নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

চন্দ্রনাথ মন্দির – সীতাকুণ্ড পাহাড়, আর আমার সেইরাম একটা আছাড়!!! :(

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯





হাঁপাতে হাঁপাতে প্রায় মিনিট পাঁচেক সময় নিলাম নিজের শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়ে আসতে। তখন অবশ্য শ্বাস-প্রশ্বাস এর ব্যাপারটা মাথায় নেই। ডানে-বায়ে দুদিকে চিরহরিৎ বর্ণের চাদরে ঢাকা পাহাড়, পেছনেতো সারি সারি ছোট-বড় পাহাড়-টিলা সবুজে ঢেকে আছে। সামনে একটু নিচু এক পাহাড়ের চূড়োয় একটা মন্দির ছোট্ট খেলনা বিন্দুর মত লাগছে। আরেকটু সামনে তাকালে বঙ্গোপসাগরের অংশ চোখে পড়ে। তারপরে দিগন্ত রেখায় লম্বা কালো একটা টান, ক্রমশ সমুদ্রতলে হারিয়ে যেতে থাকা দ্বীপ ভূখণ্ড ‘সন্দিপ’। নীচের চারটি ছবি সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ মন্দির যে পাহাড়ে অবস্থিত, সেখান হতে চারদিকের দৃশ্য’র সাক্ষী দিচ্ছে।







ঘটনার শুরু ঈদের তিন-চার দিন পর থেকে। ভ্রমণবন্ধু হাসিব ঈদের আগেই তার ফেবুতে স্ট্যাটাস দিল, চিটাগং হান্টিং এ যাচ্ছে; টার্গেট আশেপাশের এলাকা সব চষে ফেলা। কিন্তু ছুটি আর কর্মব্যাস্ততার গ্যারাকলে আরও দু’য়েকজনের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমাদের সাথে যোগ দিতে পারেনি। কিন্তু চিটাগং পৌঁছানোর পর থেকে বৈরী আবহাওয়া আর বৃষ্টির রোষানলে পড়ি আমরা। তিনদিন তেমন কোথাও যাওয়া হয় নাই, ফলে তিন চারটি টার্গেটেড স্পট বাদ গেছে এবার, নেক্সট টাইম হবে ইনশাল্লাহ।







গত মাসের সাত তারিখ ভোর থেকে এই মেঘ... এই বৃষ্টি... এই চলল রৌদ্র-ছায়ার খেলা। দ্বিধা-দন্দ ঝেড়ে ফেলে সকাল নয়টা নাগাদ হাসিবের ভাইয়ের বাসা হতে আমরা বের হলাম (এই এক সপ্তাহ আমরা উনার বাসাতেই ছিলাম)। সকাল দশটায় অলংকার মোড় হতে চয়েস পরিবহণের গাড়ীতে করে রওনা হলাম সীতাকুণ্ড। পথে এই তুমুল বৃষ্টি পড়ে তো এই আবার সূর্য উঁকি দিয়ে রৌদ্র ছড়িয়ে যায়। বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ আমরা সীতাকুণ্ড পৌঁছলাম।







চন্দ্রনাথ মন্দির উঠার দু’তিনটি রাস্তা আছে, তন্মদ্ধ্যে একটি হল সীতাকুণ্ড কলেজ রোড দিয়ে সোজা গিয়ে বাঁধানো সিঁড়ি সংযুক্ত যে পথে বেশ কিছু মন্দির পড়ে সেই পথ। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পিচ্ছিলতা তার সাথে আমার হালকা পাতলা শরীর (অল্পের জন্য যা কিলোগ্রামে থ্রি ডিজিট টাচ করে নাই) এবং আমাদের দুইজনের ছোট্ট দল, এগুলো বিবেচনায় রেখে আমরা এই পথটি নির্বাচন করি পাহাড়ে উঠার। যদিও অধিকাংশ ট্রাভেলারের মতে এই পথে নামা সহজ, উঠা সহজ মাটির রাস্তা দিয়ে যা ইকো পার্কের সংলগ্ন। কিন্তু কি আর করা, হাজার হলেও সেইফটি ফার্স্ট।







বাস থেকে নেমে রিকশা করে কলেজ রোড হয়ে একেবারে পাহাড় সংলগ্ন মন্দির এলাকার গেটে পৌঁছলাম। তখন আবার বৃষ্টি পড়তে শুরু করেছে। আমি আর হাসিব দুজনেই দ্বিধায় ছিলাম কি করা যায়? সাহস করে উপরে উঠা শুরু করলাম। প্রথম আধ ঘণ্টা মানুষজনের দেখা পাচ্ছিলাম, কিন্তু একটা ছোট্ট মন্দির পেরুনোর পর আর কারো দেখা নাই। কি করি... কি করি... এই যখন ভাবছি তখন উপর থেকে বছর বিশ-পঁচিশের তিনজন ছেলে নেমে আসলো। তারা ফিরে আসার কারণ বৃষ্টির জন্য সিঁড়ি দিয়ে প্রচুর পানি নামছিল, অনেকটা ঝিরি পথের মত। আর তাই ভয়ে তারা এগোয় নাই। আমাদের দেখে যখন জানলো আমরাও উপরে মন্দিরে যাবো, তখন তারা আবার আমাদের সাথী হল, আমাদেরও কিছুটা ভয় কমল। পিচ্ছিল সিঁড়ি দিয়ে সাবধানে পা ফেলে ফেলে এগুতে লাগলাম। এরই মধ্যে আরও দুটি ছেলে পেছন থেকে এসে আমাদের দলে ভিড়ে গেল। দল হল সাতজনের।







