![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
So peace is on me the day I was born, the day that I die, and the day that I shall be raised up to life (again) (১৯:৩৩)
ইহুদীদের ইতিহাসের পিছনে আমি কিছু সময় ব্যয় করেছি। ওদের ইতিহাস যত বেশি পড়ছি ততই অবাক হচ্ছি। তারা তাদের ৩০০০ বছরের বেশি সময়ের বিভিন্ন ঘটনা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ করে রেখেছে যা তাদের প্রত্যেক জেনারেশন জানে। প্রতিবছর অজস্র ডলার খরচ করছে আর্কিওলজি, থিওলজি, এন্ত্রপ্লজির পিছনে। পৃথিবীতে এই রকম ঐতিহাসিক তথ্য সমৃদ্ধ জাতি আর আছে কিনা আমার জানা নেই। যদিও আমি কোন কালেই ইতিহাসের ছাত্র ছিলাম না। আমি আমার বুঝার সুবিধার জন্য ওদের ইতিহাস কে কয়েক ভাগে ভাগ করেছি, যেমন ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক ইত্যাদি। ইহুদিদের ইতিহাসের সাথে মুসলমানদের একটা গভীর যোগসূত্র আছে আর তা হল ইব্রাহিম (আঃ)। ইহুদিদের ইতিহাসের শুরুই হচ্ছে ইব্রাহিম(আঃ)এর দেশ ত্যাগের মধ্য দিয়ে।
বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্ট অনুসারে গড আব্রাহাম এবং তার পরবর্তী বংশধরদের কে একটা নিদৃস্ট এলাকা দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেন যা বলা হয়ে থাকে ইউফ্রেটিস থেকে নীল নদের তীর পর্যন্ত বিস্তৃত যেখানে মধু এবং দুধের প্রাচুর্য্য থাকবে। ধারনা করা হয় আব্রাহাম মেসেপ্টামিয়ার “উর” থেকে এসেছেন এবং মুজেশ (মুসা (আঃ)) এর জন্ম মিশরে। এইজন্য ইউফ্রেটিস থেকে নীল নদের তীর পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকাকে ইহুদীরা তাদের প্রমিজড ল্যান্ড মনে করে এবং প্রায় ৩০০০ বছর বিভিন্ন চড়াই উৎরাই পার হয়ে ১৯৪৮ সালে ইহুদীরা প্যালেস্টাইন এবং জেরুজালেম দখল করে স্বাধীন রাষ্ট্র ইসরায়েল গঠন করে।
And I will give unto thee, and to thy seed after thee, the land wherein thou art a stranger, all the land of Canaan, for an everlasting possession; and I will be their God. (জেনেসিস, ১৭:৮)
এখন গড সত্যিকার অর্থে এই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন কি না আর করে থাকলেও এতে ইহুদিদের একক অধিকার আছে কি না তা বিতর্কের বিষয়, যেটা এখানে আমার বিষয় না। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি তা হচ্ছে এই প্রমিজড ল্যান্ড কোথায় হতে পারে তা নিয়ে
এই বিষয়ে যাওয়ার আগে মুসলিম স্কলারদের সম্পর্কে কিছু বলার প্রয়োজন অনুভব করছি, কারন আমার বিশ্বাস আমাদের মুসলিম কমিউনিটিতে ওল্ড টেস্টামেন্ট দূরে থাক, নিজের ধর্ম গ্রন্থ কোরআনই কেঊ ভাল করে পরে না। সাধারণত মুসলমানেরা হাদিস বা ট্র্যাডিশনের উপর প্রচুর নির্ভরশীল এবং এই বিষয়ে যা জানে তার এক ভাগও কোরআন সম্পর্কে জানেনা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে হাদিস বা ট্র্যাডিশনের উৎস নিয়ে। বলতে বাধ্য হচ্ছি, আমাদের স্কলাররা ওল্ড টেস্টামেন্ট, তাল্মুদ, মিস্নাহ, গামেরা থেকে প্রায় সব কিছুই কপি করেছেন এবং তা নিজেদের নামে এবং ইসলামের নামে চালিয়ে দিয়েছেন। এর হাজার হাজার উদাহরণ আছে।উদাহরণ স্বরূপ নবী ইব্রাহিমের দেশ ত্যাগের ঘটনা থেকে শুরু করে তার সম্পর্কিত যত কাহিনী আছে তার ৯০% কপি পেস্ট। এই সম্পর্কিত তাবারী, ইবনে কাসিরের বই, আর ওল্ড টেস্টামেন্ট এবং ইহুদী ট্র্যাডিশন মিলিয়ে দেখতে পারেন। মোটা দাগে আমি যা বলতে চাছি তা হচ্ছে আমাদের এই স্কলাররা নবিদের ইতিহাস সম্পর্কিত যত ঘটনা বর্ণনা করেছেন তার ৯৫% ইহুদী ট্র্যাডিশন থেকে নেওয়া যা সত্য এবং মিথ্যায় মিশ্রিত।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর, অটোমান স্ম্রাজ্যের পতনের পর যখন প্যালেস্টাইন ব্রিটিশ স্ম্রাজ্যের অধীনে আসে তখন ব্রিটিশ ম্যন্ডেট নিয়ে খৃস্টান এবং ইহুদী আরকিওলজিস্টরা ঐ ভুমিতে খনন কাজ শুরু করে।
