নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১
ডিনারের বাগদা চিংড়ি’র মালাইকারীটা খুবই ভালো হয়েছে, তৃপ্তি করে খাচ্ছি, গিন্নি রেঁধেছে বটে... ফার্স্টক্লাস। ছেলে এইচএসসি’তে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে, এই খুশীতে আজ বাসায় স্পেশাল ডিনার। সেই সময় হঠাৎ ছেলের এমনতর প্রশ্নে আমি বিষম খেলাম... ‘বাবা তোমার জিপিএ কত ছিল?’
আমার ছেলে তুষার, যে তার বড় দুই ভাইবোনের ন্যায় মেধার স্বাক্ষর রেখে এসএসসি আর এইচএসসি দুটোতেই গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে। আমার বড়মেয়ে তন্দ্রা ডিএমসি’তে ফোর্থ ইয়ারে পড়ছে, তার ছোট শুভ ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ইকনমিক্সে সেকেন্ড ইয়ারে। সবচেয়ে ছোটজন তুষার। দিন'তিনেক আগে রেজাল্ট হয়েছে, ঘরের সবাই খুশী, আমি আর গিন্নীতো মহাখুশী যাকে বলে। তো খাবার টেবিলে এই প্রশ্নশুনে ভিমরি খেলাম।
বড় দুইজন লুফে নিল কথাটা, হ্যাঁ ঠিকইতো, বাবা’র জিপিএ কত ছিল? খাওয়া শেষে মহা উৎসাহে পুরো পরিবার ঘিরে ধরলো, বাধ্য হয়ে আমার ফাইলপত্রের ভেতর হতে একাডেমীক সার্টিফিকেটের ফাইলখানি আলাদা করে খুঁজে পেতে বের করে দিলাম আমার মেট্রিক আর ইন্টারমিডিয়েটের মার্কশিট। আর তাই নিয়ে ওরা তিন ভাইবোন ঝাঁপিয়ে পড়ল, সাথে বাচ্চাদের মত উল্লাসে যোগ দিল গিন্নী স্বয়ং।
আমি বাইরের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে রাতের প্রকৃতির আঁধারের সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম, আর রোজকার পায়চারী। প্রতিদিন ডিনার শেষে আমি এই ছোট্ট ব্যালকনিতে আধঘণ্টা’র মত পায়চারী করি, অনেকটা ব্যায়ামের মত। আজও তাই করছিলাম, কিছুক্ষণ পর ড্রইং রুম হতে সমস্বরে অনেকটা উল্লাস ভেসে আসলো। বড় মেয়ে এসে টানতে টানতে ড্রইং রুমে নিয়ে গেল। সবাই মুচকি হাসছে আমায় দেখে, প্রথম কথা বলল ছোট ছেলে...
‘ছিঃ বাবা, তোমার রেজাল্ট এত পুওর ছিল’
আমি ঢোক গিললাম, আমার রেজাল্ট আমাদের ইউনিয়নে সেরা ছিল, জেলায় প্রথম পাঁচজনে ছিলাম। আর সেই রেজাল্ট কি না পুওর!
মেয়ে বলল, ‘জানো তোমার জিপিএ কত এসেছে? অনলি ৪.২৫!’
