![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনে চলার পথে আপনার যে কত মানুষের সাথে দেখা হবে! কল্পনাও করতে পারবেন না! একটু খেয়াল করে দেখবেন প্রতিটা মানুষের মুখেই নানান রঙের মুখোশ।
ধরুন, খুব ছোট বেলায় আপনি কেউকে রোল মডেল ভেবে বড় হয়েছেন, একটু বোঝার পরেই হয়ত দেখবেন মানুষটার মুখোশটা মোটেও রোল মডেলের কথা বলে না! অথবা হয়তো মুখোশটা বলে কিন্তু মুখটা বলে না। তখন কি তবে ভেঙে যাবেন? অবিশ্বাস করা শুরু করবেন? মোটেও না! আপনাকে ধরেই নিতে হবে প্রতিটা মানুষ নিখুঁত হয় না, আপনি যেভাবে চাইবেন সবাই তেমন হবে না। প্রত্যেকের মুখোশের রঙ আলাদা হবেই, এটাই নিয়ম।
আরো একটি বিষয় না মানলেই নয়, প্রতিটা মানুষের মুখোশের রঙ আলাদা হওয়ার পেছনেও কিছু নির্দিষ্ট কারণ থাকে। কারো কারণ হয়ত প্রচন্ড বেদনা, কারো সুখ, কারো সমতা, কারো অসমতা, কারো ভয় আবার কারো নির্ভয়। এসব কারণে কেউ খুব সুন্দর রঙিন মুখোশ এর আড়ালে অশুভ মুখ লুকিয়ে রাখে, কেউ আবার অশুভ মুখোশের আড়ালে সুন্দর রঙিন মুখ লুকিয়ে রাখে। কারো আবার মুখ-মুখোশ দু'টির রং-ই এক। যাদের মুখ-মুখোশের রঙ একই তাদের সাথে ডীল করা খুব সহজ কিন্তু এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া পৃথিবীর কঠিনতম কাজের একটি।
ভিন্ন মুখ-মুখোশ এর মানুষের সাথেই আপনার দেখা হবে বেশি। কী! জীবন কঠিন মনে হচ্ছে? মনে হচ্ছে দুমুখো মানুষের ভীড়ে সাবধানে কীভাবে পা ফেলবেন? একটু দেখে চললে অত কঠিন নয় কিন্তু! আপনাকে এটা মাথায় রাখতেই হবে, মুখ-মুখোশে মিলিয়ে কিছু না কিছু ভালো-খারাপ একটা মানুষের মধ্যে থাকবেই! আপনি কোনটা নিতে চান সেটা আপনাকে ঠিক করতে হবে, এটা কেউ আপনাকে দেখিয়ে দিতে পারবে না, গিলিয়েও দিতে পারবে না।
তবুও আপনি জানেন না! জীবনে হয়তো এমন মানুষের দেখা আপনি পেতেই পারেন যে আপনাকে যখন তখন ব্যবহার করবে, ব্যবহার করা শেষ হলে ছুড়ে ফেলে দিবে, এরপর পা দিয়ে মাড়িয়ে চলে যাবে। এসব মানুষের জীবন ঘাটলে দেখবেন, এরা নিজের কাছেও নিজেকে প্রকাশ করতে ভয় পায়! খুব দ্রুত জীবনের মোড় ঘুরিয়ে ফেলে, কারণ এরা খুব অস্থির প্রকৃতির হয়; আপনাকে মাড়িয়ে যাওয়ার অপরাধবোধ এদেরকে অস্থির বানিয়ে দেয়। এসব মানুষের জন্য আমার মনে বিপুল সমবেদনা। আপনার মনেও থাকা উচিত! তাই কেউ মাড়িয়ে গেলে, শাস্তির কথা না ভেবে প্রথমে ভাবুন, আহা! বেচারা!
বিশ্বাস করুন! তার বুদ্ধি থাকুক আর না থাকুক! আপনার ওই করুণা ভরা দৃষ্টিতেই তার হাজার বছরের শাস্তি হয়ে যাবে!
