![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
আমাদের বাসায় আমার জন্য রয়েছে আলাদা প্লেট গ্লাস এবং গামছা। সধারণত অন্যের এ তিনটা জিনিস আমি ব্যবহার করি না। বছরের পর বছর এ নিয়ম চলে আসছে।
ছেলে হবার পর আমার এ তিনটিতেই ভাগ বসালো সে। তার প্লেট থাকা সত্যেও সে আমারটায় খাবে। আলাদা গ্লাস থাকার পরও আমারটা ব্যতীত পানি খাবে না। গামছার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা। আমারটা ছাড়া গা মুছবে না।
গতকাল তার দাদা খাবার খাচ্ছেন, ছেলে দাদার পাশের চেয়ারে বসে এটা ওটা নাড়ছে। টুং টাং করছে।
খোদাই মালুম হঠাৎ কি দুষ্ট বুদ্ধি মনে এলো তার, টেবিল থেকে আমার গ্লাসটা হাতে নিয়ে খানিক এদিক ওদিক তাকিয়ে তার ভেতর "হিস্যু" করে দিল সে।
ছেলের দাদা অট্ট হাসিতে ফেঁটে পড়লেন। বললেন "ডাক ডাক, অর বাপে রে ডাক। দেখুক আইসা।"
নাতির সাহসী কাণ্ড দেখে ভীষণ খুশি তিনি। খুশি বাসার সবাই। আমি শুষ্ক বদনে ছেলের মুখের দিকে একবার তাকালাম। মনে মনে বললা, "ব্যাটা এই জীবনে যে গ্লাসে কারও পানি খাবার হিম্মত হয় নাই, আজ তু্ই সেই গ্লাসে 'হিস্যু' করলি!
ছেলের মাকে বললাম, "আমার জন্য নতুন গ্লাস নামাও।"
ছেলের মা বলল, "তুমি আমার পোলারে একটুও ভালোবাসো না।"
"কে বলল তোমায়, আমি পোলারে ভালোবাসি না?"
"এখনই বুঝা যাবে, তুমি কত্ত ভালোবাসো।"
"কি ভাবে?"
"তুমি যদি এই গ্লাসে নিয়মিত পানি খাও, তাহলেই বুঝবো তুমি পোলারে ভালোবাসো।"
"অ।"
ছেলের মা গ্লাসে পানি নিয়ে এসে বলল, "নাও এবার এই গ্লাসে পানি খাও।"
বুঝেন এইবার। ভালোবাসার পরীক্ষা কেমনে দিতে হয়।
২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২১
চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪
তূর্য হাসান বলেছেন: এরেই কয় মাইনকা চিপা।