![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
রাতে শোবার পর চোখ দুটো বুজে আসতেই শরৎ বাবু নরম পায়ে হেঁটে শিথানের কাছে এসে বসলেন। পাটের আঁশের মতো সাদা চুলগুলো এলোমেলোভাবে কপালের উপর এসে পড়ে আছে তাঁর। আলতো পরশে চরম মমতা নিয়ে আমার মাথায় হাত বুলাতে লাগলেন...।
তার একটু পরই আসলেন বাবু "বঙ্কিম" আসলেন তারাশঙ্কর, শীর্ষেন্দু, সুবোধ ঘোষ, বিভূতি ভূষণ, আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, একে একে সবাই আসছেন আর আমার চারপাশ ঘিরে বসে পড়ছেন। অমিয়ভূষণ বাবু ড্রেসিন টেবিল থেকে জগটা তুলে নিয়ে ঢক ঢক করে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিলেন। শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় বাথরুমের লাইট অন করলেন। তিনি বাথরুমে যাবেন। নিমাই বাবু তাঁর হাতটা টেনে ধরলেন। তাকে আগে যেতে দিতে হবে। সঞ্জিব চট্টপাধ্যায় ফ্যানের সুইচ অফ করে দিলেন। তাঁর শীত লাগছে। শার্লক হোমস এর স্রষ্টা স্যার আর্থার কোনান ডায়েলও এসেছেন। তিনি এসে আমার ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়াল খুলে একপিছ কটন বাড নিয়ে আরাম করে কান চুলকাতে লাগলেন।
হচ্ছেটা কি এসব! একে একে রুমে ঢুকছেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, শওকত আলী, মাহমুদুল হক, শওকত ওসমান। বারান্দায় এসে বসে আছেন বরেন বসু আর ফল্গুনি মুখোপাধ্যায়। বসে ফিস ফিস করে কি যেন বলছেন দু'জন।
হায় হায় একি কাণ্ড! ফ্রান্স থেকে দোমিনিক লাপিয়েরও দেখছি এসেছেন।
অবশেষে রহস্যের জট খুললেন, সেই শরৎ বাবু। গতকাল আমি যে একটা তালিকা দিয়েছিলাম, সেখানে অনেকের নামই বাদ পড়েছে। আর অনেকের নাম আসলেও কিছু ভালো বইয়ের নাম বাদ পড়েছে। সে জন্যই আমার বাসায় তাঁদের এই আগমন।
আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। যাক বাবা, আমি তো ভেবে ছিলাম কি-না কি হয়েছে। জানি না আজ রাতে কেউ আসেন কি না..........।
সুপাঠকদের জন্য গতকালের তালিকার সাথে আজ মনে পড়াতে আরও কিছু তালিকা যোগ করলাম-
২৮। অমিয়ভূষণ মজুমদার- রাজনগর
২৯। মাহমুদুল হক- অশরীরী, কালো বরফ
৩০। শওকত আলী- প্রদোষে প্রাকৃতজন, ওয়ারিশ
৩১। বিভূতিভূষণ- ইছামতি, আরণ্যক
৩২। বিমল মিত্র- সাহেব বিবি গোলাম
৩৩। অনিল ঘড়াই- কলের পুতুল
৩৪। আশুতোষ মুখোপাধ্যায়- শত রূপে দেখা
৩৫। সুবোধ লাহড়ি- ভস্তার বিল
৩৬। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়- পার্থিব
৩৭। বুদ্ধদেব গুহ- মাধুকরী
৩৮।সমরেশ বসু- নয়নপুরের মাটি
৩৯। দোমিনিক লাপিয়ের- দি সিটি অব জয়
৪০। নীহার রঞ্জনগুপ্ত- কৃষ্ণকলি, কালো ভ্রমর
৪১। শ্যামল গঙ্গোপধ্যায়- হিম পড়ে গেল
৪২। নিমাই ভট্টাচার্য- কেরানী
৪৩। সঞ্জি চট্টপাধ্যায়- শিকার,শিকারী
৪৪। সঞ্জিব চন্দ্র চট্ট পাধ্যায়- পালা মৌ
৪৫। শওকত ওসমান- জননী
৪৬। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস- খোয়াবনামা
৪৭। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়- পূর্ব পশ্চিম
৪৮। বরেন বসু- রঙরুট
৪৯। আবুল বাশার- অগ্নিবলাকা
৫০। বঙ্কিম চন্দ্র চট্টপাধ্যায়- কৃষ্ণকান্তের উইল, কপালকুণ্ডলা
৫১। কালকূট- কোথায় পাবো তারে
৫২। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়- গণদেবতা, ধাত্রীদেবতা, পঞ্চগ্রাম
৫৩। সুবোধ ঘোষ- বসন্ত তিলক
৫৪। ফাল্গুনি মুখোপাধ্যায়- শাপমোচন, চিতা বহ্নিমান
৫৫। স্যার আর্থার কোনান ডায়াল- এ স্টাডি ইন স্কারলেট, সাইন অব ফোর, হাউন্ড অব দ্য বাস্কারভিলস (শার্লক হোমস)
৫৬। কাজী ইমদাদুল হক- আব্দুল্লাহ
বিদ্র: আগামীতে হুমায়ূন আহমেদ ও ইমদাদুল হক মিলনের কিছু ভালো বইয়ের তালিকা দিবো ইনশাল্লাহ....
©somewhere in net ltd.