![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকে কিছু লেখার কোন ইচ্ছা ছিলো না, তবুও লিখতে বসতে বাধ্য হলাম। আর এই বাধ্যতা যতটা মনের খুশিতে তার থেকে বেশী মনের ক্ষোভ; আহাম্মক মানুষদের আচরণের প্রতি চূড়ান্ত ক্ষোভ।
আজ স্যার হুমায়ুন আহমেদ এর জন্মদিন। আমি তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর দায়িত্ব নিয়ে এখানে বসিনি, তাই সে বিষয়ে কিছু লিখতেও চাই না। আজ বসেছি এক আহাম্মক মানুষকে জবাব দিতে, বোকার স্বর্গে বসবাসকারী অথচ নিজেকে জ্ঞানী ভাবুক সেই লোকের নাম আসিফ মহিউদ্দিন।
আজকে তার একটা পোস্ট পড়লাম। সে আজকে হুমায়ুন আহমেদকে বেশ বাজেভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। তিনি সমালোচনা করেছেন ঠিক আছে, কিন্তু সমালোচনা করলেই তো হয় না। আপনি যদি কাউকে সমালোচনা করার জন্য যা না তাই বলে ফেলেন, বা নিজে একটা বিষয় সম্পর্কে না জেনেই সমালোচনা করে ফেলেন, তবে তা হবে ভয়ানক আহাম্মকি, কেউ কেউ আপনার এই কাজের জন্য আপনাকে জুতাপেটাও করতে পারে। ধরুন, আপনি একজন সাতারুর সমালোচনা করতে গেলেন, সেখানে যদি আপনি বলেন, ওই সাতারু যেভাবে তাকায়, সেটা বেয়াদবির সামিল। তাহলে সেটা কোন পর্যায়ের সমালোচনা হলো? কিংবা বললেন, ওই সাতারুর চেহারা খারাপ, তাই সে সাতারে সবসময় জিতে যায়। এটা কোন পর্যায়ের হলো বলুন?? আবার আপনি নিজে একজন দক্ষ ড্রাইভার, কিন্তু জীবনে কোনোদিন কোন পোশাক তৈরি করা তো দূরের কথা, এ বিষয়ে কিছু জানেন-ই না, অথচ, আপনি গিয়ে একজন অভিজ্ঞ পোশাক নির্মাতাকে তার কাপড় কাটা হচ্ছে না বলে ধমকাতে শুরু করলেন! এখানেই বা কি বলা যায়? নিজে যে কাজটা ভালো জানেন সেটাই করুন না, সেটার সমালোচনাই করুন, কেউ কিচ্ছু বলবে না।
এবার আসি মূল আলোচনায়, আসিফ মহিউদ্দিন বলেছেন, হুমায়ুন আহমেদের লেখার সাহিত্য মান খুব নিচু মানের। বাহ! সাহিত্যের মান বিচার করার বিশাল একজন নির্ধারক পেয়ে গেলাম। (আমি নিজেও ভাই দুই-একটা কবিতা লিখতে চেষ্টা করেছি, যদি একটু মান বিচার করে দিতেন।) তবে আসিফ মহিউদ্দিন সাহেব শুধু একাই না, আরও কিছু এমন আমাস (আহাম্মক মার্কা সমালোচক) আছে, যারা এক-ই কথা বলেছেন। আচ্ছা, সাহিত্যের মান নির্ধারণ করা হয় কিসের উপর ভিত্তি করে বলবেন? ওই যে আন্তর্জাতিকভাবে ভর পরিমাপের জন্য কিলোগ্রামের বাটখারা তৈরি করা আছে, তেমন কিছু কি আছে নাকি? যদি না থাকে, তাহলে কীভাবে মাপে? কি বলবেন, পুরনো জ্ঞানীরা সাহিত্যের মান নির্ধারণ করে দিয়ে গেছেন? তাহলে এখানে আমার প্রথম প্রশ্ন হল