নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

তারুয়া সৈকতের বালুকাবেলায়

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:২১



প্রথমে যখন দূর থেকে দিগন্তরেখায় কালো রেখার মত তারুয়া দ্বীপের গাছগুলো দৃষ্টি সীমানায় এলো তখনও পেছনে ঢালচর বা কালীরচর দৃষ্টি সীমানা হতে হারিয়ে যায় নাই। তন্ময় হয়ে আমরা পনের জনের ভ্রমণ পাগল মানুষ চেয়ে আছি সেই হাতছানি দেয়া অপার সৌন্দর্যের সমুদ্রতটের পাণে। ঢাল চর থেকে প্রায় ঘণ্টাখানেকের মত সময় ইঞ্চিন নৌকায় সমুদ্রপথ মাড়িয়ে আমরা পৌঁছলাম ভোলার চর ফ্যাশন এর আলোচিত সম্ভাবনাময় পর্যটন সৈকত তারুয়ায়।



২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকের কথা, ভ্রমণ বাংলাদেশ থেকে আমরা পনের জনের দল গিয়েছিলাম চর কুকরি মুকরি ভ্রমণে। সেই ভ্রমণের অংশ ছিল সদ্য আলোচিত সৈকতের তারুয়া দ্বীপ ভ্রমণে। প্রথম দিন রাতের বেলা স্থানীয়দের সাথে কথা বলে ১৬ হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিন নৌকা ভাড়া করা হয় পরের দিন ঢালচর, তারুয়া দ্বীপ আর সোনার চর ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। গত অক্টোবরে সেই ভ্রমণ নিয়ে লিখেছিলাম “চার চর আর তিন সৈকত” নামক পোস্ট। বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকত নিয়ে লেখার নিমিত্তে আমার ভ্রমণ করা সৈকতগুলো নিয়ে নতুন করে পোস্ট করার ধারাবাহিকতায় আজ থাকছে তারুয়া সৈকতের গল্প।



দুই বছর আগের সেই ভ্রমণের সময় আমি খুব ভয়ে ছিলাম পানিপথে ভ্রমণ নিয়ে, কারণ দুঃখজনক হলেও সত্য আমি সাঁতার জানি না। সারাটা ভ্রমণের সময় ভয়ে তটস্থ ছিলাম, এযে নদীপথও নয়... সরাসরি সমুদ্র!!! লাইফ জ্যাকেট সারাক্ষণ গাঁয়ে বাঁধা ছিল। সবার জন্য লাইফ জ্যাকেট থাকা সত্ত্বেও আমি আর দুএকজন ছাড়া বাকী কেউ লাইফ জ্যাকেটের প্রতি তেমন আগ্রহ দেখায় নাই। আমাদের ভ্রমণের সময়টায় সমুদ্র অসম্ভব শান্ত ছিল, একটা কোন বড় ঢেউয়ের মুখোমুখি হতে হয় নাই আমাদের। কিন্তু সবসময় এমনটা হবে তার কোন গ্যারান্টি নেই। তাই সবার উচিত পর্যাপ্ত সতর্কতা অবলম্বন করা এই ধরণের ভ্রমণের ক্ষেত্রে।




যাই হোক ঢালচর ঘুরে আমরা যখন তারুয়া দ্বীপে পৌঁছলাম তখন সূর্য মধ্যাকাশে। প্রায় কোমর পানিতে সবাইকে জামা কাপড় গুটিয়ে নেমে যেতে হল, কারণ পানির তলদেশের বালি আমাদের নৌযানকে আর এগুতে দিচ্ছিল না। ঝপাঝপ সবাই নেমে পড়লাম পানিতে গা ভিজিয়ে, এগিয়ে গেলাম এই চমৎকার বালুকাবেলায় কিছু সময়ের জন্য আনন্দ অবগাহনে। নিশ্চুপ, কোলাহল মুক্ত, ফাঁকা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা সৈকতের দিকে চেয়ে থাকলে হৃদয়ের গোপনে একটা অদ্ভুত প্রশান্তি পাওয়া যায়। দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত নীরবে একাকী দাঁড়িয়ে রয়েছে যেন আপনাকে বরণ করে নিতে। তবে, এখন যেভাবে এই জায়গাগুলোতে লোক সমাগম বাড়ছে, জানিনা এখন সেই রূপ দেখা যাবে কি না? ইদানীং শুনছি সেই জায়গাগুলোতে হোটেল মোটেল করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পর্যটনের বিকাশের লক্ষ্যে!



