নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাবিবুর রহমান জুয়েল

হাবিবুর রহমান জুয়েল

জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....

হাবিবুর রহমান জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন দেখি, হত্যার বিষয়ে ইসলাম কী বলে??

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৩১

একের পর এক ব্লগার হত্যা চলছেই..

....আমি জানি আমার পবিত্র ধর্ম "ইসলাম" শান্তির ধর্ম । কষ্ট লাগে যখন দেখি ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়। এ যাবত আমি কোথাও পাই নি, আল্লাহ তালা ও তাঁর প্রিয় হাবিব রাসূল পাক (স.) বলেছেন যে, যারা তোমাদের ধর্মে বিশ্বাস করে না, তাদের তোমরা "হত্যা" করো... কোথাও পাই নি সত্যি। যদি কারও কাছে দলিল থাকে তবে দেখালে বাধিত থাকিবো....

আসুন নিজের বক্তব্য নয়, পবিত্র কুরআনুল কারীম ও হাদিস শরীফ থেকে কিছু কথা আমরা সবাই জানার চেষ্টা করি...

** নরহত্যার শাস্তি সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন, "নরহত্যা বা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ছাড়া কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন দুনিয়ার সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে হত্যা করল।" (সূরা আল-মায়িদা, আয়াত: ৩২)**

*রাসূল (স.) বলেছেন যে "দুনিয়া ধ্বংস করে দেওয়ার চেয়েও আল্লাহর কাছে ঘৃণিত কাজ হলো মানুষ হত্যা করা।" (তিরমিযি)*

* "কিয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে সর্বপ্রথম যে মোকদ্দমার ফয়সালা হবে, তাহলো রক্তপাত (হত্যা) সম্পর্কিত।" (বুখারি ও মুসলিম)*

* "একজন প্রকৃত মুমিন তার দ্বীনের ব্যাপারে পূর্ণ প্রশান্ত থাকে, যে পর্যন্ত সে অবৈধ হত্যায় লিপ্ত না হয়।" (বুখারি)*

* হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত যে, নবী করিম (সা.) বলেছেন, "তোমরা সাতটি ধ্বংসাত্মক কাজ থেকে বিরত থাকো। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন- সেগুলো কী হে আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেন, ১. আল্লাহর সাথে শরীক করা ২. জাদু করা ৩. অন্যায়ভাবে নিরপরাধ লোককে হত্যা করা ৪. সুদ খাওয়া ৫. এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ করা ৬. রণক্ষেত্র থেকে পলায়ন করা ৭. সুরক্ষিত পবিত্রা নারীকে অপবাদ দেওয়া।’ [ সহীহ বুখারী : ৬৮৫৬; মুসলিম : ১২৯]*

* হযরত ইবন উমর (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন "মুমিন তার দীনের (ধর্ম) ব্যাপারে সর্বদা অবকাশের মধ্যেই থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না সে নিষিদ্ধ রক্তপাত ঘটায়।’ [ সহীহ বুখারী : ৬৮৬২]*

* হযরত ইবন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলু (স.) বলেছেন "কিয়ামতের দিন নিহত ব্যক্তি হত্যাকারীকে নিয়ে আসবে। হত্যাকারীর চুলের অগ্রভাগ ও মাথা নিহতের হাতের মুষ্ঠিতে থাকবে আর তার কণ্ঠনালী থেকে তখন রক্ত ঝরতে থাকবে। সে বলবে, হে প্রভু, এ ব্যক্তি আমাকে হত্যা করেছে। এমনকি সে তাকে আরশের কাছে নিয়ে যাবে।" [তিরমিযী : ২৯৫৫; মুসনাদ আহমদ : ২৫৫১, সহীহ, সিলসিলা সহীহা : ২৬৯৭]

* হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) হইতে অপর হাদিসে বর্ণিত যে, রাসূলু (স.) বলেছেন "কিয়ামত ততক্ষণ সংঘটিত হবে না যতক্ষণ না হারাজ বেশি হবে। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হারাজ’ কী হে আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেন হত্যা, হত্যা।" [মুসলিম : ৫১৪৩]

আশা করি সকলের কাছে দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, নবী করিম (সা.) কখনো একজন মানুষকে হত্যা করেননি, বরং নির্মম হত্যাযজ্ঞ থেকে মানুষকে দূরে থাকতে বলেছেন এমনকি হত্যাকে তিনি কুফরির মতো ভয়াবহ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

তিনি মানুষকে হত্যার পরিবর্তে মিত্রতা তথা বন্ধুত্ব স্থাপনের কথা বলেছেন।

বিদায় হজ্বের ভাষণে রাসূল (স) বলেন-

* "সাবধান! ধর্ম সম্বন্ধে বাড়াবাড়ি করো না। এই অতিরিক্ততার ফলে তোমাদের পূর্বে বহু জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে। [ইবনে মাজাহ]

* "চারটি কথা, হ্যা! এই চারটি কথা বিশেষভাবে মনে রেখো- শিরক করো না, অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করো না, পরস্ত্রী অপহরণ করো না, ব্যাভিচার করো না। [মুসনাদে সালমা ইবনে কায়েস, রিহলাতে মুস্তফা]

.......আমি শুধু এটুকুই জেনেছি, যে কোন মৃত্যুই বেদনার, যে কোন হত্যাকাণ্ডই ঘৃণ্য.....


