![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতায় অভিজ্ঞ আমিই দি হাবলু । আর আমার মত যারা তাদের জীবনে একটাই কথা সেটা হল: be the হাবলু to rule the world
বেশ কয়েকদিন আগে আমার ভয়াবহ এংজাইটি এটাক হচ্ছিল। কোন কাজ আমি ঠিক মত করতে পারছিলাম না। এংজাইটি এটাক হৃদপিণ্ডটা ভয়াবহ ভাবে লাফাতে শুরু করে। তখন পৃথিবীর কাউকে সহ্য হয় না। আশেপাশে কেউ হাসাহাসি করলে মনে হয় তারা আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করতেছে। রাগ উঠে যায় তখন। অনেক অসহায় লাগে। যাই হোক এটা একসময় কমে যায়।
আমি যদিও জানি এংজাইটি হলে ভয়ের কিছুই নাই, এটা পুরোপুরি মানসিক একটা বিষয়। তবুও আমি এটা একদম ই নিয়ন্ত্রণ কএতে পারছিলাম না। মাঝে মধ্যে মনে হত, কেন আমার সাথে এমন টা হচ্ছে। আমি তো ক্ষতি করি নি। নিজেকে বার বার সান্ত্বনা দিতাম যে এটা কিছুই না, শুধুই মানসিক বিষয়, জোরে জোরে শ্বাস নিলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
অনেকের জন্য কেমন এটা আমি জানিনা। কিন্তু আমার জন্য এংজাইটি এটাক এর একটা সময় থাকত যেমন এক সপ্তাহ। এর পর আস্তে আস্তে কমে যেত। এই সময়ে আমার প্রেশার বেশি থাকে, হার্টবিট বেড়ে যায়, খাওয়া দাওয়া, কাজ মাথায় উঠে যেত।
গত সেপ্টেম্বরে আমার ব্যাপক এংজাইটি এটাক হল। কিছুতেই কমছে না। নিজের মন কে অনেক ভাবে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করেছি। লাভ হয় নাই। হঠাৎ মনে হল, যদি কোন জায়গা থেকে একটু ঘুরে আসতে পারি, তাহলে কেমন হয়?
যেই ভাবা সেই কাজ। কক্সবাজার যাব। সমুদ্র দেখব। নিজেকে প্রকৃতির মাঝে বিলিয়ে দিব। একটা অদ্ভুত রিসোর্ট এর খোঁজ পেলাম। যে রিসোর্টের একটাই মাত্র কাঠের বাংলো টাইপের ঘর। এর আশেপাশে কিছুই নাই, খোলা জায়গা যতদুর চোখ যায়। আর সামনে শুধুই সমুদ্র। আমার মনে ধরে গেল। ২ জন কলিগ কে আমার সাথে যাবার জন্য অনুরোধ করলাম। ওরাও রাজি হয়ে গেল। এদিকে আমি খেয়াল করলাম, এই সব পরিকল্পনা করতে করতে আমার এংজাইটি কমা শুরু করেছে।
যেদিন সকালে কক্সবাজার পৌছালাম তখন বৃষ্টি হচ্ছে শহরজুড়ে। মেরিন ড্রাইভ করে সিএনজি তে যাচ্ছিলাম ওই রিসোর্ট এর উদ্দেশ্যে। আমার বাম পাশে পাহাড় ডান পাশে সমুদ্র। ঝুম বৃষ্টি অন্যরকম আবেগ দেয়।
দুপুর ১২ টায় রিসোর্টে পৌছালাম। রিসোর্টের ঐ একমাত্র বাংলো তে যাওয়ার রাস্তা পুরাই এপিক। সবুজ ছোট ছোট ঘাসের মাঠ। কিন্তু পা দিলেই কাদাপানি উঠে আসে। তো কিছুদুর পর পর ইট দেওয়া আছে। তাদের উপর পা ফেলে ফেলে যেতে হবে। সে এক বিচিত্র অনুভুতি।
