নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

রন্তু'র কালো আকাশ - ৭ (ধারাবাহিক)

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৭





"রন্তু'র কালো আকাশ" সব পর্ব



হালকা শীত পড়েছে, খুব ভোর বেলা এখন হালকা কুয়াশা দেখা যায়। এই হালকা কুয়াশা কেমন যেন একটা দৃষ্টি বিভ্রম সৃষ্টি করে। কখনো কখনো একজন মানুষ নিজের অজান্তেই হয়তও আরেকজন মানুষের হৃদয়ে এই কুয়াশার ন্যায় বিভ্রম তৈরি করে। শায়লার কাছে ইরফান একটা কুয়াশাচ্ছন্ন বিভ্রম বৈ অন্য কিছু কি? শায়লা নিজের কাছে নিজে প্রশ্ন করে করে দিন ক্ষয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে একটু একটু করে খসে পড়ছে তার বিবেক-আবেগে’র বালি-পাথরের বাঁধ। আজকের এই শীত শীত সকালে মনটা খুব বিষণ্ণ, একেবারেই অফিস যেতে মন চাচ্ছে না।



(পূর্ব ঘটনা প্রবাহঃ রন্তু শায়লা আর জাভেদের একমাত্র সন্তান। জাভেদের সাথে শায়লার প্রনয় থেকে পরিণয়, পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে। কিন্তু বিয়ের পর শায়লা ধীরে ধীরে বুঝতে পারে জাভেদ ভয়ঙ্কর রকমের মানসিকভাবে অসুস্থ। এক সময় মানিয়ে নিতে না পেরে ছোট্ট শিশু রন্তুকে নিয়ে মায়ের বাসায় চলে আসে। তাদের মিউচুয়ালি ডিভোর্স হয়ে গেছে। মা-বাবার এই টানাপোড়নে শিশু রন্তুর মানসিক জগতের গল্প, সাথে তার নিত্যদিনকার প্যাচালি, এই হল এই গল্পের উপজীব্য। গত এক বছর হল জাভেদ, রন্তুর বাবা রন্তুকে স্কুলের গেটে মাসে এক-দুইবার দেখা করতে আসে। এখন রন্তু’র ক্লাস টু এর ফাইনাল এক্সাম চলছে। গত পর্বে জাভেদ ছেলেকে দেখতে এসেছিল, তার কথাবার্তা আর আচরণে মনে হয়েছে সে শেষবারের মত ছেলেকে দেখতে এসেছে। মানসিক সমস্যাগ্রস্থ জাভেদ পরিবার, আত্মীয় পরিজন হতে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে একাকী জীবন পথে হেঁটে চলেছে। আসুন এবার আবার শুরু করা যাক)



শুরুতে ইরফানের সাথে সহকর্মী হিসেবে জাস্ট বন্ধুত্বপূর্ণ সৌহার্দ ছাড়া আর কিছু ছিলনা। শায়লা কোম্পানি এমডি’র পার্সোনাল এসিস্ট্যাণ্ট হওয়ায়, তার সাথে অফিসের সকল ডিপার্টমেন্টের উপরের দিককার পদস্থদের সাথে পরিচয় হতে থাকে। ইরফান হল ফাইন্যান্সের জিএম। আইবিএ থেকে ফাইন্যান্সে বিবিএ-এমবিএ করে লন্ডন থেকে সিএফএ করে এসেছে। এতো মেধাবী এবং ব্রিলিয়াণ্ট একটা লোক, কিন্তু তার আচার ব্যাবহার দেখে কেউ আঁচ করতে পারবে না। যেমন মিশুক, তেমনি মন খোলা আমুদে মানুষ। কখনো কখনো তার ডিপার্টমেন্টের এক্সিকিউটিভ লেভেলের কারো ডেস্কে বসে তাকে খোশ গল্প করতে পর্যন্ত দেখা যায়। আর তার সাথে প্রকৃতি প্রদত্ত পুরুষালী সৌন্দর্য তাকে করেছে হাজারের ভিড়ে আলাদা একজনে।