স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার অন্তর্গত সমুদ্র উপকুলে এই চরটি গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে বনবিভাগের উপকূলীয় কৃত্রিম বনায়ন কার্যক্রমের আওতায় ঢালচর, চর কুকরি মুকরি, মাইনক্যার চর সহ এই তারুয়া দ্বীপের বনায়ন কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে এই দ্বীপের কৃত্রিম বনে ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছের মাঝে রয়েছে হরিণ, বন মোরগ, বিভিন্ন ধরণের সাপ সহ অসংখ্য পাখীর সমাবেশ। বিশেষ করে শীতকালে এখানে প্রচুর পাখীর দেখা মেলে। ইদানীং পাখী নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের কাছে ভোলার চর ফ্যাশনের বিভিন্ন দ্বীপগুলো খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উল্লেখ থাকে যে, ঢালচর, চর কুকরি মুকরি সহ তারুয়া দ্বীপে যে সকল পশু দেখা যায় সেগুলোর বেশীর ভাগই বন বিভাগ কর্তৃক অবমুক্ত করা হয়েছিল।



আমরা সকালবেলা নাস্তা করে বের হয়েছিলাম, সাথে ছিল হালকা বিস্কুট আর পানি কয়েক বোতল। কিন্তু মাথার উপর সূর্য নিয়ে এতোটা সময় পার করে দিয়ে এক সময় সেই সম্বলও ফুরিয়ে গেল। আসলে, আমরা যখন চর কুকরি মুকরি থেকে রওনা হই, আমাদের কোন ধারণা ছিল না কত সময় লাগতে পারে। একদিনে ঢালচর, তারুয়া আর সোনার চর দেখে আমরা সেদিন কুকরি মুকরি ফিরেছিলাম রাত নয়টায়। অবশ্য রাতের বেলা আকাশে পূর্ণিমার ঘোর লাগানো অদ্ভুত গোলাপি-হলদে বিশাল থালার ন্যায় চাঁদ আর আমাদের হেঁড়ে গলার গানের ফাঁকে ভুলেই গিয়েছিলাম সমুদ্রের বুকে আমাদের নৌকা ছাড়া আর কোন নৌকা নেই। কেননা তখন ইলিশ প্রজননের মৌসুম হওয়াতে সকল ধরণের মাছ ধরার নৌকা চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল। তবে, আমার জীবনের স্মরণীয় ভ্রমণ ছিল সেদিনকার সেই ভ্রমণ।



জেলা শহর ভোলা থেকে প্রায় দেড়শ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই তারুয়া দ্বীপ। প্রায় চল্লিশ বছর আগে জেগে ওঠার পর থেকে সেই দ্বীপ মাছ ধরার জেলেদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। লোকমুখে শোনা যায়, সেখানে এক প্রকার সামুদ্রিক মাছ প্রচুর পরিমাণে ধরা পড়ত যেগুলোর আঞ্চলিক নাম ছিল তারুয়া, সেই থেকে নাকি এই দ্বীপের নাম হয়েছে তারুয়া দ্বীপ। সত্য-মিথ্যা আমার জানা নেই, বা যাচাই করার প্রয়োজন মনে করি নাই। ভোলা শহরের চর ফ্যাশন থেকে কচ্ছপিয়া ঘাট পর্যন্ত যাওয়ার জন্য বাস, লেগুনা বিভিন্ন সড়ক যান রয়েছে। কচ্ছপিয়া ঘাট পৌঁছে সেখান থেকে ইঞ্চিন নৌকা ভাড়া করে আপনি সহজে চলে যেতে পারেন কুকরি মুকরি অথবা ঢালচর হয়ে তারুয়া দ্বীপ। চাইলে সরাসরি তারুয়া দ্বীপ।