বিংশ শতাব্দীর আগ পর্যন্ত এটা সবার গ্রহণযোগ্য ধারনা ছিল যে ওল্ড টেস্টামেন্টে হিব্রুদের (ইহুদী) ব্যবলিনে বন্দী হওয়ার আগে অর্থাৎ খৃস্টপূর্ব ৫৮৬ সালের আগে যে সব ঘটানা বর্ণনা করা তার সবকিছু আজকের ইসরায়েল, প্যালেস্টাইন, মিশর এবং ইরাকে সংঘটিত হয়েছে। আব্রাহাম সম্ভবত মেসেপ্টামিয়ার “উর” থেকে এসেছেন এবং হিব্রুরা মিশরে বন্দী ছিল। মিশর থেকে প্রস্থান (এক্সডাস) করে তারা সিনাই এলাকায় এসেছিলেন এবং জশুয়ার নেতৃত্বে জর্ডান নদী অতিক্রম করে তারা কেনান আক্রমণ করে দখল করেছিলেন। ১৯২০ সালের দিকে যখন স্কলাররা ঐ ভুমিতে খনন কাজ শুরু করেন তখন তাদের আকাশচুম্বী প্রত্যাশা ছিল যে তারা ঐ ভুমিতে তাদের দাবীর পক্ষে প্রচুর নিদর্শন যেমন এক্সডাস, জশুয়ার কেনান আক্রমণ এবং কেনান ধ্বংস করা, ইসরায়েলই স্ম্রাজ্যের স্থাপনা, বিশাল কর্মযজ্ঞ (সলোমনের প্রথম টেম্পল, লৌহ শিল্প, ফরটিফায়েড সিটি ইত্যাদি) যা শুরু করেছিলেন সলোমন এবং রাজা ওমিরি, খৃস্টপূর্ব ৭২১ সালে অসিরিয়ানদের ইসরাইল দখল করা, খৃস্টপূর্ব ৫৮৭-৮৬ সালে ব্যবিলিয়নদের জেরুজালেম দখল করা এবং টেম্পল ধ্বংস করা ইত্যাদি খুজে পাবেন। কিন্তু এই কাজ করতে দিয়ে স্কলারদের মধ্যে সন্দেহ তৈরী হতে লাগল ১৯৬০ সালের দিকে এবং তা ক্রমাগত বেড়ে উঠতে থাকে ১৯৭০ সালের দিকে এবং ১৯৯০ সালের দিকে বেশিরভাগ স্কলাররা হিব্রুদের খৃস্টপূর্ব ৫৮৬ সালের আগের অর্থাৎ ব্যবিলিয়নদের হাতে বন্দী হবার আগের ঘটনা কে নাকচ করে দেন (বার্নারড লিম্যান, দ্য আর্ক অফ দ্য কভেন্যান্ট)
উনবিনশ শতাব্দীতে বেশ কিছু একাডেমিক স্কলার মতামত দেন যে এরাবিয়া হচ্ছে ওল্ড টেস্টামেন্টে বর্ণিত হিব্রুদের খৃস্টপূর্ব ৫৮৬ সালের আগের লোকেশন। অন্য স্কলাররা ও এর পরের ৫০ বছর এই মতামতের সাথে প্রায় একমত পোষণ করেন। এই বিতর্ক খুবই উত্তপ্ত হয়ে উঠে যখন প্রফেসর কামাল সালিবি- একজন লেবানীয় খৃস্টান স্কলার ১৯৮৫ সালে তার বিখ্যাত বই “ দ্যা বাইবেল কেম ফ্রম এরাবিয়া” প্রকাশ করেন। এই বইয়ে তিনি আরব ট্র্যাডিশন, বর্তমান আরবের বিভিন্ন স্থানের নাম যেমন অসির, হিজায, জিযান ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে হাইপথিসিস দেন যে হিব্রুদের খৃস্টপূর্ব ৫৮৬ সালের আগের অবস্থান ছিল পশ্চিম আরব থেকে উত্তর মদীনা থেকে ইয়েমেনের কিছু অংশ।
এই বই প্রকাশের পর সৌদি আরবের টনক নড়ে। তারা এই বই সৌদি আরবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এই বলে যে তাদের ধারনা প্রফেসর কামাল সালিবি ইসরায়েল কে পরামর্শ দিচ্ছে যে ইসরায়েলের ডিভাইন রাইট (ঐশ্বরিক অধিকার) রয়েছে সৌদি আরবের অসির, হিজায, জিযান কে ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত করার। বার্নারড লিম্যান তার দ্য আর্ক অফ দ্য কভেন্যান্ট এর প্রথম পাতায় লিখেছেনঃ
Interestingly Salibi received no support from the minimalists, one of whom (Silberman) privately implied to this writer that it was safer to deny the historical record than suggest it was true but located in West Arabia.
