নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১
জমিদার বাড়ী সিরিজের সব লেখাঃ "বাংলার জমিদার বাড়ী"
শীতের এই ঘোলাটে কুয়াশার চাদরে মোড়া ভোরবেলায় পায়ের নিচে শিশিরভেজা ঘাস,আর হাড়কাঁপানো কনকনে শীতে জড়সড় হয়ে ঘুরে বেড়াতে আপনাকে ডাক দিচ্ছে এখন উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের প্রকৃতির রূপ। এমন দিনে সেখানে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। ঘুরে ঘুরে দেখতে পারেন ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা স্মৃতিচিহ্নগুলো। টাঙ্গন, শুক ও সেনায়া বিধৌত এই জনপদের একটি ঠাকুর পরিবারের উদ্যোগে বৃটিশ শাসনমলে বর্তমান পৌরসভা এলাকার কাছাকাছি কোনো স্হানে একটি থানা স্হাপিত হয়। এই পরিবারের নাম অনুসারে থানাটির নাম হয় ঠাকুরগাঁও থানা। "ঠাকুর" অর্থাৎ ব্রাহ্মণদের সংখ্যাধিক্যের কারণে স্হানটির নাম ঠাকুরগাঁও হয়েছে। আর এই ঠাকুরগাঁও এর হরিপুর রাজবাড়ি দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে।
ঠাকুরগাঁও হরিপুর উপজেলার কেন্দ্রস্থলে হরিপুর রাজবাড়ি। এই রাজবাড়ি ঘনশ্যাম কুন্ডুর বংশধরদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। মুসলিম শাসনামলে আনুমানিক ১৪০০ খ্রিস্টাব্দে ঘনশ্যাম কুন্ডু নামক একজন ব্যবসায়ী এন্ডি কাপড়ের ব্যবসা করতে হরিপুরে আসেন। সেই সময়ে মেহেরুন্নেসা নামে এক বিধবা মুসলিম মহিলা অত্র অঞ্চলের জমিদার ছিলেন। তাঁর বাড়ি মেদিনীসাগর গ্রামে। এই জমিদারির খাজনা দিতে হতো তাজপুর পরগনার ফৌজদারের নিকট। খাজনা অনাদায়ের কারণে মেহেরুন্নেসার জমিদারির কিছু অংশ নিলাম হয়ে গেলে ঘনশ্যাম কুন্ডু কিনে নেন। ঘনশ্যামের পরবর্তী বংশধরদের একজন রাঘবেন্দ্র রায় উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বৃটিশ আমলে হরিপুর রাজবাড়ির কাজ শুরু করেন। কিন্তু তাঁর সময়ে রাজবাড়ির কাজ শেষ হয়নি। রাঘবেন্দ্র রায়ের পুত্র জগেন্দ্র নারায়ণ রায় উনবিংশ শতাব্দীর শেষদিকে রাজবাড়ির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেন। এসময় তিনি বৃটিশ সরকার কর্তৃক রাজর্ষি উপাধিতে ভূষিত হন। ১৯০০ সালের দিকে ঘনশ্যামের বংশধররা বিভক্ত হয়ে গেলে হরিপুর রাজবাড়িও দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে যায়।
জগেন্দ্র নারায়ণ রায়ের সমাপ্তকৃত রাজবাড়ির দ্বিতল ভবনে লতাপাতার নকশা এবং পূর্ব দেয়ালের শীর্ষে রাজর্ষি জগেন্দ্র নারায়ণের চৌদ্দটি মূর্তি আছে। তাছাড়া ভবনটির পূর্বপাশে একটি শিবমন্দির এবং মন্দিরের সামনে নাট্যশালা রয়েছে। রাজবাড়িতে ছিল একটি বড় পাঠাগার যার অস্তিত্ব এখন নেই। রাজবাড়িটির যে সিংহদরজা ছিল সেটিও নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। রাঘবেন্দ্র-জগেন্দ্র নারায়ণ রায় কর্তৃক নির্মিত রাজবাড়িটি বড় তরফের রাজবাড়ি নামে পরিচিত। এই রাজবাড়ির পশ্চিমদিকে নগেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌঃ ও সিরিজা নারায়ণ চৌঃ ১৯০৩ সালে আরেকটি রাজবাড়ি নির্মাণ করেন যার নাম ছোট তরফ। ছোট তরফের রাজবাড়ির সামনে অর্থাৎ দক্ষিণ দিকে আনুমানিক ৪০০ বছরের পুরাতন একটি শিবমন্দির আছে। জোড়বাংলা পদ্ধতিতে মন্দিরটি তৈরি। মন্দিরটির চারদিকের দেয়ালে রয়েছে টেরাকোটা নকসা। মন্দিরটির দক্ষিণে একটি দরজা এবং পুর্ব ও পশ্চিম দেয়ালে একটি করে ক্ষুদ্রাকৃতির জানালা আছে। অনুমান করা হয় যে শিব মন্দিরটি ঘন-শ্যাম কুণ্ডু বা তার নিকটবর্তী বংশধরদের দ্বারা নির্মিত।