তবে যে হারে পর্যটকের সংখ্যা এবং নানান পর্যটন বিকাশের কার্যক্রম (ধান্দাবাজি ছাড়া আর কিছু কি হবে? :( ) চলছে, খুব শীঘ্রই হয়ত সেই নীরব কোলাহল মুক্ত তারুয়া দ্বীপ ঠাই পাবে ইতিহাসের পাতায়, পরিণত হবে আরেক সেন্টমার্টিন! প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য লালন পালন করা কবে যে আমরা শিখবো?



ক্যামেরার ব্যাটারি শেষ হয়ে যাওয়ায় ছবিগুলো সব মোবাইল হতে তোলা, তাই রেজুলেশন খুব খারাপ এসেছিল :( বিশ্বাস না হলে নিজ চোখে দেখেন...



তো, সেই তারুয়া দ্বীপের সমুদ্র সৈকতে ঘণ্টা খানেক আনন্দময় সময় কাটিয়ে শেষ দুপুরের বিষণ্ণ সময়ে আমরা রওনা দেই আমাদের শেষ গন্তব্য সোনার চরের উদ্দেশ্যে। আর পেছনে রেখে যাই আমাদের স্মৃতির পদচিহ্ন এই মায়াময় সমুদ্র সৈকতে।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৫১

ঢাকাবাসী বলেছেন: বেশ ভাল লাগল্, ছবিগুলো সব প্রায় একরকম। একটু ঘুরিয়ে বড় ছোট করে দিলে সুন্দর হতো মনে হয়।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ঢাকাবাসী। আসলে এতো কম ছবি তুলেছিলাম, তার উপর আবার মোবাইলের লো রেজুলেশন :( তবে আপনি ঠিক বলেছেন, ছবি কিছু বড় ছোট, ঘুরিয়ে দিলে হয়ত আরও ভালো হত।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা জানবেন।

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৭

সুমন কর বলেছেন: চর কুকরি মুকরি ভ্রমণ কাহিনী ভাল লাগল। কিন্তু বন্ধু, সব ছবি এক ধাঁচের হয়ে গেল।

১ম +।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হুমম... ক্যামেরার চার্জ ছিল না, মোবাইলে কয়েকটা মাত্র ছবি তুলেছি, সব এক ধাঁচের :( আর এটা কিন্তু কুকরি মুকরি ভ্রমণ কাহিনী ছিল না, সেই ট্যুরের একটা অংশ ছিল এই তারুয়া সৈকত।

কুকরি মুকরি ট্যুরের পোস্ট ছিল এটা চার চর আর তিন সৈকত - এ লাইফ টাইম মেমরেব্ল জার্নি

৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:১৮

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ছবি আর বর্ণনায় ভাল লাগলো

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকুন সবসময়। :)

৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:১৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ছবিগুলো খুব সুন্দর। আপনার লেখাও। আমিও বেড়িয়ে পড়ছি কিছুদিন পর ভ্রমণে। আপাতত লক্ষ ব্রহ্মপুত্র নদী দেখা
প্লাস পোস্টে

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বেড়িয়ে পড়ুন যথাশীঘ্রই, শুভ হোক আপনার আসন্ন ভ্রমণ। ইদানীং আমার বেড়ানো হচ্ছে না তেমন, আশা করি খুব শীঘ্রই বেড়িয়ে পড়তে পারবো।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা জানবেন।

৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৫১

মানস চোখ বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট!!!
দেশের এই অজানা কিন্তু অনিন্দ্য সুন্দর দ্বীপ আমাদের জ্ঞাতার্থে তুলে ধরার এই মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি!!
তবে আর একটু তথ্যমূলক হলে ভালো হত যেমনঃ কিভাবে যাওয়া যায় তার বিস্তারিত, ঐখানের লোকালয় বা জন বসতি আছে কি-না? আর যদি কোন মানচিত্র দ্বীপটির অবস্থান তা চিহ্নিত করে দেওয়া যেত তা হলে অবস্থানটা বোঝা যেত।
দুঃখিত! 'বোকা মানুষ বলতে চায়' অনেক বেশী আসা করে ফেললাম মনে হয়!! :) :)
পড়ে খুব ভালো লাগলো......... ভালো থাকুন আর আরও বেশী বেশী বলুন!!!!

