![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা স্বপ্নের মতো ব্যাপার ছিল, যেসব মানুষের আর্থিক সঙ্গতি কম এবং মেধা রয়েছে তারাই একমাত্র পড়তে পারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে মেধার সাথে সাথে আরো কিছু কিছু বিষয়ের দিকে মনোযোগ দেয়ার সময় হয়েছে অনেক দিন ধরেই, যদিও তা এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আমি যখন ইউনিভার্সিটি পাশ করে বের হই তখন এখনকার ছেলেপেলেরা স্কুলে পড়ে, অথচ আজ এমন এক জনের কাছ থেকে এমন আচরন পেলাম যা একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের জন্য বেমানান। আগেও রাজনীতি করে এমন ছেলেরা বাহাদুরি দেখাতো, হলে বাকি খেত, কিন্তু সাবেক ভাইদের সাথে অযথা বেয়াদবী করতো এমন কখনো দেখি নি। আজ দেখলাম।
সাবেক ছাত্র হিসেবে এখনো ইউনিভার্সিটি যাই, শুক্র অথবা শনিবারে, বড় ভাই, ছোট ভাই, পুরানো ফ্রেন্ডদের সাথে আড্ডা দিয়ে চলে আসি। চাকরি-বাকরির বাইরে রিক্রিয়েশন এটাই। কিন্তু আজ মনে হলো, বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বর এখন আর আমার না, এখানে এখন একদল শকুন বাস করে।
হর্ন দেয়ার পর সরে দাঁড়াতে দেরি হওয়ায় এমন আচরন কেউ করতে পারে, তা ধারনারও বাইরে। হাত তুলতে যাচ্ছিল আমার উপর, বড় ভাই যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র, তাকে বেগ পেতে হচ্ছিল ছেলেটাকে নিবৃত্ত করতে। আমি বারবার বলছিলাম, আমি শুনতে পাই নি আপনার হর্ন, আমি আপনার অনেক সিনিয়র, ইউনিভার্সিটিরই ছাত্র ছিলাম, হলে থাকতাম, ছেলেটা ততো উত্তেজিত হলো। বলল, আমাকে নাকি বেঁধে রাখবে, ছিঃ।
সারাজীবন যা হয় নি, আজ একদিনেই বুঝলাম, মানসম্মান রক্ষা করাই বড় জিনিস, ওর হাত যদি আমার উপর উঠে যায়, তাহলে নিজেকে কোনদিনই ক্ষমা করতে পারবো না, ঘেন্না এসে যাবে নিজের উপরই, কেন আমি পলিটিক্স করি নি, কেন বড় কোন নেতার নাম তৎক্ষণাৎ বলতে পারি নি, তুই তোকারি, বের হয়ে যা শুনে চলে এসেছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক একজন ছাত্র হিসেবে এখন ঘৃনা হচ্ছে নিজের উপর। হলে থেকে পড়াশোনা করেছি পাঁচ বছর, কারো সাথে কোন ধরনের ঝামেলায় জড়াই নি, রাজনীতিতে জড়াই নি, ছা-পোষা মানুষ আমাদের ওসব মানায় না। তারই খেসারত সম্ভবত দিতে হলে আজকে।
মাথা নীচু করে ইউনিভার্সিটি ছেড়ে চলে এলাম।
ছেলেটা সম্ভবত ক্ষমতাসীন দলের নতুন নেতা, নাম জানারও প্রয়োজন বোধ করি নি, ওর যা করার করেছে, খুব বেশি দিন না, এর উলটো পিঠও দেখবে। কারন আমরা যখন ছাত্র ছিলাম, এই ধরনের ছেলেদের হাল কেমন হয় তা অনেকবার সচক্ষে দেখেছি।
ওর প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই, ভালো শিক্ষা পায় নি বলেই হয়তো এই অবস্থা।
২| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪২
একাকী বালক বলেছেন: ওর প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই, ভালো শিক্ষা পায় নি বলেই হয়তো এই অবস্থা।
>>> শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব কি ঢা.বিইর না?
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৪
হাসানশরিফুল বলেছেন: এই ধরনের শিক্ষার শুরুটা হয় পরিবার থেকে, বড়দের সম্মান করার শিক্ষা কি একজন ইউনিভার্সিটি ছাত্রকে দেয়া সম্ভব?
৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৫
সর্বনাশা বলেছেন:
আমি জানিনা যাঁরা ঢাবিতে পড়ছেন বা পড়েছেন, তাঁরা কেন যেন ঢাবির কোন সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না অথবা এই ব্যাপারগুলোতে নীরব থাকেন।
দিনে দিনে এটি একটি শিক্ষিত বেয়াদবদের আখড়ায় পরিণত হচ্ছে।
৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৭
একাকী বালক বলেছেন: লেখক বলেছেন: এই ধরনের শিক্ষার শুরুটা হয় পরিবার থেকে, বড়দের সম্মান করার শিক্ষা কি একজন ইউনিভার্সিটি ছাত্রকে দেয়া সম্ভব?
