নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

করটিয়া জমিদার বাড়ী (টাঙ্গাইল) ("বাংলার জমিদার বাড়ী" - পর্ব ১৫)

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৪২



জমিদার বাড়ী সিরিজের সব লেখাঃ "বাংলার জমিদার বাড়ী"

বাংলাদেশে যে কয়টি জমিদার বাড়ী সমৃদ্ধ ইতিহাসের সাথে কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে, করটিয়া জমিদার বাড়ী তার মধ্যে অন্যতম। টাঙ্গাইল জেলায় বেশ কয়েকটি জমিদার বাড়ী রয়েছে যার মধ্যে পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি, মহেড়া জমিদার বাড়ি, নাগরপুর জমিদার বাড়ি, দেলদুয়ার জমিদার বাড়ি প্রভৃতি অন্যতম। কিন্তু এই সবগুলোকে ছাপিয়ে ইতিহাস আর ঐতিহ্যে করটিয়া জমিদার বাড়ী আলাদা স্থান করে নিয়েছে।



টাঙ্গাইল শহর হতে ১০ কি.মি. দূরে পুটিয়া’র তীর ঘেঁষে আতিয়ারচাঁদ খ্যাত জমিদার ওয়াজেদ আলী খান পন্নীর জমিদার বাড়ি। প্রাকৃতিক এবং নিরিবিলি পরিবেশের এই জমিদার বাড়ীটি প্রায় ১ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ০.৫ কিলোমিটার প্রস্থ বিশিষ্ট প্রাচীরঘেরা যেখানে রয়েছে লোহার ঘর, রোকেয়া মহল, রাণীর পুকুরঘাট, ছোট তরফ দাউদ মহল এবং বাড়িসংলগ্ন মোগল স্থাপত্যের আদলে গড়া মসজিদ একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য। মোগল ও চৈনিক স্থাপত্যের মিশেলে নির্মিত জমিদার বাড়ীটি প্রথম দর্শনেই আপনার মন কেড়ে নেবে। সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে অবস্থিত মোগল স্থাপত্য শিল্পের নিদর্শন রোকেয়া মহল; যা প্রত্নতাত্তি্বক নিদর্শনের মর্যাদা পাওয়ার দাবি রাখে। অথচ উহা কলেজ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।







একটা জিনিষ লক্ষ্য করেছি, বাংলাদেশের মোটামুটি ভালো অবস্থায় টিকে থাকা জমিদার বাড়ীগুলোর সব কয়টাই কেন কোন প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাবহার করা হয়, তা আমার বোধগম্য নয়। জমিদার বাড়ি নিয়ে ধারাবাহিক লেখা শুরু করার পর এই বিষয় নিয়ে অল্পবিস্তর ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। উন্নতবিশ্বে যে সকল স্থাপনা হেরিটেজ হিসেবে সংরক্ষিত হয়, আমাদের দেশে সেইসকল স্থাপনা পড়ে থাকে অবহেলায়, ক্ষয়ে যায় অস্থি-মজ্জা সকল, ঘুণে ধরে বিচূর্ণ হয় ইতিহাসের পাতা। অপূর্ব সকল স্থাপনা আর নির্মাণশৈলী নিয়ে আমাদের বাংলাদেশের আনাচে কানাচেতে পড়ে আছে অসংখ্য জমিদার বাড়ি, রাজবাড়ীসহ আরও কত স্থাপনা। আর এই সব স্থাপনার কিছু কথা এই বোকা মানুষটার ছেঁড়া খাতায় লিখে রাখার প্রয়াস হল এই “বাংলার জমিদার বাড়ী” সিরিজ।







