নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সম্পর্কে সবার ই জানা, আপনাকে নতুন করে জানতে হবে না। জানার ইচ্ছে থাকলে আমাকে খুঁজে নিবেন।

জি এইস মেহেদী

আমি একজন মুসলিম,, ঘুরতে ভালবাসি, বই পড়তে পছন্দ করি। রাজনীতি কে সব সময় প্রধান্য দেয়। ইসলামী রাজনীতিতে বিশ্বাসী,, আমি চাই সব সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট থাকুক।

জি এইস মেহেদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্যের ঘরে আগুন লেগেছে তাতে আমার কি ????????????

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪০


মেয়েরা ব্রা পরে, আমরা সবাই জানি। স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু কোনো কারণে চামে দিয়ে জামা'র ফাক দিয়ে সেটার একটা স্ট্র্যাপ দেখা গেলে হইসে, পারলে রাস্তার কুকুর পর্যন্ত হায় হায় করে উঠবে। আর জামা একটু পাতলা হয়ে পেছন থেকে ব্রা'র অস্তিত্ব দেখা গেলে তো কথাই নাই। শুধু ছেলেরা না, মেয়েদের পর্যন্ত বলতে শুনসি, ইশ! মেয়েটা কি বেহায়া! তাহলে সে কি করবে? ব্রা খুলে ফেলে দিবে? সেটা হজম করার মতো মানসিক উচ্চতা এই ব্রহ্মান্ডে কয়জনের আছে?

ধরলাম মেয়েদের বুক একটা সেক্সুয়াল অর্গান, যেটা দেখে বিপরীত লিঙ্গের মানুষ উত্তেজিত হয়ে যেতে পারে। সেটার উপর একটা পর্দা বা ওড়না দিলে কিন্তু জিনিসটার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায় না, বরং একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে যায় যে এখানে এমন কিছু আছে যেটার দিকে তাকানো যাবে না। অথচ আমরা সবাই জানি সেখানে কি আছে। বরঞ্চ যতো বড় ভলিউমের কাপড় দিয়েই প্যাচানো হোক না কেনো, আমার মনেহয় সেটার দৃশ্যমান অস্তিত্ব আরও বাড়বে, কমবে না। তারচেয়ে শুরু থেকে জিনিসটাকে সাধারণ একটা শারীরিক অঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করলে কি বিষয়টা সহজ হয়ে যেত না?

খুব বেশি আগের কথা না, আমার বয়স যখন ৬/৭; গ্রামের বাড়িতে গেলে মুরুব্বি থেকে শুরু করে কিশোরীদের পোশাক ছিলো একটাই। শাড়ি। সেখানে ব্লাউজের কোনো বালাই ছিলো না। আঁচল বুকের কাছে প্যাচ দিয়ে পরা হতো, ব্রা তো বিশাল রকমের বিলাসিতা ছিলো সেখানে। মেয়েদের হাত থাকতো উন্মুক্ত। কই, তখন তো কাওকে জীবনে বলতে শুনলাম না, হাত দেখা যাওয়া খারাপ! বিষয়টাতো বহুকাল আগে থেকে এভাবেই চলে আসছিলো। তাহলে হঠাৎ স্লিভলেস কাপড় এতো বেহায়া রকমের পোশাক হিসেবে স্বীকৃতি পেলো কিভাবে?

এই সমস্যার শুরুটা আসলে কোথা থেকে? আমি চিন্তা করে পাই না। এই দেশে এতো এতো শিশু ধর্ষণ হওয়ার পরও কি ধর্ষণ মেয়েদের পোশাকের কারণে হয়, এই রকম ছোটলোকি একটা কথা মেনে নিয়ে বসে থাকতে হবে? জিনিসটার শুরুই কি বিকৃত মানসিকতা থেকে না?

যেখানে সাত মাসের শিশু পর্যন্ত বাঁচতে পারছে না, সেখানে আর কয়দিন মেয়েদের উপর দোষ চাপিয়ে আরামে থাকতে পারবে সবাই?
যত দিন পর্যন্ত আমাদের নিজেদের ভেতরের পশুকে বিসর্জিত করতে পারবো না ততো দিন পর্যন্ত এই সমাজের এরকমই থাকবে। আর সেই সব মেয়েদের বলতে চাই তোমরাও তো মেয়ে-মায়ের জাত তোমাদের উচিত অন্য কোন মেয়ের দোষ না খুজে তা ঢেকে রাখো।কারন তুমিও একদিন এই পরিস্হিতিতে পরতে পারো।

সর্বোপরি অন্যের ঘরে আগুন লেগেছে তাতে আমার কি এই মানুষিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে কারন অন্যকোনো দিন হয়তো তোমার ঘরে আগুন লাগবে তখন কাউকেই খুজে পাবে না।

#পর্দা করা ফরজ, পর্দা না করার কারণে অধিকাংশ মেয়ে জাহান্নামী হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.