![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
প্যাডেল মারতে মারতে একসময় কাশি ওঠে তার।
খুক খুক করে কাশতে লাগলেন তিনি।
আমি বললাম, "রিক্সাটা সাইট করে থামান।"
তিনি রিক্সাটা থামালেন। তারপর খুক খুক করে কাশতে কাশতে অনেকটা কুজো হয়ে গেলেন। দুই হাঁটুতে হাত রেখে তার উপর ভর করে কুজো হয়ে থাকলেন কিছু সময়।
সোজা হয়ে ডান হাত দিয়ে বুকের বাঁ পাশটায় চেপে ধরলেন খানিক।
হয়তো ব্যথা করছে সেখানটায়।
"পারবেন তো? এখনও অনেক পথ বাকি।"
"পারমু বাবা পারমু। মাঝে মইধ্যে কাশিডা একটু ওডে এই যা।"
চালকের আসনে বসে স্বাভাবিক ভাবেই প্যাডেল মারতে লাগলেন পুনরায়। প্যাডেল মারতে মারতে বলে ফেললেন জীবনের অনেক কথা।
একটা ছেলে আছে তার। শক্ত-পোক্ত কর্মঠ ছেলে। বিয়ে করে আলাদা সংসার নিয়ে থাকে। বাবা-মা'র খবর নেবার ফুরসত মেলে না সেই ছেলের। কোনদিন ভুল করেও খোঁজ নিয়ে দেখে না, কেমন আছেন তার। এ বয়সে কিভাবে কাটছে তাদের দিনগুলো।
দুইটা মেয়ে ছিল, বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন অনেক আগেই। স্বামী-সংসার নিয়ে মোটমুটি ভালোই আছে তারা।
জিজ্ঞেস করলাম, "বাড়িতে জমি-জিরাত আছে কিছু?"
দীর্ঘশ্বাসের সাথে বললেন, "আছে বাজান আছে। ভিটা-বাড়ি মিইলা কিছু আছে।"
"বেচে দেন না কেন? বেচে নিজের চিকিৎসা করান। একসময় তো বদমাশ ছেলে এসে ভাগ বসাবে। মরলে দেখবেন পরের দিনই এসে উঠবে।"
"বাজান, ঐ জমির হকদার আমার পোলা। যদি বেইচা দেই পোলাডা শেষ বয়সে কই যাইয়া মাথা গুজবো কন?"
যে সন্তান অসহায় বৃদ্ধ বাবা-মার খোঁজ-খবর নেয় না। কোনও দিন ভুল করেও জানতে চায় না, তারা কেমন আছে। সেই অভিশপ্ত সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে পিতার এই দুশ্চিন্তা দেখে নিজের অজান্তেই চোখ দুটো ভিজে ওঠলো আমার।
আমি চুপ করে রইলাম।
আকাশের দিকে মুখ তুলে একবার তাকালাম। ফাগুনের বিশাল ঝকঝকে আকাশ....
১২ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২৭
হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: ঠিক বলেছেন চাঁদগাজী
২| ১১ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬
জাহিদ জুয়েল বলেছেন: কষ্ট বুকের মাঝখানে
১২ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২৭
হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: হুম..
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ২:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
এটা যদি গল্প না হয়ে থাকে, এসব মানুষের জন্য আমাদের সঠিকভাবে কিছু করা দরকার; জাতির সেই সামর্থ আছে।