আপনার মতে সভ্যতার ইতিহাসে সবথেকে বেশী অবদান কার? অনেকেই বলবেন এরিস্টটল। ঠিক আছে, আমিও সেটা মানলাম। এখন কথা হলো, এরিস্টটলের কয়টা তত্ত্ব এখন খাটে? সাধারন বিজ্ঞানের দিকে না গিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে তার একটা তত্ত্ব মনে পরে গেলো, “রাষ্ট্র পরিচালনায় গনতন্ত্র হল সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট পন্থা” এখন কি এই তত্ত্ব চলে? না চলার কারণ হলো মানুষের জীবন ব্যবস্থা এখন আর আগের মত নেই। এখন দুনিয়ার প্রায় সকল দেশেই রাষ্ট্র পরিচালক আর প্রজা সমান জ্ঞান ধারন করে, সমান শিক্ষায় শিক্ষিত হয়, তাই তারা নিজেদের শাসক নিজেরাই নির্বাচন করতে পারে, যা তৎকালীন সমাজে সম্ভব ছিলো না। এর দ্বারা বুঝতে পারলাম, কোন তত্ত্বই চিরন্তন না। সময়ের সাথে তার পরিবর্তন হবে। এবার একটু সাহিত্যের দিকে তাকাই- অতীতে সাহিত্য বলতে মূলত প্রচলিত ছিলো নারী-দেহ কিংবা অদৃশ্য খোঁদার গুন রচনা। অথচ এখন এই জাতীয় লেখাকে খুব-ই নিম্মস্তরে গণনা করা হয়। তেমনি, কিছুকাল আগে রবীন্দ্রনাথ সাহেব যে সাধু ভাষায় লিখতেন, সেই ভাষাও এখন সাহিত্য দরবারে হাসির খোরাক ছাড়া কিছুই না। কারণ, বর্তমানের সাহিত্যচর্চা হয় চলিত ভাষায়। আবার শান্তির দেশ সুইডেন কিংবা নরওয়েতে বিদ্রোহী কবিতার মত লেখাও মূল্যহীন। অথচ, লেখাটা কিন্তু সাহিত্য মান বিবেচনায় বিশ্বমানের। কিন্তু স্থান-কাল-পাত্র ভেদে লেখা মূল্যহীন হয়, আবার আমাদের ততকালীন সময় বিবেচনায় বিদ্রোহী কবিতা হলো শ্রেষ্ঠ সাহিত্য। কিন্তু চর্যাপদ, মঙ্গলকাব্য কিংবা রামায়ণ কে যদি সাহিত্য-উদাহরন ধরা হয়, তাহলে বিদ্রোহী কবিতা পাগলের লেখা কিছু পঙতি’র সাজানো রুপ-ই বলা চলে। কারণ, সেখানে অতীতের প্রচলিত সকল সাহিত্য-মান অগ্রাহ্য করা হয়েছে। তাই, এতক্ষনের এই আলোচনা থেকে স্পষ্ট প্রতিয়মান হয়, সাহিত্য কখনো এক-ই মানদণ্ডে বিবেচিত হতে পারে না। তার থাকে ভিন্ন ভিন্ন মানদণ্ড। আর সাহিত্য রচিত হয় মানুষের মনের কথাকে, জীবন-দর্শনকে, সমাজের সমকালীন বাস্তবতাকে প্রাঞ্জল ভাষায় ফুটিয়ে তোলার জন্য। হ্যাঁ, সেখানে ভাষা হবে বোধগম্য আর সাবলীল, সাথে সুকুমার বৃত্তকে জাগিয়ে তোলাও হবে এর উদ্দেশ্য। কারণ, সাহিত্য মানুষকে পথ দেখাবে; অন্ধকার নয়।