করটিয়া জমিদার বাড়ির দক্ষিণে অবস্থিত এই মসজিদটি প্রায় ১৪০ বছরের পুরনো মসজিদ। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন সময়ে সমপ্রসারিত এই মসজিদটি ৩টি অংশে বিভক্ত। প্রথম অংশ ৩ গুম্বজ বিশিস্ট ছিল। দ্বিতীয় অংশে রয়েছে ৫টি গুম্বজ | তৃতীয় অংশে কোন গুম্বজ নেই। মসজিদের উপরে উত্তরে এবং দক্ষিণে রয়েছে ৪টি করে ছোট গুম্বজ । ১৮৭১ সালে হাফেজ মাহমুদ আলী খান পন্নী মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। মসজিদের সমানে রয়েছে ত্রিকোণ বিশিষ্ট মিনার। মিনারের দু’পাশে সিড়ি। মসজিদের মূল অংশে ৫টি দরজা। দ্বিতীয় অংশে উত্তর ও দক্ষিণে ১টি করে দরজা এবং তৃতীয় অংশের পূর্ব দিকে রয়েছে ৫টি দরজা। ভেতরে প্রাচীন আমলের ৩টি ঝুলন্ত ঝাড় এবং ১টি সিন্ধুক। প্রবেশ পথ বরাবর দেয়ালে ৩টি মেহরাব যেগুলোর কারুজাকগুলি সকলেরই দৃষ্টি কাড়ে।







“আটিয়ার চাঁদ” নামক গ্রন্থ থেকে জানা যায় যে, আফগান অধিপতি সোলায়মান খান পন্নী কররানির ছেলে বায়েজিদ খান পন্নী ভারতে আগমন করেন। তাঁর পুত্র সাইদ খান পন্নী আটিয়ায় বসতি স্থাপন এবং ১৬০৮ খ্রিঃ সম্রাট জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে আটিয়ার বিখ্যাত মসজিদ নির্মাণ করেন। এই বংশেরই ১১তম পুরুষ সা'দত আলী খান পন্নী টাঙ্গাইলের করটিয়ায় এসে পন্নী বংশের ভিত প্রতিষ্ঠা করেন। উনিশ শতকের প্রথম দিকে সাদত আলী খান পন্নী সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে নানা মামলায় জড়িয়ে পড়েন। ঢাকার জমিদার খাজা আলীমুল্লাহর সহায়তায় তিনি পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধার করেন, কিন্তু শর্ত ভঙ্গের কারণে পাল্টা মামলা করে খাজা আলিমুল্লাহ ভোগ-স্বত্বের ডিক্রি লাভ করেন। তখন সাদত আলী খান সম্পত্তি রক্ষার জন্য স্ত্রী জমরুদুন্নেসা খানমের নামে তা দানপত্র করে দেন। পরে অবশ্য উভয় পক্ষের মধ্যে আপোষ মীমাংসা হয়।







সাদত আলী খান সম্পত্তির ৭ আনা অংশ খাজা আলিমুল্লাহকে ছেড়ে দেন। অতঃপর বাংলা ১২২৭ সনের ৯ পৌষ সাদত আলী খান এবং তাঁর স্ত্রী জমরুদুন্নেসা খানম যৌথভাবে একটি দলিল করেন। এতে সমস্ত সম্পত্তি দুটি ভাগে বিভক্ত করে এক ভাগ পরিবারের ব্যয় ও অন্য ভাগ ওয়াকফ্ করে ধর্মীয় ও দাতব্য কাজে ব্যয় করার জন্য নির্দিষ্ট করা হয়। ওয়াকফ্ সম্পত্তি দেখাশুনা করার জন্য মুতাওয়াল্লী নিয়োগের বিধান রাখা হয়। সাদত আলী খান পন্নীর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র হাফেজ মাহমুদ আলী খান পন্নী মুতাওয়াল্লী ছিলেন। মাহমুদ আলী খান পন্নীর মৃত্যুর (১৮৯৬) পর মুতাওয়াল্লী কে হবেন এ নিয়ে তাঁর পুত্র ওয়াজেদ আলী খান পন্নী (চাঁদ মিয়া) এবং পিতামহী জমরুদুন্নেসা খানমের মধ্যে বিবাদ ও মামলা মোকদ্দমা সংঘটিত হয়। পরিশেষে ওয়াজেদ আলী খান পন্নী জয়ী হন এবং দক্ষতার সঙ্গে জমিদারি পরিচালনা করেন।