এর পর তিনি আরও বলেছেনঃ
Although the Ethiopian evidence supporting the Salibi hypothesis has been widely distributed since 1985 it has been completely ignored in almost every publication. The Saudi reaction was extreme, bulldozing sites named by Salibi as probable locations of Old Testament cities such as An Nimas (Jerusalem), south of Taif. Salibi’s book was banned in Saudi Arabia and Syria for implying that Modern Israel should annex Asir and Hijaz provinces. All references to this writer’s work that argued that evidence from the life of the Queen of Sheba supports Salibi’s hypothesis have systematically been removed from Wikipedia from early 2010 onwards and a Saudi student arrested and briefly jailed when a copy was found on his return home.
আমি এই প্রফেসর কামাল সালিবির বইয়ের কিছু অংশ এবং বার্নারড লিম্যান এর দুইটা বই পড়ে দেখেছি। সেই সাথে অন্য আরকিওলিজিস্টরা কি বলেন তাও দেখেছি। মজার বিষয় হচ্ছে এখন বেশিরভাগ মডার্ন স্কলাররা তাদের প্রাপ্ত উপাত্তের ভিত্তিতে এই বিষয়ে এক মত যে জেরুজালেম বা প্যালেস্টাইন ইহুদিদের প্রমিজড ল্যান্ড না। তাহলে প্রশ্ন থাকে যদি বর্তমান যে জেরুজালেম বা প্যালেস্টাইন ইহুদিদের প্রমিজড ল্যান্ড না হয়ে থাকে তবে কোথায়। এই নিয়ে কিছু বিতর্ক আছে তবে এটা এরাবিয়ান এলাকার মধ্যে কোন এক জায়গায় হতে পারে- অনেকের মতামত এটাই।
এতদি শুধুমাত্র খৃস্টান স্কলাররা এই ব্যপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ইহুদী স্কলাররা তাদের ওল্ড টেস্টামেন্ট কে অন্ধ ভাবে আঁকড়ে ধরে ছিলেন। সমস্ত সায়েন্টিফিক প্রমান, আরকিওলজিকাল প্রমান কে পাশ কাটিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক কারনে এটা করছিলেন। এই বিষয়ে তাদের বক্তব্য সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। কিন্তু ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন ঘটছে। ১৯৯৯ সালে ইহুদী স্কলার Hertzog ইসরায়েলের পত্রিকা Ha’aretz তে একটা আর্টিকেল লিখেছিলেন যাতে তিনি হিব্রুদের মিশরে বন্দী থাকা, Exodus এবং জশুয়ার নেতৃত্বে কেনান আক্রমণ করা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছেনঃ
All the people of the world, not just the “Israelis” or the Jewish people will be dumbfounded when they hear the truth that has now been made evident by the archeological digs. The vast majority of our colleagues now confirm that there is a drastic gap between what history has taught us, and what the Scripture says….The Torah exaggerates immensely in its description of the fortresses and strongholds of the “Canaanites”, which the Israelis are said to have conquered (large cities, and buttressed fortresses reaching the sky?!). On the other hand, every piece of archeological evidence tells us the villages and towns of ancient Palestine were not fortified at all, except in very rare and extreme cases (the homes of the chiefs or headmen did have some stone walls around them, but that was pretty much it). The signs are very clear: The architectural culture that was rampant in Palestine towards the end of the Bronze Age clearly did not take the possibility of foreign military aggression into account. The descriptions found in the Torah do not even remotely match the geo-political situation of the region. Every piece of evidence uncovered disproves the presence of any unified and mighty Jewish kingdom in Palestine, during David’s and Solomon’s time….Modern science, as we all know, does not depend on written accounts, but on physical evidence. And archeology has now become an independent science. What is happening in “Israel” is that we do not want it to be independent. We want the archeological remains to prove the Scriptural stories; and this contradicts not only science, but the historical truth as well. And if we want to have a respected place in international academia, we need to abide by the laws of science, not the interests of politics and pre-conceived ideologies….The truth is hard to accept. But it is very clear that the ancient Israelites never resided in the Nile valley, never wandered the desert, and its 12 tribes never occupied the Palestinian land by military force.”