আমি বললাম, ‘আমাদের সময় খাতা অনেক হার্ডলি দেখা হত। মাস্টারমশাই’রা এখনকার মত এত্ত এত্ত নাম্বার দিতেন না, বুঝলে’
‘বাবা ইটস নট ফেয়ার। এখন আমরা ভালো লিখছি বলেই নম্বর পাচ্ছি’
‘আচ্ছা ঠিক আছে, তোমরা আমাদের জেনারেশনের চেয়ে অনেক মেধাবী, কিন্তু এটাও সত্যি তোমরা এখন যেমন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছো আমাদের সময় তেমন ছিল না’
‘বুঝেছি, বুঝেছি বাবা, আর বলতে হবে না। এখন হেরে গিয়ে এত্ত এত্ত যুক্তি...’ ছোট ছেলের কথায় আমি একটু বিরক্ত হলাম, কিছুটা কষ্টও পেলাম। কেমন ঠাট্টামিশ্রিত কথাটা কানে বাজলো। আর সন্তানদের আমি বন্ধুর মত সঙ্গ দিয়ে বড় করলেও যথেষ্ট ভদ্রতা এবং শিষ্টাচার শিক্ষা দিয়েছি। তাই ব্যাপারটা হজম করতে আমার একটু কষ্ট লাগলো। সাথে দেখি গিন্নীও যোগ দিল ফোঁড়ন কেটে, ‘এই রেজাল্টেই সরকারী আমলা!’
মাস দুয়েক পরের কথা, ছোট ছেলে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে কোথাও টেকেনি। বাসায় সবার মন খারাপ, থমথমে মুখ করে সবাই ঘোরাফেরা করছে। আমি তুষারকে জোর করে ডিনারের টেবিলে এনে বসালাম। কোনোমত একটু মুখে দিয়ে উঠে যাচ্ছিল। আমি ইশারা করে বসতে বললাম। খাওয়া শেষ হতে ড্রইংরুমে ছেলেকে নিয়ে বসলাম। বাকী দুইজন আর তাদের মা’ও এসে বসলো। আমি ছেলেকে উদ্দেশ্য করে বললাম,
‘দেখো বাবা কোন পছন্দসই পাবলিক ভার্সিটি’তে চান্স পাওনি, তো কি হয়েছে? প্রাইভেটে ট্রাই করবে, সেখানে না হলে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়বে। সেখানে দেশের হাজার হাজার ছেলে মেয়ে পড়ছে না? আর কখনো মন ছোট করবে না। সবাইকেই ভালো কোথাও পড়তেই হবে এমন কোন কথা নেই; ভালো রেজাল্ট, ভালো ক্যারিয়ার, এগুলোই জীবনের সব নয়। মানুষ হিসেবে গোল্ডেন এ প্লাস সমতুল্য মানুষ হও জীবনে, ভালো ভার্সিটিতে নয়... স্থান করে নাও তোমার চারিপাশের মানুষের মনের মণিকোঠায়... তবেই মানব জীবন সার্থক হবে। বাবা হিসেবে আমি গর্বিত হব। এবার আমার দিকে চেয়ে একটু হাসো দেখি...’ বলে ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরলাম।
বোকা ছেলে হাউমাউ করে কান্না জুড়ে দিল, ঘরের অন্য তিনটি মানুষও দেখি চোখ মোছায় ব্যাস্ত, কিন্তু খুব নীরবে। আমি হাসি হাসি মুখে চেয়ে দেখি, নিজেকে খুব সুখী মনে হয়। একসময় আমার চোখ হতেও সন্তানদের কল্যাণে আশীর্বাদ হয়ে দু’বিন্দু জল জমা হয়।
(ইহা একটি ছোটগল্প মাত্র যাহা প্রথম পুরুষে রচিত। গল্পের সাথে আমার কোন যোগসূত্র নেই। পাঠক যেন বিভ্রান্ত না হন, তাই এই ফুটনোট)
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:৩৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: পাঠ এবং মন্তব্যে অনেক ভালোলাগা। কিন্তু কথা হল, এই গল্পের বাবাটা আমি নই। তবে এমন তিনটা ছেলেমেয়ে নিয়ে সুখী সংসারের কথা চিন্তা করলেই... "কুচ কুচ হোতা হ্যায়"
২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: এই কারেন্ট মন্ত্রী বাহাদুর নিজেদের সাফল্য বাড়িয়ে দেখাতে গিয়ে দেশের পোলাপানদের শিক্ষার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন। গোল্ডেন ৫ পাওয়া ছেলেকে বাংলাদেশ নিয়ে ৪ টা বাক্য ইংরেজী করতে বলুন, শুয়ে পড়বে!