ফাইন্যান্সের কাজে ইরফানকে প্রায় রোজ দিনই বারে বারে এমডি স্যারের রুমে আসা যাওয়া করতে হয়। কখনো তার নিজের প্রয়োজনে, কখনো এমডি স্যার ডেকে পাঠায়। আর এই নিত্যদিনকার অফিসিয়াল কর্মব্যাস্ততার ফাঁকে ফাঁকে ইরফানের সাথে ধীরে ধীরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে শায়লার। জবে ঢোকার আগে অফিসিয়াল পিএ’র জব নিয়ে নানান ভয়াবহ কাহিনী নানান জনের কাছে শুনেছিল সে। কিন্তু এই অফিসের পরিবেশ একেবারেই ব্যাতিক্রম। যাই হোক বন্ধুত্ব'র সম্পর্ক গাঢ় হতে হতে কখন যে অন্যদিকে মোড় নেয়া শুরু করলো, শায়লা বুঝতে পারে নাই। গতকাল ইরফান তাকে প্রপোজ করে বসেছে, শায়লা কোন প্রতিউত্তর না দিয়ে বাসায় চলে এসেছে। সেই থেকে শায়লার মনোজগৎ যেন এক আজব কুয়াশার ন্যায় ঘোলাটে ঘোরের মাঝে ডুবে আছে।



শায়লা খাটের এক প্রান্তে বসে ছেলেকে দেখছে। রন্তু বিছানায় উপুর হয়ে শুয়ে দুই হাতে ভর দিয়ে বই পড়ছে। ছেলেটার বার্ষিক পরীক্ষা চলছে, কিন্তু পড়া শোনায় এতটুকু মনোযোগ নাই। জোর করে ধরে ধরে পড়তে বসাতে হয়। পড়তে বসলে আধঘণ্টা-একঘণ্টায় তার সব পড়া শেষ। এতো ফাঁকিবাজ হয়ে যাচ্ছে দিনদিন ছেলেটা! কিন্তু পরীক্ষায় রেজাল্ট খুব একটা খারাপ করছে তা নয়, বরং আশানুরুপ। কিন্তু এখন থেকে পড়াশোনায় মনোযোগী না হলে উপরের ক্লাসে উঠার পর তার এডজাস্ট করতে সমস্যা হবে, পড়াশোনার লোডের সাথে টাইমিং এর সামঞ্জস্য করতে হিমশিম খাবে। কিন্তু এতোটুকুন ছেলে কি আর এতসব বুঝে। রন্তু’র দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে শায়লা চোখ ভিজে উঠে। নিজেকে খুব অসহায় লাগছে, বড্ড বেশী অসহায়।



মা উঠে রান্না ঘরের দিকে যেতেই রন্তু হাফ ছেড়ে বাঁচলো। আজ কোন এক্সাম নেই, মাঝখানে একদিনের এই গ্যাপ যে কেন দেয় এক্সামগুলোতে রন্তু ভেবে পায় না। আজ সারাদিন নানুর ঘ্যানর ঘ্যানর শুনতে হবে, ‘রন্তু পড়, কাল এক্সাম’। রন্তু অবশ্য একটা বুদ্ধি বের করেছে, ছোট মামাকে সে তার দলে টেনেছে। ছোট মামার কাছে পড়া বুঝতে যাচ্ছে নানুকে এই বলে সে দশটার দিকে চলে যাবে ছোট মামার চিলেকোঠার ঘরটায়। মামা পড়া ধরবে, রন্তু সব পটাপট উত্তর দিতে পারলে মামার সাথে দাবা খেলা যাবে। রন্তু ঘড়ির দিকে তাকালো, এখন সকাল আটটা, মা নয়টার মধ্যে বেরিয়ে যাবে। তারপরও আরও একঘণ্টা বই সামনে নিয়ে বসে থাকা... উফ!