ওল্ড টেস্টামেন্টর বর্ণনা এবং ঐতিহাসিক সত্য আরকিওলজিকাল প্রমানের মধ্যে প্রচুর কন্ট্রাডিকশন দেখা যাচ্ছে। প্রায় ৭০ বছর ধরে জেরুজালেম এবং প্যালেস্টাইনে খনন করে কোন আরকিওলজিস্ট এই পর্যন্ত হিব্রুদের খৃস্টপূর্ব ৫৮৬ সালের আগের বসতির কোন চিহ্ন, প্রমান বের করতে পারনি- যা তাদের ঐ ভুমির উপর অকাট্য দাবি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার কথা, বরং এর বিপরীত প্রমান বিদ্যমান।
এই ব্যপারে স্কলাররা যা ব্যখ্যা দিয়েছেন তা সারমর্ম করলে দারায় যে ওল্ড টেস্টামেন্টর বেশ কিছু অংশ হিব্রুদের খৃস্টপূর্ব ৫৮৬ সালের আগে ব্যবিলনে বন্দী থাকা অবস্থায় লিখিত হয় এবং অনেক নতুন টেক্সট ঢুকানো হয় যার ফলে এই বর্ণনা কিছুটা পরিবর্তিত বা বিকৃত হয়েছে।
কিছু ব্যক্তিগত বিশ্লেষণঃ
উপরে উল্লেখিত বিষয়টিকে মুলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
১। এটা প্রমানিত যে বর্তমান ইসরায়েলের অবস্থান গড কর্তৃক প্রমিজড ল্যান্ডে না।
২। তাহলে প্রমিজড ল্যান্ড কোথায়?
যদি আমরা দ্বিতীয় বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করি তবে দেখতে পাব
১। খৃস্ট পূর্ব ১৪০০-৬৫০ পর্যন্ত জেরুজালেম বা প্যালেস্টাইনের কোন রকম অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক গুরত্ব ছিলনা। ঐখানের অধিবাসীরা ছিল প্রাচীন তাম্র যুগের।
২। যদিও এটা সম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠিত নয় যে পশ্চিম এবং উত্তর এরাবিয়ার কোন জায়গায় প্রমিজড ল্যান্ড, কিন্তু এটা হবার সম্ভাবনা খুব বেশী।
৩। ইহুদিরা সায়েন্টিফিক প্রমানের বিপরীতে ওল্ড টেস্টামেন্ট বর্ণিত কিছু ঘটনা মানুষ কর্তৃক ভুল (ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত) হিসাবে এখনও মানতে পারছে না। কিন্তু ধীরে ধীরে এই অবস্থার পরিবর্তন ঘঠছে।
এখন যদি কোনদিন এই ইহুদিরা তাদের ওল্ড টেস্টামেন্টর ভুল স্বীকার করে সায়েন্টিফিক এবং আর্কিওলজিক্যাল ফ্যাক্ট কে মেনে নেন, সেইদিন সত্যিকার অর্থে সৌদি আরবের কপালে দুঃখ আছে। ইসরায়েল যে কোন ভাবেই হোক ঐ জায়গা দখল করবে। এই বিষয়টা কি বর্তমান মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির একটি গুরত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে ধীরে ধীরে গণ্য হচ্ছে না? বিশেস করে সৌদিদের ইসরায়েল প্রীতি দেখলে এই প্রশ্ন স্বভাবিক ভাবেই জাগে।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩
হানিফঢাকা বলেছেন: আমি এই বিষয়ে মুসলমান স্কলারদের কোন ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্কুল অফ থট খুজে পাইনি। আমাদের ইতিহাস এমনিতেই প্রচুর গোঁজামিল দেওয়া। থিওলজিকাল পারস্পেক্টিভে, মুসলমানদের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত কিছু ঐতিহাসিক ধারনার মধ্যে বড় ধরনের অস্পষ্টতা আছে যা কোরআনের সাথেও কনফ্লিক্ট করে। মুসলমানরা নিজেদের ইতিহাস লেখার নামে নিজেদের সাথেই উপহাস করেছে। এর প্রচুর উদাহরণ আছে।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫
এ্যামালগাম বলেছেন: ভাই আপনি কি গাধা? নাইল থেকে ইউফ্রেটিস দখল করতে হলে জাজিরা তুল আরব কি বাদ যায় নাকি? আসলেই ইহুদীরা অনেক টাকাই খরচ করছে!!