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভাই এতো তাড়াতাড়ি শুইতে বললে কেম্নে হবে? আর গণহারে সবাইকে শুইয়ে দেয়াও কোন কাজের কথা না।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ঢাকাবাসী।
৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাব নিশ্চয়ই ঢাবির ষ্টুডেন্ট ছিল! থাকা উচিত। যাতে তাদের পুওর দাবীর অসারতা প্রমাণ হত!
টিক মার্কে ৫০ ওয়ালারা কল্পনা করতে পারবে ১০০ নম্বরে কেবলই লিখে লিখে ৬০-৭০ তোলা কি জ্ঞান, মেধা আর পরিশ্রমের ছিল!!!
গল্পে +++
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন:
টিক মার্কে ৫০ ওয়ালারা কল্পনা করতে পারবে ১০০ নম্বরে কেবলই লিখে লিখে ৬০-৭০ তোলা কি জ্ঞান, মেধা আর পরিশ্রমের ছিল!!!
বালা বইলছেন যে... তয় আইজ থেইকা ১৫-২০ বছর আগেও কিন্তু ৮০% মার্কস তোলা চাট্টিখানি কথা ছিল না।
ভালো থাকবেন প্রিয় বিদ্রোহী সাহেব।
৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮
কলমের কালি শেষ বলেছেন: ধুরর...রাতে যখন কমেন্টা লিখে পোষ্ট করছি তখনই সামু ৪০২ ধারায় আমার মন্তব্যকে গ্রেফতার করলো । তখন ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি এখনো ১২ টা বাজতে ১ মিনিট বাকি অথচ মেনটেইনেন্সের জন্য বন্ধ করে দিল । মেজাজটাই বিগড়ে গেল ।
‘দেখো বাবা কোন পছন্দসই পাবলিক ভার্সিটি’তে চান্স পাওনি, তো কি হয়েছে? প্রাইভেটে ট্রাই করবে, সেখানে না হলে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়বে। সেখানে দেশের হাজার হাজার ছেলে মেয়ে পড়ছে না? আর কখনো মন ছোট করবে না। সবাইকেই ভালো কোথাও পড়তেই হবে এমন কোন কথা নেই; ভালো রেজাল্ট, ভালো ক্যারিয়ার, এগুলোই জীবনের সব নয়। মানুষ হিসেবে গোল্ডেন এ প্লাস সমতুল্য মানুষ হও জীবনে, ভালো ভার্সিটিতে নয়... স্থান করে নাও তোমার চারিপাশের মানুষের মনের মণিকোঠায়... তবেই মানব জীবন সার্থক হবে। বাবা হিসেবে আমি গর্বিত হব। এবার আমার দিকে চেয়ে একটু হাসো দেখি...’ বলে ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরলাম।
এই যু্ক্তিক কথাগুলোই বাবা মা রা বুঝে না । তাইতো অনেক অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা ঘটে যায় ।
পৃথিবীকে নতুনরূপ দানে যে সকল মহান ব্যক্তিদের অবদান অবিস্বরনীয় তাদের বেশীরভাগই ভাল জায়গায় পড়তে পারেনি এমনকি অনেকেই বেশীদূর লেখাপড়াই করতে পারে নাই ।
জ্ঞান আহরনের কোন সিলেবাস থাকে না অথচ সিলেবাসভিত্তিক জাঁতাকলে পড়ে জ্ঞান আহরনের পথ দিন দিন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে আমাদের সোনার বাংলার ছেলেমেয়েদের ।
এইবার আপনাকে ক্যাশ পিলাচই দিলাম ।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভাই ক্যাশ দিলেন ভালো কথা, কিন্তু কত দিলেন বইলা গেলেন না। কিছু পিলাচ ভাঙ্গায়া একটা উট নয় নিদেনপক্ষে একটা ছাগল কিনতাম...
ধুরর... এইটা কিছু হইল?
৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:১৫
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: আমাদের সময় যদি এই জিপিএ থাকত!!!
ঈদের শুভেচ্ছা রইল প্রিয় বোকা মানুষ বলতে চায়।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমাদের সময় যদি এই জিপিএ থাকত!!! আহালে.... শখ কত?
আপনাকেও জানিয়ে দিলাম অগ্রিম ঈদ শুভেচ্ছা। ভালো কাটুক এই আনন্দমুখর সময়গুলো।
৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:২০
আবু শাকিল বলেছেন: শিক্ষায় শিক্ষিত মেধাবী বাবা আর শিক্ষিত মেধাবী বেশি নম্বরধারী পুত্র ।
এখানে সবকিছুর মূলে মাস্টারমশাই !!!
ঈদের শুভেচ্ছা।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শাকিল ভাই। আপনাকেও জানাই ঈদের শুভেচ্ছা।
৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০১
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: একই সাথে শিক্ষনীয় উপদেশ এবং প্রতিবাদমূলক গল্প। শিক্ষাসাহেব তার আমলে বাংলাদেশকে নরওয়ে বানাবেন এই চিন্তায় সব্বাইকে পাশ করিয়ে গোল্ডেন এপিলাস দিয়ে দেশের শতকরা শিক্ষার মান বাড়াইয়া ফালাইছেন। কিন্তু দু:খের বিয়য় এডমিশন টেস্টে আইস্যা তাহার বেলুন ফাইট্যা গেলু।
ছেলেকে বলা কথাগুলো কোট করতে চাইলছিলাম, কিন্তু আগেও একজন করেছেন। তাই আর করলাম না। কথা আসলেই বান্দাইয়া রাখা দরকার্। ভাবতেছি লিফলেট বানায়ে এডমিশনের পরিক্ষার সামনে বিলি করুম কিনা। ইহা কিন্তু ফান না। সিরিয়াস কথা।
ঈদ মোবারক বোমাবচা ভাই।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৩৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় মৃদুল শ্রাবন। কমেন্ট হৃদয় ছুঁয়ে গেল। আসলে আমার ক্ষমতা থাকলে আমি এই কথাটুকু সব শিক্ষার্থীর অন্তরে মেইল করে দিতাম।
আমার এক কাজিন, এবার ঢাবি'র 'গ' আর 'ঘ' ইউনিটে পরীক্ষা দিয়ে কোনটাতেই চান্স পায় নাই। তো ওদের বাসায় গিয়ে দেখি সে কান্নাকাটি করে অস্থির, খানাপিনা বন্ধ। ওকে আমি ক্লাস নাইন হতে প্রায়ই ওদের বাসায় গিয়ে একাউণ্টিং দেখিয়ে দিতাম। আমি ওকে ড্রইং রুমে ডেকে জিজ্ঞাসা করলাম, 'দুই ইউনিট মিলে মোট সীট কয়টা?' ওর উত্তর, 'আড়াই হাজারের মত'। আমি বললাম, 'তুমি কি নিজেকে সারা বাংলাদেশের সেরা আড়াই হাজার স্টুডেন্টের মধ্যে একজন মনে কর?' তার উত্তর, 'না'। আমি, 'তাহলে কান্নাকাটি বন্ধ করে ভাত খাইতে বসো'। অনেকে মনে করতে পারেন আমি খুব রুক্ষভাবে কথা বলেছি। কিন্তু ঘটনা হল সে এক্সপেক্টেড এর চেয়ে বেশী ভালো রেজাল্ট দুই এক্সামেই করে স্বপ্নে বুঁদ হয়েছিল। হাজার হলেও আমিতো তাকে পড়িয়েছি, আমি ভালো জানি ওর ক্যালিবার সম্পর্কে।
এত কথা বললাম, কারণ এই গল্পটা লেখার মূল পটভূমি হল এই ঘটনাটি।
ভালো থাকবেন, ঈদ মোবারাক।
৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৬
জাফরুল মবীন বলেছেন: গল্পের সাথে আমার কোন যোগসূত্র নেই। পাঠক যেন বিভ্রান্ত না হন, তাই এই ফুটনোট-একথা বলেই তো পুরা সন্দেহ ঢুকাইয়া দিলেন!