পন্নী পরিবারের ১৩তম পুরুষ দানবীর জমিদার আটিয়ার চাঁদ হিসেবে খ্যাত ওয়াজেদ আলী খান পন্নী অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার কারণে ১৯২১ সালের ১৭ ডিসেম্বর কারা অবরুদ্ধ হন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে তাঁর অনমনীয় মনোভাব ও দৃঢ় ব্যক্তিত্বের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ আজও লন্ডন মিউজিয়ামে সংরক্ষিত ওয়াজেদ আলী খান পন্নীর তৈলচিত্রের নিচে লেখা রয়েছে 'ওয়ান হু ডিফাইড দি ব্রিটিশ।' ১৯২২ সালে জেল থেকে মুক্ত হয়ে তিনি সমাজ ও শিক্ষা সংস্কারের কাজে আত্মনিয়োগ করেন এবং বাংলার আলীগড় নামে খ্যাত ১৯২৬ সালে করটিয়ায় সা'দত কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। কলেজের পাশাপাশি তিনি স্থাপন করেন রোকেয়া সিনিয়র মাদ্রাসা, এইচএম ইনস্টিটিউশন (স্কুল এ্যান্ড কলেজ) এবং দাতব্য চিকিৎসালয়সহ জনকল্যাণকর বহু প্রতিষ্ঠান। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার ব্যয় নির্বাহের অভিপ্রায়ে তিনি তাঁর সমস্ত সম্পত্তি, বসতবাড়িসহ এলাহীর উদ্দেশে ১৯২৬ সালের ৯ এপ্রিল এক ওয়াক্ফ দলিলের সৃষ্টি করেন; যার নম্বর ৩৩৪৯।



ওয়াজেদ আলী খান পন্নী ওরফে চাঁদ মিয়া সাহেবে মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র মাসুদ আলী খান পন্নী এস্টেটের মোতোয়ালি নিযুক্ত হন। এস্টেটের অব্যবস্থাপনার জন্য ওয়াক্ফ প্রশাসক ১৯৪০ সালের ১০ নবেম্বর ১৩৬৭৮নং পত্রে মাসুদ আলী খান পন্নীকে শর্তহীনভাবে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন। এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে মাসুদ আলী খান পন্নী পদত্যাগ করেন এবং ওয়াক্ফ দলিল অনুসরণে খুররম খান পন্নী মোতোয়ালি নিযুক্ত হন। ১৯৬২ সালে তিনি রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হলে ১৯৬৩ সালে তাঁর পুত্র ওয়াজিদ আলী খান পন্নী (২য়) ওরফে বান্টিং ভারপ্রাপ্ত মোতোয়ালি নিযুক্ত হন।।







উল্লেখ্য যে, পন্নী পরিবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেশ পরিচিত মুখ স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময় হতে। ওয়াজেদ আলী খানের দৌহিত্র খুররম খান পন্নী পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের চীপ হুইপ এবং একজন রাষ্ট্রদূত ছিলেন। অপর দৌহিত্র হুমায়ন খান পন্নী বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার ছিলেন। খুররম খান পন্নীর পুত্র ওয়াজেদ আলী খান পন্নী (দ্বিতীয়) বাংলাদেশ সরকারের উপমন্ত্রী ছিলেন।







ঢাকার মহাখালী থেকে বেশ কয়েকটি পরিবহনের বাস টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সেগুলোতে চড়ে আপনি করটিয়া বাইপাস এর কাছে নেমে গিয়ে একটি রিকশা নিয়ে চলে যান করটিয়া জমিদার বাড়ি। বাস ভাড়া ১৫০-১৭০ টাকা, আর রিকশা ভাড়াটা ১৫-২০ টাকা পরবে। একদিনের ট্যুরে গেলে এই জমিদার বাড়ী ছাড়াও শুরুতে উল্লেখ করা যে কোন জমিদার বাড়ী ঢুঁ মারতে পারেন। অথবা চলে যেতে পারেন ঐতিহ্যবাহী আতিয়া মসজিদ দেখতে, একই পথে রয়েছে দেলদুয়ার জমিদার বাড়ী। দেখে আসতে পারেন মওলানা ভাসানীর সমাধি এবং জাদুঘর, সাথে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি।



