![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবুঝ বেহাল এই হৃদয়টাও যে হুটহাট করে ফ্রিজ করে দেয়া যায় কোন নিঝরধারার বিস্তৃত কথামালায়; স্নিগ্ধতায় আবেশবিভোর করা শব্দভাষণেও যে জবরদখল করে নেওয়া যায় বুকের অবুঝ জমিনের সবুজ বিস্তৃতঅঞ্চল; অথবা ওমন হরিণডাগর কাজলকালো চোখের তৃষ্ণার্ত অতল চাহনীতেই বিদগ্ধ করে দেয়া যায় কোন পাথুরে হৃদয়ও; কিংবা গোলাপ পাপড়ীন্যায় কোমল কামনীয় ঠোটের কোনের এক চিলতে চপলা হাসি দিয়েই জয় করা যায় সাত সাতটা সিংহাসনও- তাতো আমার কল্পনাতীতই ছিলো!
"প্রেম আর ভালোবাসা" বিষয়গুলো ঐচ্ছিক। আবেগ, অনুভূতি, ভালোলাগা হলো তার প্রথম সোপান। এসবে আড়ি না পাতা স্বভাবা এই আমি যারপরনাই ব্যাপক বেখাপ্পা। স্বভাবজাতে ভালোবাসার অভাবী হয়েও এসবের অবাধ উন্মুক্ততায় গা ভাসাইনি কখনোই, কোনকালেই। বিবেকটাকেও বন্ধক রাখিনি আবেগের যারপরনাই সিন্ধুকেও। আবেগের আঁতুড়ঘরে কেঁদেই সারা আমার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আবেশীত অনুভূতিগুলো। ভালোবাসার উচ্ছলতায় কখনোই পা পিছলে পড়েনি আমার বেক্ষাপ্পা স্বপ্নের পালকি বয়ে নেয়া বেয়ারারা।
২) এমন হৃদয়দোলানো সৌন্দর্যরূপ পাশকাটিয়ে যাওয়ার মতো বোকারাম অন্তত আমি নই? না না, ওমন অবহেলিত মন-নদীতে সাঁতরে বেড়ানো অথবা এই অমৃতজলে ডুবে ডুবে ভেসে ওঠার মতো কাউকে কখনো আমার মনের বারান্দায় আনাগোনা করতেও দেখিনি। তবে হ্যা, বেপরোয়া বাজীতে দু’হাত মুষ্টিবদ্ধ করে আমি বলতেই পারি- আবেগতাড়িত এই আমি আবেগটাকে সামলে নেয়ার দারুন ক্ষমতা নিয়েই জন্মেছি!!
মনে দোলা দিয়ে সে পালিয়ে যায়নি, পালিয়ে যায়নি যে অবাধ হৃদয়ে প্রেমঝড় তুলেও। প্রশ্রয় দেওয়ার মতো দুঃসাহসসম্পন্ন মনো বাসনা মনেই পোষণ করেছিলাম কালে কালে, তাইতো নিরব প্রশ্রয়ের আশ্রয়েই সে জেকে বসেই তার ভালোলাগার তরী নোঙর করেছে এই মন বন্দরে। তার আকাঙ্ক্ষিত আহবানেই নিজের আবেগগুলোকে ভাসিয়েছি তারই মনো-নদীতে। মনের এই ভাবনার নিরন্তর কল্পনার জগতইতো সে।
৩) কল্পনায় ভাবী তাকে, বাস্তবতায় প্রতিক্ষণ। ভাবনার জগত সে। আবেশের নরম চাদরে পরম চতুরতায় সে আবদ্ধ করেছে আমায়। এমন আবেশীত আবেগে স্ট্রাচু হয়ে পায়ে শিকড় না গজিয়ে তার এই আমার আমিকে লুফে নেওয়ার মোক্ষম কারুকার্যে যারপরনাই অবাক হয়েছি। অবাক হয়েছি তার আরও অনেক মোহিমায়। অবাক করে দেওয়ার অনেক স্বক্ষমতা নিয়ে হাওয়ায় বেসে বেড়ানো তাকে আমি দেখেছিলাম কোন হুলফোটানো মৌমাছির মতো করে, কল্পপরীর ডানায়। সে-ও এক মহাবিশ্বেরই বাস্তবতায়।
চরম চাওয়াপাওয়ার কোন এক-সন্ধিক্ষণে তাকে আমার ভালোলাগার কথা জানবো। আমার ভালোলাগার কথা তাকে আমি জানবো কোন এক চির চির করে ঝরা দারুন এক বর্ষার সকালে, কিংবা কাঠফাটা রোদ্দুরের ক্লান্তিময় অবসন্ন্য বিকালটায়। ভালোলাগার কথাটা তাকে জানাবো ঠিক যেমন ভালোলাগায় সূর্যমুখীও একদৃষ্টে ছেয়ে থাকে সূর্যের পাণে, বিদগ্ধ জোস্নাটাও যেমন সুরভীত হয় হাসনাহেনার সৌরভে। আমি তাকে আমার ভালোলাগাটা জানাতে চাই- হাটুগেড়ে নতজানু হয়ে অপলক একদৃষ্টে...
©somewhere in net ltd.