রন্তুর খুব ইচ্ছা করছে বাইনোকুলারটা নিয়ে ছাঁদে যেতে। গত সপ্তাহে বাবা তার ম্যাথ এক্সামের দিন স্কুল গেটে দেখা করতে এসে তাকে নিয়ে ঘুরতে বেড় হয়। কথা ছিল তারা শিশু পার্ক যাবে, কিন্তু হঠাৎ করেই বাবা ডিসিশন চেঞ্জ করে কি মনে করে রিকশা ঘুড়িয়ে তাকে নিয়ে গেল নিউমার্কেট। সেখান থেকে এই বাইনোকুলারটা তাকে কিনে দিয়েছে। বাইনোকুলারটা রন্তুর খুব পছন্দ হয়েছে, খুব দূরের সব জিনিষই কত বড় হয়ে কাছে চলে আসে। রন্তু বাবাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘বাবা রাতের বেলা কি তারাগুলোও এটা দিয়ে দেখা যাবে?’। বাবা বলেছে না, তারা দেখতে টেলিস্কোপ লাগে। রন্তু একবার ভাবলো বাবাকে বলে, টেলিস্কোপ কিনে দাও তাহলে। কিন্তু তা কি আর রন্তু বলতে পারে? বাবা দেখা করতে আসলে রন্তুর কেমন যেন অদ্ভুত অনুভূতি হয়, খুব ভালো লাগে, খুব... কিন্তু কেমন এক জড়তাও কাজ করে। বাবাকে মনে হয় অনেক দূরে দাঁড়িয়ে থাকা খুব কাছের কোন একটা মানুষ।



ছোট মামা বাইনোকুলারটা খুব পছন্দ করেছে, মজা করে বলেছে আমাকে তুই এইটা দিয়ে দিলে আমি রোজ তোর কাছে দাবা খেলায় হেরে যাবো। মামাটা যে কি সব বলে না। তবে মজার কথা হল, মামা প্রমিজ করেছে রন্তুর এক্সাম শেষ হলে তাকে স্টেডিয়াম নিয়ে যাবে, বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা দেখাতে। তখন নাকি খুব কাজে দিবে বাইনোকুলারটা। মামা অবশ্য আরও একটা কথা বলেছে, সেটা গোপন রাখতে হবে, কাউকে বলা যাবে না। এই বাইনোকুলার নিয়ে মামা কোথায় যেন পাখি দেখতে যাবে, কোন মতেই নানু যেন না জানতে পারে। রন্তু প্রমিজ করেছে, আর রন্তু’র প্রমিজ মানে...প্রমিজ।



=====================





'রন্তু'র কালো আকাশ' প্রথমে একটি এক পর্বের ছোট গল্প আকারে লিখেছিলাম। কিন্তু 'রন্তু' আমার খুব প্রিয় একটি চরিত্র বিধায় আমি সিদ্ধান্ত নিই ২৫ পর্বের একটি ধারাবাহিক আকারে উপন্যাস লিখবো (যদিও জানি সে যোগ্যতা আমার নেই, তারপরও অপচেষ্টা আরকি)। সেই থেকে এই লেখা। তবে প্রতিটি পর্ব আমি এমনভাবে লেখার চেষ্টা করছি যেন একেকটা পর্বই একটা ছোট গল্প হিসেবে পাঠক পড়তে পারে। গত জুলাই মাসে শেষ পর্ব-৪ লিখেছিলাম। এরপর অনেক লম্বা বিরতি পড়ে গেল। তাই নতুন করে শুরু করা, পর্ব-৫ সহ একসাথে পাঁচ পর্ব দিয়ে পোস্ট করে পুনরায় পথ চলা শুরু করে আজ পব-৭ নিয়ে হাজির হলাম। চেষ্টা থাকবে প্রতি তিনদিন বিরতি দিয়ে এই ধারাবাহিক উপন্যাস হিসেবে এগিয়ে নেয়ার। একজন পাঠক হিসেবে আপনাদের পাশে পাবো আশা রাখি। রন্তু আমার খুব প্রিয় একটা চরিত্র, আর তাই আমি এই উপন্যাস শেষ করবোই এমনটাই ইচ্ছা, যদি আপনাদের সাথে পাই, আর তা সম্ভবত ২৫ পর্বে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৮

