নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাবিবুর রহমান জুয়েল

হাবিবুর রহমান জুয়েল

জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....

হাবিবুর রহমান জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুতরাং ২০১৫ এর বিশ্বকাপ আমাদের হবে, সেই স্বপ্ন দেখতেই পারি আমরা..........

১২ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪

আসুন একটু পিছনে যাই....


৯ এপ্রিল ১৯৯৭।
উল্লাসে মেতেছিল পুরো বাংলাদেশ । সেদিন আইসিসি কাপের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে স্কটল্যান্ডকে ৭২ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে যোগ্যতা অর্জন করেছিল বাংলাদেশ।

এ খুশিতে রঙের বণ্যা বয়ে গিয়েছিল শহরে । ড্রামভর্তি রঙ গুলে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে মগের সাহয্যে ছিটিয়েছিলাম আমরা।

কারও কোন আপত্তি ছিল না। অভিযোগ ছিল না। হাসিমুখে সবাই উপভোগ করেছে সে আনন্দ।

কেউ কেউ বলেছেন, আরে ১২ তারিখের জন্য কিছু রাইখা দাও। ১২ তারিখ বলতে ১২ এপ্রিল ১৯৯৭।

আসলো সেই ১২তারিখ। বাংলাদেশ ও কেনিয়ার মাঝে ফাইনাল খেলা। কেনিয়া আমাদের কাছে ক্রিকেটে তখন অনেক বড় দল......।

টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন আকরাম খান। তখন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তিনি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে কেনিয়া তুলেছিল ২৪১ রান। স্টিভ টিকলো ১৫২ বলে ১৪৭ রান করেছিলেন। অধিনায়ক মরিস ওদুম্বে করেছিলেন ৬৩ বলে ৪৩ রান।

তারপর শুরু হলো বৃষ্টি। সেই চিরস্মরণীয় বৃষ্টি।

পরদিন ১৩ এপ্রিল ১৯৯৭।

ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের জন্য ২৫ ওভারে ১৬৬ রানের জয়ের লক্ষ্য ধার্য করা হলো। ব্যাটিংয়ে নেমে এম এ সুজির প্রথম বলেই শূন্যরানে সরাসরি বোল্ড হয়ে গেলেন নাইমুর রহমান দুর্জয়।

সুজিকে সে মুহূর্তে হালুয়া বানায়া খেতে মন চাইছিল আমাদের।

সবাই আল্লহাকে ডাকতে লাগলাম।

উইকেটে থাকা রফিকের সাথে এসে যোগ দিলেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। দু'জনে ৫০ রান তোলার পর রফিক আউট হয়ে যান।

১৫ বলে ২৬ রান করে রফিক আউট হবার পর উইকেটে আসেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

এই জুটি ১৩ রান তুলতেই ৬৩ রানের মাথায় নান্নু আউট হয়ে যান।

৩৩ বল খরচ করে নান্নু করেছিলেন ২৬ রান।

এরপর আসলেন অধিনায়ক আকরাম খান। বুলবুল আর আকরাম মিলে করেছিলেন ৫৩ রান।

১১৩ রানের মাথায় ৩৭ বলে ৩৭ রান করে আউট হয়ে যান বুলবুল।

উইকেটে আসেন এনামুল হক।

১১৮ রানের মাথায় মরিস ওদুম্বের বলে আ্উট হয়ে যান আকরাম খান। ২৭ বলে তিনি করেছিলেন ২২ রান।

বাংলাদেশের মোট রান ১১৮ উইকেট গেছে ৫টি।

উইকেটে আসলেন বোলার সাইফুল ইসলাম।

বাংলাদেশের রান যখন ১২৩ তখন আউট হয়ে যান এনামুল। তিনি করেছিলেন ৭ বলে ৫ রান।

৬ উইকেট বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ১২৩ রান।

আসলেন খালেদ মাসুদ পাইলট। সাইফুলকে সাথে নিয়ে প্রাণপণ লড়াই চালিয়ে যাবার চেষ্টা।

আমাদের বুকের ভেতরটা তখন ধুরু ধুরু কাঁপছে।

দলীয় ১৩৯ রানের মাথায় ১৩ বলে ১৪ রান করে আউট হয়ে যান সাইফুল।

বাংলাদেশের অবস্থা ১৩৯/৭।

তারপর আসলেন খালেদ মাহমুদ সূজন। ৫ বলে ৫ রান করে আ্উট হন সুজন।

বাংলাদেশ ১৫১/৮।

দরকার আরো ১৫ রান। হাতে দুই উইকেট।

চোট পাওয়ার কারণে আতাহার আলীর ব্যাট করার মত অবস্থায় ছিলেন না। তাই একটি উইকেট পরলেই ম্যাচ জিতে যায় কেনিয়া।

তারপর আসলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ১ বলে ১ রান।

আমাদের তখন শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা....।

২৪.৫ ওভারে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ তখন ১৬৫ রান। স্ট্রাইকিংয়ে পাইলট। অপর প্রান্তে আছেন হাসিবুল হোসেন শান্ত।

গোটা বাংলাদেশ তাকেয়ে আছে কুয়ালালামপুরের কিলাত ক্লাব মাঠের দিকে।

অবশেষে শেষ বলে পাইলট এক রান নিতে সক্ষম হলেন।

বিজয় উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো বাংলাদেশ। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন ট্রফি বাংলাদেশের হয়ে যায়। জয়লাভ করে বাংলাদেশ।


(দুই)

সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা ৭ ম্যাচে বাংলাদেশ সাতটি-ই জিতেছে। ফলে নিউজিল্যান্ড শিবিরে টাইগারদে নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই একটা ভয় কাজ করছে। আর সেই ভয়ই হারিয়ে দিবে নিউজিল্যান্ডকে।

তাই এ কথা বলতেই পারি যে, এবার নিউজিল্যান্ডকে আমরা ওদের ঘরের মাটিতে হারিয়ে লাল-সবুজের পতাকা ওড়াবো....।

টাইগার বাহিনী এখন যে চাঙ্গা আর ফুরফুরে অবস্থায় আছে, তাতে বিশ্বের যে কোনো দলকে হারানোটা সময়ের ব্যাপার মাত্র.....।

সুতরাং ২০১৫ এর বিশ্বকাপ আমাদের হবে, সেই স্বপ্ন দেখতেই পারি আমরা..........


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.