![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
"একজন সিনেমা খোরের কাঠগড়ায় "পিঁপড়া বিদ্যা" "
প্রথমে বলে নেই, আমি সিনেমা বোদ্ধা নই, তবে সিনেমা খোর বলতে পারেন আপনারা। যে কিনা মাটির ব্যাংকে ছোট বোনের জমানো টাকা সুঁই দিয়ে নিপুন হস্তে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বের করে সিনেমা দেখতে যেতুম। যাকে কিনা নব্বইর দশকের একেবারে গোড়ার দিকে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার অপরাধে ঘরের বাহিরে রাত্রিবাস করতে হয়েছে!
তারপক্ষে "পিঁপড়া বিদ্যা" একটি পূণ্যদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র কথাটি মেনে নিতে কষ্ট হবারই কথা বৈকি। বড়জোর একটি লেজে-গোবরে সংমিশ্রিত কাহিনী নির্ভর অসমাপ্ত টেলিফিল্ম-এর খেতাব দেয়া যেতে পারে এটিকে।
জানি না আমার অতি প্রিয় ও গুণি নির্মাতা ফারুকী ভাই, কাদের কথা মাথায় রেখে "পিঁপড়া বিদ্যা"র মতো একটি অতি উচ্চমর্গের ছবি বানিয়েছেন। এবং প্রচরণার তোড়জোড়ে পারও পেয়ে গেছেন।
প্রথমদিন ছবিটি দেখতে গিয়ে টিকিটের অভাবে ফেরত আসতে হয়েছে। '৯৭ সালের পর টিকিটের অভাবে এই প্রথম কোনো ছবি দেখতে গিয়ে হল ঘর থেকে ফেরত আসতে হয়েছে। প্রথম দিন ছবি দেখতে না পেরে, ফেরত আসলেও মনে মনে পুলক বোধ করছিলাম।
দুই সপ্তাহ পরে সময় বের করে আবার গেলাম। এক ঠোঙা পপকর্ন কিনে ভিতরে ঢুকলাম। পপকর্ণ শেষ হবার আগেই দেখি, সিনেমা শেষ!
উপভোগ যেটুকু করেছি- তা হচ্ছে, আমার পাশের সিটেই ছিল একজোড়া কপোত কপোতী। খানিক পর পর কপোতী কপোতকে জিজ্ঞেস করছে, "এই এইটা দিয়া কি বুঝাইতে চাইছে?" "কোথায় থেইকা কোথায় আসলো?" ইত্যাদি ইত্যাদি
কপোত বেচারা নিজেও ছবির কোথা দিয়ে কী হচ্ছে, তা ধরতে পারছেন না। তাই একই প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন আমার দিকে।
আমি পপকর্ন মুখে ফুরতে ফুরতে বললাম, "ভাই, আপনার কি মনে হয় আমি ফারুকী?"
"না তা হবে কেন?"
"তবে জ্বালাতন করছেন কেন?"
"সরি ব্রাদার!"
হুম এই ছবির কাহিনী বুঝতে হলে। আমার মতো কিংবা ঐ কপোত কপোতীর মতো নির্বোধ দর্শকের সিটের পাশে ফারুকী ভাই'র থাকা আবশ্যক ছিল।
বলি বাপু, সিনেমা কোনো ছোট গল্প কিংবা অনুগল্প নয়। সিনেমা হচ্ছে সিনেমা। যার শুরু থাকলে শেষও থাকতে হয়.......। মন চাইলেই ইচ্ছে মতো ফুলস্টপ টেনে দেয়া যায় না।
গ্রাম্য ছেঁড়া কাঁথার মতো জোড়াতালি মার্কা গল্প দিয়ে বানানো "পিঁপড়া বিদ্যা" দেখে সত্যিই হতাশ হয়েছি। এই ছবি অস্কার জিতলেও আমার হতাশা ঘুচবে না।
আশা করি, ভবিষ্যতে ফারুকী ভাই' একটি ভালো গল্প নির্ভর এবং সত্যিকার অর্থেই "সিনেমা" উপহার দিবেন আমাদের। সে গুণ তাঁর রয়েছে।
কেননা যিনি গড়তে জানেন, তিনি শিবও গড়তে জানেন আবার বাঁদরও গড়তে জানেন।..........
২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৯
হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: ধন্যবাদ...
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
"ভাই, আপনার কি মনে হয় আমি ফারুকী?"
"না তা হবে কেন?"
"তবে জ্বালাতন করছেন কেন?"
"পিঁপড়া বিদ্যা" একটি পূণ্যদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র কথাটি মেনে নিতে কষ্ট হবারই কথা বৈকি। বড়জোর একটি লেজে-গোবরে সংমিশ্রিত কাহিনী নির্ভর অসমাপ্ত টেলিফিল্ম-এর খেতাব দেয়া যেতে পারে এটিকে।
মন্দ বলেন নি