নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
ঘুষখোর শহিদুল হকের বড় মেয়ে রাফিসা মন খারাপ করে বসে আছে। ক্যাম্পাসের একেবারে নির্জন একটি জায়গায় নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে গুটিসুটি হয়ে বসে আছে সে। চোখ দুটো ফুলে আছে তার। ফর্সা নাকের ডগাটা লাল হয়ে আছে। আজ সকাল থেকে অনেক কেঁদেছে সে। অনেক......।
সকালে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতেই সবার আগে খোঁচাটা মারলো সোহানা। তার সহপাঠি। বান্ধবী। তারপর একে একে অনেকেই এগিয়ে আসলো তার দিকে। রাফসান, অমিত, সুজাতা, রোমেলসহ অনেকে। সবার চোখে মুখেই এক ধরণের ঘৃণা মিশ্রিত করুণা।
"কিরে ঘটনা কি সত্যি? তোর বাবা না-কি সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন?" গম্ভীর মুখে জিজ্ঞেস করলো সোহানা।
কোনা জবাব দিল না রাফিসা।
"কি রে তবে কি তোর বাবার ঘুষ খাওয়ার ঘটনাটা সত্যি? আমরা তো ভেবে ছিলাম....." খানিকটা ঠোঁট উল্টে বলল সুজাতা।
"তাই তো বলি প্রতিদিন তুই যে এত এত টাকা ক্যাম্পাসে এসে খরচ করিস। ক'দিন পর পর দামি দামি হাত ঘড়ির ব্র্যান্ড বদলাস- ছয়মাস পর পর গাড়ির মডেল চেঞ্জ করিস। এত্ত টাকা আসে কোত্থেকে তোদের!" একটু তাচ্ছিল্যভরা কণ্ঠে বলল রোমেল।
কোন কথা ফুটে না রাফিসার মুখ দিয়ে। তার দু'চোখের কোণ বেয়ে দর দর বেগে জল গড়িয়ে পড়তে লাগলো শুধু।
কারো প্রশ্নের কোন জবাব না দিয়ে মাথা নিচু করে হেঁটে গেল ক্যাম্পাসের নির্জন জায়গাটির দিকে।
"কি রে কোথায় যাচ্ছিস? আ রে যাচ্ছিস কোথায়...?" ব্যাঙ্গাত্মক কণ্ঠে সুর করে বলল অমিত।
রাফিসা হেঁটে যাচ্ছে। দ্রুত পায়ে হেঁটে যাচ্ছে সে।
পলকহীন দৃষ্টি নিয়ে সবাই তার হেঁটে যাওয়া পথের দিকে তাকিয়ে আছে।
বাম হাতের উল্টা পিঠ দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে হাঁটছে রাফিসা। আজ সমাজে তার পরিচয় একটাই। একজন বরখাস্ত হওয়া ঘুষ খোর অসৎ চাকুরিজীবী বাবার মেয়ে সে। এর বাইরে অন্য কোন পরিচয় নেই তার। এর বাইরে অন্য কোন পরিচয় নিয়ে কোন দিন হয়তো সমাজের বুকে আর দাঁড়াতেও পারবে না সে।
দু'হাতে মুখ ঢেকে ডুকরে কেঁদে উঠে রাফিসা। বাণের জলের মতো দু'চোখ হতে জল গড়িয়ে পড়ছে তার।
আগ পিছ অনেক কথা ভাবার পর মনে মনে একটি সিদ্ধান্ত নিল রাফিসা। শুধু সিদ্ধান্ত নয়। একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল সে। একজন ঘুষখোর অসৎ বাবার মেয়ে পরিচয়ে এই সমাজে আর বেঁচে থাকতে চায় না সে....... আজ রাতের মধ্যেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে। সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে অন্য ভুবনে পাড়ি জমাতে হবে তাকে..... আজ রাতের মধ্যেই...
(বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রধান আমদানি রপ্তানি কার্যালয় ঢাকার নিয়ন্ত্রক গুনে গুনে ঘুষ খাওয়া শহিদুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রাফিসা আমার অলস মস্তিষ্কের কল্পনা মাত্র। রাফিসা শহিদুল হকের কল্পিত মেয়ে... )
২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১৮
হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: বলেন কি ভাউ.........
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৪৩
Sharifariyan বলেছেন: হুম,,,ভালই লিখছেন
৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০৪
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: একটু ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখলে এভাবে লেখা ঠিক না।। তার সন্তানদের কারো নজরে পড়লে আর এরকম "কিছু ঘটলে" সেই দায় কিন্তু কিছুটা হলেও আপনার উপর বর্তাবে।। বিবেকের কাছে হলেও।।
৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৩০
বিপরীত বাক বলেছেন: আপনি মঙ্গলগ্রহে বসে ব্লগ লিখছেন নাকি আমেরিকার দিকে তাকিয়ে কীবোর্ডে টাইপ করেছেন??
এটা বাঙালদের দেশ। এখানে কারা সম্মানের দাবীদার কারা নয় তা সম্বন্ধে ন্যুনতম ধারণা নেই আপনার।।
এইসব কাহিনী এখানে রুপকথারও মর্যাদা পাবে না বাস্তব তো অনেক পরের কথা।
৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এ ব্যপারটা নিয়ে প্রায়ই ভাবি যেসব সরকারী কর্মকর্তা, পুলিশ, তিতাস, ওয়াসা সহ যাদের নামে বাজারে ঘুষখোর হিসেবে পরিচিতি আছে তাদের সন্তানেরা কীভাবে এসব ফেস করে? হয়তো তারাও ভাবে সবই অপপ্রচার। আর একটু এডভান্সড হলে ভাবে সবাইকে ম্যানেজ করতে হয় কী করবে?
৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭
আজিজার বলেছেন: এ ভাবেই আমাদের জনমত গঠন করতে হবে। ঘুষ খোরদের বিরুদ্ধে।
৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪৮
প্রামানিক বলেছেন: কি আর বলবো ভাই, ঘুষের চাকরী করিনা দেখে মেয়ের বাবারা আমার সাথে মেয়ে বিয়ে দেয় নাই আমি নাকি বউ পালতে পারবো না। দুঃখে মরে যাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১২
সজিব হাওলাদার বলেছেন: আপনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা রেডি হচ্ছে।