![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
(১)
আচ্ছা আমাদের জন্মদাতা পিতা-মাতা আমাদের কাছে কতোটা প্রিয়?
- পৃথিবীর সবচেয়ে প্রিয়। এ ব্যাপারে পৃথিবীর কোন সন্তানের দ্বিমত নাই।
জন্মদাতা পিতা জন্মের পর আমার কানের কাছে মুখ নিয়ে এই বলে আযান দিয়েছেন যে, "আল্লাহু আকবার" "আল্লাহু আকবার"।
যখন আমার বয়স আট বছর। আমাকে সাথে নিয়ে নামাজে দাঁড়িয়েছেন। তখনও তাঁর মুখ থেকে আমি শুনেছি, "আল্লাহু আকবার" "আল্লাহু আকবার"।
যখন আমাদের বাড়িতে মেহমান এসেছে, এবং একটি মুরগি জবাই চলছে তখনও ছুড়ি চালানোর সাথে সাথে আমি শুনেছি আব্বা বলছেন "আল্লাহু আকবার" আল্লাহু আকবার"।
একদিন প্রশ্ন করলাম- "আব্বা আল্লাহু আকবার" এর মানে কি?
আব্বা জবাব দিলেন, "আল্লাহু আকবার" মানে আল্লাহ সবচেয়ে বড় এবং মহান।
জিজ্ঞেস কলাম, "আব্বা তিনি কি আপনার চেয়েও বড় কিংবা মহান?"
আব্বা গম্ভীর কণ্ঠে জবাব দিলেন, "হুম।"
"তিনি কি মার চেয়েও মহান?"
একেই ভাবে আব্বা জবাব দিলেন,"হুম, সবার উপরে তাঁর স্থান। তাঁর উপরে কেহ নাই। আমরা সকলে তাঁর সৃষ্টি এই পৃথিবীতে চোখ মেলে যা কিছু দেখছ, সবই তাঁর সৃষ্টি।"
একদিন মাকেও প্রশ্ন করলাম, "আচ্ছা মা, আল্লাহু আকবার মানে কি?"
মাও আব্বার মতো একই জবাব দিলেন।
সেদিন থেকে আমার মাথায় গেঁথে গেছে আল্লাহ মহান। তাঁর উপরে কেহ নাই।.... কেন না আমার আব্বা বলেছেন- আল্লাহ মহান। আমার মা বলেছেন, আল্লাহ মহান। সন্তানের কাছে তাঁরা তো আর মিথ্যা বলতে পারেন না।
(২)
আচ্ছা আমার জন্মদাতা পিতা-মাতাকে কেউ যদি কোন দিন গালি দেয় তবে কেমন লাগবে আমার কাছে বলুন তো?
জানি এর উত্তরটা সবারই জানা।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আমার পিতা-মাতা যাকে "মহান" বলে আমার কাছে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন কোন এক দিন। যাঁর অবস্থান তাঁদেরও উপরে বলেছেন, সেই মহান আল্লাহ কে কেউ যদি গালি দেয় তবে কি খারাপ লাগার কথা নয় আমার কাছে??
জানি এর উত্তর জানা নেই "কিছু" মানুষের কাছে। লেখার এ অংশটি সেই মুষ্টিমেয় "কিছু" মানুষের জন্য, যারা সেই "মহান" আল্লাহকে তাদের বিভিন্ন লেখায় গালি দেন তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে থাকেন।
আপনি নাস্তিক। মানে সেই "মহান" এর উপর আপনার কোন বিশ্বাস নেই। তাতে আমার কিংবা আমার পিতা-মাতার কিছুই যায় আসে না। কিন্তু আমার পিতা-মাতা এবং আমার বিশ্বাসকে আপনি খাঁটো করে দেখতে পারেন না। তাচ্ছিল্য করতে পারেন না। সেই অধিকার আপনার নেই।.....
(৩)
আমার পিতা-মাতা ছোট বেলায় আমাকে শেখান নি যে, সেই "মহান" আল্লাহর বিরুদ্ধে যে কথা বলবে, তুমি তাকে হত্যা করবে। তাই তাঁদের কাছ থেকে "হত্যা" করার বিষয়টি আমি শিখি নি।
আপনারা যারা "মহান" আল্লাহ এর উপর বিশ্বাস স্থাপনকারী অর্থাৎ আস্তিক বা বিশ্বাসী। আপনাদের পিত-মাতা কি শিখিয়েছেন যে, "মহান" আল্লাহর বিরুদ্ধে যে কথা বলবে তাকে তোমরা হত্যা করবে??
আপনারা কি আপনাদের পিতা-মাতার আদর্শে পরিচালিত হচ্ছেন? না-কি অন্য কারো আদর্শে?
যদি অন্য কারো আদর্শে পরিচালিত হয়ে থাকেন। তবে এই "অন্য কেউ" টা কি সত্যিই আপনাদের সঠিক পথে পরিচালিত করছেন??
ভেবে দেখুন...।
আমার জানামতে পবিত্র কোরআন এর কোথাও "মহান" আল্লাহ তালা নাস্তিক হত্যার বিষয়ে কোন হুকুম দেন নি। হাদিসের কোথাও উল্লেখ নাই, রাসূল পাক (স.) নাস্তিক হত্যার বিষয়ে কোনো আদেশ দিয়েছেন।
তাহলে??
একবার ভাবুন প্লিজ...
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৫
হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: একদম খাঁটি কথা বলেছেন...
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৫
অমিত রায়হান বলেছেন: ইসলাম কে এখন মানুষ বিচার করে এই "অন্য কেউ" টাকে দিয়ে। আপনাকে বুঝতে হবে। আমি যদিও খুব জানি তবুও বলছি ধর্মান্ধতা, গোঁড়ামি, মৌলবাদী চেতনা ওই ধর্মের মানুষদের জন্য কখনোই ভালো হতে পারে না। সমস্যা টা ধর্মে নয়, সমস্যা হল ধর্ম পালনকারী মুসলমানদের আর গোঁড়ায় আছে ওই "অন্য কেউ"!