খাড়া উপরের দিকে উঠা মানেই আপনি মধ্যাকর্ষণের বিপরীতে চলছেন, এই যাত্রা প্রচুর কষ্টকর। আমিতো বিশ-ত্রিশ ধাপ উঠে উঠে মাছের মত হা করে শ্বাস নিতে থাকি আর হৃদপিণ্ডের অস্বাভাবিক লাফালাফি থামাতে মিনিট’খানেকের বিরতি। এক সময় আমাদের ফেলে বাকী পাঁচ জন অনেক দূর এগিয়ে গেল এবং উঁচু একটা জায়গা হতে আমাকে নিষেধ করল আর না উঠতে। কারণ সত্যি আমার বুকের বাম পাশে মৃদু ব্যাথা হচ্ছিল। মিনিট পাঁচেক রেস্ট নেয়ার পর দেখি পেছন হতে বছর পঞ্চাশের এক মহিলা সহ চারজনের একটা পরিবার উঠছে, মন্দিরে পুজোতে যাওয়ার জন্য। তখন ভাবলাম এই বৃদ্ধ মহিলা, বছর দশের একটা ছোট্ট বালিকা এরা যদি উঠতে পারে, তবে আমি কেন পারবো না? শুরু করলাম থেমে থেমে কচ্ছপ গতিতে উপরে উঠা। প্রায় দুই ঘণ্টা সময় নিয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে ১৬০০+ ফুট উচ্চতার পাহাড়ে প্রায় ১২০০ ফুট উঁচু সিঁড়ির সারি আর কাঁচা মাটির পথ মাড়িয়ে বেলা দেড়টা নাগাদ উঠলাম সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চুড়ায়। উঠে মনে হল না উঠলে অনেক বড় কিছু মিস করতাম।







ঘন বর্ষায় যারা পাহাড়ের রূপ দেখেছেন তারা বুঝবেন এটা কি জিনিষ। সবুজে যেন চোখ ঝলসে যায়, আর তার উপর সারারাত-ভোর ছিল তুমুল বৃষ্টি। ফলে পরিস্কার আকাশের নীচে সূর্যালোকে সেই উঁচু হতে চারিদিকের সবুজ পাহাড়ের সৌন্দর্যে ছিল এক ঘোর লাগানো মাদকতা যা আপনি অন্য সময় পাবেন না। বিশ্বাস না হলে কিছু ছবি দেখুন।







সীতাকুন্ড শহরের পূর্বে অবস্থিত (চন্দ্রনাথ শৃঙ্গ) ১১৫২ ফুট উঁচু, রাজবাড়ি টিলার উচ্চতা ৮৮৯ ফুট এবং সাজিঢালার উচ্চতা ৮০১ ফুট। চট্টগ্রাম শহরের কাছাকাছি এসে এই পাহাড়ের উচ্চতা অনেক কমে এসেছে। চট্টগ্রাম শহরের উপকন্ঠে বাটালি হিলের উচ্চতা ২৮০ ফুট এবং শহর থেকে সামান্য উত্তরে নঙ্গরখানা ২৯৮ ফুট উঁচু। এই সীতাকুণ্ড পাহাড়ের সারি ধরে একে একে সহস্রধারা আর সুপ্ত ধারা নামের দুটি জলপ্রপাত। মীরসরাই অংশে রয়েছে খৈয়াছড়া, হরিণমারা, হাটুভাঙ্গা, নাপিত্তাছড়া, বাঘবিয়ানী, বোয়ালিয়া, অমরমানিক্যসহ আরো অনেক অনেক ঝর্ণা ও জলপ্রপাত। পূর্বদিকে এই পাহাড় থেকে উৎসারিত হয়ে কয়েকটি ঝর্ণা তথা খাল হালদা নদীতে গিয়ে মিলিত হয়েছে। এর মাঝে গজারিয়া, বারমাসিয়া, ফটিকছড়ি, হারুয়ালছড়ি এবং বোয়ালিয়া অন্যতম। পশ্চিম দিকে মহামায়া ছড়া, মিঠাছড়া সহ আরো কয়েকটি ছড়া ও ঝর্ণা বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। বর্তমানে মহামায়া ছড়ার উপর একটি রাবার ড্যাম নির্মিত হয়েছে। এই লেক দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম লেক, তাছাড়া নীলাম্বর হ্রদ নামে একটি মনোরম লেক এই পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত।



