নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাই।

সুপথকামী হাফিজ

বলার নাই কিছুই।

সুপথকামী হাফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের সাম্প্রতিক পরাজয় সমুহ ও আমাদের অধিনায়ক

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫৩

মুশফিকের অধিনায়কত্ব যত দেখছি ততই অবাক হচ্ছি। বেশি পেছনে যাওয়ার দরকার নেই, শেষ দুইটা ম্যাচ নিয়ে একটু ভাবলেই বেশ কিছু অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত আমরা খুঁজে পেতে পারি।





*** আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের খেলায় খুব আশা করেছিলাম টসে জিতে বাংলাদেশ ব্যাটিং করবে। যার পেছনে কয়েকটা সহজ যুক্তি ছিলো- * আফগানিস্তানের বোলিং বেশ শক্তিশালী। ব্যাটিং টা তেমন না। আর খেলা যেহেতু দিবা-রাত্রির, তাই, বিকেল বেলা উইকেট থাকবে খুব মন্থর। যাকে বলা যায় Batting Paradise. সেখানে আমরা মোটামুটি একটা স্কোর অবশ্যই করতে পারবো। * আফগানিস্তান খুব-ই নতুন দল। তাদের খেলোয়াড়রাও অভিজ্ঞতার দিক থেকে অনেক পেছনে। তাই, টার্গেটে খেলতে নেমে রান আর বলের হিসেবের মারপ্যাঁচে চাপে পড়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। রান তাড়া করে খেলতে গেলে সবথেকে প্রথমে দরকার ছিলো অভিজ্ঞতার। যা ওদের নেই। * ওদের পেস আক্রমন বেশ শক্তিশালী। তাই বিকেলের মরা উইকেটে ওরা বেশি সুবিধা করতে পারতো না। আর আমাদের স্পিন আক্রমন যেহেতু শক্তিশালী, আর ওরা স্পিন খেলতেও তেমন একটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না। তাই, টার্গেটে একের পর এক স্পিন বোলার খেলতে ওরা সমস্যায় পড়ত।





কিন্তু কী ভেবে যে তিনি ওদের ব্যাট করতে দিলেন ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। আর তার পরে বোলার পরিবর্তনে তিনি যে মেধার পরিচয় দিলেন, তা দেখে শুধু মেজাজ-ই খারাপ হয়েছে।





এইবার আসি আজকের খেলার হিসেবে। আজকে তিনি টসে জিতে শক্তিশালী পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন!!! সিদ্ধান্তটি উপযুক্ত কিনা তার যুক্তি আগেই দিয়ে দিয়েছি। এইবার আসি তার বোলার ব্যবহারের দূরদর্শিতা বিশ্লেষণে-





* যখন তিনি দেখলেন শফিউল ভালো বল করছেন না। তিনি সাকিব আর রাজ্জাককে ব্যবহার করলেন। খুব ভালো ফলাফলও পেলেন। এরপর মমিনুল আর রিয়াদ বেশ ভালো বল করলেন। কিন্তু তিনি হয়তো লক্ষ্য করতে ভুলে গেছেন যে, রাজ্জাক প্রায় প্রত্যেকটা বল-ই করছেন লেগ স্ট্যাম্পের দিকে। যা ভয়াবহ খারাপ বল বলা যায়। যদিও সে পিটুনি অত বেশি খায়নি যতটা খাওয়ার কথা। * যখন দেখলেন স্পিনার বা মূল দুই পেসার কেউ-ই জুটি ভাঙতে পারছেন না- তখন তিনি জিয়া কে একবার ব্যবহার করলে কি খুব দোষ হতো? * যখন দেখলেন ৩০ ওভারের দিকে পাকিস্তান মেরে খেলছে, তখন বাজে লাইনে বল করতে থাকা শফিউল আর রাজ্জাককে আবার কেন টানলেন এখনো বুঝতে পারছি না!! বোলারের তো সঙ্কট ছিলো না আর জিয়াকে কী তখনো ব্যবহার করা যেতো না? * যখন আফ্রিদি নেমেই মার শুরু করলেন, তখন তিনি শফিউলকে কেন টানলেন? উনি কী ভুলে গেছেন যে, শফিউল খুব বাজে লাইনে বল করছেন? সাকিবকেই বা কেন টানলেন? উনি কি এটাও ভুলে গিয়েছিলেন যে, আফ্রিদি স্পিন বল খুব ভালো খেলেন? জিয়া হয়তো খুব ভালো বোলার নয়, তবে সে কিন্তু অফ স্ট্যাম্পের বাইরে বেশ ভালো বল করতে পারেন। স্পিন বল দেখে সামনে এগিয়ে শট খেলা যায় কিন্তু পেস বলে কিন্তু সেটা পারা কঠিন। আর জিয়া খুব বেশি গতি তুলতে না পারলেও লাইন বেশ ভালোই বজায় রাখতে পারেন বলেই জানি। * যখন খেলার ৪ ওভার বাকি, তখন তিনি হঠাৎ রাজ্জাককে কেন টানলেন? তিনি নিজে একজন ব্যাটসম্যান হয়েও এতটুকু কি জানেন না যে- স্পিন বলে গায়ের জোরে খেলা খুব সহজ? আর সেই স্পিনার যদি হয় রাজ্জাক, তাহলে তো কথাই নেই! * সেরা বোলার হলেও শেষ ওভারের আগের ওভারে সাকিবকে টানাটাও কি যৌক্তিক? শেষ সময়ে স্পিনাররা কাছাকাছি স্কোরের ম্যাচে কী করতে পারে তা আমরা খুব ভালো করেই জানি। আর সেখানে তো একজন সেট ব্যাটসম্যান আছেন-ই। * আর একটা কথা হলো, আমরা যখন ব্যাট করছিলাম, তখন এক বা দুই উইকেট পড়ার পর সাকিব বা জিয়াকে কেন দেখলাম না? তখন তো আমাদের রান দরকার। উনি কি নিজেকে বিশাল একজন হিটার ব্যাটসম্যান মনে করেন?তাহলে জিয়াকে ম্যাচে নেয়া হলো কেন?