>>> আমি দেখছি অনেক ভদ্র, ভাল, ক্লাসের প্রথম হওয়া ছেলে ঢা.বিতে ঢুকে ১ বছরের মাথায় পুরা গন কেস। ১ বছর পর কথা বলে মনে হয় অন্য কেউ।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫২
হাসানশরিফুল বলেছেন: সেরকম ঘটনাও ঘটে, কিন্তু সেই ধরনের ছেলেরা যাতে রাজনীতিই করুক, নেশা করুক, পরিবারের শিক্ষা কিন্তু ভোলে না।
৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫০
নানাভাই বলেছেন: লেখক বলেছেন: এই ধরনের শিক্ষার শুরুটা হয় পরিবার থেকে, বড়দের সম্মান করার শিক্ষা কি একজন ইউনিভার্সিটি ছাত্রকে দেয়া সম্ভব? ১০০%সহমত।
৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫৬
একাকী বালক বলেছেন: নানাভাই বলেছেন: লেখক বলেছেন: এই ধরনের শিক্ষার শুরুটা হয় পরিবার থেকে, বড়দের সম্মান করার শিক্ষা কি একজন ইউনিভার্সিটি ছাত্রকে দেয়া সম্ভব? ১০০%সহমত।
>>> হা হা হা। মানে কি? ঢা.বি থেকে বের হওয়া একজন বয়সে বড় কাউকে সম্মান করবে না আর সেই দায়িত্ব কিছুটা হলেও ঢা.বির উপর বর্তাবে না? হা হা হা। আমার তো মনে হয় এরা শিক্ষকদেরও সম্মান করে না এবং শিক্ষকরা কিছু বলে না। শিক্ষককে অসম্মান করলে একটা শাস্তি পাইলে তাও কিছু শিখত। বরং যদি বলি ঢা.বিতে ঢুইকা ধরাকে সরা কইরাও যখন দেখে কোন শাস্তি নাই, তখন হইয়া যায় বেয়াদব। তাইলে কি বলবেন?
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০২
হাসানশরিফুল বলেছেন: আসলে কি বলবো বুঝতে পারছি না। এমন পরিস্থিতিতে কখনো পড়ি নি, কল্পনাও করতে পারি নি, সম্ভবত ফার্স্ট ইয়ারে পড়া একটা ছেলে তেড়ে আসছে আমাকে মারার জন্য।
অন্য কোন এলাকায় এইরকম পরিস্থিতিতে পড়লে একদম খারাপ লাগতো না, আমি নিজেও হাত পাকিয়ে তৈরি থাকতাম, মার খাওয়ার জন্য এবং দেওয়ার জন্য।
কিন্তু... এখানে আমি হতবাক...
৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০৬
একাকী বালক বলেছেন: লেখক বলেছেন: আসলে কি বলবো বুঝতে পারছি না। এমন পরিস্থিতিতে কখনো পড়ি নি, কল্পনাও করতে পারি নি, সম্ভবত ফার্স্ট ইয়ারে পড়া একটা ছেলে তেড়ে আসছে আমাকে মারার জন্য।
অন্য কোন এলাকায় এইরকম পরিস্থিতিতে পড়লে একদম খারাপ লাগতো না, আমি নিজেও হাত পাকিয়ে তৈরি থাকতাম, মার খাওয়ার জন্য এবং দেওয়ার জন্য।
কিন্তু... এখানে আমি হতবাক...
>>> ব্যাপার না ভাই। কি আর করবেন। অদ্ভুদ এক ঘোরের ভিতর আছে সবাই। বাইক, স্মর্টফোন, বাইকে গার্ল ফেন্ড..... এই সবের ভীড়ে সহমর্মিতা, আদব কায়দার বালাই নাই।
৮| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১৭
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
৯| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৩৬
বাগসবানি বলেছেন: ড্রাইভারদের প্রাওরিটি সবসময়ই কম এই আইনটা মনে হয় শেখানো দরকার ছিল ।
১০| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:২০
সুজন_৮৮ বলেছেন: ভাই আমিও ঢা বি এর ছাত্র ছিলাম, সদ্য পাস করে বের হলাম, ভাইদের বলি ঢা বি এর সব ছাত্র এক রকম না, গুটিকয়েক ছাত্র এর জন্য আমাদের ইউনিভার্সিটির নাম খারাপ হচ্ছে......
ভাল মন্দ সব নিজের কাছে, আপনার যদি এই মূল্যবোধ না থআকে পাশের জনের সাথে কিভাবে আচরণ করতে হবে সেটা ঢা বি কেন, কেউ তাকে শিখাতে পারবে না, ঢা বি ত তার পিছন পিছন থাকবে না যে এই তা করো না সেইটা করো না, আপনি জা করছেন সেটা যে খারাপ না ভাল সেটা যদি বুজার ক্ষমতা কন মানুষের না থাকে দুনিয়ার কোন প্রতিষ্ঠান এ তাকে আদব কায়দা শিখাতে পারবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৭
খেয়া ঘাট বলেছেন: ভাই কুত্তায় গ্যাও গ্যাও করবে, শুকরে গুৎ গুৎ করবে, এটাইতো স্বাভাবিক।
এর জন্য মনে কোনো দুঃখ রাখার দরকার নেই। যদিও আপনার অনুভূতি অনুভব করতে পারছি।