পোস্টটা প্রিয়তে নিলাম পোলাপানগুলার নাম মনে রাখার জন্য। গোয়েন্দাগিরিতে কাজে লাগবে!
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৫৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হায় আল্লাহ, গোয়েন্দা জাম লাগছে আমার পেছনে। এই কারনেই আজ রাতে রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় বার বার মনে হচ্ছিল কে যেন আমায় ফলো করতেছে...। এখন আমার কি হপে?
৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৪৭
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: অসাধারণ হয়েছে ভাই। একজন আর্দশ বাবা শুধু জন্ম এবং লালন পালন করেই হয় না। ছেলে মেয়েদের সাথে বন্ধুসুলভ সর্ম্পক, পারিবারিক সেতুবন্ধন, সন্তানের সুখ দুঃখ ইত্যাদিকে স্বাভাবিক করা এসবই একজন বাবার দায়িত্বের অর্ন্তভুক্ত। তবুও সবার কপালে হয়ত বা আপনার মত বাবা থাকে না।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:২৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ও ভাই, ফুটনোট এতো কইরা বইলা আইসলাম ইহা আমার পুত্রকন্যাদের গপ নয়, তারপরও বুইললেন, "তবুও সবার কপালে হয়ত বা আপনার মত বাবা থাকে না"। এখন কিন্তু আমি কাইন্দালাইম।
অনেক ধন্যবাদ মিজভী বাপ্পা, দোয়া করবেন যেন গল্পের বাবা'র মত বাবা হতে পারি। অগ্রিম ঈদ শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকবেন।
১০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:৫২
আলম দীপ্র বলেছেন: বাহ বাহ ! আমার না জানি কি হয় !
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কাঁদে না খোকা, যা পাও তাই সই। খালি মিষ্টিটা একটু ভালো খাওয়ালেই হবে।
১১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৪০
সোহানী বলেছেন: হুম...... সে আর বলতে !!! আমার কাজিন ঢাকার সেরা স্কুলের ফার্স্ট বয়, ডাবল গোল্ডেন এ প্লাস..... এখনো পর্যন্ত কোথাও ভর্তি পরীক্ষায় এলাউ হয়নি। আগামী মাসের মেডিকেল পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করছে... সেখানে না হলে প্রাইভেটে দৈাড়াতে হবে !!!!!! এ হলো অবস্থা....
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমার খালাতো ভাই গতবছর সিলেট শাহজালাল ইউনি'তে চান্স পেয়েও ইয়ার লস দিল, ঢাবি'র আশায়। মাঝখান থেকে এক বছর লস। আমি বুঝাতে গেছি, কিন্তু তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ আর ফেইস রিয়াকশন দেখে থেমে গেছি। হাজার হলেও ওরা ডবল এ প্লাস প্রজন্ম। কষ্ট হয় ওদের জন্য।
ঈদের শুভেচ্ছা দোস্ত ব্লগার সোহানী। উৎসবের দিনগুলো আনন্দময় হয়ে উঠুক। ভালো থাকবেন।
১২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৪
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ভাল লাগল, ভাল থাকবেন।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তামান্না তাবাসসুম, শুভকামনা জানবেন।
১৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:০৪
ডি মুন বলেছেন: সব বাবা যদি এ গল্পের বাবার মত এমন হত !!!!!!!!!!!!!!!!
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: তাইলে ফুলাফানগুলি বাদাইম্মা হইয়া যাইত
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:০৬
ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: অনেক ভাল লাগল, বিশেষ করে শেষ পার্টটুকু । আপনার মত বাবা, অভিবাবক, বন্ধুর বড়ই অভাব আজকের সমাজে। ভাল থাকবেন।