![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
শাহেদকে কাছে ডেকে কথাটা বলতে লজ্জা পাচ্ছিলেন সোবহান সাহেব। অবেশেষে বলেই ফেললেন তিনি।
"আমার পকেট থেকে তুই কোনো টাকা নিয়েছিস?"
"জ্বি না বাবা।"
"তাহলে টাকাটা কে নিল বলতো?"
"কত টাকা বাবা?"
"কুড়ি টাকার একটা নোট। মাসের শেষ দিন আজ। অফিসে যাওয়া আসার ভাড়া ছিল।"
শাহেদ চুপ করে রইলো।
সোবহান সাহেব বললেন, " তুই নিশ্চয়ই নেস নি। তোর লাগলে তো আমার কাছে চেয়েই নিতিস।" বলেই ভুল বশত কাওকে দিলেন কিনা মনে করার চেষ্টা করলেন কিছু সময়।
"বাবা, মাকে একবার জিজ্ঞেস করে দেখ না। তেল ডাল কিছু একটা আনতে নিয়েছে কি না?"
"থাক বাদ দে। মাত্র কুড়িটা টাকাই তো। এর জন্য আর জিগাজিগির কাজ নাই। যদি নিয়ে থাকে নেক।"
শাহেদের মা সালেহা বেগম তখন পাশের বাসার মিতুর মায়ের কাছ থেকে লবন আনতে গিয়েছেন। লবন শেষে হয়ে গেছে আজ দু দিন হলো। বাকির লিমিট শেষ হয়ে যাওয়াতে দোকানদার বাকি দিচ্ছে না। সোবহান সাহেব বেতন পেলে বাকির টাকা পরিশোধ করা হবে। তারপর আবার নতুর করে দিবে।
শাহেদের চোখ টলমল করে উঠল। মাথা নিচু করে বাবার সামনে থেকে চলে গেল সে। টাকাটা আসলে সেই নিয়ে ছিল।
কেন নিয়েছিল। কি জন্য নিয়েছিল- সে কথা নাই বা বললাম আপনাদের।
মধ্যবিত্তদের সব কথা শুনতে নাই......।
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জীবনের টানাপোড়েন!!!
স্বপ্নের এখানেই ঠাই কোথায়?
না জানি কত পরিবারে এভাবেই ঘষ্টে ঘষ্টে চলছে জীবন...........
৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: শত শত পরিবারে এরকম বা কাছাকাছি দৃশ্য নিত্যকার।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৬
সকাল হাসান বলেছেন: সে যদি অতি জরুরী কোন কাজে নিয়ে থাকে তাহলে লজ্জা পাওয়ার কিছু নাই!
কিন্তু সে যেহেতু লজ্জা পাচ্ছে - তারমানে টাকাটা তার না নিলেও চলত!
তারই বা কি দোষ? মধ্যবিত্তদের জীবনই তো এমন!