইয়াছে, যদিও রাজ কণ্যা এখনও নাবালিকা।...........আমি পকেট হইতে দুই টাকার একখান নোট বাহির করিয়া জয়নুদ্দিনের হাতে দিয়া পুলকিত মনে হাঁটিতে হাঁটিতে রমনা পার্কে চলিয়া যাইতাম।



রমনার বেঞ্চিতে শুইয়া আকাশের দিকে মুখ করিয়া "রাজকণ্যার" স্বপ্নে বিভোর থাকিতাম। চোখ দুইটা বুজিলেই অনুভব করিতাম, এই বুঝি রাজকণ্যা ডানায় ভর করিয়া আসিয়া আমার কপাল ছুঁইয়া যাইবে.......এই বুঝি.....আসিবে।



আরেকদিন খাম খুলিয়া আমার মুখের দিকে খানিক তাকাইয়া থাকিয়া বলিলেন,"আফনার তো মিয়া কণ্যা রাশি, কণ্যাদের কাছ থেইকা আফনি সাবধান থাকিবেন, অন্যথায় জীবন বরবাদ হইয়া যাইবো!"



আমি আগেকার মতো পকেট হইতে দুই টাকার একখান মলিন নোট বাহির করিয়া জয়নুদ্দিনের হাতে দিয়া রমনার উদ্দেশ্যে হাঁটিতে থাকিতাম........।



পাশ দিয়া হাঁটিয়া চলা রমনীদের দিকে আড় চোখে তাকাইয়া তাকাইয়া দেখিতাম-



কই, কেহই তো আমার দিকে তাকাইতেছে না! জয়নুদ্দিন শালা একটা বোগাস! আমার কণ্যা রাশি-টাশি কিছুই না। সব মিথ্যা, সব মিথ্যা আর ভাওতাবাজি।........



সেই জয়নুদ্দিন আজ কোথায় আছেন, কেমন আছেন জানা নাই। একবার শুনিয়া ছিলাম, তিনি ব্যস্ত এই শহরের কোনো এক ফুটপাতের ধারে বসিয়া টোকমাইর দানা আর ইসুবগুলের শরবত বেচিতেছেন......



















মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২২

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: হয়তো এখনো সম্ভাবনা রয়েছে ! কি বলেন ভ্রাতা ? :)

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এসব পুরোপুরি বুজরুকি। এদের কাছে যান কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.