তবে একটা কথা অবশ্যই জেনে রাখুন, জীবনে এমন মানুষের দেখাই আপনি বেশি পাবেন যাদের মুখ-মুখোশের রঙ এক না হলেও অনেকটাই কাছাকাছি! এরা আপনাকে ব্যবহার করবে না, বন্ধু হবে। ব্যবহার করে ছুড়ে ফেলবে না বা ফুলদানীতে সাজিয়ে রাখবে না, আপনাকে সম্মান করবে। মাড়িয়ে যাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না, এরা আপনার সাথে হাটবে।
তবে এর জন্য আপনাকে যেটা করতে হবে, বিশ্বাস রাখতে হবে, অন্যের উপর না হোক, নিজের উপর অবশ্যই রাখতে হবে।
ছোটবেলায় ভাইয়ার টেবিলে লেখা প্রবাদের মত- বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর!
! জ্ঞান গর্ভের এখানেই সমাপ্তি! ঠান্ডা পানি সাজান! ইফতারের সময় হয়ে এলো!
বিঃদ্রঃ লেখাটি গতবছর এই তারিখে লিখেছিলাম ফেসবুকের ওয়ালে।
২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯
হালিমা সাদিয়া বলেছেন: এত মনযোগ অনুভূতি প্রকাশের অনুপ্রেরণা যোগায়। অসংখ্য ধন্যবাস সময় করে ব্লগে ঘুরে যাওয়ার জন্য।
২| ২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: যাদের অন্তর চক্ষু আছে তারা ছদ্মবেশ ভেদ করে ভিতরের কুটিল মন সম্পর্কে অবগত হতে পারে। তবে, সাবধান থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪০
হালিমা সাদিয়া বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন! মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
৩| ২০ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭
বিজন রয় বলেছেন: মানুষ নিয়ে অনেক গবেষণা।
মানুষ বড়ই বিচিত্র।
২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১
হালিমা সাদিয়া বলেছেন: মানুষ মাত্রই বিচিত্র
৪| ২০ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১
হালিমা সাদিয়া বলেছেন:
৫| ২০ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩
সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন। সত্যিকারের বন্ধু পাওয়া খুব কঠিন ভাগ্য।
২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩
হালিমা সাদিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যিকারের বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের তো বটেই, অন্যের সত্যিকারের বন্ধু হওয়াটাও সৌভাগ্যের বিষয়। কারণ, অন্যের মুখে যেমন মুখোশ আছে, ঠিক আমার মুখেও একটি মুখোশ আছে।
৬| ২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ২:৪৫
শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: প্রত্যেক মানুষ তার নিজের মনের মত করে ভেবে নেয় জগৎটাকে। ফলে একাক জন একাক রকমের হয়। এজন্য মুখের বাইরের ও ভেতরের রং এর বিষয়ের মন্তব্য একাক জনের কাছে একাক রকম হবে। এখানে সবই যেন আপেক্ষীক। বোঝার উপায় নেই যে,কে চেপে ধরছে আর কে টেনে তুলছে। আমাদের নিজেদেরও বহু ভূল ধারনা থাকে। যেগুলো আমাদের মস্তিস্কে সেট হয়ে আছে। বংশগত ইগুর কারনে হোক আর পৃথিবীতে জন্মানোর পর তার নিজশ্ব ধারনা থেকে সৃষ্টির করনে হোক। আমি যেন জগতে দেখে থাকি, কে কখন কেমন আচরন করবেন-না বিপদে ফেলবেন-না তার দ্বারা নিজের বড়কিছু উদ্ধার হয়- নাকি সে আছড়ে মাটিতে মাড়িয়ে ফেলে দেবে, কে কখন কিভাবে তার কিছু বোঝার উপায় হয়ত আমাদের ততটা নেই। একই ব্যক্তির দ্বারা আপনি উপকৃতও হতে পারেন-আবার বিপদে পড়ে ধংশও হতে পারেন। কোনকিছু অতটা সঠিক ভাবে এখানে নিশ্চিত করা যায়না। ফলে জগৎ রহস্যময় !