নীচের ছবির প্রথমটি সেই বিখ্যাত "চন্দ্রনাথ মন্দির"।







বাংলাদেশের সীতাকুন্ডের নিকটে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের উপরে অবস্থিত চন্দ্রনাথ মন্দির অন্যতম বিখ্যাত শক্তিপীঠ। সীতাকুণ্ড অপরূপ প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয্যের লীলাভূমি । এ এলাকাকে হিন্দুদের বড় তীর্থস্থান বলাই ভালো । এখানের সর্বোচ্চ পাহাড় চুড়ায় অবস্থিত চন্দ্রনাথ মন্দির । আর অন্যান্য আরো রয়েছে বড়বাজার পূজা মন্ডপ, ক্রমধেশ্বরী কালী মন্দির, ভোলানন্দ গিরি সেবাশ্রম, কাছারী বাড়ী, শনি ঠাকুর বাড়ী, প্রেমতলা, শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রাহ্মচারী সেবাশ্রম, শ্রী রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম, গিরিশ ধর্মশালা, দোল চত্বর, এন,জি,সাহা তীর্থযাত্রী নিবাস, তীর্থ গুরু মোহন্ত আস্তানা, বিবেকানন্দ স্মৃতি পঞ্চবটি, জগন্নাথ আশ্রম, শ্রীকৃষ্ণ মন্দির, মহাশ্মশানভবানী মন্দির, স্বয়ম্ভুনাথ মন্দিগয়াক্ষেত্, জগন্নাথ মন্দির, বিরুপাক্ষ মন্দির, পাতালপুরী, অন্নপূর্ণা মন্দির ইত্যাদি। এখানে হিন্দু পবিত্র গ্রন্থসমূহ অনুসারে সতী দেবীর দক্ষিণ হস্ত পতিত হয়েছিল। সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ মন্দির তীর্থযাত্রীদের জন্য এক পবিত্র স্থান। এর পুরনো নাম ছিলো "সীতার কুন্ড মন্দির"। রাজমালা অনুসারে প্রায় ৮০০ বছর পূর্বে গৌরের বিখ্যাত আদিসুরের বংশধর রাজা বিশ্বম্ভর সমুদ্রপথে চন্দ্রনাথে পৌঁছার চেষ্টা করেন। ত্রিপুরার শাসক ধন মানিক্য এ মন্দির থেকে শিবের মূর্তি তার রাজ্যে সরিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা করে ব্যর্থ হন।







এই চন্দ্রনাথ মন্দিরে প্রতিবছর শিবরাত্রি তথা শিবর্তুদশী তিথিতে বিশেষ পূজা হয়; এই পূজাকে কেন্দ্র করে সীতাকুণ্ডে বিশাল মেলা হয়। সীতাকুন্ড চন্দ্রনাথ পাহাড় এলাকা বসবাসকারী হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছর বাংলা ফাল্গুন মাসে (ইংরেজী ফেব্রুয়ারী-মার্চ মাস) বড় ধরনের একটি মেলার আয়োজন করে থাকে। যেটি শিবর্তুদর্শী মেলা নামে পরিচিত। এই মেলায় বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্য সাধু এবং নারী-পুরুষ যোগদান করেন।







বিভিন্ন তথ্য অনুসারে এখানের ইতিহাস সম্পর্কে নানা ধরনের তথ্য জানা যায়। প্রাচীন নব্যপ্রস্তর যুগে সীতাকুণ্ডে মানুষের বসবাস শুরু হয় বলে ধারনা করা হয়। এখান থেকে আবিষ্কৃত প্রস্তর যুগের আসামিয় জনগোষ্ঠীর হাতিয়ার গুলো তারই স্বাক্ষর বহন করে। ইতিহাস থেকে যতটুকু জানা যায়, ৬ষ্ঠ ও ৭ম শতাব্দীতে সম্পূর্ণ চট্টগ্রাম অঞ্চল আরাকান রাজ্যের অধীনে ছিল। এর পরের শতাব্দীতে এই অঞ্চলের শাসনভার চলে যায় পাল সম্রাট ধর্মপাল দ্বারা এর হাতে (৭৭০-৮১০ খ্রীঃ)। সোনারগাঁও এর সুলতান ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ্ (১৩৩৮-১৩৪৯ খ্রীঃ) ১৩৪০ খ্রীষ্টাব্দে এ অঞ্চল অধিগ্রহন করেন। পরবর্তীতে ১৫৩৮ খ্রীষ্টাব্দে সুর বংশের শের শাহ্ সুরির নিকট বাংলার সুলতানি বংশের শেষ সুলতান সুলতান গীয়াস উদ্দীন মুহাম্মদ শাহ্ পরাজিত হলে হলে এই এলাকা আরাকান রাজ্যের হাতে চলে যায় এবং আরাকানীদের বংশধররা এই অঞ্চল শাসন করতে থাকেন। পরবর্তীতে পর্তুগীজরাও আরাকানীদের শাসনকাজে ভাগ বসায় এবং ১৫৩৮ খ্রী: থেকে ১৬৬৬ খ্রী: পর্যন্ত এই অঞ্চল পর্তুগীজ ও আরাকানী বংশধররা একসাথে শাসন করে। প্রায় ১২৮ বছরের রাজত্ব শেষে ১৯৬৬ খ্রী: মুঘল সেনাপতি বুজরুগ উন্মে খান আরাকানীদের এবং পর্তুগীজদের হটিয়ে এই অঞ্চল দখল করে নেন।







