নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটি সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি।

মুহাম্মাদ মাহমুদুল হাছান

সততা, দেশপ্রেম আর সাহায্য এই তিনটি নিয়েই আমার আমি। ধন্যবাদ।

মুহাম্মাদ মাহমুদুল হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি অসামাজিক শিক্ষা ব্যবস্থা ও বাস্তবতা-২

২৭ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬

মুহাম্মাদ মাহমুদুল হাছান : পার্থক্য এই যে ব্রিটিশ রাজত্বের বদলে এখন কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর হুকুমের গোলাম। ১০-১৫ বছর আগেও মানুষের যেই ইনকাম ছিল, রাতারাতি তা বদলে গেছে এই বাণিজ্যের দুনিয়ায়। নিম্ন-আয়ের চাকরিওয়ালাদের বেতনের খুব বেশি হেরফের না হলেও উপরের দিকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে এবং হঠাৎ করেই আমাদের প্রয়োজনের ধরনও গেছে । বাসায় বিশাল এলসিডি স্ক্রিনের টিভি, এক লক্ষ্য টাকা দামের ফ্রিজ আর হাতে আইফোন না থাকলে ঠিক যেন চলছে না! এক পুরাতন স্টাইলের শাড়ি বউ আর কতদিন পরবে? অফিস পার্টিতে কলিগদের কাছে মান -সন্মান বাচেনা! বান্ধবীর বাচ্চার জন্মদিনের অনুষ্ঠান হচ্ছে গুলশানের বিশাল কাঁচঘেরা বুফে রেস্তোরাঁয়, সেখানে ছোটখাটো গিফট নিলে মুখ থাকে? এতোসব ভুঁইফোড় সামাজিক চাহিদা বাদ দিলেও আরও নানা রঙের চাহিদার অপশন তৈরি করতে একপায়ে খাড়া ভারতীয় সমাজের রঙিন মুখোশস্বরূপ বলিউডি চ্যানেলগুলো কিংবা নানা পণ্যের বিজ্ঞাপনের আকাশ কুসুম স্বপ্ন। সামাজিক এই সব খণ্ডচিত্রের দীর্ঘমেয়াদী ফলস্বরূপ সমাজে; বিশেষত শহুরে সমাজে একইসাথে জন্ম নেয় এক ধরনের উল্লাসিকতা এবং হীনমন্যতা,বিপদজনকভাবে যখন মানুষের স্ট্যাটাসের একমাত্র পরিমাপক হল অর্থনৈতিক মানদণ্ড।



এতটুকু পড়ে মনে হতে পারে ধান ভানতে গিয়ে শিবের গীত গাইছি কেন। কেউ কেউ এর মাঝে কমিউনিজমের গন্ধও পেতে পারেন! একটু খোলাসা করি।



একটি দেশের সার্বিক সমাজব্যবস্থায় অনেকগুলা সম্প্রদায় থাকে, অনেকগুলি ইউনিট থাকে; প্রত্যেকটা অংশের পারষ্পরিক মিথষ্ক্রিয়াতেই সমাজ এগিয়ে যায়। এখন আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার দিকে একটু তাকাই। শিক্ষা মানুষের সামাজিকীকরণের একটি বড় মাধ্যম। মানুষকে সমাজের উপযুক্ত করে গড়ে তোলা শিক্ষার একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। শৈশব থেকে যদি শুরু করি, সমাজের একটি অংশ হিসেবে তাকে গড়ে তুলতে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা কতটুকু কার্যকর? আমাদের দেশে একসময় স্কুলের স্বল্পতা থাকলেও এখন অন্তত শহরাঞ্চলে স্কুল আর দুষ্প্রাপ্য নয়। বরং ক্ষেত্রবিশেষে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি; মানের ব্যাপারে প্রশ্ন থাকলেও! এখন এমনকি আবাসিক এলাকাতেও বাচ্চাদের স্কুল দু-একটা থাকেই; তারপরেও কোনো এক রহস্যজনক কারণে আগের দিনের মতোই দুই-তিন মাইল পথ পাড়ি দিয়ে পুরো শহরে যানযট বাঁধিয়ে বিশাল একটা ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে স্কুলে যায় স্কুলগামী শিশুরা। কারণ একটাই- ‘ভালো’ স্কুলে পড়া!



এখন প্রশ্ন হল- এই ভালো স্কুলের সংজ্ঞা কী?



ঢাকা শহরকে বিবেচনায় রাখলে এখানকার তথাকথিত ভালো স্কুলগুলোকে একটু লক্ষ্য করি। বাচ্চা ‘মানুষ’ করার ক্ষেত্রে কোনো এক অদ্ভুত কারণে জীবন-সমাজবিচ্ছিন্ন বিজাতীয় ভাষার বিজাতীয় কারিকুলামের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোর উপর আমরা ভরসা করি বেশি! দীর্ঘদিন ইংরেজিভাষী গোত্রের দাসত্ব মস্তিষ্কে এখনও চেপে আছে আমাদের, কিন্তু এটাই কি একমাত্র কারণ?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:১০

রুরালমারকেিটং বলেছেন: আমার সামান্য জীবন থেকে বুঝছি ... HSC বাংলা মিডিয়াম এ পড়ার পর English মিডিয়ামে UNI তে কেমন লাগে..। 1st ভাবতাম আমি গাধা but বাংলা মিডিয়াম এর সবার same অবস্থা...
এখন আনেকে আছেন privet uni কে বকা দেবেন but একবার ভেবে দখবেন কয়টা সরকারি uni আছে আর কয়জন পরতে পারে.. !!!

২| ২৭ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:২৪

মুহাম্মাদ মাহমুদুল হাছান বলেছেন: হুম তা ঠিক বলেছেন। এজন্য দায়ী আমাদের দুর্বল শিক্ষা ব্যবস্থা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.