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯
হানিফঢাকা বলেছেন: বর্তমান সৌদি এবং ইয়েমেনের কিছু অংশ। ম্যাপ দেখেন।
৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩০
কালীদাস বলেছেন: প্রমিজড ল্যান্ড কোন জায়গায় সেটা নিয়ে আমার খুব একটা আগ্রহ নেই। হিটলার গাধার বাচ্চা হলোকাস্ট করে সারা দুনিয়ার সিমপ্যাথি জুটিয়ে দিয়েছে ওদের, যার ফল আজ জেরুজালেমে মসজিদুল আকসায় একজন মুসলিম হয়েও আমার যাওয়ার অধিকার নেই।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪
হানিফঢাকা বলেছেন: সাধারণত কোন নাশকতা মূলক কর্মকাণ্ড বা রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত না থাকলে মুসলমানদের ঐ মসজিদে যাওয়াতে কোন বাধা দেওয়া হয় না। এটা সত্য যে ঐ ধরনের পরিস্থিতি তৈরী হলে তার মুসল্লিদের মসজিদ থেকে বের করে দেয়, কিন্তু স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এইটা হয় না।
মসজিদুল আকসা- নিয়ে প্রচুর মুসলমানদের মধ্যে ভুল ধারনা বিদ্যমান। মুসলমানদের একটা বড় অংশ মনে করে এইটা মুসলমানদের কাছে তৃতীয় পবিত্র মসজিদ কারন ঐ খানে আমাদের নবী মিরাজের রাতে সকল নবীদের সাথে নামায আদায় করেছিলেন। এইটা একটা সম্পূর্ণ ভুল ধারনা। এই মসজিদটি প্রথমে ওমর (রাঃ) এর সময়ে ছোট করে বানানো হয় এবং তখন নামকরন করা হয় আল-আকসা অর্থাৎ দূরবর্তী মসজিদ। কোরআনে বর্ণিত আল-আকসার সাথে বর্তমানে জেরুযালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদের কোন সম্পর্ক নেই। এই মসজিদ পরে ওমাইয়া খলিফা আব্দ-মালিক এর সময় পুনঃ নির্মাণ করা হয় এবং তার ছেলে আল- ওয়আলিদ এর সময় ৭৫০ সালে শেষ হয় যা নবীর মৃত্যুর ৭২ বছর পর। এর আগে সেখানে কোন মসজিদ ছিল না।
এই মসজিদ মুসলমানদের কাছে ঐতিহাসিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই কারনে যে এটা মুসলমানদের জন্য নির্মিত প্রাচীন মসজিদ গুলির একটি। এর ঐতিহাসিক বা প্রত্নাতাত্বিক গুরুত্ব আছে কিন্তু কোনভাবেই এই মসজিদ কোরআনে বর্ণিত আল- আকসা অথবা নবীর মেরাজের সাথে সম্পর্কিত নয়।
আপনাকে ধন্যবাদ।
৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
গড কি কখনও কোন অযৌক্তিক এবং অনির্ণয়কের মতো সিদ্ধ্যান্ত দিতে পারেন ? দজলা থেকে ফোরাত তাদের জন্য। এর মানে কি এই যে এখানে অন্য কেউ আর থাকতে পারবেনা কিংবা অন্য কোথাও আর ইহুদীরা থাকতে পারবে না। তাই তারা যতই তাদের পার্লামেন্টের দরজায় লিখে রাখুক না কেন দজলা থেকে ফোরাতের কথা আসলে এর মূলে রয়েছে তাদের সাম্রাজ্যবাদীতা।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৯
হানিফঢাকা বলেছেন: আমাদের গ্রন্থ কোরআন অনুযায়ী গড কোন অযৌক্তিক এবং অনির্ণয়কের মতো সিদ্ধ্যান্ত দেন না। আমি আমার লেখার প্রথম অংশেই বলেছি এই প্রমিজের ব্যপারে অনেক বিতর্ক আছে। ওল্ড টেস্টামেন্টে দিয়েই এই প্রমিজের অসাড়তা প্রমান করা যায়। এবং যদি গড এই ধরনের কোন প্রমিজ করেও থাকে তবে উত্তরাধিকার হিসাবে মুসলমানরাও এই প্রমিজের অংশীদার। এইটা অনেক ইন্টারেস্টিং একটা বিষয়।
আপনি বলেছেন "এর মানে কি এই যে এখানে অন্য কেউ আর থাকতে পারবেনা কিংবা অন্য কোথাও আর ইহুদীরা থাকতে পারবে না।"- আসলে ব্যাপারটা এই রকম না। এখনও এই ইসরায়েল রাষ্ট্রে প্রচুর মুসলমান বাস করে। তারা ইসরায়েলের নাগরিক। এই প্রমিজ সম্পর্কে প্রচুর ভুল ধারনা আছে। সাধারন ভাবে বলা যায় , যদি এই প্রমিজ করা হয়েও থাকে, তবে এই প্রমিজ গড আব্রাহাম এবং তার বংশধরদের করেছিলেন। ইহুদী সত্যিকার অর্থে একটা ক্ষুদ্র অংশ। কিন্তু তারা এটাকে শুধুমাত্র নিজেদের করে নিয়েছে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। সত্যি বলতে এটার জবাব এত ছোট পরিসরে দেওয়া সম্ভব না।
৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০১
ইনফেকটেড মাশরুম বলেছেন: ইন্টারেস্টিং
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪
হানিফঢাকা বলেছেন: হুম
৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮
চাকমা বলেছেন: আল - আকসা মসজিদ ছিল। নবী (স নামায পড়েছেন এবং মিরাযে গিয়েছিলেন। মক্কার দিকে নামায পড়ার আগে আল - আকসা মসজিদের দিকে পড়তেন। এটা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত।
আপনার ৬ নং কমেন্টে লিখলেন ভুল! তাহলে আসল আল - আকসা মসজিদ কোথায়?