.....(রি-পোস্ট)....



মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

এস. এম. হাবিবুল্লাহ বলেছেন: যারা ১৫২ কোটি মুসলমানের কলিজা - 'প্রিয় নবী' ও্ আল্লাহকে গালি দেয়, অসম্মানজনক লেখা-লেখি করে তাদের এই পৃথিবীতে বাঁচার কোন অধিকার নেই। আর ধর্মের স্পষ্ট নির্দেশ আছে এ সমস্ত ধর্মদ্রোহীদের উপযুক্ত শাস্তি দেবার। কই, আমরা যারা ধর্ম ভালবাসি তারা কোন দিন চেগুবারা, ক্যাস্টু, মাও সেং তুং আরও যারা আছেন তাদের অসম্মান করি না, বরং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানা্ই তাদের ন্যায় সংগ্রামী জীবনের জন্য। আর নিলয়েরটা সম্পূর্ণ আলাদা। প্রথম সে হিন্দু, দ্বিতীয়ত তার কোন লেখায় হিন্দু ধর্মের কোন সমালোচনা নেই; তৃতীয়ত কিছুদিন আগে হিন্দু ধর্মের কিছু অসারতা নিয়ে সমকালের এক নারী রিপোর্টার (নাম এখন মনে পড়ছে না) তার ফেইজবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন, তখন এই সব হিন্দু ব্লাগারাই সেদিন সমালোচনা, গালিগালাজসহ নানা মন্তব্য করেছিল এই মেয়েটিকে; অথচ সেইও ছিল তথাকথিত 'গণজাগরণ মঞ্চের' কর্মী। তাহলে কি আমরা মনে করব না, নাস্তিকতার আড়ালে এই ব্লগারাই সাম্প্রদায়িক সমপ্রীতি বিনষ্ট করছেন, উস্কামুলক সম্প্রদায়িক লেখা-লেখি করছেন। অথচ আমি এখনোও পর্যন্ত দেখিনি বাংলাদেশের কোন আলেম, কোন মুসলমান অন্য কোন ধর্মের বিরুদ্ধে আক্রমাণাত্ম, কট্টভাষায় বা সম্প্রদায়িক লেখা-লেখি বা বক্তব্য দিতে।

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

ফেরদাউসুর রহমান বলেছেন: আমার জানামতে কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব নেয়া হবে।

একজন প্রকৃত মুমিন তার দ্বীনের ব্যাপারে পূর্ণ প্রশান্ত থাকে, যে পর্যন্ত সে অবৈধ হত্যায় লিপ্ত না হয়।" (বুখারি)*

এখানে অবৈধ হত্যাকে বুজানো হয়েছে।

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

এশিয়ার মানুষের মাঝে একটা অংশ জল্লাদের মগজ নিয়ে জন্মে; এরা মানুস মেরে ফেলে; ধর্ম কি বলে, তাতে কিছু আসে যায় না।

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৪৪

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: ওপরের প্রথম ২ জনের মন্তব্য কারীর মন্তব্যে মনে হচ্ছে তারা হত্যাকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করছেন , হায়রে মুসলমান , শুধু নামেই মুসলিম আর পাচ ওয়াক্ত নামাজেই ইসলাম সীমাবদ্ধ রাখলি এর মাহাত্য বুঝলি না , রাসুল [ স . ] কখনই এমন হত্যাকে সমর্থন করতেন না , তিনি যুদ্ধের বেলায়ও সন্ধি -র চেষ্টা করেছেন। আল্লাহ তোদের হেদায়েত দিক।

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৪৫

গোলক ধাঁধা বলেছেন: ওকে দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় আনা যেত । একটি দেশের সরকার ব্যতিত ইসলাম কাহাকেও মৃত্যু দন্ড অনুমোদন করে না। এবার সে যেই হোক না কেন। আর ওর ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হতে পারত। তাছাড়া ওর কলমের জবাব কিন্তু সাধারন মুসলিমদের কলম দিয়েই দেয়ার কথা ছিল তলোয়ার নয়। ইসলাম কোন ফালতু ধর্ম নয় যে কোথাকার কে কি লিখল আর তাতেই ইসলামের জাত গেল। তাই ওর হত্যাকারিদেরও অবশ্যই আইনের আওতায় আনা জরুরী । আর সেই সাথে সরকারের আইন প্রনেতাদেরকেও আরও গভীর ভাবে এই বিষয়ে নজর দিতে হবে যেন সবাই সবার মত ধর্মমত নিয়ে থাকতে পারে , কাহারো অনুভূতিতে কেহ কোন আঘাত না করতে পারে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.