এখন, এই সকল মানদণ্ড বিবেচনায় হুমায়ুন সাহিত্য কোন দিক থেকে আর কার সাহিত্যকর্ম থেকে পিছিয়ে? জবাব চাই। তার লেখায় যদি জীবন দর্শন ফুটে না উঠে থাকে, তার সাহিত্যে যদি মানুষের সুকুমার বৃত্তকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা না থেকে থাকে কিংবা তার লেখায় যদি সাবলীলতা বা প্রাঞ্জলতা না থাকে, তাহলে কার লেখায় আছে? আর সে সাধারন ভাষা ব্যবহার করেছেন এটা তার দোষ? যেই চরিত্র, তাকে তো তার ভাষাই দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, এটা কলকাতা-কেন্দ্রিক সাহিত্য না; যেখানকার সব মানুষ প্রমিত বাংলায় কথা বলে। সকল সাহিত্যেই ভাষার বহুল ব্যবহার আছে আর থাকবে। এখন, আপনি যদি জামালপুরের কিংবা রংপুরের এক অশিক্ষিত কাজের লোকের চরিত্র সৃষ্টি করে তার মুখে প্রমিত বাংলা দিয়ে শব্দ উচ্চারণ করাতে চান, তা হবে হাস্যকর। একটু নিজেই কল্পনা করে নিন তো! জামালপুরের কাজের মেয়ে বলছে, “জনাব, আপনার চা প্রস্তুত হয়েছে, আপনি কি এক্ষুনি পান করবেন? নিয়ে আসবো?” ব্যাপারটা কি হাস্যকর লাগবে না? আর যদি বলেন, তার সৃষ্ট চরিত্রগুলি ঠিক নয়, তাহলে বলবো, আমাদের সমাজের সব মানুষ কি এক চরিত্রের? ভুলে ভরা, দোষে ভরা কিংবা আহাম্মক ধরণের চরিত্র কি সমাজে থাকে না? গবেট গোঁয়ার টাইপ মানুষ ও কি কম আছে? থাকলে আপনি এলেন কোত্থেকে? তাহলে তিনি তার রচনায় কেন চরিত্রের বহুল ব্যবহার করবেন না? তাহলে তার সাহিত্যের মানটা কমলো কীভাবে?
তার থেকে জীবনের গহীনের কথাগুলো কে ভালো বলতে পেরেছেন? রবীন্দ্রনাথ? বঙ্কিম নাকি শরৎ? নাকি অন্য কেউ? যাদের নাম এখানে লেখা হয়েছে, তারা সবাই বলেছেন, কিন্তু হুমায়ুনও তাদের থেকে খারাপ বলেন নি; বরং ভালো বলেছেন। তবে হ্যাঁ, তিনি কখনো অনধিকার চর্চায় মত্ত হননি, অর্থাৎ, তার গণ্ডীর মাঝেই; শহর জীবনের মাঝেই তিনি তার সাহিত্য-সৃষ্টি মূলত সীমাবদ্ধ রেখেছেন, যদিও দু-একটি ব্যতিক্রম আছে। তাহলে তার দোষ কোথায়?
এবার পরের সমালোচনার জবাব দিতে চাই, আপনি অর্থাৎ আসিফ মহিউদ্দিন সাহেব বলেছেন এবং অন্যান্য আমাস’রাও বলেছেন, হুমায়ুন সাহেব বাজার বিচার করে লিখেছেন। চরম হাস্যকর যুক্তি। আচ্ছা, বাংলা সাহিত্যে মহাকবি নামে যে অধিক পরিচিত, সেই মধুসূদন দত্ত’র ইতিহাস ভুলে গেছেন? নাম-খ্যাতি কামাতে তিনি কী না করেছেন? কিন্তু তিনি পুরনো আমলের বলে মহাকবি আর হুমায়ুন বর্তমানের বলে চটি লেখক? একজন সাহিত্যিক হলেন সমাজ গড়ার কারিগর। জাতির শ্রেষ্ঠ মেধা। সে অনাহারী না থাকলে কি আপনাদের বুকে আগুন জ্বলে? হুমায়ুন আহমেদ যেমন মানুষের জীবনের গভীরের অনেক দিক নিপুন দক্ষতায় তুলে এনেছেন, এক-ই সাথে তিনি জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন, সাহিত্য শুধু দান করার বিষয় নয়; বিপরীতে কামাইও করা যায়। এর মাঝে দোষের কী?