আলম দীপ্র বলেছেন: আগের পর্বগুলো পড়া হয়নি । ওইগুলো আগে পড়ে নিতে হবে । ভাই , লেখা ভালোই মনে হচ্ছে । আমি নতুন তো , আগেরগুলো পড়তে পারি নাই ।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আলম দীপ্। ব্লগে নতুন-পুরাতন কেউ নাই, আমরা সবাই ভাই ভাই। আশা করি সব কয়টা পড়া শেষে মতামত জানিয়ে যাবেন। শুভকামনা জানবেন।

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬

ডি মুন বলেছেন: শায়লা খাটের এক প্রান্তে বসে "ছেলে" দেখছে। ---- সম্ভবত "ছেলেকে" হবে।


এখন সকাল আটটা, মা নয়টার মধ্যে "বেড়িয়ে" যাবে।---- "বেরিয়ে" হবে।


টাইপো দুটো একটু ঠিক করে নিয়েন বোকা মানুষ ভাই।

উপন্যাস দারুণভাবে এগোচ্ছে। আপনার বর্ননাভংগিতে আন্তরিকতা আছে। আশাকরি, ২৫ পর্বের খুব দারুণ একটি উপন্যাস হবে। এবং রন্তু চরিত্রটি আমাদের সকলের প্রিয় হয়ে উঠবে।


শুভকামনা।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ডি মুন। টাইপো ঠিক করে দিয়েছি। রন্তু'র গল্পের পাঠক খরাই বলে দেয় পাঠক রন্তুকে ভালোবাসছে না। :( :( :(

রন্তু সিরিজ কি বন্ধ করে দিব? বুঝতে পারছি না।

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৯

ডি মুন বলেছেন: ধুর!!!!! কি যে বলেন!!

সিরিজ চলুক। আমার ভাল্লাগছে। রন্তু সম্পর্কে আরো জানতে চাই।
আপনি আর আমি দুইজন রন্তুকে ভালোবাসলেই চলবে। :) :)

উপন্যাস চলুক। বন্ধ করলে আপনারে এক ডজন মাইনাস দিমু :-B :-B



(আমার আগের কমেন্ট দুইবার চলে এসেছে, মুছে দিয়েন একটা)

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: :) :) :)

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৩

সোহানী বলেছেন: সরি, লেখাগুলো পড়া হয়নি এখনো। সাধারনত গল্প বা উপন্যাস আমি রয়ে সয়ে পড়ি .... একটু ব্যাস্ততা যাচ্ছে..... আবার আসবো মন্তব্যের ঝুলি নিয়ে... পড়া শেষ করে।.......

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: না দোস্ত বোন, সরি হওয়ার কিছু নাই। মন্তব্য অনেক ভালো লাগলো, সময় করে পড়ে নিলে খুশী হব। খুব সাদামাটা একটা গল্প, কিন্তু একটা খুব কাছে থেকে দেখা গল্প। তাই এটার প্রতি আমার একটা আলাদা সফট কর্নার রয়ে গেছে।

ভালো থাকবেন, শুভকামনা রইল।

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪

শায়মা বলেছেন: বোকা মানুষ ভাইয়া আমার ব্লগে সাম্প্রতিক ভিজিটর লিস্টে তোমার নাম না দেখলে হয়তো তোমার লেজ ধরে ধরে কান্ডারী ভাইয়ার নতুন নিকের পোস্টে এসে জানতাম ও না তুমি আমার সম্পর্কে এত সুন্দর একটা কথা বলেছো।

