![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভূত হলো অশরীরি পুরুষ আত্মা, আর পেত্নী (মহিলা ভুত) অশরীরি মেয়ে আত্মা। অপঘাত, আত্মহত্যা প্রভৃতি কারণে মৃত্যুর পর মানুষের অতৃপ্ত আত্মা ভূত-পেত্নী হয়ে পৃথিবীতে বিচরণ করতে পারে।
ভূত কোথায় থাকে:
শেওড়া, তাল, দেবদারু, বেল, অশ্বত্থ প্রভৃতি গাছে একটি দুটি ভূতের দেখা পেতে পারেন। কিন্তু বেশি সংখ্যায় ভূত দর্শনের অভিলাষ থাকলে, আপনাকে যেতে হবে বিজন বনে, তেপান্তরে, কিংবা ভূষণ্ডির মাঠে।
প্রেম-ভালবাসায় ভূত-পেত্নী:
ভূত-পেত্নীর শারীরিক সৌন্দর্যের ব্যাপারে নানা মত চালু থাকলেও, প্রেম-ভালবাসায় তাদের নিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততা বেশ সুবিদিত। তাই যুগ যুগ ধরে মানব প্রেমিক প্রেমিকা গভীর ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে পরস্পরকে পেত্নী, ভূত নামে আখ্যায়িত করে থাকে।
ক্লাইকোপ্স:
তিনজন শতভুজ দৈত্যের পর ইউরেনাসের ঔরসে গেইয়ার গর্ভে তিনজন ক্লাইকোপ্স [গ্রিক ভাষায় ক্যুকল্পস্] জন্ম নেয়। তারাও তাদের অগ্রজ শতভুজ দৈত্যের মতো দানবাকৃতির ছিল। তাদের কপালের মাঝখানে শুধু একটি চোখ ছিল। হেসিয়দের থিওগনি অনুযায়ী তাদের নাম হলো - ব্রন্তেস [বজ্র], স্তেরোপেস [বজ্র] ও আর্জেস [তীব্র আলোকচ্ছটা]। হেসিয়দের থিওগনি অনুযায়ী তারা প্রত্যেকেই ছিল বলিষ্ঠ, বিশালদেহী ও একরোখা। করত কামারের কাজ তারা। তাদের পিতা ইউরেনাস সন্তানদের অদম্য শক্তি দেখে ভয় পেয়ে যান এবং তাদেরও শতভুজ দৈত্যদের মতো তার্তারাস কারাগারে বন্দি করে রাখে। পরে ইউরেনাস পুত্র ক্রোনাস তাদেরকে শতভুজ দৈত্যদের সঙ্গে তার্তারাস কারাগার থেকে মুক্ত করে। কিন্তু পিতা ইউরেনাসকে সিংহাসনচ্যুত করার পরই আবার তাদের বন্দি করা হয়। একই পন্থায় ক্ষমতার দখল নেন ক্রোনাসের পুত্র জিউস। তিনিও ক্লাইকোপ্স ও শতভুজ দৈত্যকে কারাগার থেকে মুক্ত করে পিতা ক্রোনাসকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। জিউসের প্রধান অস্ত্র বজ্র ক্লাইকোপ্সরাই তৈরি করে দেয়। আর্জেস এতে আনে উজ্জ্বলতা আর ব্রন্তেস দেয় শক্তি। স্তেরোপেস একে দেয় তীব্র আলোকচ্ছটা। সমুদ্রদেবতা পোসাইডনের ত্রিশূল, চন্দ্রদেবী আর্টিমিসের ধনুক ও চাঁদের আলোর তীর, সূর্যদেবতা অ্যাপোলোর ধনুক ও সূর্যরশ্মির তীর, পাতালদেবতা হেডিসের শিরস্ত্রাণও ক্লাইকোপ্সরা নির্মাণ করে। পরবর্তীকালে সূর্যদেবতা অ্যাপোলোর হাতে ক্লাইকোপ্সরা নিহত হয়। জিউস অ্যাপোলোর পুত্র অ্যাস্কিপিয়াসকে বজ্রাঘাতে বধ করায় অ্যাপোলো প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ক্লাইকোপ্সদের তীর নিক্ষেপ করে হত্যা করে।
শাকচুন্নি:
এটি একটি পেত্নী। অল্পবয়সী, বিবাহিত মেয়ে অপঘাতে মারা গেলে শাকচুন্নিতে পরিণত হতে পারে। শুভ্র কাপড় পরিহিত শাকচুন্নি মূলত জলাভূমির ধারে গাছে বাস করে এবং সুন্দর তরুণ দেখলে তাকে আকৃষ্ট করে ফাঁদে ফেলে।
চোরাচুন্নি:
দুষ্ট ভূত, কোনো চোর মারা গেলে চোরাচুন্নি হতে পারে। পূর্ণিমা রাতে এরা বের হয় এবং মানুষের বাড়িতে ঢুকে পড়ে অনিষ্ট সাধন করে।
মেছো ভূত:
মাছলোভী ভূত। বাজার থেকে কেউ মাছ কিনে গাঁয়ের রাস্তা দিয়ে ফিরলে এটি তার পিছু নেয় এবং নির্জন বাঁশঝাঁড়ে বা বিলের ধারে ভয় দেখিয়ে আক্রমণ করে মাছ ছিনিয়ে নেয়।
পেঁচাপেঁচি:
দেখতে পেঁচার মত এবং জোড়া ভূত। একটি ছেলে, অন্যটি মেয়ে। গভীর জঙ্গলে মানুষ প্রবেশ করলে এরা পিছু নেয় এবং সুযোগ বুঝে তাকে মেরে ফেলে।
মামদো ভূত:
হিন্দু বিশ্বাস মতে, এটি মুসলমান আত্মা।
©somewhere in net ltd.