সবশেষে বলতে চাই, হুমায়ুন যা বলেছেন তার সব যেমন সঠিক এমন কোন কথা নেই, তেমনি তার সব বই-ই সাহিত্য-মান বিবেচনায় শ্রেষ্ঠ হবে এমনও কোন কথা নেই। তবে তার অধিকাংশ লেখাই শ্রেষ্ঠ মানের। এমনকি তার হিমু কিংবা মিসির আলী ও। আর হ্যাঁ, আপনি বলেছেন হুমায়ুন আহমেদ তার মত লিখতে অনেক মানুষকেই উদ্বুদ্ধ করেছেন। হ্যাঁ, তিনি করেছেন; তবে নিজের অজান্তেই। আমরা কৃতজ্ঞ তার মত মানুষের প্রতি; যিনি আমাদের পড়তে শিখিয়েছেন, যিনি আমাদের জীবনের বাস্তবতা বুঝতে শিখিয়েছেন; তার মত হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। এর বিপরীতে যারা বলবে, তারা সব চুলোয় যাক। হুমায়ুন যুগ আছে, আরও অনেক কাল থাকবে; আমরা বাঁচিয়ে রাখবো। আবার হয়ত অন্য কোনো কালে নতুন ধারার সৃষ্টি হবে।
বিঃদ্রঃ আপনার লেখা বাজে কথাগুলোর, কিংবা চটিলেখকের সাথে হুমায়ুনের তুলনা দেয়া নিয়ে কিছু বললাম না, আসলে আপনি যদি একজন ইংরেজ হয়ে বাঙালির সাথে ঝগড়া করতে আসেন, বা স্বাভাবিক কথাও বলতে আসেন, মাঝে মাঝে ভাঙ্গা ভাঙ্গা হলেও ইংরেজি তাতে বেরিয়েই আসবে। তাই, সাহিত্যের সমালোচনা করতে গিয়ে চটি প্রসঙ্গ আপনি যে টেনে আনবেন, এটাই স্বাভাবিক। আর অন্য বাজে কথাগুলোকে আপনার কথার তাল বলেই ধরে নিলাম। আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসে যা থাকবে, তা তো প্রকাশিত হবেই। আপনার আর তাতে কী দোষ??
উনার আসল পোস্ট লিঙ্ক সাথে জবাব এর লিঙ্ক
Click This Link
Click This Link
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৩
সুপথকামী হাফিজ বলেছেন: হয়তো
২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৬
তীর্থ ৫২ বলেছেন: কথা সত্য :-)
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪
সুপথকামী হাফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৭
সাজিদনজরুল বলেছেন: asif mohiuddin ar opor nam choti somrat korar jor dabi janassi
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪
সুপথকামী হাফিজ বলেছেন: আমিও
৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
বেঈমান আমি. বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দিন একটা আবালের নাম।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪
সুপথকামী হাফিজ বলেছেন: হা হা হা
৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
বৈকুন্ঠ বলেছেন: কিছু মানুষ আছে যারা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা বা কথা বার্তা বলতে পারেনা। মানুষের নজর কাড়ার জন্য মরিয়া। উহাদেরকে ইংরিজিতে মিথোম্যানিয়াক বলে। আপনার এই পোস্টখানা সে উপভোগ করবে। কেউ কিছু না লিখলে সে মরমে আহত বা যারে কয় মর্মাহত হতো। আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে আচিপ সাব আপনাকে মনেমনে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৫
সুপথকামী হাফিজ বলেছেন: ভাই, ফেসবুকে তো সে আমারে গালিগালাজ করলো।
৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৩
নষ্ট ছেলে বলেছেন: কিছু মানুষ আছে অন্যের ুটকিতে আঙ্গুল দিয়ে গু লাগিয়ে পুলক অনুভব করে। আসিফ মহিউদ্দিন তাদের মধ্যে অন্যতম।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬
সুপথকামী হাফিজ বলেছেন: হা হা হা, কিন্তু জানেন, আমি এই পোস্ট টা বিভিন্ন ব্লগে দেয়ার পর অ্যাডমিন সাহেবেরা বারবার সেটা ডিলিট করে দিয়েছেন।
৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৩
খেয়া ঘাট বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ অসাধারণ একজন মেধাবী মানুষ। একাডেমিক দিক দিয়ে, শিক্ষকতার দিক দিয়ে, সাহিত্যের দিক দিয়ে । সব দিক দিয়ে। আর মেধাবী মানুষরাই খুব সহজেই সাধারণভাষায় অসাধারণ কথাগুলো বলতে পারে। আর যাদের মগজ কম তার শব্দের উপর নানারকমের অত্যাচার করবে, বাক্যকে প্যাঁচাবে। কারণ সে জানে এ ছাড়া তার আর কোনো উপায় নেই।
"আমার সোনার বাংলা,আমি তোমায় ভালোবাসি" -শব্দগুলো একেবারেই সাধারণ। কিন্তু এ লাইনটির গভীরতা এতো বেশী যে এটা আমাদের জাতীয় সংগীত।
একটা বানর ছিলো। সে নানারকমের বাদরামি করে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করতো। কিন্তু মানুষ সব সময় হরিণের প্রশংসা করতো। বাদরও চাইলো মানুষ তাকে হরিণের মতো প্রশংসা করুক। হরিণের সাথে তার কথা বলুক। কিন্ত বানরতো আর হরিণ হতে পারবেনা।
তাই, সে হরিণের চলার পথ নিজের বর্জ্য দিয়ে ভরিয়ে রাখতো। বানরের বাঁদরামি বুদ্ধি। এক হলো বিদ্বেষ , আরেক হলো নিজের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। ফলে মানুষ বানরের কথা আলোচনা করতে লাগলো। বানরতো মহা খুশী সবাই বানরকে নিয়ে মেতে আছে।
তারপর সবাইমিলে বানরকে দিলো ব্যাপক ধোলাই। যেখানে সেখানে বর্জ্য দিয়ে নষ্ট করার জন্য। এই ধোলাইয়ের পর থেকে বানর একেবারে ঠিক। এখন আর হরিণের পথ বর্জ্য দিয়ে নষ্ট করেনা। বরং গাছ থেকে পাতা ছিঁড়ে দেয়।
যেখানে সেখানে যারা বর্জ্য দিয়ে চলার পথ নষ্ট করে আলোচনায় আসতে চায়-তাদের ঠিক পথে আনতে এর চেয়ে মনে হয় আর ভালো কোনো উপায় নাই।
নিজের মেধা থাকলে নিজের মতো করেই বিকশিত করুন ভাই। চাঁদের সৌন্দর্য্য সহ্য হয়না বলে চাঁদের পানে চেয়ে হিসু করেন। এটাতো চাঁদ স্পর্শই করবেনা। বরং সে হিসু নিজের ওপরই পড়বে।
হুমায়ুন আযাদ হুমায়ুন আহমেদকে পছন্দ করতেন না। একবার লিখলেন- হুমায়নু আহমেদ হলেন বাজারী লেখক। আর উনার নাটকগুলো কাজের মেয়েরাই বেশী পছন্দ করেন।
এর কিছুদিন পর ঢাকা ক্লাবে হুমায়ুন আযাদ বসে আছেন। হুমায়ুন আহমেদ পাশে গিয়ে বিনীত ভাবে হুমায়ুন আযাদকে বললেন-স্যার, টেলিভিশনে আমার নতুন নাটক "আজ রবিবার" আগামি সপ্তাহ থেকে প্রচারিত হবে। অনুগ্রহ করে আপনার বাসার কাজের মেয়েদের বলবেন- নাটকটি দেখার জন্য। ওরাতো আর পত্রিকা পড়ে জানতে পারবেনা।
এই হলো আমাদের হুমায়ুন। এই হলো আমাদের সাহিত্যের আকাশের পূর্ণিমা দ্বাদশীর চাঁদ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৮
সুপথকামী হাফিজ বলেছেন: ভাই, ঠিক-ই বলেছেন। মনোযোগ আকর্ষণের জন্য ন্যাংটা নাচ করছে বোধহয় লোকটা।
৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৩
