নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাবিবুর রহমান জুয়েল

হাবিবুর রহমান জুয়েল

জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....

হাবিবুর রহমান জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যাটা ফাউল চড়াই দাঁত ফালাইয়া দিমু। আমারে চিনো না?

১৭ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪

ফেসবুক লগইন করে দেখি, আমার ফ্যাক্টরির প্রডাকশনের দায়িত্বে থাকা একটি ছেলে রিকুয়েস্ট পাঠিয়েছে। বয়স বিশ-একুশ। আমার প্রফইল পিকচার ও টাইমলাইনে তেমন কোন ছবি না থাকায় হয়তো আমাকে চিনতে পারে নি। শুধু নামের মিল থাকাতেই সে রিকুয়েস্ট পাঠাইছে।

শুধু রিকুয়েস্ট পাঠিয়েই থেমে থাকে নি ইনবক্সও করেছে।

"হাই দোস্ত কেমন আছ? রাগ কইরো না সোনাপাখি আমি তোমার বন্ধু হইবার চাই। আমাকে এ্যাড করো আমি সারাদিন এক্টিভ থাকি"

....এই লেখাটি আমি এ জন্য লিখছি যে, সেদিন একজন ইয়াং ট্রাফিক পুলিশ আমার সামনে থাকা একটি গাড়ি আটকিয়ে সাইড করতে বললেন।
লোকটি গাড়ি থেকে নেমে ট্রাফিক পুলিশকে বাংলা সিনেমার ভিলেন ডিপজলের ঢংএ ধমক দিয়ে বললেন, "ব্যাটা ফাউল চড়াই দাঁত ফালাইয়া দিমু। আমারে চিনো না? অই তুমি আমারে চিনো না?"

ট্রাফিক পুলিশ থতমত খেয়ে গেলেন। ভয়ে তার চোখ-মুখ শুকিয়ে গেছে। আস্ত করে বললেন, "জ্বি না চিনতে পারি নাই।"

গাড়ির ভদ্রলোক তার পরিচয় দিয়ে গাড়িতে চেপে বসলেন।

....চলার পথে অনেকের সাথে আমাদের দেখা হয়। আমরা জানি তাদের ভেতর গুরুত্বপূর্ণরাও থাকেন। যাদের "আমারে চিনো না?" বলে ধমক দেয়ার মতো পাওয়ারও থাকে।

কিন্তু সে পরিচয়টা তো কারও গায়ে লেখা থাকে না। আর পোস্টার ফেস্টুনের ফটোশপ মার্কা ছবি দেখে তো বাস্তবে কাউকে চেনার উপায় আছে বলেও মনে হয় না।

আমার ফ্যাক্টরির সেই ছেলেটি যদি আমাকে চিনতো, তবে কি আমাকে ইনবক্স করে 'সোনাপাখি' বলে ডাকতো? কিংবা কাজ-কাম রেখে সারাদিন ফেসবুকে এক্টিভ থাকে সে-কথা ইহজনমে বলতো??





মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পড়বি পড় মালির ঘাড়ে - হয়ে গেল না!!!

যাক এইবার ডিউটি প্লানে সংশোধনি আনতে পারবেন ;)

তবে ফুসবুকে আসলেই অনেক কিছুই বদলে দিচ্ছে!

২| ১৭ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৫৫

দিশেহারা আমি বলেছেন: হা হা হা
আমার সাথেও এরকম একটা মজার ঘটনা হইছিল। এলাকার এক ছোট ভাই যে কিনা ছোটবেলা থেকেই আমাদের সাথে থাকতো। আমরা বন্ধুরা আড্ডা দেওয়ার সময়ও ও আমারদের সাথে থাকতো। চা সিগারেট দরকার হলে ওকে দিয়েই আনাতাম।ও অনেক দুষ্ট ছিল। ২/১ দিন পর পরই ওর নামে নালিশ আসতো। ওকে আমরা নতুন নতুন, মজার মজার শাস্তি দিতাম। লাত্থি গুতাও দিতাম। ভাই ভাই বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলত। ৫ বছর পর দেশে ফিরে পাশের মহল্লা দিয়ে যাচ্ছিলাম। ঐ ছোট ভাইটার সাথে দেখা হল। আমি বললাম কিরে মহসিন,কেমন আছিস তুই?ও আমার মুখের দিকে কতক্ষণ তাকিয়ে রইলো। তারপর বলল- আরে দোস্ত ,কি খবর তোর?এই কথা শুনে মনটা চাইছিল থাপ্রাইরা ওর কানপট্টি গরম করে দেই ।কিন্তু চুপ রইলাম।৫ বছর বিদেশ থেকে কেমন যেন জেন্টেলম্যান হয়ে গেছি। তারপর ও একটা গাঞ্জা দুই টান দিয়ে আমাকে বলল, লও দোস্ত একটু গাঞ্জা খাও। আমি বললাম -তুই ই খা, আমার কাজ আছে বলে সেদিন সরে পড়লাম ।পরেরদিন মহল্লায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম। ও পাশ দিয়েই যাচ্ছিল আমার সাথে চোখে চোখ পরতেই দৌড়ে এসে পায়ে ধরে বলতে লাগলো , ভাই আমার ভুল হয়ে গেছে আমি আপনাকে চিনতে পারিনি। আপ্নি তো অনেক বদলাইয়া গেছেন, একটা লাত্থি দিলেও তো বুজতাম যে আপনিই সজল ভাই।
হা হা হা

৩| ১৮ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:২৬

সুমন কর বলেছেন: হা হা.......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.