নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I am a former teacher, writer of poems and essays, idol talker on facebook and blogs. Sometimes I make websites and always listen to songs, songs mean only Rabindra Sangeet. My idea is that there is no need for sports in human life, because life itself is

আবদুল হক

https://www.facebook.com/HaqueIsOne

আবদুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বায়ন আসলে কী

১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৫৫

আমরা বুঝতে পারছি সময়ের প্রবাহ আর তার দ্রুত পরিবর্তনশীলতা, দূরত্ব ক্রমেই ঘুচছে, এককেন্দ্রিক হয়ে পড়ছে পৃথিবী। কিন্তু 'বিশ্বায়ন' -- চমৎকার এই শব্দটিকে মতবাদ হিসেবে প্রচার করছে কারা?



অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এটি মূলত ধনী আর শোষক দেশগুলোর দরিদ্র দেশের বাজার দখলের কৌশল।



সমাজতাত্ত্বিকরা মনে করছেন, এ সেই উপনিবেশের নব্য রূপ। সাংস্কৃতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার প্রয়াস।



ধনিক-বণিকরা বুঝছেন বিশ্বায়ন হলো পণ্য আর পুঁজির অবাধ প্রবাহ।



এসবই হয়তো সত্য। কিন্তু ধারণাটাকে তত্ত্ব ভাববার যুক্তি কী, আমি তাই ভাবছি। এর উৎপত্তি নিয়ে আমরা নিশ্চিত জানি যে, এটি এসেছে উন্নত দেশগুলোর মাথা থেকে, যারা মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ না করে যখন বিশ্বায়নের পক্ষে ওকালতি করে তখন সেটা করে নিতান্তই তাদের অর্থনৈতিক বিকাশকে আরো প্রসারের জন্যেই। এর পেছনে আদৌ কোনো সদিচ্ছা আছে কি-না তা নিয়ে গভীর সন্দেহ পোষণ করা যেতে পারে, যদি আমরা ম্যাক্সিকান চিন্তাবিদ ফুয়েন্তেসের দেওয়া এ তথ্যগুলো মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করি :



উন্নয়নশীল দেশগুলোর মৌলিক শিক্ষা-চাহিদা পূরণের জন্য ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারই যথেষ্ট, অন্যদিকে কেবল আমেরিকাতেই সমপরিমাণ অর্থ ব্যয় হয় প্রসাধন সামগ্রীর পেছনে। এটা কী করে মেনে নেওয়া সম্ভব?



আজকের পৃথিবীতে, গরিব দেশগুলোর খাদ্য, স্বাস্থ্য এবং পানি সমস্যা সমাধানের জন্যে তেরো বিলিয়ন মার্কিন ডলারই যথেষ্ট। অন্যদিকে কেবল ইউরোপে সমপরিমাণ অর্থ ব্যয় হয় আইসক্রিমের পেছনে। এও কি গ্রহণযোগ্য?



ইউনেস্কোর সাবেক মহাপরিচালক ফেদেরিকো মাইয়র এবং বিশ্বব্যাংকের (সাবেক) পরিচালক জেমস উলফেনসনের বলেছিলেন, ‘এটা মেনে নেওয়া অসম্ভব, যে পৃথিবী অস্ত্রের পেছনে বছরে আনুমানিক ৮০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে পারে সে কি-না প্রতিটি শিশুকে স্কুলে শিক্ষাদানের জন্য প্রয়োজনীয় ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলার জোগাড় করতে পারে না।’

বিশ্বব্যাপী সামরিক খাতে ব্যয়ের মাত্র এক শতাংশ অর্থ দিয়ে পৃথিবীর প্রত্যেক শিশুকে ব্লাকবোর্ডের সামনে দাঁড় করানো সম্ভব।



আমি বিশ্বায়ন নিয়ে আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চাচ্ছি। এর সংজ্ঞা কীভাবে দেয়া যেতে পারে, বিশ্বায়নের ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াগুলো কী, এইসব। বর্তমান পৃথিবীর তুমুল আলোচিত তর্কটা নিয়ে ব্লগে আলোচনা হওয়া উচিৎ।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৪২

প্রদীপ কুমার রায় বলেছেন: বাণিজ্যকে বাধাহীনভাবে বিশ্বব্যাপী পরিচালনা করার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নীতিমালাই হলো বিশ্বায়ন, অর্থাৎ যেকোন দেশের পণ্য যে কোন দেশে বাধাহীনভাবে প্রবেশ করতে পারবে এবং ক্রেতারা যে পণ্য পছন্দ করবেন, তাই কিনবেন; এতে কোন বাধা তৈরী করা যাবে না। এই বাণিজ্যিক বিশ্বায়নকে অবাধ করার জন্য কোন দেশ তাদের নিজস্ব পণ্য উৎপাদনের জন্য কোন ভর্তুকি প্রদান করতে পারবেন না, নিজের দেশের রাষ্ট্রায়াত্ব কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠানসমূহকে বেসরকারী মালিকানায় ছেড়ে দিতে হবে। এসব বিষয়ই বিশ্বায়নের তত্ত্বে বর্ণিত আছে।

বিশ্বায়নের তত্ত্বে যাই লেখা থাক, বিশ্বায়নকে বুঝতে হলে বিশ্বায়নের রাজনৈতিক অর্থনীতি বোঝার চেষ্টা করতে হবে। সেইসাথে বিশ্বায়নের নীতিমালাসমুহ বাস্তবায়নের জন্য যেসব কর্মকৌশল গ্রহন করা হয়, সেগুলিকে বিবেচনায় নিতে হবে।