ভালো ব্যবহার বা আন্তরিকতা দেখেছি আমি সে এক সময়। সে অনেকদিন আগের কথা। তোমার মত আমিও জানতাম না মন্তব্য করা বা মন্তব্যের জবাব দেবার রীতিনীতি এর খবর সবর।

খুব অবাক হয়েছিলাম আমার এক লাইন বা দুই লাইনের হাবি জাবি পোস্ট বা আলগোছে অবহেলায় লিখে যাওয়া মনের একান্ত কথাগুলো পড়ে এতগুলো মানুষের কমেন্ট বা মন্তব্যে। সত্যি অবাক হয়েছিলাম। মেয়ে নিক বলে কিনা জানিনা অনেকেই এমন বলবে মানে নিন্দুকেরা! :P ...........কিন্তু সত্যিই সেসময় আমিও দেখেছিলাম এবং পেয়েছিলাম কিছু আন্তরিক মানুষ। যারা আমাকে আজকের আমি হতে শিখিয়েছে। আমার ভুল বানান হাবি জাবি লেখার সঙ্গী হয়ে থেকেছে সর্বক্ষণ। তাদের কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নেই আমার। হবেও না কখনও।


এই আমিই দেখেছি এই অদেখা অজানা মানুষের মাঝে কিছু মানুষের আগমন যারা কোনো কারণ ছাড়াই যা খুশি লিখে দেয় বা বলে দেয় বা একটি সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করে । মানুষের মনে অকারণে কষ্ট দেয়...... কি তার কারণ জানা নেই আমার ।

যাইহোক আমি রেগুলার না সে কথা ঠিক না । সদা ও সর্বক্ষণ আজও আছি সামু ব্লগের সাথে তবে লগ করিনা আর পোস্ট দেইনি। তার পিছে হাজারও কারন আছে।

যাইহোক ভালো থেকো অনেক অনেক । নতুনেরাও আমাকে মনে রাখবে এই আশা করিনা তবে তোমার কাছে এমন কমেন্ট পেয়ে হরতালের ছুটির দিনে মন অনেক ভালো হয়ে গেলো ভাইয়া।

অনেক অনেক ভালো থাকো ও অনেক বড় হও জীবনে।:)

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কি বলবো, বুঝতে পারছিনা... আবেগি হয়ে পড়েছি আপনার কমেন্ট দেখে। আমিও কিন্তু আপনার মতই, ব্লগে আসার পূর্বে পরিচিত দু'তিনজন ছাড়া আজও কোন ব্লগারের সাথে আমার দেখা হয় নাই, আর আমি লিখিও ছদ্মনামে। তারপরও কিছু কিছু মানুষকে দেখে ঈর্ষা হয় যদি তাদের মত হতে পারতাম। আপনাকে আন্তরিকতার সাথে "ভাইয়া" বলে ডেকে খুব মিষ্টি মিষ্টি কমেন্ট করতে দেখে অবাক হয়েছি প্রথমে। আমি যদি এমনটা হতে পারতাম!!!

আর সব জায়গাতেই ভালো-মন্দ সবাই আছে। আমার সামু ব্লগে বয়স চার মাস যেতেই দেখি জামাত-শিবির-ছাগু লিস্টে আমার নাম! এ নিয়ে কষ্টে পোস্টও দিয়েছিলাম - নববর্ষ ১৪২০ এ আমার প্রাপ্তি - একটি আবিস্কার - আমি একজন চিহ্নিত-লিষ্টেড ছাগু ব্লগার!!! এছাড়া আরও কত কি তো আছেই। আমি চেষ্টা করি এড়িয়ে যেতে।

শেষে একটাই রিকোয়েস্ট, "প্রিয় শায়মা আপু, আগের মত ফিরে আসো, পোস্ট এবং কমেন্টস নিয়ে। অপেক্ষায় রইলাম"

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৬

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ভীষণ ভীষণ ভাল লেগেছে ---- লেখকের জন্য শুভকামনা

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপা। আগামী পর্বগুলোতেও সাথে পাবো আশা করি।

৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৭

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: প্রমিজ মানে প্রমিজ !
ঘটনা প্রবাহ যোগ করার আইডিয়া টা ধরে রাখবেন !
রন্তু এবং রন্তুর স্রষ্টা দুইজনের জন্য শুভকামনা !