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ মানস চোখ, কমেন্টে ভালোলাগা জানবেন। আসলে আমি আমার ভ্রমণ পোস্টগুলোতে যাওয়ার উপায়, কোথায় থাকবেন এগুলো আলাদাভাবে উল্লেখ করি না। ভ্রমণ গল্পের মাঝে বলে যাই সেই কথাগুলো। কচ্ছপিয়া ঘাট পর্যন্ত আপনি সড়ক পথে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে ভোলাগামী লঞ্চে না যেয়ে সরাসরি চর ফ্যাশনের লঞ্চে যাওয়া ভালো; সড়ক পথেও যাওয়া যেতে পারে। তবে যে পথেই যাওয়া হোক না কেন, কচ্ছপিয়া ঘাট পর্যন্ত যেতে হবে চর ফ্যশন থেকে সড়ক পথে। তারপর, সেখান থেকে ইঞ্ছিন নৌকায় চর কুকরি-মুকরি, ঢালচর, সোনার চর। নীচে একটা ম্যাপ দিলাম, যেখানে দেখবেন আমরা কিভাবে ভুল জায়গাকে ম্যাপে চিহ্নিত করে রেখেছি। লাল বৃত্তের জায়গাটা সোনার চর এবং সবুজ অংশ ঢালচর হিসেবে দেখাচ্ছে। অথচ সবুজ বৃত্তের জায়গাটা হল প্রকৃত সোনার চর, তার পাশেও আবার ঢালচর দেখাচ্ছে সবুজ অংশটুকু। আর এই সবুজ বৃত্তের মাঝে নীল ফোঁটা দেয়া জায়গাটা হচ্ছে যতসম্ভব তারুয়া দ্বীপ। আমি কোন কিছু খুঁজে পাই নাই এই দ্বীপের ব্যাপারে। আর যতদূর জানি, তারুয়া দ্বীপে অল্প সংখ্যক জনবসতি আছে।

এর বেশী কিছু জানতে পারলে এই মন্তব্যের প্রতিত্তরে জানিয়ে যাব আশা করি।

৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: কত কত জায়গায় যাওয়া বাকি এখনও! খুব ভালো লাগলো ভ্রমণ ব্লগ।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই। আসলেই অনেক অনেক জায়গা বেড়ানো বাকী। এক জীবনে আর কতটুকুই দেখতে পারবো :(

ভালো থাকুন সবসময়, অনেক অনেক ভালো।

৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:১৩

কলমের কালি শেষ বলেছেন: অসাধারণ মনকড়া ভ্রমণ । বেশ উপভোগ্য ।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ কলমের কালি শেষ, কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: বোকা মানুষকে শোনাতে চাই ভ্রমণ ভালো লাগল। ছবিগুলো একই ধরনের হলেও বেশ মনে ধরেছে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:১৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দিশেহারা রাজপুত্র, ভালো থাকুন সবসময়।

৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারুন সব ছবিতে অনবদ্য পোস্ট । সেই গানটা মনে পরছে আবার এল যে সন্ধ্যা শুধু দুজনে ।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম ভাই। এই ভ্রমণের দিন আমরা সোনার চর থেকে নৌকা ছাড়ি যখন তখন কুসুম লাল সূর্য ডুবছে বঙ্গোপসাগরে। প্রায় তিন ঘণ্টার এই ডেরায় ফেরার ভ্রমণে আকাশে ছিল অদ্ভুত গোলাপি-কমলা বর্ণের বিশাল এক পূর্ণিমার চাঁদ। বেশ কয়েকবার "আবার এল যে সন্ধ্যা" গানটা গাওয়া হয়েছিল, সাথে আরও কতশত গান। পুরোটা পথ আমরা নৌকার পাটাতনে শুয়ে বসে গান গেয়ে গেয়ে পার করেছি। এতটুকু ভয় লাগেনি, এইটুকু নৌকায় ১৫ জনের দল, রাতের বেলা, সাগরের বুকে... তার উপর আমি সাঁতার জানি না :P