বেশ কিছুসময় প্রকৃতির রুপসুধা পান আর সাথে ফটোসেশন করে বেলা দুইটার দিকে নামা শুরু করলাম একই পথে। নামার সময় ভেবেছিলাম কষ্ট কম হবে। কিন্তু একি? একেতো খাড়া সিঁড়ি, তার উপর হাঁটুর কাছ থেকে পা ভয়াবহ রকমের কাঁপা শুরু করলো। ভয়ে নয়, ব্যাথায়। অতিরিক্ত ওজন যাদের তাদের মূল সমস্যা এই পায়ের হাঁটু হতে পাতা পর্যন্ত। আমি যখন অর্থপেডিক্স ডাক্তারকে বলেছিলাম, উনি এটার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। আমাদের পুরো শরীরের ওজন কিন্তু হাঁটু হতে পায়ের পাতা, এই অংশকেই বহন করতে হয়। তাই আমার মত হালকা-পাতলা ;) বেশীরভাগ মানুষই পায়ের ব্যাথায় ভুগেন। যাই হোক ওঠার সময় যে ভয় ছিল, নামার সময় তা তেমন ছিল না। একটু সাবধানতাও বোধ হয় কম ছিল। নামার সময় সারাক্ষণ ছবি তুলছিলাম। সবুজের সারি, কখনো ছোট ঝিরি ধরে পাহাড় হতে গড়িয়ে আসা পানিতে সৃষ্ট ক্ষুদ্র ঝর্না, কখনো বানরের দলের দৌড়-ঝাঁপ ইত্যকার নানান কিছুর ছবি তুলতে তুলতে সোয়া ঘণ্টার মধ্যে নীচে নেমে এলাম। একেবারে যখন নীচে নেমেছি তখন ঘটলো আসল ঘটনা।







আর মাত্র সাত আটটা বাঁধানো সিঁড়ি নেমে মেইন গেট যার বাইরে সিএনজি, রিকশা ইত্যাদি দাঁড়িয়ে। শেওলা জমা একটা স্থানে বেখেয়ালে পা দিয়ে নামতে যেয়ে চিৎপটাং। পুরো শরীরের ভর নিয়ে পিছলে ধপাস করে বসে পড়লাম দুই ধাপ নীচের সিঁড়িতে। প্রায় মিনিট দুয়েক আমার ব্যাক হিপের মাংসপেশি সংলগ্ন এলাকা সেন্সলেস ছিল। ব্যাথার প্রচণ্ডতা আমি লিখে বুঝাতে পারবো না। অনেক কষ্টে চিটাগং ফিরে রাতেই জিইসি মোড়ের মেট্রোপলিটন হসপিটালে অর্থপেডিক্স এর এক প্রফেসর সাহেবের এপয়ণ্টমেণ্ট যোগাড় করে দিলেন হাসিবের বড় ভাই। ডাক্তারের দেয়া হাই ডোজের পেইন কিলার আর ঔষধ দিয়ে আরও তিনদিন চিটাগং থেকে আরও চারটি স্পট দেখে ঢাকায় ফিরলাম। ফিরে স্পোর্টস মেডিসিনের ডাক্তার দেখালাম। ডাক্তারের পরামর্শে মাঝখানে গর্তবিশিষ্ট একটা গদি বানিয়ে এখন সেটাতেই আমার সারাক্ষণ বসা, শোয়া। আর ঘোরাঘুরিতো বন্ধই, চলন বিল, সিলেটের দুটা ট্যুর, জমিদার বাড়ীর খোঁজ সব বন্ধ। এখন ফিজিওথেরাপি নিয়ে যদি সম্পূর্ণ ব্যাথামুক্ত হতে পারি। এই বোকা ট্রাভেলারের জন্য দোয়া করবেন। তবে লাভ হয়েছে একটাই, প্রচুর ভ্রমন বিষয়ক লেখা পেন্ডিং রয়ে গেছে সেগুলো একে একে লিখে শেষ করতে পারবো।







ইনফোঃ http://bn.wikipedia.org/wiki/

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৬

সোহানী বলেছেন: দারুন....... অসাধারন..................++++++++++

কিছু ছবি আসেনি.......... রিলোড করবেন......

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ। সকাল থেকে পোস্ট করতে বসছি, সামু সার্ভার এমন খাতির করছে যে, এখনো পোস্ট পুরো আপলোড করতে পারছি না। ৫০-৪০০ কেবি'র ছবিতেও এররের পর এরর দেখায়া যাচ্ছে। :(

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৪

ভুং ভাং বলেছেন: ভ্রমন ব্লগ ছবি ছারা অসম্পূর্ণ , ছবির জন্য অসাধারন হয়েছে ।ভালো লাগলো ।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ছবির জন্য অসাধারন হয়েছে !!!! :(


আমার লেখা, আমার ব্যাথা........ সব দুধ ভাত? :((

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভাই পড়ুম আর কী? ছবি দেখেই তো মনটা ভরে গেল।


ছবিগুলো খুবই সুন্দর হয়েছে।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দেশ প্রেমিক বাঙালী। না হয় শুধু ছবিই দেখেন। তবে ছবিতে সেই রূপের ২০%ও ধরা পড়ে নাই। পুরাই মাথা নষ্ট ম্যান..... :)

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৭

ফানার বলেছেন: আহা! কতদিন এমন চোখ জুড়ানোর সবুজের সমারোহ দেখি না /:)/:)/:)
চমৎকার পোষ্ট
+++++ লন

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

+++ লইলাম, আর আপনাকে দিলাম.....