সম্পূর্ণ বিষয়ে সামান্য কিছু আলোকপাত করতে গেলেও অনেক লিখতে হবে। তবে ভাল দিক যে, আপনি বিষয়টিকে আলোচনায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন; যা আলোচিত হওয়া খুবই প্রয়োজন। উদ্যোগের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৪৮

আবদুল হক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মূল্যবান মতামতের জন্যে।

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৪২

খোন্দকার সিদ্দিক-ই-রব্বানী বলেছেন: বিশ্বায়ণ সম্পর্কে আমার ব্লগে একটি পোষ্ট আছে, তাতে আপনার কিছুটা সমর্থন পাবেন। আমি মনে করি বিশ্বে হোক, বা আমাদের দেশে হোক, যারা নীতি নির্ধারণ করেন তাদের মনের ভিতরের একটি সাবকনশাস হিপোক্রেসি কাজ করে। সত্যিকারের বিশ্বায়ণের একটিমাত্র শর্ত আমি দিতে চাই, তা যদি সবাই মেনে নেয় তবে আমি বিশ্বায়ণকে মেনে নেব। শর্তটি হল সারা বিশ্বে মানুষের মুক্ত চলাচলের অধিকার দেয়া - কোন পাসপোর্ট ভিসা বা কোনরকমের শর্ত ছাড়া। বিশ্বায়ণের প্রবক্তারা কি তৈরী?

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৫১

আবদুল হক বলেছেন: সে তো বলাই বাহুল্য। এক তুরস্কের ভয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বছরের পর বছর ধরে কাঁপছে......
আপনার ব্লগে যাচ্ছি।

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:০৮

নার্ড বলেছেন: আসসালামু ওয়ালাইকুম হুজুর। দোয়া করবেন।

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৫৪

আবদুল হক বলেছেন: "ওয়ালাইকুম" না, আলাইকুম। আর তো অবশ্যই, আমাদের কল্যাণকামনা বৈশ্বিক। সবার জীবন সুন্দর হোক!

৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:০২

নার্ড বলেছেন: শুকরিয়া শুকরিয়া!! অনেক কিছু জানতে পারলাম আবদুল ভাইয়া।

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:২৯

আবদুল হক বলেছেন: আবদুল ভাইয়া না, হক ভাইয়া। "আব্ দ" শব্দে শুরু আরবী নামগুলোর দ্বিতীয় অংশই ফার্স্ট নেম।

৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:০৫

তারিক মাহমুদ (তারিক) বলেছেন: ভাই আমি কিন্তু অনেক কিছুরেই সহজে বুঝতে চাই, যদিও সহজে বুঝতে চাওয়া বা বুঝানোর মইদ্যে ঝামেলা আছে। বিশ্বায়ন নিয়া আনেক বিস্তারিত বুঝার প্রেয়োজন থাকতে পারে। তয় বিস্তারিত না বুইঝাও কিছু সাধারণ প্রবনতা থিকা, বা আপনে এর রুট থিকা বিশ্বায়ন কি তা ফাইন্ড আউট করতে পারেন।

বিশ্বায়ন মানুষের আধুনীক ইতিসের ঐতিহাসিক বাস্তাবতায় এখন আমাদের মত দেশ এবং জনগানের মাথার উপর ছড়ি ঘুরাইতাছে। মুলত আধুনীক যুগের আরাম্ভ এবং পুজী তার বিকাশকে নিশ্চিত করার জন্য উপনিবেশবাদ, সাম্রাজ্যবাদ, নয়-উপনিবেশবাদ, লিবারেল অর্থনীতি, নিউ-লিবারেল অর্থনীতি, বিশ্বায়ণ ইত্যাদি ইত্যাদি হাবি-জাবি একটার পর একটা হাজির করতাছে। এই সব ত্বত্ত বা মতবাদেরে আপনে চাইলে এহনকার বহুজাতিক কোম্পানীর প্রতিনিয়ত বাজারে আত্বপ্রকাশ করা পন্যর সাথে তুলনা করতে পারেন। আমার ধারণা এই তুলনায় বুঝতে শুবিধা হইবো।

তো বিশ্বয়নের আগে পুজি বুঝেন। পুজির ধর্ম বুঝেন-'ধর্ম' শব্দটা নিয়া আপনার আপত্তি থাকেতে পারে তাই কইতাছি, এইটা প্রবনতা বা চরিত্র আর্থে, 'থিওলজী" অর্থে না। পুজির ধর্মই হইলো 'মুনাফা'। মুনাফা ছাড়া পুজি তার অস্তিত্ব টিকাইয়া রাখতে পারে না। তাই মুনাফার জন্য পুজিকে সমাজ এবং রাষ্ট্রের নানান রকম সর্ম্পকের সৃষ্টি করতে হয়, পুরাতন সম্পর্ক খতম করে দিয়ে। এই ভাবেই পুজি আগায়, দুনিয়ার অধিকংশ মানুষের চিকিত্সা, স্বাস্থ, শিক্ষা, বাসস্থান এই সকল মৌলিক অধীকার লুট করে।

তো বিশ্বায়ন হলো পুজির স্ফিতির এক নয়া ফুয়েল-জ্বালানী, যা পুজিকে আরো প্রান্তে, আরো বিস্তৃত পরিশরে পন্য পৌছে দেওয়ার নিশ্চয়তা দেয় এবং দেয় এক ভদ্র-আইন সম্মত লুট-পাট আর ডাকাতির নতুন রাস্তা, যে রাস্তায় কোন চেকপোষ্ট থাকবো না, থাকে দেওয়া হইবো না।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.