নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাবিবুর রহমান জুয়েল

হাবিবুর রহমান জুয়েল

জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....

হাবিবুর রহমান জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম্প্রতি ঢাবির যে মেয়েটি এরকম এক খবিশের দ্বারা হয়রানির শিকার হয়েছে, তার জন্য রইলো সম বেদনা। আর ঐ খবিশের জন্য রইলো এক দলা থুথু....।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৫

"স্যার আসবো?"



"গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ করছি, একটু অপেক্ষা করো"



বাইরে দাঁড়িয়ে আছি আমি। এমন সময় আমার সহপাঠি নিতু (ছদ্মনাম) স্যারেে দরজার সামনে এসে দাঁড়ালো।



"স্যার আসবো?" গলাটা খানিক বাড়িয়ে স্যারের রুমে প্রবেশের অনুমতি চাইলো নিতু।



নিতুর গলার আওয়াজ পেতেই স্যার হেসে ফেললেন।

বেশ উচ্ছ্বাসিত গলায় বললেন, "আ রে নিতু এসো এসা, তারপর কী খবর বলো? ৩০২ এর টিউটিরিয়াল কেমন হলো?"



"মোটামুটি স্যার"



"কেন? মোটামুটি কেন? আচ্ছা আমি দেখবো। তোমার রোল যেন কত?"



"৩৬"



"আই লাইক ৩৬" মৃদু স্বরে কথাটা বলেই প্রসঙ্গ পাল্টে ফেললেন স্যার।



"বাইদা উয়ে তুমি এমন শুকিয়ে যাচ্ছ কেন? আর করবেই বা কি হলের খাবার-দাবারের মান দিনকে দিন যা হচ্ছে! কোন হল যেন তোমার?"



"শামসুন্নাহার। স্যার আমি এসেছিলাম ৩০২ এর যে রেফারেন্স বইটির কথা গতকাল আপনি বলেছিলেন, লাইব্রেরি সেমিনার কোথাও বইটি নেই। "

"হুম, তুমি বরং বিকালের দিকে আমার বাসায় একবার আসো। দেখি বাসার কোনো সেলফে আছে কি না। তোমার ভাবি পাঁচটার দিকে এ্যালিফেন্ট রোড যাবে, তুমি পাঁচটার পর পরই চলে এসো। তোমাকে নিরিবিলি সময় দেয়া যাবে। আমার হাতের চা-ও বানিয়ে খাওয়াবো। আমি কিন্তু ভালো চা বানাতে পারি।"



"থ্যাঙ্কউ স্যার, আমি তবে পাঁচটার পরপরই যাবো" বলে হন হন করে বেরিয়ে গেল নিতু।



আমি তখনও হাদারামের তো দরজার বাহিরে দাঁড়িয়ে আছি।



"স্যার আসবো?"

আমার কণ্ঠ শুনে খানিক ভরকে গেলেন স্যার। বিব্রত গলায় বললেন, "কী আশ্চর্য! তুমি এখনও দাঁড়িয়ে আছ?"



স্যার এর না বোঝার কথা নয় যে, নিতু আর তার রসময় আলাপ আমি শুনে ফেলেছি।:P



"আমার ক্লাসের সময় হয়ে গেছে, তুমি বরং কাল একবার এসো। বাই দা ওয়ে তোমার রোল যেন কত?"



"জ্বি ২৪।"



"আই সি।"



"স্যার নিতুর মতো আমারও একই প্রবলেম। আমিও কি আজ বিকেলে আপনার বাসায় আসবো? ঠিক পাঁচটার পর পর?"



মুহূর্তে স্যার এর চেহারা ফেকাশে হয়ে গেল। মনে হলো আকাশ ভেঙ্গে ঠাডা পড়েছে।:P



"তোমার মতো ফাজিল স্টুডেন্ট এখন পর্যন্ত চোখে পড়ে নি। যাও চোখের সামনে থেকে.....।



আমি মাথা নিচু করে চলে এলাম। আর ছেলে হয়ে জন্মানোর জন্য মনে মনে নিজেকে অভিশাপ দিলাম।



......এই হচ্ছে ঢাবিসহ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক রূপি কিছু খবিশের চিত্র....।



ধরা পড়লে এদের শাস্তি শুধু সাময়িক বরখাস্ত।



সম্প্রতি ঢাবির যে মেয়েটি এরকম এক খবিশের দ্বারা হয়রানির শিকার হয়েছে, তার জন্য রইলো সম বেদনা। আর ঐ খবিশের জন্য রইলো এক দলা থুথু....।





















মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৪০

আমায় ডেকো না বলেছেন: সাঈদীর মত আরেক মেশিন ম্যান

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৭

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এরা ভয়াবহ রকমে ছড়িয়ে পড়েছে! অনেক আগে থেকে এগুলো চলছে। আমরা নব্বই দশকে এদের কিছু নমুনা খেয়াল করেছিলাম !!!

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩২

মামুন রশিদ বলেছেন: নাট্যকলার অধ্যাপক খবিশটা ক্যাম্পাসে আমার এক বছরের সিনিয়র ছিল.. শেম শেম!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.