একটুখানি সবুজ খুঁজি একটু সবুজ হাওয়া
এই শহরে একটু সবুজ অনেক বেশী পাওয়া
একটুখানি সবুজ খুঁজি হলুদ চোখের কোণে
খুঁজে বেড়াই একটু সবুজ অবুঝ কারো মনে
খুঁজে বেড়াই সবুজ পাড়া খুঁজি সবুজ বন

কে আমাকে ফিরিয়ে দেবে সেই সে সবুজ মন
দিনটা আমার সবুজ ছিলো চুরি হলো আজ রাতে
খুন হলো জোৎস্না সবুজ কোন্‌ ডাকাতের হাতে
খুন হলো আজ জোনাক-জ্বলা কাজলা দিদির মন কে আমাকে ফিরিয়ে দেবে সেই সে সবুজ মন
খুঁজে বেড়াই সবুজ পাড়া খুঁজি সবুজ বন
কে আমাকে ফিরিয়ে দেবে সেই সে সবুজ মন

ঘুরছি আমি ভিতর বাহির অন্যরকম শোকে
কে আমাকে সবুজ দেবে খুলে রাখা চোখে
সবুজ খরায় শহরটা আজ পুড়ছে সারাক্ষণ
কে আমাকে ফিরিয়ে দেবে সেই সে সবুজ মন
খুঁজে বেড়াই সবুজ পাড়া খুঁজি সবুজ বন
কে আমাকে ফিরিয়ে দেবে সেই সে সবুজ মন সবুজ খুঁজি

গানের শিরোনামঃ 'সবুজ খুঁজি',
অ্যালবামঃ 'জোছনা বিহার'
ব্যান্ডঃ দলছুট

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩২

ট্রোল বলেছেন: চন্দ্রনাথ মন্দিরে উঠার ব্রত রাখে হিন্দুরা,ওরা অনেক কষ্ট করে উঠে কারণ এতে পুণ্য লাভ হয় বলে মনে করে ।

নির্ঘাত ২ কেজি কমে গেছিল আমার

ইকোপার্ক এ যদি যেতেন তাহলে এত কষ্ট হত্না। পিচের রাস্তা আছে ,অনেকে গাড়ি নিয়ে যায় ওটাই আমার কাছে সুবিধা মনে হয়।অনেক সুন্দর জায়গা দেখতে পারতেন ওখানে।
আমি ও বৃষ্টির সময় গিয়েছিলাম , খুব ভাল লেগেছিল । আবার গেলে বলবেন চট্টগ্রামে থাকি আমি

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ট্রোল।আছাড় খাওয়ার দ্বিতীয় দিন আবার গিয়েছিলাম, ইকোপার্ক। 'সহস্রধারা' আর 'সুপ্তধারা' ঝর্না দেখতে। বর্ষায় আসলে পাহাড়, ঝর্না আর বনের রুপই আলাদা।

পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪০

সুমন কর বলেছেন: অাপনি অনেক মজায় অাছেন।

অাপাততঃ অসাধারণ ছবিগুলো দেখলাম। দারুণ !!!

কিন্তু ভেবেছিলাম, অাপনার অাছাড়ের ছবিটাও পাবো ! :P

৩য় লাইক।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক মজায় আছিরে ভাই...... কি যাতনা বিষে? বুঝিবে সে কিসে?

আছাড়ের ছবিতো দিতে পারলাম না, আমার আসনের ছবি দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সামু সারভারে কি বাগ ঢুকছে খোদাই মালুম, দুপুরের পর থেকে ফটো আপলোড করতে পারছি না। এই আসনের উপরই গত একমাস যাবত আমার বসা এবং শোয়া। মজাই মজা..... :((

৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৬

জাফরুল মবীন বলেছেন: মুগ্ধ!

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

আমি ব্যাথা পাইলাম,আর আপনি মুগ্ধ ;) :((

৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫

একেবিশ্বাস ( আব্দুল কুদ্দুস বিশ্বাস) বলেছেন: দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এই কামনা। :-)

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই একেবিশ্বাস ( আব্দুল কুদ্দুস বিশ্বাস)। আল্লাহ্‌ আপনার দোয়া কবুল করুন। ব্যাথা নিয়ে এখন এক ঘণ্টার একটা বাস জার্নি করাই কঠিন হয়ে পড়েছে।

ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।

৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২২

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: বাহ বর্ননা সহ ছবি !!খুব সুন্দর। আপনার চোখ দিয়ে নিজেও ঘুরে এলাম।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপা, আপনাদেরে এতটুকু ভালোলাগাই অনেক প্রেরণা যোগায় ভ্রমণ বিষয়ক লেখা লিখতে।