২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬
হালিমা সাদিয়া বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত। আমরা যারা সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করি, আমাদেরকে প্রথম ক্লাসেই একটা কথা একদম মাথায় গেঁথে দেয়া হয়, দেয়ার ইজ নো ইউনিভার্সাল ট্রুথ ইন সোশ্যাল রিয়েলিটিজ। সকল কিছুই আপেক্ষিক। আপেক্ষিকতাকে কেন্দ্র করেই মুখ ও মুখোশ।
শুভকামনা রইল।
৭| ২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:০৭
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: শুধু বলবো, মুখোশগুলি পছন্দ হয়েছে।।
২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮
হালিমা সাদিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
মুখোশ-এর ছবি গুগল থেকে নেয়া।
৮| ২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:০৯
শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: এখানে যে সৎ পথে চলবে,অন্যায় করবেনা,মিথ্যা বলবেনা এবং নিজের মঙ্গলের পাশাপাশি অন্যের মঙ্গল করেবে ও নিজের ভূলগুলো সবসময় ধরতে শিখবে তাকেই ভাল বলতে হবে এবং তাদের মত ব্যক্তিকে আমাদের ফলো করা উচিত বলে আমি মনে করি। আপনি বলেছেন ঠিকই।
২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫০
হালিমা সাদিয়া বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আশা করি, গুণগুলো অন্যের মধ্যে দেখতে চাওয়ার সাথে সাথে আমরা নিজের মধ্যেও ধারণ করবো।
৯| ২১ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:৩৮
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: হুম প্রতিটা মানুষই মুখোশ পড়া। বাইরে এক, মুখোশের ভেতর আরেক।
২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৪
হালিমা সাদিয়া বলেছেন: হ্যাঁ, এবং সেটাই স্বাভাবিক। আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই 'সেলফ এবং আদার' কাজ করে। প্রশ্ন হচ্ছে আমরা এই দ্বিসত্ত্বা কে কিভাবে ব্যবহার করি তা নিয়ে।
ধন্যবাদ আপনাকে, শুভকামনা রইলো।
১০| ২১ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৫৪
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মুখোশ পরা মানুষের ভিড়ে নিজেকে মাঝে মাঝে অসহায় মনে হয়।
আমার জীবনে এমন অনেক হয়েছে একজনকে হয়তো খুব ভাল জেনেছি পরে দেখি সে অত্যন্ত ছোট লোক।
২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭
হালিমা সাদিয়া বলেছেন: খুব ছোট্ট একটা ঘটনা বলিঃ
কনে দেখতে এসেছে বরপক্ষ। গাড়ী নিচে গ্যারেজে রেখে এসেছে। দুপুরের খাবার দেয়ার সময়, কনের মা বললেন, ড্রাইভারের খাবারটা দিয়ে দেয়া দরকার না? বরের মা বললেন, হ্যাঁ! দরকারই তো! কনের মা বললেন, আচ্ছা! আমি খাবার বেড়ে দিচ্ছি, আমাদের কেউ তো ড্রাইভারকে চেনে না, আপনাদের কেউকে দিয়ে কষ্ট করে একটু নিচে পাঠিয়ে দিন। দুইপক্ষের তাড়াহুড়ায় বেচারা ড্রাইভারের খাবার আর নিচে গেল না, তিনি নিজের মত খেয়ে নিলেন।
সন্ধ্যাবেলা বরপক্ষ চলে যাওয়ার পরে, কনে পক্ষের মন্তব্য ছিল, কেমন পরিবার! নিজেদের ড্রাইভার খেয়েছে কিনা তার খোঁজ নিলো না! আমাদের মেয়েকে না জানি কীভাবে রাখবে!
আর বরপক্ষের মন্তব্য ছিল, কেমন পরিবার! ড্রাইভারকে খাওয়াল না! আতেথিয়তা জানে না! আমাদের ছেলেকে না জানি কি করবে!
অথচ দোষ কিন্তু কোন পক্ষেরই ছিল না, শুধুমাত্র একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এরকম জীবনে অনেক অনভিপ্রেত ঘটনাই ঘটবে। ঘটনাগুলোকে আমরা কিভাবে দেখবো সেই পদ্ধতি আমাদেরকে শক্তিশালী করে তুলবে।
ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন
১১| ২১ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভাল লাগল পোস্ট
২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১
হালিমা সাদিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপু
১২| ২১ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০৯
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অনেক ভাল লিখেছেন। মনে রেখে মেনে চলতে পারলে যথেষ্ট কাজে দিবে।
২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০৮
হালিমা সাদিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার, সময় নিয়ে ব্লগে ঘুরে যাওয়ার জন্য
১৩| ২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার লেখা অনেক ভাল।
২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১
হালিমা সাদিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। মনযোগী পাঠক অনুভূতি প্রকাশে অনুপ্রেরণা যোগায়।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক ভালো আলোচনা করেছিলেন। অনেক কিছু বুঝার শিখার আছে। ধন্যবাদ পড়ার সুযোগ করে দেয়ায়।
আপনার কিছু কথা অসাধারণ সত্য, ভালো লাগলো পোষ্ট।
শুভকামনা আপনার জন্য।