নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাবিবুর রহমান জুয়েল

হাবিবুর রহমান জুয়েল

জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....

হাবিবুর রহমান জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনে ধৈর্য ধারণ করতে হয়.... ২

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:২৭

এক বিয়ে বাড়িতে আমি আর আমার দাদি গিয়েছিলাম। গ্রামের মুরব্বি হিসেবে দাদিকে অনেকেই দাওয়াত করতো। আরেকটি কারণ ছিল, তিনি ভালো রাধতে পারতেন।
দাদিজান আমায় সাথে নিয়ে যেতেন। তার সাথে গেলে নাতিটা ভালো-মন্দ খেতে পারবে এটাই তার চাওয়া ছিল সবসময়। দাদার মৃত্যুর পর দাদিই আমাদের সংসারের হাল ধরেন। আব্বার বয়স তখন আড়াই বছর।

দাদার মৃত্যুর পর আমাদের অনেক জমি-জমা বেদখল হয়ে যায়। যেটুকু ছিল, দাদিই তা দেখা শুনা করতেন। নিজে বিলে যেতেন। তদারকি করতেন। মাঝে মধ্যে গোপনে জমির নিড়ানিসহ ছোট খাটো কাজগুলো তিনিই করতেন।...

তো এক বিয়ে বাড়ির কথা বলছিলাম। সেখানে মুরব্বি হিসেবে দাদিকে একটা মিষ্টি দেয়া হয়েছে। আমি ছোট ছিলাম। তাছাড়া এক পরিবারের দুজনকে মিষ্টি দেয়ার নিয়ম ছিল না।

দাদিজান সেই মিষ্টি হাতে নিয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন। তার হাতের আঙুলগুলো মিষ্টির রস পড়ে ভরে গিয়েছিল।

মিষ্টি আমার খুব পছন্দ ছিল।
আমাদের অভাবে সংসারে মিষ্টি কিনে খাবার সাধ্য ছিল না। কারও আত্মীয় স্বজন আসলে কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম। যদি ডাক দিয়ে একটা মিষ্টি দেন। কালে ভদ্রে পেয়েও যেতাম।....... তবে বেশির ভাগ সময়ই সেটা জিলেপি থাকতো। রসগোল্লা শুধু বিয়ে-শাদিতে দেয়া হতো সে সময়।

আমাকে ইশারায় কাছে ডাকলেন দাদিজান। ডেকে বললেন, "নে ভাই খা।"

আমি স্বার্থপরের মতো হা করলাম। একবারও দাদির কথা ভাবলাম না।
দাদিজান পুরো মিষ্টিটা আমার মুখে পুরো দিলেন। আমি আয়েসি ভঙিতে চাবাতে লাগলাম। টুপ করে গিলে ফেললাম না। তাতে তাড়াতাড়ি স্বাদ চলে যাবার ভয় ছিল।........

আজ আমাদের বাসার ফ্রিজে বিভিন্ন ব্রান্ডের মিষ্টি অনাদরে পরে থাকে। কেউই খায় না। আমার মিষ্টি দেখলে বমি আসে একদম। তবুও ফ্যাশন হিসেবে কয়েক আইটেমের মিষ্টি ফ্রিজে রাখতে হয়।....

আমাদের রসমালাই আসে কুমিল্লার মাতৃভান্ডার থেকে। দধি আসে বগুড়ার ফুড ভিলেজ থেকে। ক্ষিরসা আসে মতলব থেকে। কাচাগোল্লা আসে নাটোর থেকে। ঘি আসে সিরাজগঞ্জ থেকে। মহিষের দধি আসে ফরিদপুর থেকে... আমাদের বিভিন্ন সাপ্লাইয়ার, কর্মকর্তা, কর্মচারিগণ বাড়ি থেকে আসার সময় খুব যতনে ভালোবেসে হওক আর মন জয় করার জন্যই হওক নিয়ে আসেন।

দেখা গেছে, কেউ একজন রাত তিনটা বাজে দারোয়ানকে ডেকে তুলে কিছু না কিছু একটার কার্টোন রেখে যান।.....

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৪৭

খেলাঘর বলেছেন:


ধৈয্য ধরে আছি, আপনি পোস্ট দিতেই থাকুন।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৫

হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: ধন্যবাদ...

২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৩৩

নিলু বলেছেন: ধৈর্যই ইমানের অঙ্গ তাই অপেক্ষা করুন কিছু পেতে পারেন আগামিতে ?

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৫

হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: সত্যি বলেছেন ধৈর্য ঈমানের অঙ্গ...

৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৪৬

সরদার হারুন বলেছেন: রাতে মিষ্টি দেয় কারা এবং কেন ? তাতো লিখলেন না ।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৬

হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: লিখেছি, আপনি খেয়াল করেনি নি....

৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪১

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
সরদার হারুন বলেছেন: রাতে মিষ্টি দেয় কারা এবং কেন ? তাতো লিখলেন না

আমারতো মনে হয় এ গল্পের সাথে স্বারথপর ও অবৈধ কাজকারবার যারা করে তাদের সাথে আনাগোনা আছে । তা না হলে--

"দেখা গেছে, কেউ একজন রাত তিনটা বাজে দারোয়ানকে ডেকে তুলে কিছু না কিছু একটার কার্টোন রেখে যান।..... "

একাজ হবে কেন ??????

৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৭

হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: কোনো লেখা ভালো মতো না পড়ে, মন্তব্য করতে নেই। আমি লিখেছি, রাতে মিষ্টি দিয়ে যায় আমাদের কোনো কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারি। হয়তো ভালোবেসে নয়তো বা আমাদের মন জয় করার জন্য....

৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২১

শামস 8929 বলেছেন: পৃথিবীটা সত্যিই গোল.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.