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় অভি। পূর্বের ঘটনা প্রবাহ সংক্ষেপে তুলে ধরার আইডিয়াটা প্রিয় সহ ব্লগাঁর জাফরুল মবীন এর দেয়া। আর গল্পে গত তিন পর্বে রন্তু'র বাবা-মা'র বর্তমান মনোবস্থা তুলে ধরতে চেয়েছি। আপনারা সাথে আছেন বলেই এই সিরিজ নিয়ে লেখার স্পৃহা জাগে মনে। যদিও গল্পকার হিসেবে আমি খুবই সাদামাটা আর হালকা লেখনীর মানুষ। হাজার হলেও বোকা মানুষ বলে কথা।

মন্তব্যে ভালোলাগা আর প্রিয় অভিকে রন্তু'র পক্ষ হতে একরাশ ভালোবাসা।

৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: যখনই চোখে পড়বে,জানবেন আমি পাশেই আছি।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:২১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: শুনে খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ সচেতনহ্যাপী। আপনি কিন্তু আমার অনুসারিত লিস্টে আছেন। :)

ভালো থাকবেন।

৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৮

কলমের কালি শেষ বলেছেন: হুম...আপনার ধারাবাহিক উপন্যাসটার সব পর্ব পড়ে শেষ করলাম । তাই আগে মন্তব্য করিনি । কোন লেখা পুরোটা না পড়ে আমার আবার মন্তব্য করতে ভালো লাগে না ।এইটা একটা মুদ্রাদোষ বলতে পারেন । .. :P :P

বোকা মানুষ ভাই...এক কথায় বললে বলবো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে রন্তু চরিত্রটা এবং গল্পটা । একটুুর জন্যও মনযোগ হারাইনি । লিখে যান আর নিয়মিত পাঠক হিসেবে আমাকে এ্যাড করে নেন । শুভকামনা রইল । :)

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কলমের কালি শেষ, ঘুম থেকে উঠে আপনার কমেন্ট দেখে মনটা খুব ভালো হয়ে গেল। সাধারনত কোন ধারাবাহিক লেখা কেউ মাঝখান থেকে পড়তে চায় না। আর 'রন্তু'র কালো আকাশ' শুরু থেকেই পাঠক খরায় ভুগছে। তাই মাঝে মাঝে একটু খারাপ লাগে। সাহিত্যের মানে এখন হয়ে গেছে অপ্রয়োজনীয় সব কঠিন থেকে কঠিনতর শব্দ নিয়ে খেলা করা, যা আমি আবার অপছন্দ করি। আর তাই সাদামাটা শব্দ দিয়ে গল্প বোনার চেষ্টা করি। এই সাদামাটা শব্দকথার ইটে গড়া সাধারণ একটা ধারাবাহিক উপন্যাস আপনি পুরোটা পড়ে কমেন্ট করলেন!!! কি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি ভেবে পাচ্ছি না। ওকে, থ্যংকস, এতটুকুই নাহয় বলি। :)