**আর একটা কথা হলো- আফগানিস্তানের সাথে খেলায় যখন ৮ উইকেট পড়ে গেলো, তখন সোহাগ গাজীকে রেখে রুবেল কেন নামলো? গাজী আহত ছিলো বলে? তাহলে একটু পরে কীভাবে ব্যাট করলো? গাজী সাথে থাকলে কী জিয়া আর একটু নিশ্চয়তা পেত না? স্ট্রাইক ধরে রাখার জন্য এমন কষ্ট কি তাকে করতে হতো? গাজী আহত হলেও সিঙ্গেল তো খেলতে পারতো। যা রুবেলের পারার কথা নয়।





মুশফিক খুব ভালো মানুষ, ব্যবহার ভালো, সৎ লোক। দলের মাঝে ভালো একটা পরিবেশ রাখতে পারেন- সব মানলাম, কিন্তু আসল কাজ যেটা, অর্থাৎ মাঠে চতুরতা দেখানো- তাতে তিনি খুব-ই দুর্বল। যা তার থেকে হাজারগুণ ভালো করতেন সাকিব। কিন্তু শুধু আক্রমণাত্মক মেজাজের হওয়ার কারনেই তার অধিনায়কত্ব চলে যায়। কিন্তু একটু পেছনে ঘুরলেই দেখতে পাবো বোলার ব্যবহারে তিনি কতটা দক্ষ ছিলেন। আশরাফুলকে ব্যবহার করেও তিনি অনেক গুলো উইকেট নিয়েছিলেন। নাসিরকে খুব ভালো ব্যবহার করেছিলেন, এমনকি শফিউলকেও। আর তার নিজের কথা তো বাদ-ই দিলাম।যাই হোক, আসল কথা হলো- শেষ ৬-৭ তা খেলায় হারার পেছনে আমি শুধু দুর্বল অধিনায়কত্বই দেখছি। এভাবেই চলতে থাকলে আগামী বিশ্বকাপেও আমরা যে কী ফলাফল পাবো, তা এখন-ই দেখতে পাচ্ছি। আর তার অধিনায়কত্বে খেলোয়াড়দের শারীরিক ভাষা তো ভয়াবহ করুন। শেষ কথা হলো, মুশফিক যেভাবে অধিনায়কত্ব করেন, তা শুধু সিলেবাসে পড়ে পরীক্ষার খাতায় লেখার জন্যই মানানসই কিন্তু মাঠে কার্যকর নয়। কেননা, তার অধিনায়কত্ব হলো বইয়ের ভাষায় শেখানো ক্রিকেটীয় নিয়মকানুনের মত। যা মুখস্ত-বিদ্যা, আর যাতে নেই কোন পরিস্থিতি বুঝে মেধার ব্যবহার করে বিরূপ অবস্থাকে সামাল দেয়ার চেষ্টা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.