নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
বিকেলে অফিসে বসে কম্পিউটারে কাজ করছিলাম।
এমন সময় ২৪/২৫ বছরের একটি মেয়ে দরজা ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করলো। খানিকটা হাঁপাচ্ছে সে।
কিছু সময় ভ্রু কুচকে অবাক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম। আজ অবদি এমন ঘটনা ঘটেনি যে কোন শ্রমিক অনুমতি ব্যতীত দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকে পড়েছে।
দরজার বাইরে আড়ালে সিকিউরিটি দাঁড়িয়ে আছে। সেও বোধহয় কিছুটা হতভম্ব ও বিব্রত।
মুখের ভঙ্গি কিছুটা হাসি হাসি করে পরিস্থিতি যথাসম্ভব স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলাম।
মেয়েটি কাঁপা গলায় বলল, "ছার আমি এইখানে লেবারদের জন্য রান্না করি।"
কিছুটা হেসে বললাম, "ও আচ্ছা, বেতনের বিষয়ে কিছু বলবে?"
"জি না"
"ছুটি লাগবে?"
"জি না"
এমন সময় চেয়ে দেখলাম, মেয়েটির চোখ দুটো টলমল করছে। মনে হলো জল গড়িয়ে পড়বে।
"কী সমস্যা বলো তো? কারো অসুখ করছে?"
"জি না ছার।"
"আচ্ছা বলো কেন এসেছ?"
"ছার, শাওন ছার আমারে পেছন তে ঝাপটায় ধরছে।"
প্রথমে ঠিক বুঝতে পারলাম না। তারপর ধরা গলায় ঘটনার খানিক বর্ণনা দিল মেয়েটি। কারখানার প্রডাকশন ম্যানেজার তাকে পেছন থেকে ঝাঁপটে ধরেছে। হাত ধরে একটি রুমে নেবার জন্য টানা-টানিও করেছে।
ফ্যাক্টরি ম্যানেজারকে ডাকলাম। সে বলল, বিষয়টি সে মীমাংসা করেছে। শাওন কে শাসিয়ে বলেছে- ভবিষ্যতে যেন এমন কাজ আর না করে।
বললাম, "আপনার বোন কিংবা স্ত্রীকে যদি এভাবে কেউ পেছন থেকে ঝাঁপটে ধরে তবে তাকে কি শুধু শাসিয়েই ছেড়ে দেবেন?"
"জি না।"
বুঝতে পারলাম, ব্যাপারটা কোন রকম ধামাচাপা দেবার চেষ্টা চলছিল। শাওনকে ডাকা হলো। মেয়েটিকে বললাম,"তোমার পায়ের জুতা খুলে ওকে বাইরে নিয়ে সবার সামনে জুতা পেটা করো।
কোথা থেকে যেন রাজ্যের শক্তি ভর করলো মেয়েটির শরীরে। সে চপা-চপ জুতা পেটা করতে লাগলো শাওনকে। শাওনের দু'গালে স্যান্ডেলের তলার দাগ স্পষ্টাকারে ফুটে উঠেছে।
তারপর মেয়েটিকে বললাম, "নিচে থুতু ফেলে ওকে চাটতে দাও। একটু ভালো মতো ফেল, থুতুতে যেন বেশি করে কফ থাকে।"
সে গলা কেশে কফসহ থুতু ফেললো নিচে। শাওনকে দিয়ে সেই থুতু চাটানো হলে।
তারপর বললাম,"ওর কানের গোড়ার চুল ধরে ভালো মতে টেনে দাও।"
মেয়েটি এমন ভাবে টানলো যে, তার চিমটিতে কয়েকটি চুল ছিড়ে এলো।
পুলিশে দিতে চাইলে মেয়েটি বাঁধা দিয়ে বলল, "ছাইড়া দেন ছার অর জনমের শিক্ষা হইছে।"
বললাম, "ছেড়ে যখন দিতে চাচ্ছ, তবে রোলার দিয়ে অর পেছনে গুনে গুনে দশটা বাড়ি মারো।"
মেয়েটি তাই করলো।
তারপর হারামজাদাটাকে তৎখনাত পাওনা মিটিয়ে কষে পাছায় লাথি মেরে কারখানা থেকে বিদায় করে দেয়া হলো।
এসব হারামজাদাদের কোন ক্ষমা নেই। প্রতিষ্ঠানে ঘাপটি মেরে থাকা এসব বদমাশদের কর্মকাণ্ডকে সামান্য শাসিয়ে কেউ ধামা-চাপা দেবার চেষ্টা করবেন না প্লিজ। এদের নগদে জুতা পেটা করে থুতু চাটিয়ে পাছায় লাথি মেরে আপনার প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় করুন...। আপনার প্রতিষ্ঠানে আমাদের মেয়েদের উপযুক্ত কাজের পরিবেশ বজায় রাখুন...।
২| ২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০
অরন্যে রোদন - ২ বলেছেন: ঘটনা কি সত্যিই!!!
সত্যি হলে স্যালুট সেই প্রতিষ্ঠান কে। এভাবেই নোংরা কীট গুলোকে সরাতে হবে।
৩| ২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
কল্পনা, ঘটনা?
৪| ২৪ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১
এরশাদ বাদশা বলেছেন: আপনাকে হ্যাট খোলা স্যালূট!!!!!!!
নারীদের প্রতি সকল অবমাননার যদি এভাবে দেয়া যেতো!!!
৫| ২৪ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০
শেখ মাসুদ রানা বলেছেন: খুব ভাল কাজ করেছেন। এইটুকু কথা জানাতে ব্লগে আইডি খুলতে বাধ্য হলাম। ধন্যবাদ।
৬| ১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:০৫
নীল মনি বলেছেন: চমৎকার
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫
জুয়েল তাজিম বলেছেন: উপযুক্ত শিক্ষা হয়েছে