বাংলোটা দুই তলা উঁচু। কাঠের পিলারের বেইজ এর উপর বাংলোটা দাঁড়িয়ে আছে। আমরা যখন পৌছে গেছি ততক্ষণ বৃষ্টি নাই। রোদ উঠে গেছে। কেয়ার টেকার চাবি দিয়ে গেছে। দরজা খুলেই ঢুকে গেলাম। কাঠের মেঝে। একটা ছোট করিডোর। ডাইনিং স্পেস ও বলা যেতে পারে। একপাশে সিঙ্ক আছে। একটা টেবিল আছে তার উপর প্লেট, গ্লাস, কেটলি, গ্রিণ টি আছে। ওয়াশরুম টা নীল রঙের ছোট টাইলস দেওয়া। বেশ বড় ও আধুনিক।
আমরা একে একে শাওয়ার নিয়ে বাইরের ব্যালকনিতে বসে আড্ডা দেওয়া শুরু করলাম। আমাদের বাংলো থেকে সমুদ্র প্রায় আধা কিলোমিটার দূর। কিন্তু মাঝে কিছুই নাই। অর্থাৎ আমরা সরাসরি সমুদ্র দেখতে পাই। কোন কোলাহল নাই। কান পাতলেই বীচে আছড়ে পড়া ঢেউ এর শব্দ শোনা যায়। বীচের সাথেই ঝাউবনও দেখা যায়।
দুপুর আড়াইটার মধ্যে আমাদের খাবার চলে এল। আমরা ছোট ডাইনিং স্পেসে মেঝেতে চাদর বিছিয়ে সমুদ্র দেখতে দেখতে ভাত খেলাম। এমন তৃপ্তি নিয়ে খাওয়া অনেক দিন খাইনি। এইসময় জোয়ারের পানি ছিল বাংলোর সামনে। বিকালে জোয়ারের পানি চলে গেলে আমরা সূর্যাস্ত দেখতে গেলাম।
আমার মা-বাবা কখনো সমুদ্র দেখে নি। তাদের কে ভিডিও কলে সমুদ্রের সূর্যাস্ত দেখিয়েছি। এটা আমার দেখা অন্যতম সেরা সূর্যাস্ত ছিল।
আমরা ৩ দিন কক্সবাজার ছিলাম। এবং এই ভ্রমণের জন্য আমার এংজাইটি একদম ই চলে গেছিল। আমি নিজেকে আবার নতুন ভাবে খুজে পেয়েছিলাম।
যাই হোক, আমার আরো কিছু লিখতে ইচ্ছা করলেও মাথার মধ্যে সাজাতে পারছি না। আমি বরং কিছু ছবি শেয়ার করি।
ড্রোন ফুটেজ থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া (আমি হাটতেছি)
১৭ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৫১
দি হাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। পুরো শরীর চেক আপ করিয়েছলাম। সব কিছু ঠিকঠাক
২| ১০ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৪৭
শায়মা বলেছেন: এংজাইটি কন্ট্রোলে আমার ধারনা সেলফ মোটিভেশন বড় জরুরী।
নিজেকে নিয়ে ভাবতে হবে। সেই মুহুর্তে মাইন্ড ডাইভার্ট করতে হবে। যেভাবেই হোক যা নিয়ে এংজাইটি হচ্ছে তা ভুলে যেতে হবে।
সেই বিষয়ে ঠান্ডা মাথায় ভাবার জন্য একটা টাইম ঠিক করতে হবে।
১৭ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৫২
দি হাবলু বলেছেন: একদম। সম্পূর্ণ সহমত
৩| ১১ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১২:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: কতদিন সমুদ্রে যাই না। কতদিন পাহাড়ে যাই না।
১৭ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৫২
দি হাবলু বলেছেন: এটা লেখার সময় আমারও যেতে ইচ্ছে করছিল
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৩০
গরল বলেছেন: অ্যাংজাইটি থেকে অনেকের হার্ট অ্যাটাকও হয় শুনেছি, আপনি ডাক্তার বা সাইকিয়াট্রিষ্ট দেখান, আশা করি ভালো হয়ে যাবেন।