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮
হানিফঢাকা বলেছেন: আল- আকসা মসজিদ ছোট করে বানানো হয় ওমর (রাঃ) এর সময়ে শেষ হয় ৭০৫ সালে। আমাদের নবী পরলোক গমন করেন ৬৩২ সালে। তাহলে আমাকে বলেন আমাদের নবী ঐ খানে কিভাবে নামায আদায় করেন? এই গুলি বানানো গল্প।
ইহুদীদের কথা অনুযায়ী খৃস্টপূর্ব প্রায় ১০০০ সালে ঐখানে প্রথম টেম্পল নির্মাণ করা হয় যা সলোমনের প্রথম টেম্পল হিসাবে পরিচিত। জেরুজালেম বা প্যালাস্টাইনে ঐ প্রথম টেম্পলের কোন সন্ধান বা তাদের বসবাসের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি যেটা তাদের দাবীর পক্ষে একমাত্র প্রমান হিসাবে বিবেচিত হত। আমার লেখাতে আমি এটাই বলেছি। ব্যবলিয়নদের হাত থেকে তারা আরেকটা টেম্পল তৈরী করে যা তারা দ্বিতীয় টেম্পল বলে থাকে। এই দ্বিতীয় টেম্পল পরে রোমানরা ধ্বংস করে, ইহুদীদের বিতারিত করা হয় এবং ঐ যায়গা গারবেজ ডাম্প করা হত। দ্বিতীয় টেম্পলের প্রচুর নিদর্শন পাওয়া গেছে এবং ঐ সময়ে তাদের নির্মিত দেয়ালের অবশেষ এখনও বিদ্যমান। সুতরাং রোমান এম্প্যায়ারের সময়কালে ঐ জায়গা ছিল একটা ময়লার স্তুপ। সুতরাং ঐ জায়গায় কোন মসজিদ ছিল না।
মুসলমানদের হাতে জেরুজালেম আসার পর খলিফা ওমর (রাঃ) কে তৎকালীন খৃস্টান যাজক তাদের সেফাল্কা দেখান। কথিত আছে নামাযের সময় হলে ঐ খৃস্টান যাজক ওমর (রাঃ) কে তাদের সেফালকা বা গির্জায় নামায আদায় করতে বলেন। ওমর (রাঃ) অস্বীকার করেন এবং খোলা মাঠে নামায আদায় করেন।
পরবর্তীতে তিনি ঐ খানে ছোট করে একটা মসজিদ নির্মাণ করেন এবং এর পর ৭০৫ সালে এটার কাজ শেষ হয়। ঐ মসজিদের নাম দেওয়া হয় আল- আকসা। এই হচ্ছে আল- আকসা মসজিদের ইতিহাস।
আকসা- শব্দের অর্থ হচ্ছে দূরবর্তী এবং মসজিদ শব্দের অর্থ হচ্ছে সেজদার জায়গা। দুইটা শব্দ একত্রে করলে হয় "দূরবর্তী সেজদার জায়গা"। এইটা যে কোন একটা কাঠমা হতে হবে এমন কোন কথা নেই। সুতরাং এটা যে কোন জায়গায় হতে পারে। এতদিন মুসলিম স্কলাররা এটাকে জেরুজালেম মনে করেছেন এর কারন তারাও এই ধারনা পোষণ করে যে জেরুজালেম হচ্ছে প্রমিজড ল্যান্ড এবং কোরআনে যে জায়গার কথা বলা হয়েছে তাকে বলা হয়েছে ব্লেসড ল্যান্ড। স্বভাবিক ভাবেই ধরে নেয়া হয়েছিল উহা জেরুজালেম। মসজিদুল আকসার নির্মাণ ইতিহাস পড়লেই উহা বুঝতে পারবেন। ধন্যবাদ।
৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১১
ইছামতির তী্রে বলেছেন: ইসরায়েলিদের জন্য ঈশ্বর প্রতিশ্রুত ভূমির ধারণা রাজনৈতিক। ধর্মতাত্ত্বিক ব্যাখ্যায় এর কোনো ভিত্তি নেই। কারণ ইসরায়েল যে ভূমিকে ঈশ্বর প্রতিশ্রুত ভূমি মনে করে, সেই কেনানে ওই সময় বিভিন্ন জাতির মানুষ বসবাস করত। ঈশ্বর ওই সব জাতির সঙ্গে ইহুদি সন্তানদেরও বসবাস করতে বলেছেন। এ ছাড়া ঈশ্বর যেসব ইহুদি সন্তানের কথা বলেছিলেন, বর্তমানে ইসরায়েলে বসবাসকারী ইহুদি এক নয়।
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের ওপর ভিত্তি করে লেখা বই প্রমিজড ল্যান্ড-এ লেখক এ বিষয় তুলে ধরেন। সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত মোসলেহউদ্দিন আহমেদ বইটি লিখেছেন।
মোসলেহউদ্দিন বলেন, ‘প্রতিশ্রুত রাষ্ট্র’—এ ধারণা প্রচার পায় ১৯৬৭ সালের পর। ইসরায়েলে বসতি স্থাপনকারী ইহুদিদের বেশির ভাগই বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছে। ঈশ্বর প্রতিশ্রুত ইহুদি সন্তানদের বেশির ভাগই প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ধর্মযুদ্ধে মারা গেছে। অনেকে নির্বাসনে চলে যায়। বেঁচে যাওয়া ইহুদিরা আরবদের সঙ্গে মিশে গেছে এবং তারা কখনোই পৃথক রাষ্ট্র চায়নি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিলেও একে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। লেখক তাঁর বইয়ে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র গঠনের কথা বলেন।