নস্টালজিক হয়ে অনেক কথা বলে ফেললাম :)

১০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০২

বিদগ্ধ বলেছেন:
নিজের দেশরেই চিনি না :(

চমৎকার পোস্টটির জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৪৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বাড়ীর পাশে আরশিনগর...

ধন্যবাদ বিদগ্ধ, ভালো থাকা হোক সবসময়।

১১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৩৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ছবির কথা বাদ দিয়ে শুধু বলবো যান্ত্রিক জীবনের ঘানীটানা মানুষকে দেশ বড্ড ডাকে।। ভাললাগা।।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: দেশ ডাকে বলেই তো দেশ থাকে হৃদয়ে সারাক্ষণ।

অনেক ধন্যবাদ সচেতনহ্যাপী, ভালো থাকুন সবসময়।

১২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: চমৎকার সৈকত :)

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বহুদিন পর পাজল্‌ড ডক এর দেখা পেলাম!!! আছেন কেমন প্রিয় ব্লগার? আশা করি আবার ডুব দিবেন না।

অনেক অনেক ভালো থাকুন, শুভকামনা নিরন্তর। :)

১৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৩০

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ,ভালো আছি :)
কবে যে আপনাদের সাথে বেরিয়ে পরবো সেই অপেক্ষায় আছি :)

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: :) :) :)

কোন একদিন....

আবারো শুভকামনা রইল।

১৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

অাব্দুল মান্নান বলেছেন: প্রথমে অসংখ্য ধন্যবাদ লেখককে চমৎকার ভাবে তুলে ধরার জন্য। তারুয়া কোন দ্বীপ নয় এটি ঢালচরের দক্ষিণ অংশের নাম। হ্যাঁ এটি সমুদ্রসৈকত হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আমার মাতৃভূমি ঢালচর। সর্বশেষ ক্লাস সেভেন কি য়েইটে ২০০৭ কি ৮ সালের দিকে বাবা সঙ্গে তারুয়া গিয়েছিলাম। এক দু'বার নয় অনেক বারই যাওয়া হয়েছিল সেখানে কিন্তু ভ্রমনের জন্য নয়, গরু/ছাগল/ভেড়া দেখতে, নিয়ে আসতে কিংবা রেখে আসতে। আজ ঢাকায় এসে সব কিছুকে চরমভাবে মিস করছি। বাবা তোমাকে মিস করছি। তোমার হাত ধরে চলার ভরসাই অন্য রকম। ওহহ! ব্যক্তিগত বিষয় লেখা শুরু করলাম। সরি ভুলেই গেছি কমেনট করতেছি । আবার যাওয়ার নিমন্ত্রণ আমার প্রাণের মাটিতে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ আব্দুল মান্নান ভাই, সুন্দর মন্তব্যে ভালোলাগা রইল। হ্যাঁ ঠিক বলেছেন, আসলে ঢালচর বললে পাঠক অনেকে বুঝতে পারবে না। কেননা তারুয়া সংলগ্ন সৈকতের কারণে ইতিমধ্যে এই এলাকা বেশ প্রসিদ্ধ হয়েছে। তাই তারুয়া দ্বীপ বলে শিরোনাম দিয়েছিলাম। আমরা চর কুকরিমুকরি হতে নৌকা নিয়ে প্রথমে গিয়েছিলাম কালিরচর, সেখান থেকে ঢালচর এবং সবার শেষে সোনার চর। সেইরকম একটা জার্নি ছিল!!!

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.