নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাবিবুর রহমান জুয়েল

হাবিবুর রহমান জুয়েল

জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....

হাবিবুর রহমান জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

....একাত্তরে ভারতও সেই রূপ ছুটে এসেছিল। আর সেই তখন থেকে তাদের প্রতি তৈরী হওয়া সফট মাইন্ড অদ্যাবধি বলবত রয়েছে আমাদের।

২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫০

(এক)
আমরা পাড়ার যেই মুদি দোকান থেকে সদাই খাই, সেই দোকানদার আমাদের দেখলে কী করে?

উত্তর: দেখা মাত্রই আদন্ত হাসি দিয়ে কপালে হাত উঠিয়ে সালাম ঠুকে।

তারপর আমাদের মুড ভালো দেখলে কুশলাদি জিজ্ঞেস করে।

আমরাও মনমেজাজ ভালো থাকলে জিজ্ঞেস করি "কি অবস্থা ব্যবসাপাতি কেমন চলতাছে- ভালো তো?"

দোকানি হাসিতে গদগদ হয়ে জবাব দেয় "জ্বি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো চলতাছে মাশাল্লাহ।"

কারণ আমাদের কাছে চাল-ডাল-তেল-নুন-পেয়াজ-রসুন-আদা-মরিচ বেচে মুদি দোকানির জীবন চলে, সংসার চলে।

এই সালাম ঠুকা আর কুশলাদি জিজ্ঞেস করাটা। ক্রেতার প্রতি বিক্রেতার যথাযথ ও স্বাভাবিক আচরণ।

....আর সেই দোকানি যদি আমাদের দেখলে সালাম ঠুকার বদলে চোখ গরম করে ফকিন্নির পুত, ছোট লোক আর কাঙ্গালি বলে গালি দেয় এবং থুথু ছিটায় তবে সেটা হবে অস্বাভাবিক আচরণ।

তার দোকান থেকে সদাই খাওয়া তো দূরের কথা এলাকার সবাই মিলে তাকে গদাম দেওয়ার ব্যবস্থাও হতে পারে......।

"ভারত" হচ্ছে বাংলাদেশের "মুদি দোকান" আর ভারতীয়গণ সেই দোকানের "দোকানি"।

এখন কথা হচ্ছে, বাংলাদেশ ও এর সম্মাণিত ক্রেতাগণের সাথে সেই "দোকানি" দের আচরণটা কিরূপ হওয়া উচিত??

গদাম খাওয়া টাইপ আচরণ, না-কি স্বাভাবিক আচরণ??

সিদ্ধান্তটা নিতে হবে তাদেরই।


(দুই)

আমাদের কারও বাসায় যদি চোর কিংবা ডাকাত ঢুকে, তবে চিৎকার শুনে পাশে থাকা মুদি দোকানি দোকান ফেলে দৌড়ে আসে। হম্বি-তম্বি ও দৌড়-ঝাঁপ করে।....

যদি ভাবি তার এই দৌড়ে আসাটা শুধুই আমাদের সহযোগিতার জন্য- তা হবে মারাত্মক ভুল।.... তার এই দৌড়ে আসাটা আমাদের কাছে তার নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তোলা এবং তার দোকানের নিয়মিত খদ্দের করে তোলা। .....যাতে অন্য দোকানি আমাদের কাছে ভিড়তে না পারে। এবং তার প্রতি আমাদের একধরণের সফট মাইন্ড তৈরী হয়।

....একাত্তরে ভারতও সেই রূপ ছুটে এসেছিল। আর সেই তখন থেকে তাদের প্রতি তৈরী হওয়া সফট মাইন্ড অদ্যাবধি বলবত রয়েছে আমাদের।


তবে আর কতোদিন থাকে সেটাই দেখার বিষয়......


















মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৮

ডিজ৪০৩ বলেছেন: ভালোবাসার কোন প্রতিদান হয় না , কেউ যদি চায় সে ভুল করবে। ভালোবাসা শুধু ত্যাগেই সম্ভব ।

২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১৮

হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার কথা সত্য...

৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩৬

অলুক তৎপুরুষ বলেছেন: শুধু দোকানিই খদ্দেরদের ওপর নির্ভরশীল নয়, খদ্দেররাও দোকানির ওপর নির্ভরশীল। দোকানি তো আপনার মহল্লায় অনেকই আছে। সব খদ্দের কি আপনাকে সাহায্য করে? আর বিপদের সময় যে দোকানি আপনাকে সাহায্য করেছে, বিপদ থেকে মুক্তির পর যদি আপনি সে দোকানির স্বার্থটাই বড় করে দেখেন তবে আমি আপনাকে অকৃতজ্ঞ বলব। আচ্ছা একটু ভাবুন তো, ওই দোকানি আপনার কাছে গরু বিক্রি বন্ধ করে দিল, আপনি কোরবানি করবেন কিভাবে? পেয়াজ, রসুন, চাল, ডাল ইত্যাদি পাবেন কই? জানি দোকানির ক্ষতি হবে। কিন্তু আপনি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পাবেন কই?
আচ্ছা আপনি জীবনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই পড়েছেন? মুক্তিযুদ্ধে ইন্দিরা গান্ধিসহ তাঁর দেশের জনগণ যেভাবে সাহায্য করেছে তা কিভাবে ভুলে যাবেন? মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে বিশ্বজনমত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভারতের বিশিষ্ট নাগরিকের অবদানকে আপনি কিভাবে উপেক্ষা করবেন?
৭১ এ এতবড় অবদানের পরেও যে দেশের জনগণ উল্টাপাল্টা কথা বলে, কিংবা কৃতঘ্নের মত আচরন করে, সে দেশের মানুষকে কিভাবে তারা ভাল চোখে দেখবে? সংকীর্ণতা বাদ দিয়ে একটু উদার হতে শেখেন।

৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৩৪

হাবিবুর রাহমান বাদল বলেছেন: লেখকের সাথে সম্পুর্ন সহমত। আর অলুক দাদকে বলছি ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করার জন্য আসেনি নিজের লাভের জন্যে এসেছিলেন। প্রথমত শত্রু কে বধ করার জন্য। দ্বিতীয়তঃ প্রতিবেশী কে বেকায়দায় ফেলে তার দোকানের বাজে মাল বেশী দামে বিক্রয় করা। আর অকৃতজ্ঞতার কথা বলেছেন তা একমাত্র ভারতের জন্য প্রযোজ্য। এই অঞ্চলের সকল প্রতিবেশী তা জন্য অশান্তিতে আছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.