উপরের লেখাগুলো কপি-পেস্ট। আমিও পুরোপুরি একমত।
মুসলিম লেখকদের ব্যাপারে যা বলেছেন তা অনেকাংশে সত্য। আমার জানা মতে, রাসুল সাঃ ইসরাইলীদের লেখা গ্রহণ করা বা বাদ দেয়া কোন ব্যাপারেই জোড়াজুড়ি করেন নি। কুরআন-হাদিস এর বাইরে যা পাওয়া গেছে তার অনেকটাই ওদের কাছ থেকে এসেছে। এছাড়া আর কোন উতস ছিল না। ইসরাঈলীদের আছে এক অসাধারণ ইতিহাস। যদিও সম্মান ধরে রাখতে পারেনি তারা। যেজন্য কুরআনে তাদের 'অভিশপ্ত জাতি' বলা হয়েছে। যাইহোক, ওদের লেখায় অনেক বিভ্রান্তিমূলক ব্যাপার আছে যা বিশেষ করে ইবনে কাসির তার বইতে এটা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন।
সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭
হানিফঢাকা বলেছেন: অবশ্যয় এটা একটা রাজনৈতিক ধরানা। কিন্তু এই ধারনার উৎপত্তি তাদের নিজস্ব ধর্ম গ্রন্থে আছে। তারা পৃথক রাস্ট্র চায়নি কারন পৃথক রাষ্ট্র চাওয়ার মত অবস্থা তাদের অনেক দিন ছিল না। ১৮৯৩ এ যায়ন মুভমেন্টের সুচনা হয় এবং এর স্বপ্নদ্রষ্টা Theodor Herzl (1860 – 1904)। উনি ঐ সময়ে Der Judenstaat (The Jewish State) in 1896 নামে একটা বই লিখেন যেখানে উনি লিখেছিলেনঃ
Palestine is our ever-memorable historic home. The very name of Palestine would attract our people with a force of marvelous potency. If His Majesty the Sultan were to give us Palestine, we could in return undertake to regulate the whole finances of Turkey. We should there form a portion of a rampart of Europe against Asia, an outpost of civilization as opposed to barbarism. We should as a neutral State remain in contact with all Europe, which would have to guarantee our existence. The sanctuaries of Christendom would be safeguarded by assigning to them an extra-territorial status such as is well-known to the law of nations. We should form a guard of honor about these sanctuaries, answering for the fulfillment of this duty with our existence. This guard of honor would be the great symbol of the solution of the Jewish question after eighteen centuries of Jewish suffering.
কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর প্যলেস্টাইন ব্রিটিশ দের হাতে আসে এবং এর পরের ইতিহাস সবার জানা।
আপনি বলেছেন " কুরআন-হাদিস এর বাইরে যা পাওয়া গেছে তার অনেকটাই ওদের কাছ থেকে এসেছে। এছাড়া আর কোন উতস ছিল না"- আমি বলতে চাচ্ছি এই হাদিসের ভিতরেও প্রচুর ইহুদী উপকরন আছে যা কোরআনের সাথে সরাসরি কনফ্লিক্ট করে।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫২
অগ্নিপাখি বলেছেন: এই বিষয়টি নিয়ে জানার আগ্রহ বোধ করি সবার আছে। আরও লেখা আশা করছি এই বিষয়টির উপর। লেখায় ভালো লাগা এবং প্রিয়তে।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৩
হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ। চেষ্টা করব।
৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
"মোটা দাগে আমি যা বলতে চাছি তা হচ্ছে আমাদের এই স্কলাররা নবিদের ইতিহাস সম্পর্কিত যত ঘটনা বর্ণনা করেছেন তার ৯৫% ইহুদী ট্র্যাডিশন থেকে নেওয়া যা সত্য এবং মিথ্যায় মিশ্রিত। "
-ভালো, সবেমাত্র বুঝার শুরু করেছেন!