আজ এখানেই শেষ করছি, আগামীতে নতুন আরেকটি লেখা নিয়ে হাজির হব এই সিরিজে, ততক্ষণ পর্যন্ত সাথেই থাকুন ;)



ছবিঃ

Click This Link _bn.html

ভ্রমণ বন্ধু মুনিরুল হাসান

ব্লগার রাজিব শাহরিয়ার এর পোস্ট একদিনের ভ্রমন টাঙ্গাইলে ...

http://www.bklit.wordpress.com



তথ্যসুত্রঃ

http://www.dailyjanakantha.com/

http://www.bn.banglapedia.org/

http://www.archive.ittefaq.com.bd/

http://www.archive.prothom-alo.com/

http://www.heritagebangladesh.co/

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৫৫

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: জমিদার বাড়ীগুলো পুরোনো হলেও কেমন একরকম আভিজাত্য থেকেই যায়।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হুমমম.... ঠিক বলেছেন। প্রতিটি জমিদার বাড়ীতেই যখন গিয়েছি, যত ভগ্নদশাই হোক না কেন, সেই ভগ্নস্তুপ দেখেও বুঝা যায়, কোন একসময় কি অপূর্ব নির্মাণশৈলী ছিল এই জমিদার বাড়ীটার!! উদাহরনস্বরূপ বলতে পারি লক্ষ্মীপুরের দালাল বাজার জমিদার বাড়ীর কথা। কিছুই তেমন অবশিষ্ট নেই, কিন্তু সেই ভগ্নস্তুপের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা নকশা করা ভাঙ্গা পিলার আর সিলিং এর এক চিলতে দেখে বুঝা যায় কি অপূর্ব নির্মাণ ছিল বাড়ীটির।

পাঠ এবং মন্তব্যে অনেক ভালোলাগা জানবেন। ভালো থাকুন সবসময়।

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:২০

টুম্পা মনি বলেছেন: জমিদার বাড়িগুলা দেখলেই কেমন যেন একটা ভুত ভুত ঘ্রাণ আসে। মনে হয় কোন নর্তকীর নুপুর বাজতেসে যে রাজার অত্যাচারের মরে গেসে।

লেখাটা অসাম।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভুত ভুত ঘ্রাণ!!!

আসলে আমাদের দেশের জমিদারগুলো বেশীরভাগই অত্যাচারী ছিল (দুয়েক'টি ব্যাতিক্রমও দেখা যায়, যেমন গাজীপুর কালিয়াকৈর এর শ্রীফলতলী জমিদার); ফলে আমাদের মনে তাদের সেই অত্যাচারী রুপটি গেঁথে গেছে। এই সিরিজের মূল উদ্দেশ্য হল অপূর্ব স্থাপত্যশৈলী'তে নির্মিত জমিদার বাড়ীগুলোর কিছু তথ্য
আর ছবি একত্রিত করা।

আপনার মন্তব্য পেয়ে খুশী হলাম। অনেক ভালো থাকুন আপুমনি। শুভকামনা সতত।

৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:৫৮

এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার!!

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাবির ভাই বরাবরের মত এই সিরিজের সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকুন সবসময়।

৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:১৯

তুষার কাব্য বলেছেন: চমৎকার! অনেক কিছু জানা হলো...

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তুষার কাব্য। ভালো থাকুন সবসময়।

৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:০৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার দেখলুম, খুব ভাল লাগল। এখনো যে বাহিনীগুলো কেন এসব দখল করেনি সেটাই আশ্চর্য্য!

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ঢাকাবাসী। বরাবরের মত সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো কাটুক প্রতিটি দিন, এই শুভকামনায়....

৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:১৮

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ২য় ভালোলাগা ভ্রাতা +++++++

দারুন তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট । এই স্থাপনাগুলো কোন কোম্পানি বা ব্যাক্তিকে লিজ দেওয়া উচিৎ নয় । এগুলোর বেহাল দশা দেখলে খারাপই লাগে । যে জাতি নিজেদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারে না , সে জাতির মতো অভাগা জাতি দুনিয়াতে কয়টা আছে !