খেয়া ঘাট বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ অসাধারণ একজন মেধাবী মানুষ। একাডেমিক দিক দিয়ে, শিক্ষকতার দিক দিয়ে, সাহিত্যের দিক দিয়ে । সব দিক দিয়ে। আর মেধাবী মানুষরাই খুব সহজেই সাধারণভাষায় অসাধারণ কথাগুলো বলতে পারে। আর যাদের মগজ কম তার শব্দের উপর নানারকমের অত্যাচার করবে, বাক্যকে প্যাঁচাবে। কারণ সে জানে এ ছাড়া তার আর কোনো উপায় নেই।
"আমার সোনার বাংলা,আমি তোমায় ভালোবাসি" -শব্দগুলো একেবারেই সাধারণ। কিন্তু এ লাইনটির গভীরতা এতো বেশী যে এটা আমাদের জাতীয় সংগীত।
একটা বানর ছিলো। সে নানারকমের বাদরামি করে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করতো। কিন্তু মানুষ সব সময় হরিণের প্রশংসা করতো। বাদরও চাইলো মানুষ তাকে হরিণের মতো প্রশংসা করুক। হরিণের সাথে তার কথা বলুক। কিন্ত বানরতো আর হরিণ হতে পারবেনা।
তাই, সে হরিণের চলার পথ নিজের বর্জ্য দিয়ে ভরিয়ে রাখতো। বানরের বাঁদরামি বুদ্ধি। এক হলো বিদ্বেষ , আরেক হলো নিজের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। ফলে মানুষ বানরের কথা আলোচনা করতে লাগলো। বানরতো মহা খুশী সবাই বানরকে নিয়ে মেতে আছে।
তারপর সবাইমিলে বানরকে দিলো ব্যাপক ধোলাই। যেখানে সেখানে বর্জ্য দিয়ে নষ্ট করার জন্য। এই ধোলাইয়ের পর থেকে বানর একেবারে ঠিক। এখন আর হরিণের পথ বর্জ্য দিয়ে নষ্ট করেনা। বরং গাছ থেকে পাতা ছিঁড়ে দেয়।
যেখানে সেখানে যারা বর্জ্য দিয়ে চলার পথ নষ্ট করে আলোচনায় আসতে চায়-তাদের ঠিক পথে আনতে এর চেয়ে মনে হয় আর ভালো কোনো উপায় নাই।
নিজের মেধা থাকলে নিজের মতো করেই বিকশিত করুন ভাই। চাঁদের সৌন্দর্য্য সহ্য হয়না বলে চাঁদের পানে চেয়ে হিসু করেন। এটাতো চাঁদ স্পর্শই করবেনা। বরং সে হিসু নিজের ওপরই পড়বে।
হুমায়ুন আযাদ হুমায়ুন আহমেদকে পছন্দ করতেন না। একবার লিখলেন- হুমায়নু আহমেদ হলেন বাজারী লেখক। আর উনার নাটকগুলো কাজের মেয়েরাই বেশী পছন্দ করেন।
এর কিছুদিন পর ঢাকা ক্লাবে হুমায়ুন আযাদ বসে আছেন। হুমায়ুন আহমেদ পাশে গিয়ে বিনীত ভাবে হুমায়ুন আযাদকে বললেন-স্যার, টেলিভিশনে আমার নতুন নাটক "আজ রবিবার" আগামি সপ্তাহ থেকে প্রচারিত হবে। অনুগ্রহ করে আপনার বাসার কাজের মেয়েদের বলবেন- নাটকটি দেখার জন্য। ওরাতো আর পত্রিকা পড়ে জানতে পারবেনা।
এই হলো আমাদের হুমায়ুন। এই হলো আমাদের সাহিত্যের আকাশের পূর্ণিমা দ্বাদশীর চাঁদ।
৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৪
সাজিদনজরুল বলেছেন: aga mota gora chikon roge rogakranto achip mokhar su chikissar jonno mukto hosthe dan korun
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯
সুপথকামী হাফিজ বলেছেন: ভাই, সাহায্য কোথায় পাঠাবো?
১০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৪
সাজিদনজরুল বলেছেন: aga mota gora chikon roge rogakranto achip mokhar su chikissar jonno mukto hosthe dan korun
১১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৪
সাজিদনজরুল বলেছেন: aga mota gora chikon roge rogakranto achip mokhar su chikissar jonno mukto hosthe dan korun
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৪
ভাবছি কি হতে পারে বলেছেন: Or sob gulo post pore bisleshon korle dekhben tar matha kharap houe jasse........