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৭
হানিফঢাকা বলেছেন: ভাইজান সবে মাত্র না। আগে থেকেই জানি, নতুন করে আরও জানছি। এইসব নিয়ে প্রচুর পড়াশুনা করেছি, এখনও পড়ি। এইসব নিয়ে লিখিনা কারন সময় হয়না আর কিছু ভয় ত আছেই। তবু মাঝে মধ্যে ব্যাতিক্রম করে ফেলি আরকি।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩
বাঘ মামা বলেছেন: বেশ কিছুদিন ধরে আমি তাদের ধর্ম গ্রন্থ্য "তোরাহ" পড়ছি, এখনো শেষ করতে পারিনি, ভেবেছিলাম পড়া শেষ হলে এই বিষয়ের উপর একটা পোস্ট দেবো, "তোরাহ" পড়ে আমি নিজেও অবাক হচ্ছি সেই সাথে মনে নানা প্রশ্ন জাগছে, আপনি যেহেতু পড়েছেন বিষয় গুলো নিয়ে আপনার এখানে আসবো আবার।
বিস্তারিত পরে মন্তব্য করবো
শুভ কামনা সব সময়
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৯
হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনার পোস্টের আশায় রইলাম।
১১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০
পথে-ঘাটে বলেছেন: আপনার অধিকাংশ রেফারেন্সই "স্কলাররা বলেছেন"। সত্যিই হাস্যকর।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৬
হানিফঢাকা বলেছেন: এইখানে মুল ঘটনার সাথে রিলেটেড তিনজন স্কলারের নাম রেফারেন্স সহকারে দেওয়া হয়েছে। রেফারেন্সের সংখ্যা বেশী হওয়ায় সবার নাম উল্লেখ করা সম্ভব না। এটা কোন একেডেমিক পেপার না। এতগুলি রেফারেন্স দিলে মুল ঘটনা পড়ার সময় বিরক্ত বোধ করতেন।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এখন গড সত্যিকার অর্থে এই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন কি না আর করে থাকলেও এতে ইহুদিদের একক অধিকার আছে কি না তা বিতর্কের বিষয়, যেটা এখানে আমার বিষয় না। ---
আর ঠিক এখানেই টুইস্ট!
গডের যে প্রমিজ ছিল তা গডের মান্যতার ক্রমানুসারে মোসেজের পরবর্তী ঈসা আ: এর উপর এবং তারও পর সত্যের ধারাক্রমে মুহাম্মদ সা: এর অনুসারীদের উপর বর্তায়।
কোন ভাবেই অবাধ্য অবিশ্বাসী ইহুদী বা খ্রীস্টান নামধারীদের উপর নয়। তাদের জন্য গডের অভিশাপ! সত্য ত্যাগীদের উপর যা যা বর্তায় সকল গুলো।
আর তারা সেই মূসা আ: এর সময়েই এত এত এত বেশী অবাধ্যতা দেখিয়েছে, পরবর্তী এতএত নবী রাসূল গণকে হত্যা করছে যে আল্লাহ শেষ গ্রন্থ আল কোরআনে তাদের নামোল্লেখ করে অভিশপ্ত জাতি হিসাবে চিহ্নিত করেছেন, বর্ণনা করেছেন। এবং তারা আল্লাহকে এত অধিক পরিমানে জানে যে তারা তাদের সন্তানদের যেমন চেনে বা তারচে বেশি এভাবেই আল্লাহ নিজে বর্ণনা করেছেন। অখচ তারা একটাই অপরাধে অপরাধী- তারা সেই সত্যকে মানে না।
সবচে মজার হল মুসলমানরাই সেই জ্ঞান হারিয়ে বসে আছে আর অবাধ্যরা সেই জ্ঞানের বহির্ভূক হয়েও মিথ্যাদাবী নিয়ে বিশ্বে তুলকালাম চালীযে যাচ্ছে।
<<
যদি কোনদিন এই ইহুদিরা তাদের ওল্ড টেস্টামেন্টর ভুল স্বীকার করে সায়েন্টিফিক এবং আর্কিওলজিক্যাল ফ্যাক্ট কে মেনে নেন, সেইদিন সত্যিকার অর্থে সৌদি আরবের কপালে দুঃখ আছে। ইসরায়েল যে কোন ভাবেই হোক ঐ জায়গা দখল করবে। এই বিষয়টা কি বর্তমান মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির একটি গুরত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে ধীরে ধীরে গণ্য হচ্ছে না? বিশেস করে সৌদিদের ইসরায়েল প্রীতি দেখলে এই প্রশ্ন স্বভাবিক ভাবেই জাগে।
= সউদ গোষ্ঠীর অজ্ঞানতার, পাপাচারের, নকল পীরিতের দায় শোধ করতে জান যাবে আম আরববাসীর! সহ আম বিশ্ব মুসলিমের।
++++++++++