ভালো থাকবেন অনেক :)

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:০৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা অপূর্ণ রায়হান সবসময় সাথে থাকার জন্য। ঠিক বলেছেন, যে জাতি নিজেদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারে না , সে জাতির মতো অভাগা জাতি দুনিয়াতে কয়টা আছে !

এই জমিদার বাড়ী সিরিজ সম্পর্কে আগের কয়েকটা লেখায় অনেকে বলেছেন জমিদারদের অত্যাচারের কথা। কিন্তু আমার উদ্দেশ্য হল ঐতিহাসিক স্থাপনা হিসেবে জমিদার বাড়ীগুলোর কথা বলা, জমিদারদের প্রসংশা করা নয়। তাই ঘুরে ঘুরে জমিদার বাড়ী খুঁজে ফিরি, আর চেষ্টা থাকে ঐ জমিদার বাড়ীর কিছু ছবি তুলে সাথে ইনফো যোগ করে এই সিরিজে টুকে রাখতে। এই লেখার জন্য শারীরিক সমস্যার কারনে নিজে গিয়ে ছবি তুলতে পারি নাই, তাই ধার করা ছবি দিয়ে কাজ চালিয়েছি। :P

ভালো থাকুন সবসময়, মঙ্গল কামনায়.....

৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪১

মাহবু১৫৪ বলেছেন: চমৎকার

+++++

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: পাঠ, মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ জানবেন মাহবু১৫৪। ভালো থাকুন সবসময়।

৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪

সুমন কর বলেছেন: অাপনার এ সিরিজটি সবসময় সুন্দর। অনেক যত্ন এবং তথ্যসমৃদ্ধ করে তৈরি করেন। যেটা অনেক সময় পাওয়া যায় না।

চমৎকার করে অারো একটি জমিদার বাড়ী অামাদের সামনে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সুমন কর। এই পর্ব লেখার সময় একটু মন খারাপ লেগেছে। নিজে স্বশরীরে গিয়ে জমিদার বাড়ীর ছবি তুলে আনতে পারি নাই বলে একটু খারাপ লেগেছে। তবে একটু ভ্রমণোপযোগী হয়ে উঠলেই একবার নিজে গিয়ে ঘুরে আসবো পন্নী পরিবারের এই জমিদার বাড়ীটি।

এই সিরিজের শুরু থেকে সবসময় সাথে থাকাদের অন্যতম আর আমার প্রথম ব্লগীয় বন্ধুকে ধন্যবাদ দিলাম না এবার। একরাশ শুভকামনা রইল।

৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪

জাফরুল মবীন বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ দারুণ একটি ব্লগ পোস্ট।চালিয়ে যান।বোকা কচ্ছপের মত কামড়িয়ে ধরে আছি আপনার ব্লগকে ;) ...কাজেই সবসময় সাথেই পাবেন :)

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: জাম ভাই আবার বোকা কচ্ছপ হলেন কবে থেকে? ;) !!!!

এই সিরিজ আমার প্রিয় িরিজ, এবং এটা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদে কাজ করে যাবার ইচ্ছা আছে। দোয়া করবেন এই সিরিজ যেন কণ্টিনিউ করে যেতে পারি।

সুন্দর মন্তব্যে অনেক ভালো লাগা। ভালো থাকুন সতত। :)

১০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৫৯

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: তথ্যবহুল একটি পোষ্ট। জমিদার বাড়ীর ছবিগুলো দেখা হল আপনার কল্যাণে। চালিয়ে যান----অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন। ভাল থাকা হোক।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:১৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপা, এই সিরিজই আমার সামু ব্লগের প্রথম সিরিজ। এরপর "জীবন থেকে নেয়া অনুপ্রেরনার গল্প - NEVER UNDER ESTIMATE ANYBODY" এবং "ভ্রমণ সাহিত্যে চোখ বুলাই" সিরিজ লেখা শুরু করি। যতদিন সামু ব্লগে থাকবো, এই জমিদার বাড়ী সিরিজ চলতে থাকবে।

পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভালো কাটুক প্রতিটি ক্ষণ।

১১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:২৯

শুভ্র গাঙচিল বলেছেন: তথ্যবহুল ভিন্নমাত্রার লেখা । এক্সামের প্রেসারের কারনে পড়তে পারলাম না ভ্রাতা কিন্তু প্রিয়তে রাখলাম। অবসরে অবশ্যই পড়বো।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:০১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ শুভ্র গাঙচিল। এক্সাম ভালো মত দেন, ফ্রি হয়ে তারপর ব্লগে আবার ফিরে আসুন। এক্সামের জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।

১২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:১১

কলমের কালি শেষ বলেছেন: ওয়াজেদ আলী খান পন্নী ওরফে চাঁদ মিয়া সাহেবে মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র মাসুদ আলী খান পন্নী এস্টেটের মোতোয়ালি নিযুক্ত হন। এস্টেটের অব্যবস্থাপনার জন্য ওয়াক্ফ প্রশাসক ১৯৪০ সালের ১০ নবেম্বর ১৩৬৭৮নং পত্রে মাসুদ আলী খান পন্নীকে শর্তহীনভাবে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন। এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে মাসুদ আলী খান পন্নী পদত্যাগ করেন এবং ওয়াক্ফ দলিল অনুসরণে খুররম খান পন্নী মোতোয়ালি নিযুক্ত হন। ১৯৬২ সালে তিনি রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হলে ১৯৬৩ সালে তাঁর পুত্র ওয়াজিদ আলী খান পন্নী (২য়) ওরফে বান্টিং ভারপ্রাপ্ত মোতোয়ালি নিযুক্ত হন।ওয়াজেদ আলী খান পন্নী ওরফে চাঁদ মিয়া সাহেবের মৃতু্যর পর তাঁর পুত্র মাসুদ আলী খান পন্নী এস্টেটের মোতোয়ালি নিযুক্ত হন। এস্টেটের অব্যবস্থাপনার জন্য ওয়াক্ফ প্রশাসক ১৯৪০ সালের ১০ নবেম্বর ১৩৬৭৮নং পত্রে মাসুদ আলী খান পন্নীকে শর্তহীনভাবে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন। এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে মাসুদ আলী খান পন্নী পদত্যাগ করেন এবং ওয়াক্ফ দলিল অনুসরণে খুররম খান পন্নী মোতোয়ালি নিযুক্ত হন। ১৯৬২ সালে তিনি রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হলে ১৯৬৩ সালে তাঁর পুত্র ওয়াজিদ আলী খান পন্নী (২য়) ওরফে বান্টিং ভারপ্রাপ্ত মোতোয়ালি নিযুক্ত হন।[/sb

এই প্যারায় লেখা দুইবার রিপিট হয়েছে ।

অনেক জ্ঞান আহরন করলাম । দেখি ঘুরেও আসতে পারি । :)

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:১৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কলমের কালি শেষ ভাই, এই অনিচ্ছাকৃত ভুলটি ধরিয়ে দেয়ার জন্য। এখনই ঠিক করে দিয়েছি। বরাবরের মত পোস্টে পেয়ে ভালো লাগলো।

আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আর শুভকামনা রইলো আপনার তরে....

১৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:০৬

সুফিয়া বলেছেন: এই জমিদার বাড়িটিতে আমি একদিন ঢুকেছিলাম নিতান্তই কৌতূহল বশে। থিবরে যারপর নাই অবাক হয়েছি প্রাচীন আমলের স্থাপত্য কলার নিদর্শন দেখে। বাইরে থেকে অবশ্য এখন আর এসব কিছু বুঝার উপায় নেই।

ধন্যবাদ আপনাকে বাড়িটি সম্পর্কে অনেক তথ্য শেয়ার করার জন্য। +++++++++++++

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুপ্রিয় সুফিয়া আপা। আসলেই জমিদার বাড়ীগুলোর স্থাপত্য কলার নির্মাণশৈলী চমকে দেয় প্রথম দর্শনে... অসাধারন এই জমিদার বাড়ীগুলো সংরক্ষন করার জন্য সরকারের কোন উদ্যোগ আছে বলে আমার জানা নেই। আর তাই নীরবে প্রতিনিয়ত ক্ষয়ে ক্ষয়ে হারিয়ে যাচ্ছে এই নিদর্শনগুলো।

ভালো থাকুন সবসময়, আপনার মঙ্গল কামনায়...

১৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৭

রন৬৬৬ বলেছেন: Well written. I have been looking for this for a long time. Much appreciated for your efforts.

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:০৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: Many many thanks রন৬৬৬। এই সিরিজের সাথে থাকুন, আরও অনেক জমিদার বাড়ীর গল্প নিয়ে হাজির হব আপনাদের কাছে।

ভালো থাকুন সবসময়

১৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:১৯

আমিনুর রহমান বলেছেন:



দারুন পোষ্ট +

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:২২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আমিনুর রহমান ভাই উৎসাহব্যাঞ্জক মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন সবসময়।

১৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১৯

আবু শাকিল বলেছেন: সিরিজ চলুক...

পোষ্টের সাথেই আছি।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ আবু শাকিল ভাই সাথে থাকার জন্য। মঙ্গল কামনায়...

১৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:০৩

খাটাস বলেছেন: চমৎকার এক সংগ্রহধারা বোকা ভাই। ইতিহাস ঘুরে বর্তমানে আসলাম। অনেক ভাল লাগল। অনেক কিছু জানলাম।
আপনি কি গিয়ে ছবি গুলো তুলেছেন?

ভিতরে যাওয়া যায়?

ভাল থাকবেন ও শুভেচ্ছা।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য। আপনি হয়তো খেয়াল করে থাকবে, পোস্টের শেষে আমি ছবি'র সোর্স উল্লেখ করেছি এবং কয়েকটি কমেন্টের প্রতিত্তরে বলেছি, শারীরিক অপরাগতার কারণে নিজে গিয়ে এবার ছবি তুলে আনতে পারি নাই।

আশা করি সামনে অন্য কারো হতে ধার করে ছবি নিতে হবে না, যদি না আমি দ্রুত সুস্থ হয়ে না উঠি।

ভালো থাকুন সবসময়।

১৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩

খাটাস বলেছেন: ও হ্যাঁ। পড়া শেষে নিচের লিঙ্ক গুলো আর খেয়াল করি নি।
যাই হোক, আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।
শুভকামনা রইল অনেক।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: :) অনেক ধন্যবাদ।

১৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৪:২৫

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ৫ম ভালোলাগা। অসাধারন এক টা কাজ করছেন । অন্তত দলিল হিসেবে পোষ্টগুলো তো থেকে যাবে। আমরা বড়ই অভাগা জাতি, নিজের সম্পদের মূল্য বুঝি না , যত্ন নেই না, বরং সেই পয়সা খরচ করে দূর দূর দেশ ঘুরতে পারি পরের সম্পদ দেখার জন্য ।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রেজওয়ানা আলী তনিমা সুন্দর মন্তব্য'র জন। এই ধরনের লেখা এমনিতেই কেউ খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ে না। আপনার কমেন্টের মত কমেন্ট যখন পাই, তখন মনে হয় কষ্ট একেবারেই বৃথা যাবে না। এখন থেকে চেষ্টা থাকবে প্রতিমাসে একটা করে জমিদার বাড়ী সিরিজের পোস্ট দেয়া।

ভালো কাটুক আপনার প্রতিটি ক্ষণ।

২০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯

মাদিহা মৌ বলেছেন: টাঙ্গাইল গিয়ে দুইটা জমিদার বাড়ি গেছি। মহেড়া আর ধনবাড়ি। এত্ত সুন্দর জমিদার বাড়িটা তো দেখাই হল না! ঘুরানো স্টিলের সিঁড়ি দেখে খুবই আমোদিত হলাম।

এটা কলেজ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে? মন্দের ভালো। অন্তত টিকে তো আছে!

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এটা টিকে আছে, কারন এটা বনেদি পরিবারে বাড়ী, যারা আজও বনেদিই আছে। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.