![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
আঁজলা ভরে জল মুখে দিবেন- এমন সময় আত্মীয়-বন্ধুগণের কথা মনে পড়ে গেল। মনে পড়ে গেল কাসেমের কথা। আলি আকবরের কথা। পিপাসার্ত দুধের শিশুর কথা মনে পড়ে গেল তাঁর। এক বিন্দু জলের জন্য এরা কতো ই না লালায়িত হয়েছে। কতো কাতরাতা প্রকাশ করেছে। এক বিন্দু জল। শুধু এক বিন্দু জল। এই জলের জন্যই কতো জন পুত্রহারা, পতিহারা, ভ্রাতৃহারা হয়ে মাথা কুটে মরেছে ফোরাতকূলের তীরে......। শুধু এই জলের জন্য।
তিনি আঁজলাভরা জলের দিকে একদৃষ্টিতে কিছু সময় তাকিয়ে রইলেন। চোখ দুটো টলমল করছে তাঁর। বুকের ভেতর আত্মীয়-পরিজন হারানোর বেদনা আর হাহাকার। গভীর এক দীর্ঘশ্বস ছেড়ে সজোরে ফোরাতের বুকে নিক্ষেপ করলেন সেই আঁজলাভরা জল।
পিপাসায় বুকের ছাতি ফেটে যাচ্ছে যাক। কণ্ঠ রোধ হয়ে আসছে আসুক। তবুও প্রয়োজন নেই এই অভিশপ্ত ফোরাতের জলের। প্রয়োজন নেই পিপাসা মেটানোর।
পবিত্র তরবারিখান ছুড়ে ফেলে একেবারে নিরস্ত্র হয়ে উদভ্রান্তের মতো হাঁটতে লাগলেন তিনি। মুহূর্তেই শত্রুপক্ষের তীরের শলাকায় বিদীর্ণ হয়ে লুটিয়ে পড়লেন মাটিতে। লুটিয়ে পড়া সেই পবিত্র দেহখানার উপর চেপে বসলো নিষ্ঠুর নির্দয় পাষণ্ড সীমার। লক্ষ টাকা পুরুস্কারের নেশায় ধারালো খঞ্জর দিয়ে অতি নির্মমভাবে পবিত্র দেহ থেকে মাথাটা আলাদা করে নিল পাষাণ হৃদয়ের সীমার।
আকাশ, পাতাল, দীগন্ত, অরণ্য, সাগর, পর্বত, বায়ু ভেদ করে চারদিক থেকে কান্নার করুণ সুর ভেসে আসতে লাগলো। ভেসে আসতে লাগলো এক গগণবিদারী চিৎকার- "হায় হোসেন। হায় হোসেন!! হায় হোসেন!!!"
©somewhere in net ltd.