নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভবঘুরে

নিপীড়িতের দীর্ঘশ্বাস

নিপীড়িতের দীর্ঘশ্বাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামি শরিয়া আইনে সম্পত্তি বন্টনের ফরায়েজে আউল নিয়ে এতো সমস্যা কেন?

০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮

ইসলামি শরিয়া আইন অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির ত্যাজ্য সম্পত্তি তাহার ওয়ারিশগণের মধ্যে বন্টন ব্যবস্থায় যে বিশৃঙ্খলা/ক্রটি আছে এ নিয়ে আমরা অনলাইন জগতে পক্ষে বিপক্ষে তর্ক বির্তক দেখে আসছি ।আমিও আমার বন্ধু সার্কেলে তর্ক বির্তকে লিপ্ত হয়। ইসলামি শরিয়া আইনে মৃত ব্যক্তির ত্যাজ্য সম্পত্তি তাহার ওয়ারিশগণের মধ্যে বন্টনব্যস্থাকে বলা হয় ফরায়েজে নীতি। ইহা পবিত্র কোরআনের বিধান। মুসলিম জগতে এই বিধানটি যেরুপ দৃঢ়ভাবে প্রতিপালিত হয় সেরুপ অন্য কোনটি নয়। ইহার কারন বোধ হয় এই যে, ফরায়েজে বিধানের সঙ্গে জাগতিক স্বার্থ জড়িত আছে। এই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধানটিতে একটি আউল দেখা যায়।আউল কথাটির ধাতুগত অর্থ আগোছাল বা বিশৃঙ্খলা।ফরায়েজে বিধানের মধ্যে কোন কোন ক্ষেত্রে এমনও দেখা যায় যে, মৃতের ত্যাজ্য সম্পত্তি তাহার ওয়ারিশগনের মধ্যে নির্ধারিত অংশ মোতাবেক বন্টন করিলে কেহ পায় এবং কেও পায় না।
এক্ষেত্রে আমরা পবিত্র কোরআনের সুরা নিসার ১১ ও ১২ নং আয়াতদ্বয় দেখে নিতে পারি।
সূরা নিসার ১১ নং আয়াত
আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেনঃ একজন পুরুষের অংশ দু?জন নারীর অংশের সমান। অতঃপর যদি শুধু নারীই হয় দু' এর অধিক, তবে তাদের জন্যে ঐ মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের পিতা-মাতার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে ত্যাজ্য সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃতের পুত্র থাকে। যদি পুত্র না থাকে এবং পিতা-মাতাই ওয়ারিস হয়, তবে মাতা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ। অতঃপর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ ওছিয়্যতের পর, যা করে মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এটা আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত অংশ নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, রহস্যবিদ।

সূরা নিসার ১২ নং আয়াত

আর, তোমাদের হবে অর্ধেক সম্পত্তি, যা ছেড়ে যায় তোমাদের স্ত্রীরা যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে। যদি তাদের সন্তান থাকে, তবে তোমাদের হবে এক-চতুর্থাংশ ঐ সম্পত্তির, যা তারা ছেড়ে যায়; ওছিয়্যতের পর, যা তারা করে এবং ঋণ পরিশোধের পর। স্ত্রীদের জন্যে এক-চতুর্থাংশ হবে ঐ সম্পত্তির, যা তোমরা ছেড়ে যাও যদি তোমাদের কোন সন্তান না থাকে। আর যদি তোমাদের সন্তান থাকে, তবে তাদের জন্যে হবে ঐ সম্পত্তির আট ভাগের এক ভাগ, যা তোমরা ছেড়ে যাও ওছিয়্যতের পর, যা তোমরা কর এবং ঋণ পরিশোধের পর। যে পুরুষের, ত্যাজ্য সম্পত্তি, তার যদি পিতা-পুত্র কিংবা স্ত্রী না থাকে এবং এই মৃতের এক ভাই কিংবা এক বোন থাকে, তবে উভয়ের প্রত্যেকে ছয়-ভাগের এক পাবে। আর যদি ততোধিক থাকে, তবে তারা এক তৃতীয়াংশ অংশীদার হবে ওছিয়্যতের পর, যা করা হয় অথবা ঋণের পর এমতাবস্থায় যে, অপরের ক্ষতি না করে। এ বিধান আল্লাহর। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল।