হরিপুরের এ ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়িটি এখন কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে পরিত্যক্ত এ রাজবাড়ির বিভিন্ন কক্ষ স্থানীয় মহিলা সমিতি, ভূমি অফিসার্স সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠন অফিস হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। রাজা ও রাজ পরিবারের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এটি সংস্কার করা উচিত।
ঢাকার শ্যামলী, কল্যাণপুর ও গাবতলী থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন কোম্পানির বাস ছেড়ে যাচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের উদ্দেশে। তারপর ঠাকুরগাঁও থেকে বাস কিংবা ব্যাটারিতচালিত অটোরিকশায় করে হরিপুর রাজবাড়ি। এ ছাড়াও আরো দেখতে পাবেন দেশজুড়ে পরিচিত বড় আমগাছটি। চাইলে পঞ্চগড়ের চা বাগান এলাকা তেঁতুলিয়া ও জিরো পয়েন্ট এলাকা বাংলাবান্ধাও ঘুরে আসতে পারেন।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ, মামুন ভাই। দুইদিন পর সামুতে ঢুকতে পারলাম।
২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬
ইখতামিন বলেছেন:
জমিদার বাড়ির পোস্ট ভালো লাগলো
+++++++++
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ইখতামিন। পুরো সিরিজ জুড়ে সাথে পাবো আশা করি।
৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২২
এয়ী বলেছেন: অসাধারন পোস্ট ।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ত্রয়ী, সিরিজ জুড়ে সাথে পাবার প্রত্যাশায়...
৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৩
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: সিরিজে ভালো লাগা
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ নাজমুল হাসান মজুমদার।
৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২২
এহসান সাবির বলেছেন: দারুন।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: থ্যাঙ্কিউ এহসান সাবির ভাই।
৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩৬
সামাইশি বলেছেন: হায় প্রত্নতত্ব বিভাগের কি চোখ পড়েনা। পোস্টার জন্য ধন্যবাদ।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কিছু বলার না... আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য রক্ষার দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেকের, এই বিশ্বাস থেকেই এই সিরিজের সূচনা।
৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২০
শায়মা বলেছেন: অবাক লাগে একদিন কত প্রানের ছোঁয়া ছিলো, ভালোবাসা, যত্ন দিয়ে ঘেরা ছিলো যে বাড়িটি তা এখন মৃত। শুধু কঙ্কালখানি পড়ে রয়েছে।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এই সিরিজ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আপনার মন্তব্যর কথাগুলোই আমার বারেবার মনে হয়।
বেশীরভাগ জমিদার বাড়ীরই এই অবস্থা। এইমাত্র ভাওয়াল রাজার শ্মশান এবং তদসংলগ্ন মন্দির ঘুরে এলাম...... সব অবহেলা, অযত্নে নষ্ট হচ্ছে...
পোষ্টে উপস্থিতি এবং মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৪
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ইতিহাস জেনে ভাল লাগল
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ, আমি তুমি আমরা।
৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১৩
মাদিহা মৌ বলেছেন: এত ভয়াবহ অবস্থা! যত দেখছি, তত হতাশ হচ্ছি!
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হাতে গোনা আট দশটা ছাড়া বেশীরভাগ জমিদার বাড়ী'রই অবস্থা করুণ। অবহেলা আর অযত্ন...
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৩
মামুন রশিদ বলেছেন: পোস্টে ভালোলাগা ।