ভালো থাকবেন।

১০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৮

ডি মুন বলেছেন: ছবি দেখে চোখ জুড়িয়ে গেছে।

প্রিয়তে নিলাম :)

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ডি মুন।

চোখ জুড়াল
পড়া ফুরাল
কমেন্টস এল শেষে,
কমেন্টস দেখে
হেসে হেসে
উত্তর দিলাম শেষে।

মারহাবা... মারহাবা... মারহাবা... :)

১১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ৬ লাম্বার পিলাচ লন ভ্রাতা । ভ্রমণ পোস্ট সবসময়ই ভালো পাই :)

ভালো থাকবেন :)

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমি ভাই এক নম্বর মানুষ। কোন দুই তিন নাম্বার জিনিষই লই না, আর আপনি আইছেন ছয় নম্বর জিনিষ দিতে। ;) :P

অনেক ধন্যবাদ ভাই অপূর্ণ। আপনার গল্পটা পড়ে কিন্তু আমি আপনার ফ্যান হয়ে গেছি।

পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভকামনা জানবেন। :)

১২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৯

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: চন্দ্রনাথ মন্দির, চন্দ্রনাথ পাহাড়ের ময়নাতদন্ত পোস্ট দিলেন প্রিয় বোকা ... :)

প্লাস ...

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: "ময়নাতদন্ত পোস্ট" হুমম..... বোকা মানুষ খুশ হুয়া............।

=p~ =p~ =p~

১৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩১

যাযাবর বেদুঈন বলেছেন: বহু আগে একবার সীতাকুণ্ডে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আপনার লেখা আর ছবি দেখে ভাবছি আরও একবার যাওয়া লাগবে।

দূর থেকে তোলা চন্দ্রনাথ মন্দিরের ছবিটা অসাধারন হইছে। পুরো পাহাড়ের উপর মনে হইতেছে সবুজের মধ্যে একটা দ্বীপ হল এই চন্দ্রনাথ মন্দির। দারুণ একটা ছবি তুলছেন।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ যাযাবর ভাই। দূর থেকে তোলা মন্দিরের ছবিটা চন্দ্রনাথ মন্দিরের নয়। যতদূর জানি মন্দিরটার নাম "সীতার মন্দির"।


ছবিটা তুলেছি চন্দ্রনাথ মন্দিরের পাহাড়ের চূড়া থেকে।


আরেকবার গেলে অবশ্যই ভরা বর্ষায় যাবেন। আর চন্দ্রনাথের সাথে ইকো পার্কস্থ 'সহস্রধারা' এবং 'সুপ্তধারা' ঝর্না দুটো দেখতে ভুলবেন না।

পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় যাযাবর বেদুঈন।

১৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২২

জুন বলেছেন: জীবনের বেশ কিছু বছর সীতাকুন্ডে কেটেছিল, আর তা ছিল আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ একটি সময়।
আর এই পাহাড় সহ তার আশ পাশ আর চন্দ্রনাথ মন্দির, বিরুপাক্ষ মন্দির, শম্ভুনাথ মন্দির এবং শংকর মঠ আমার অতি পরিচিত এলাকা । অনেক ভালোলাগলো ছবি দেখে বোকা মানুষ তবে আপনার আঘাতের কথা শুনে খারাপ লাগলো। শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠুন সেই কামনায় ।
+

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপু অনেক ধন্যবাদ। আপনাকে সত্যি খুব ঈর্ষা হয়। সীতাকুণ্ড জুড়ে পুরো এলাকাটাই ভীষণ সুন্দর। সকালের ট্রেনে ঢাকা-চট্টগ্রাম অথবা চট্টগ্রাম-ঢাকা'র ট্রেনে করে যাওয়ার সময় যখন সীতাকুণ্ড ক্রস করে তখন পাহাড়ের মোহনীয় রূপ যে কাউকেই মুগ্ধ করতে বাঁধ্য। আর সীতাকুণ্ড'র চারপাশ জুড়ে যে পর্যটন সম্ভাবনা ছড়িয়ে রয়েছে তার পুরোটা এখনো তেমন করে আবিষ্কৃত হয় নাই। গত বছর তিনেক ধরে খইয়াছড়া ঝর্ণা নিয়ে প্রবল আগ্রহ তৈরি হয়েছে। ইদানীং নাপিত্তাছড়া আর বোয়ালিয়া ঝর্ণা নিয়েও খুব আলোচনা হচ্ছে। পুরো সীতাকুণ্ড জুড়ে ছড়িয়ে থাকা সব ঝর্ণা আরা পাহাড় শৃঙ্গ পর্যটকদের আয়ত্তে আসলে সীতাকুণ্ড হয়ে উঠবে দেশের অন্যতম প্রধান পাঁচটি পর্যটন এলাকার অন্যতম।