১০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৭

সোহানী বলেছেন: খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম আপনার ধারাবহিক উপন্যাসটি। সাধারন পাঠক হিসেবে বলবো আপনি একটা ব্রোকেন ফ্যামিলির বাচ্চার মনোস্তাত্বিক বিশ্লেষন বা সহজ কথায় তার মনের কষ্টটা তুলে এনেছেন যা সত্যই প্রশংসার দাবীদার। কিন্তু খুব কঠিন পাঠক হিসেবে একটু সমালোচনা করি .... যেমন রন্তুর বাবার প্রতি আপনার যতটা সফ্ট্ কর্নার দেখা যাচ্ছে রন্তুর মায়ের জন্য কিন্তু তা দেখা যাচ্ছে না। কারন কি ...... কারন আপনি পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে বাস করেন। পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে নারীর কষ্ট বোঝার কথা না।

এবার আসেন পুরো পরিম্থিতি একটু বিশ্লেষন করি রন্তুর মায়ের দিক থেকে যেমন ভালোবেসে জাভেদের সাথে সংসার গড়েছে শায়লা। আর তার বিনিময়ে ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না তার অযুহাতে গায়ে হাত তোলা বা খারাপ বিহেব বা রাগ বেড়ে যাওয়া সেটার কি যুক্তি হতে পারে? রাগ কি শুধু পুরুষের একার অধিকার আর তা শুধু বউ নামের অবলা প্রাণীর উপরই ঝাড়া যায় ?????? আজ হয়তো শায়লার মা-বাবার সাপোর্ট দেয়ার মতো সামর্থ আছে কিন্তু এ দেশের ম্যাক্সিমাম মেয়েদের তা থাকে না।

দু'দিন ধরে জয়স্রী জামানের খবরটা নিষ্চয় পড়েছেন?? কি অপরাধ এ মায়ের? ব্রোকেন হবার পর বাচ্চাকে বুকে আগলে রেখেছেন আর বাবা !!! আরেকটা বিয়ে করে সুখের সংসার পেতেছেন। আর সেই স্বার্থপর বাচ্চা কিছুটা কম সুখে আছে বলে আত্বহত্যা করলো.... মায়ের কথা একটু ও মনে ভাবলো না।..... হায়রে মা... অভাগী মা। গতবছর আরেকটা নিউজ কি মনে আছে .... সে ও আরেক সাংবাদিক .... ছেলে আবার বিয়ে করবে তাই নাতিদেরকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলে তাই অভিমানে মা সহ সবাই আত্বহত্যা......... আর নাই লিখি অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। আসলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি না..... খুব রাগ হয় এ পুরুষ তান্ত্রিক সমাজের প্রতি। দু'দিন পর বুড়া বউরে ভালো লাগে না তাই বাচ্চা সহ লাথি মেরে ফেলে দাও......... বাহ্ ভালো তো ভালো না.....

ভালো থাকেন সবসময়.............

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সম্পূর্ণ সহমত আপনার প্রতিটি কথার সাথে। অপেক্ষায় থাকেন, সামনে হয়ত দেখবেন অন্যরকম কিছু।

অনেক ধন্যবাদ দোস্ত বন্ধু এতো সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।

১১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৪

জাফরুল মবীন বলেছেন: চরম ব্যস্ত থাকায় ব্লগে আসতে পারিনি ক’দিন,তাই দেরীতে মন্তব্য করার বিষয়টিকে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।ব্যস্ততা আরও কিছুদিন চলবে।

পূর্বের পর্বগুলোর সারাংশ যোগ করার অনুরোধ রাখায় কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।বিষয়টা আমার কাছে বেশ সুন্দরই মনে হচ্ছে।

গল্প পড়তে পড়তে রন্তু আমারও আপনজনে পরিণত হয়েছে।এটা গল্পকারের বিরাট স্বার্থকতা।পরবর্তী পর্বের আশায় রইলাম।

অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: জাম ভাই এতো ব্যাস্ততার মাঝেও যে এই বোকা মানুষকে আর তার অঙ্কিত রন্তুকে মনে রেখেছেন, এতেই আমি যারপরনাই খুশী হয়েছি। একেই বলে মনের টান। :)

আপনার জন্যও রইল একান্ত শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.