উক্ত বিধান অনুসারে যদি কোন মৃত ব্যক্তির মা, বাবা, দুই মেয়ে ও এক স্ত্রী থাকে তবে মা ১/৬ , বাবা ১/৬ , দুই মেয়ে ২/৩ এবং স্ত্রী ১/৮ অংশ পাইবে।
কিন্তু ইহা দিলে স্ত্রী কিছুই পাই না। অথচ স্ত্রীকে দিতে গেলে সে পাবে ১/৮ অংশ। এক্ষেত্রে মোট সম্পত্তি “১” এর স্থলে ওয়ারিশগণের অংশের সম্পত্তি হয় ১১/৮ । অর্থাৎ ষোল আনার স্থলে হয় আঠার আনা। সমস্যাটি গুরুতর বটে। মুসলিম জগতে উক্ত সমস্যাটি বহুদিন যাবত অমীমাংসিতই ছিল। অতঃপর সমাধান করলেন হযরত আলী (রাঃ)। তিনি যে নিয়মের দ্বারা উহার সমাধান করেছেন তাহার নাম আউল।
হযরত আলী (রাঃ) এর প্রবর্তিত আউল বিধানটি এবং বর্তমানে গনিতের ভগ্নাংশের আলোকে আমরা উপরের হিস্যা অনুসারে বন্টন করলে কি ফলাফল পাই তা নিম্নের একটি উদাহরনের মাধ্যমে পরক্ষ করে দেখি।
উদাহরন সরুপঃ- মৃত ব্যক্তি মৃত্যুর সময় মা, বাবা, দুই মেয়ে ও এক স্ত্রী রেখে গেলেন এবং নগদ এক লক্ষ টাকা সম্পদ হিসাবে রেখে গেলেন। তাহলে উক্ত টাকার কে কত অংশ পাবে?
শরিয়া আইন অনুযায়ী বন্টনঃ-
১/৬+১/৬+১/৮+২/৩
=(৪+৪+৩+১৬)/২৪= ২৭/২৪
গনিতের প্রচলিত নিয়মে প্রকৃত ভগ্নাংশ হতে অপ্রকৃত ভগ্নাংশ হলে তখন হরকে লব ধরে নিতে হয়। ফলে বাবার ১/৬ অংশ = ৪X১০০০০০/২৭=১৪৮১৪.৮১৪৮
মাতার ১/৬ অংশ = ৪X১০০০০০/২৭=১৪৮১৪.৮১৪৮
স্ত্রীর ১/৮ অংশ = ৩X১০০০০০/২৭=১১১১১.১১১১১
২ কন্যার ২/৩ অংশ = ১৬X১০০০০০/২৭=৫৯২৫৯.২৫৯২

বাবার অংশ+মাতার অংশ+স্ত্রীর অংশ+ ২কন্যার অংশ
=১৪৮১৪.৮১৪৮+১৪৮১৪.৮১৪৮+১১১১১.১১১১+৫৯২৫৯.২৫৯২
=৯৯৯৯৯.৯৯৯৯৯৯৯
=১০০০০০০
এবার দেখি ১০০০০০ এর ১/৬ =১৬৬৬৬.৬৬৬৬
পার্থক্য =১৬৬৬৬.৬৬৬৬-১৪৮১৪.৮১৪৮=১৮৫১.৮৫১৮
এখন প্রশ্ন জাগে ১৮৫১.৮৫১৮ টাকা কোথায় গেল।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আলোচ্য ফরায়েজে বিধানের সমস্যাটি সমাধান করলেন হজরত আলী (রাঃ) তাহার গাণিতিক জ্ঞানের দ্বারা এবং মুসলিম জগতে আজও উহাই প্রচলিত। এ ক্ষেত্রে স্বভাবতই মনে উদয় হয় যে তবে কি আল্লাহ গণিতজ্ঞ নহেন? হইলে, পত্রিব কোরআনের উক্ত বিধানটি ক্রটিপূর্ণ কেন?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩

বিজন রয় বলেছেন: নতুন পোস্ট দিন।

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫

এ আর ১৫ বলেছেন: শরিয়া আইন বিশেষ্ঙ জনাব হাসান মাহমুদের বিশ্লেষন ____
শারিয়াপন্থীরা সর্বদাই বলেন আয়াতের পটভূমি থেকে নির্দেশ নিতে। কথাটা ঠিক, কারণ কোরাণের কি কি নির্দেশ তখনকার জন্য আর কি কি নির্দেশ শাশ্বত তা পটভূমি থেকে পাওয়া যায়। কিন্তু তাঁরা নারীর ওপরে অত্যাচার করার জন্য ঐ পটভূমিই লঙ্ঘন করেন। উত্তরাধিকারের বেলায়ও কথাটা সত্যি। সুরা নিসা আয়াত ১১ ও ১৭৬-তে নারীর অর্ধেক উত্তরাধিকারের প্রত্যক্ষ নির্দেশ আছে। আয়াত ১৭৬- এর পটভূমি পাওয়া যায়নি, কেউ জানালে বাধিত হব।
আয়াত ১১ নাজিল হয়েছিল এক বিশেষ পটভূমিতে। আউস বিন্ সাবেত নামে এক ধনী আনসারের মৃত্যু হলে তখনকার আর্থ-সামাজিক ঐতিহ্য অনুযায়ী আউসের চাচাতো ভাই এসে তার স্ত্রী, দুই বালেগ মেয়ে ও এক নাবালেগ ছেলেকে বঞ্চিত ক’রে সব সম্পত্তি গ্রাস ক’রে ফেলে (কোরাণের বাংলা অনুবাদ − মুহিউদ্দিন খান, পৃষ্ঠা ২৩৪, এবং ডঃ মুহাম্মদ হামিদুলাহ, − দ্য মুসলিম উইমেন)। কোরাণ সেই নাবালেগ পুত্রের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য বালেগ বোনের দ্বিগুণ সম্পত্তি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অর্থাৎ এই আয়াত শাশ্বত নয় বরং তাৎক্ষণিক বিশেষ পরিস্থিতির সমাধান। আজ যদি কোরাণ মেনে ঐ আয়াত প্রয়োগ করতে হয় তবে শুধুমাত্র নাবালেগ পুত্র এবং বালেগ বোনদের ক্ষেত্রেই সেটা প্রয়োগ করা যেতে পারে।

সেই বিশেষ পরিস্থিতি না হলে ঐ সুরা নিসা আয়াত ১২ মোতাবেকই নর-নারীর সমান উত্তরাধিকার হতেই হবে। সেখানে মৃতের ভাই-বোনের সমান উত্তরাধিকারের যে নির্দেশ দেয়া আছে সেটা কোথায় গেল ? মৃতের ভাই-বোন সমান পেলে তার ছেলেমেয়েরা অবশ্যই সমান পাবে।
########## নতুন নকিব নামে একজন ব্লগার আছে যিনি কিছু না বুঝেই অপব্যাখা অপব্যাখা বলে মাতন শুরু করে , কোন স্পেসিফিক ব্যাখা ছাড়া -- তকে আহবান করছি উপরের তথ্যটি মিথ্যা এবং অপব্যাখা প্রমাণ করুক । তাকে আরো আহবান করছি প্রপার ব্যাখা করতে এবং বানানের ভুল নিয়ে অযথা মাথা না ঘামানোর জন্য !!!!!!!

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:২৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: এই যুদ্ধ নিয়া ইত্তেফাকে একটা সুন্দর আর্টিকেল দিয়াছিল ! উহা হইতে জানা যায় , যুদ্ধের এক পর্যায়ে যখন ইজরায়েল পরাজিত হইতে লাগে তখন প্রধানমন্ত্রী গোল্ডা মেয়ার আমেরিকার কাছে অস্ত্র, বিমান ও সৈন্য চাহিয়া পাঠান।আমেরিকা সরাসরি অংশগ্রহণের বিরোধিতা করে।গোল্ডা মেয়ার তখন হুমকি দেন পরাজিত হইলে ইজরায়েল পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করিবে।আমেরিকা ইহার দায় নিতে চাহে নাই।তাই পরাজয়ের মুখে আমেরিকান সৈন্য ইজরাইলি সৈন্যদের পোশাক পড়িয়া অস্ত্র , বিমান লইয়া অংশগ্রহণ করে।অন্যদিকে সোভিয়েত পিঠ টান দিয়া বিস্বাসঘাতকতা করে।যাহার ফলে যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়া যায়।সোভিয়েতের বিস্বাসঘাতকতা দেখিয়া মিসর ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি করে এবং সোভিয়েত বলয় থেকে বাহির হইয়া আসে।
পশ্চিমা সাহায্য না হইলে ইজরায়েল প্রতিষ্ঠিত হইতোনা ইহা সত্যি , তবে ইজরায়েল রাষ্ট্র তৈরী না হইলে সব ইহুদি একত্রিত হইয়া শেষ জমানায় গোয়া মারা খাইবেও না সত্যি ! তাই ইজরায়েল রাষ্ট্র অনিবার্যই ছিল।

৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: থুক্কু ! ভুল কইরা আফনের পোস্টে চইলা গেছে ! আফনের মতন নতুন বুদ্ধুজীবীর পোস্টে মন্তব্য করার যোগ্যতা আমার নাই।আগের মন্তব্য ডিলিট মাইরেন !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.