সুস্থতা কামনায় ভালো লাগা জানবেন। :) আর রন্তু'র একটু খোঁজ খবর নিয়েন :P

১৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৩

মিজভী বাপ্পা বলেছেন: শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি একবার অর্ধেক পর্যন্ত উঠেছিলাম। কিন্তু ঐখানে কিছু তীর্থ যাত্রী এক্সসিডেন্ট করে ফলে পাহাড়ের উপরে থাকা মন্দির বন্দ করে দিয়েছিল। তাই আর যাওয়া হয় নি। তবে ঐখানে উঠা অনেক বিপদজ্জনক ব্যাপার।

তাছাড়া পাহাড়ে দস্যুদের তো ভয় রয়েছেই :(

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কিছু জায়গা সত্যি একটু রিস্কি, তার উপর আমি গিয়েছিলাম ভরা বর্ষায়, আর তাইতো সিড়ি দিয়ে উঠেছি। তবে ঐ পথেও কিছু জায়গা অনেকটা বিপদজনক। এক জায়গায় ফুট ত্রিশেক জায়গা মোটে দু'হাত চওড়াও হবে কিনা সন্দেহ এক পাশে খাড়া পাহাড় আরেক পাশে ৭০/৮০ ফিট খাঁদ (অবশ্য খাঁদটা গাছগাছালীতে ভরা)। ঐ জায়গা পার হওয়ার সময় একটু ভয়ে ছিলাম, আর তখন জায়গা কর্দমাক্ত পিচ্ছিল ছিল। তবে দস্যুদের ভয় এখন অনেক কম। চন্দ্রনাথ মন্দিরের ঠিক পেছনেই এখন পুলিশ চৌকি রয়েছে। ইকোপার্কেও দেখলাম পুলিশ গার্ড রয়ছে। তবে সাবধানতার জন্য বেলা দশটা/এগারোটা'র পর পাহাড়ে উঠা শুরু করে দুপুর তিনটার আগে নেমে আসা যায়। ছোট দলে না যেয়ে বড় দল অথবা কয়েকটি ছোট দল একসাথে হয়ে যাওয়া যেতে পারে।

আশা করি খুব শীঘ্রই আবার যাচ্ছেন সীতাকুণ্ড বেড়াতে। :)

১৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:২২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: দুর্দান্ত সব ছবি !
আপনার আছাড় খাবার ছবিটা দিলেন না যে :)

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: :( :( :( :( :(

:(( :(( :(( :(( :((

X(( X(( X(( X(( X((

১৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৩

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: সম্ভবত ২০০৩ সালে প্রথমবার গিয়েছিলাম ওখানে। হঠাৎ করেই।
ঝর্নাতে গোসল করে আমাদের খেয়াল হল জামা কাপড় কিছুই নাই। আর প্যান্টের নিচে ইয়েটা বদলানো বিশেষ জরুরি হয়ে পড়েছিল। ঝর্নার এক পাশে একটা বিশাল পাথর ছিল। সেই পাথরের আড়ালে গিয়ে আমরা একে একে জামা বদলে নিলাম। সমস্যা হল সবার শেষে যে গেল তাঁর। আমরা সব কয়টা বিচ্ছু পাথরের আড়াল থেকে উঁকি দিয়ে ওকে বিরক্ত করা শুরু করলাম।
কি যে লাইফ একটা কাটিয়েছি চট্টগ্রামেরে ভাই! বাই দ্যা ওয়ে আমি চুয়েটের ছাত্র ছিলাম।
পোষ্টটা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলাম। ছবি গুলো দেখে অনেক কিছু মনে পড়ে গেল।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: =p~ =p~ =p~ =p~

যতদূর মনে হচ্ছে ঘটনাটা "সহস্রধারা ঝর্না"য় ঘটেছিল, বড় পাথর এখনো আছে।

আছাড় খাওয়ার কারণে ঐদিন চলে আসি চিটাগং। দুইদিন পর আবার যাই "সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক" এবং দেখি "সহস্রধারা"আর "সুপ্তধারা" ঝর্না, ভিজি আর ক্লিক ক্লিক.... সেদিনও বৃষ্টি হচ্ছিল। সামনে এই দুই ঝর্না নিয়ে পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে।

ভালো থাকবেন।

১৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: অসাধারণ ছবি ও বর্ননা।

ভালো লাগা নিবেন।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইজান। ভালো লাগা নিলাম। :)

১৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:১৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ডাক্তারের দেয়া হাই ডোজের পেইন কিলার আর ঔষধ দিয়ে আরও তিনদিন চিটাগং থেকে আরও চারটি স্পট দেখে ঢাকায় ফিরলাম

মাশাআল্লাহ্‌ , ভাইয়ের এলেমের জোর তো ভালোই।

এই বোকামোটা করতে গেলেন কেন? নাহলে আরো গোটা কতক নতুন জায়গার অসাধারণ ছবি-বর্ণনা পেতাম । X( ;)

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৩২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বোকা মানুষ বোকামো না করলে কীভাবে হবে। লেখা আরও কয়েকটি রেডি আছে, সপ্তাহে একটি করে পাবেন আশা করি।

মাশাআল্লাহ্‌ , ভাইয়ের এলেমের জোর তো ভালোই। এই কথাটা কি ইঙ্গিত করে বুঝি নাই। থাক বোকা মানুষের এতো বুঝে কাজ কি? তাই না?

