নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
.... ছেলেবেলার দুরন্ত শৈশব কেটেছে নেত্রকোনায়। আর সবচেয়ে মধুর সময় ছিল সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার দিনগুলি। আর এখন কাজ করছি সুবিধাবন্চিত শিশুদের জন্য একটি স্পানিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায়।
২১ শে ফেব্রুয়ারি ২০২২ বেলা তিনটা থেকে লোকগবেষক হামিদুর রহমান পাঠাগার প্রাঙ্গণ ভরে উঠলো কোমলমতি শিশু-কিশোরদের পদচারণায়। গ্রামের এই শিশুরা প্রথমবারের মতো যোগ দিচ্ছে কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। কারণ গ্রামে এখন সেরকম ভাবে পালিত হয় না জাতীয় কোন দিবস কিংবা অনুষ্ঠান। সকাল থেকেই শিশুরা উঁকি-ঝুকি মারছে কখন শুরু হবে তাদের কাঙ্খিত অনুষ্ঠান। সকালটা ঠাণ্ডা আর কুয়াশায় ঢাকা থাকলেও বিকেলটা ছিল চমৎকার রৌদ্রােজ্জ্বল। বিকেল তিনটে থেকে শুরু হয় পাঠাগারের মহান একুশের অনুষ্ঠানমালা।
আলোচনা: ভাষা নিয়ে যুদ্ধটা কেমন করে হলো? ০৩:০০ - ০৩:৩০
একুশের কবিতা পাঠ ০৩:৩০ - ০৪:০০
একুশের গান ০৪:০০ - ০৪:৩০
ছবি আঁকা: বিষয় - অমর একুশে ০৪:৩০ - ০৫:৩০
মেলবন্ধন: ভাষা শহিদদের ছবির টুকরো অংশ মিলানো ০৫:৩০ - ০৬:০০
নতুন বইয়ের পাঠ উন্মোচন: বাংলাদেশের ভাস্কর্যে ভাষা আন্দোলন ০৬:০০ - ০৬:৩০
দিনের শুরুটা ছিল চমৎকার এক শিশুতোষ আলোচনার মাধ্যমে। প্রথমে শিশুদের ভাষা আন্দোলন বিষয়ে একটি ডকুমেন্টরি দেখানো হয় স্ক্রিণে। ডকুমেন্টরি প্রদর্শনের পরই শুরু হয় দারুণ এক আলোচনা পর্ব। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল-ভাষা নিয়ে যুদ্ধটা কেমন করে হলো? শিশুরা যে এতো অসাধারণ করে বলেতে পারে এবং তাদেরও যে এ বিষয়ে বলার দক্ষতা আছে কিন্তু বলার মতো প্লাটফর্ম নেই তা অনুধাবন করতে পারলাম।
আলােচনা পর্বের পর শিশুরা একুশের কবিতাপাঠের মধ্য দিয়ে স্মরণ করলো অমর একুশের মহান ভাষা শহিদদের। একুশের গানে গানে মুখরিত হয়ে উঠে আমাদের পাঠাগার প্রাঙ্গণ। তাও শিশুদের কণ্ঠে। এ যেন এক অন্যরকম জগতে ফিরে গিয়েছিলাম আমরা। শিশুরা যেমন উপভোগ করছে, ঠিক তেমনি আমরা বড়রাও আনন্দ গানে মেতে উঠেছিলাম।
তারপর শুরু হলো ছোটদের ছবি আঁকা। অনেক শিশু-কিশোররা ছবি আঁকা পর্বে অংশগ্রহণ করে। অনেক ছোট বন্ধুরা ছবিতে ফুটিয়ে তোলে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস, একুশের প্রভাত ফেরী, আমাদের স্বাধীনতা আরোও কতোকিছু। বিচারকমণ্ডলীরা সেরা চারজনকে বাছাই করলেও সবাইকে দেয়া হয় বই ও চকলেট উপহার।
মেলবন্ধন পর্বটিতে শিশুরা ভাষা শহিদদের ছবির টুকরো অংশ মিলানাের খেলায় বেশ আনন্দ পায়। তারা মহান ভাষা শহীদদের সাথে পরিচিত হয় এবং প্রতিটিু দলনেতা ভাষা শহিদগণের জীবনী পাঠ করে শোনায়।
সবশেষে অভিভাবক ও শিশুদের নিয়ে নতুন বইয়ের পাঠ উন্মোচন করা হয়। "বাংলাদেশের ভাস্কর্যে ভাষা আন্দোলন" শিরানামের বইটি সংকলণ ও সম্পাদনা করেন পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল।
আমরা চাই, আমাদের শিশুরা এভাবেই আনন্দে মেতে উঠুক। প্রতিটি গ্রামেই শিশুদের জন্য এরকম পাঠকেন্দ্র গড়ে উঠুক।
লোকগবেষক হামিদুর রহমান পাঠাগার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র
শুনই, আটপাড়া, নেত্রকোণা
ওয়েবসাইট: http://grampathagar.wordpress.com/
ফেসবুক পেইজ: https://www.facebook.com/gram.pathagar
ই-মেইল: [email protected]
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩৯
হাসান ইকবাল বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারণ শুনে ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটি পোষ্ট।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩৯
হাসান ইকবাল বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয়জন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০৬
শায়মা বলেছেন: বাহ ভাইয়া।
মনে পড়ে গেলো আমার ছেলেবেলা।
এইসব অনুষ্ঠান করতে গিয়েই শিখেছি ভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস কাকে বলে।
সেই সব আলোচনা গান বা কবিতা আমাকে অনুভব করটে শিখিয়েছিলো দেশের কথা। মানুষের কথা। সে সবের প্রতি ভালোবাসা।