![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
ছোট বেলার ১লা বৈশাখটাই ছিল অন্যরকম।
দাদিজান নিজ হাতে দই পাততেন। কিছুদিন আগে খই ভেজে রাখতেন..। সাথে থাকতো মুড়ি ও নিজেদের গাছের পাকা কলা।
ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে দই+খই+মুড়ি+কলা+চিনি একসাথে মিশিয়ে তৃপ্তিভরে খেতাম।
অতিথি আসলে তাদের জন্যও একই খাবারের ব্যবস্থা ছিল।
তারপর দুপুর বেলা ছুটে যেতাম বৈশাখি মেলায়।
বিকেলে বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়াতাম।.....
সেই দিন আমরা কেউ মিথ্যা বলতাম না। কষ্ট পেলেও কাঁদতাম না....। কারও সাথে কেউ মারা-মারি করতাম না। কাউকে গালি দিতাম না...। এটা পারিবারিকভাবে নিষিদ্ধ ছিল। আমরা সবাই তা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতাম।
গ্রামে ধনী-গরিব আমাদের সবার ঘরে একই আয়োজন ছিল। দই+খই+মুড়ি+কলা+চিনি.....। আয়োজনে তেমন কোনও ভেদাভেদ ছিল না।
....সময় গড়িয়ে গেছে। অন্য সবকিছুর মতো পহেলা বৈশাখের আয়োজনেও কবে কিভাবে "ইলিশ" ঢুকে আমাদের মাঝে ভেদাভেদের বড় একটি দেয়াল দাঁড় করিয়ে দিলো কিছুই বুঝতে পারলাম না।
এই "ইলিশ"র জন্য কাল বহু পরিবারের চোখের জল টলমল করবে...। বহু অক্ষম পিতা মাথানিচু করে তার সন্তানদের কাছ থেকে মুখ লুকাবেন.....। ভাবতেই কেমন লাগছে জানি।
হয়তো অনেকেই সস্তা তেলাপিয়ার মাঝে ইলিশের স্বাদ খুঁজে নিবেন কাল....। খুঁজে নিবেন সান্ত্বনা.....।
মনুষ্য সৃষ্ট এই ভেদাভেদই যদি হয় সংস্কৃতি; তবে দরকার নেই সেই সংস্কৃতি আমার। সারা বছর প্রিয় মাছ "ইলিশ" খেলেও কালকের দিন, অন্তত কালকের দিন ইলিশ খাবো না আমি।.....
সবাইকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা.....
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৬
কবি আলমগীর গৌরিপুরী বলেছেন: বাদ দিয়ে দাও