আপনার বিলেত:পাখির চোখে দেখা সপ্তাহান্তে লেখার কথা বলেছিলেন শুরুর দিকে, এখন কিন্তু মাসেও মাঝে মাঝে একটা পাই না (জুলাই মাসে পাই নাই)। :(

ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।

(ডাক্তারের দেয়া হাই ডোজের পেইন কিলার আর ঔষধ দিয়ে আরও তিনদিন চিটাগং থেকে আরও যে চারটি স্পট দেখে ঢাকায় ফিরলাম তার একটি নিয়ে লেখাঃ ঘুরে আসুন কাপ্তাই নেভী লেক ভিউ পিকনিক স্পট )

২০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৪৯

নীলব্যাধি বলেছেন: অনেক সুন্দর ছবি বর্ণনা।

এই পাহাড়ে আমার উঠা হয়েছে, তবে আমি শুকনো সময়ে গিয়েছিলাম তবুও অনেক ভয় কাজ করেছিলো,আপনি বৃষ্টির মধ্যে পিচ্ছিল পথে বেয়ে উঠেছেন এটা অনেক সাহসের ব্যপার, আরেকটা কথা হলো উঠার চেয়ে আমার সসব চেয়ে বেশি ভয় লেগেছিলো নামার সময়।

ছবি গুলো সত্যি অসাধরণ

আপনাকে ধন্যবাদ

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সত্যি কথা বলতে কি, ওঠা বা নামা, কোনটাতেই ভয় লাগেনি উচ্চতার জন্য। আমি ভয় পাচ্ছিলাম হার্ট এর অতিরিক্ত লাফানো নিয়ে, হার্ট অ্যাটাক না হয়ে যায় (আমার ওজন আবার অনেকটা বেশী)। যাই হোক আল্লাহর রহমতে ঠিকঠাক নেমে আসতে পেরেছি, এটাতেই আমি খুশী। শুধু শেষের ঐ আছাড়টা..... :(

তবে ছবি দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, বর্ষা'য় অন্যরকম দেখতে সবুজে ছেয়ে থাকা পাহাড়ের সারি।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। :)

২১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:২৬

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: ছবিতেই এত সুন্দর রিয়েলী তো স্বর্গীয় হবে B:-) বান্দরবানের নীলাচল নীলগিরির ভিউর সাথে কিছু মিল আছে :)

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৪৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হুমমম... কতা কইতাম না। দিকচেন কি একখান আছাড় খাইছি :(( :(( :((

২২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৫২

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: সবাই তো না খেয়েই চলে আসে,আপনি না হয় কিছু খেয়েই আসলেন :P

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:২৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: :( :( :(
X(( X(( X((
X( X( X(
:(( :(( :((

২৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৯

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: ফান করলাম ব্রো, Get Well soon! :)

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: :-B :-B :-B
:) :) :)

২৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: একবারই ওখানে গিয়েছিলাম, তখন শীত ছিলো, কুয়াশা ছিলো খুবই গাঢ়, তাই ভালো ছবি উঠাইতে পারিনি।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভাই এই বর্ষায় একবার যান, ছবি পাইবেন সেইরাম, আপনার ফটো মেশিনটাও যেহেতু খুব ভালো, একেবারেই ফাটাফাটি হবে। আজ একবছর পূর্ণ হল আছাড় খাওয়ার। ;) জানি আপনি তা জানেন।

ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার, ভালো থাকুন সবসময়।

২৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সিড়ি দিয়া উঠার চাইতে বিরুপাক্ষ মন্দির হয়ে মাটির রাস্তা দিয়ে উঠে তুলনামূলকভাবে কষ্ট কম, চন্দ্রনাথ পাহাড় থেকে কি আবার বিরুপাক্ষ দেখতে গিয়েছিলেন? নাকি শুধু দূরে থেকেই ছবি :D

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: নারে ভাই, সেদিন যে বৃষ্টি ছিল, তাতে বিরূপাক্ষ মন্দির হয়ে মাটির রাস্তা দিয়ে উঠা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। তাই কষ্ট বেশী হলেও সিঁড়ি দিয়েই উঠেছিলাম। আর আছাড় খাওয়ার পর বিরুপাক্ষ যাওয়া!!! :-* কাইন্দালাইম কিন্তু....

২৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

চন্দ্রনাথ নিয়ে আমার পোষ্ট

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:২৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ইতোমধ্যে ঢুঁ মেরে এসেছি :)

২৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:০৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমার ধারণা, আপনি আছাড় খাওয়ার পর পুরু পাহাড়টাই কেঁপে উঠেছিলো, তাছাড়া ভুমি ধসের আশংকাও কিন্তু ছিলো :-B

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৫৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আশংকা আবার কি? সত্যি সত্যি কেঁপে উঠেছিলো। পরেরদিন লোকাল নিউজ পেপারে বড় করে হেডিং দিয়ে ছাপানো হয়েছিল। কোন কপি সংগ্রহে নাই, তাই দেখাতে পারলাম না বলে দুঃখিত। ;) :P

=p~ =p~ =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.