নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১
আর মাত্র একদিন পরে আগে ঘটা করে পালিত হবে বাংলা নববর্ষ। এই নববর্ষ উদযাপনে দিন দিন নিত্যনতুন অনুষঙ্গযুক্ত হচ্ছে এবং আমাদের সমাজ, সভ্যতা, সংস্কৃতির সাথে যা মিশে যাচ্ছে। এটা দোষের কিছু নয়, সমস্যা হল কতিপয় অতিউৎসুক মানুষ ইতিহাস বিকৃত করে এগুলোকে আমাদের বাংলা’র ইতিহাস বলে চালিয়ে দিচ্ছে। আসুন একটু সংক্ষেপে দেখি বাংলা নববর্ষ উদযাপনের কিছু ইতিহাস।
বাংলা সন বা বঙ্গাব্দ সৌরপঞ্জিকা ভিত্তিক বর্ষপঞ্জি। বাংলাদেশ এবং পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরা অঞ্চলে এই বর্ষপঞ্জি ব্যবহৃত হয়। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ঋতু বৈচিত্রকে ধারন করবার কারণে বাংলা সনের জনপ্রিয়তা এসেছে ।
বঙ্গাব্দের সূচনা সম্পর্কে দু’টি মত আছে ৷ প্রথম মত অনুযায়ী প্রাচীন বঙ্গদেশের (গৌড়) রাজা শশাঙ্ক (রাজত্বকাল আনুমানিক ৫৯০-৬২৫ খৃষ্টাব্দ) বঙ্গাব্দ চালু করেছিলেন ৷ দ্বিতীয় মত অনুসারে, উপমহাদেশে মুসলিম শাসন প্রবর্তিত হওয়ার পর থেকেই রাষ্ট্রিয় ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতো হিজরি সন। ১২০১ সালে ইখতিয়ারউদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খিলজি কর্তৃক বঙ্গ বিজয় এর পর থেকে রাষ্ট্রিয় পর্যায়ে ব্যবহৃত হতো হিজরি সন। দিল্লির মুঘল সম্রাট আকবরের আমলে বর্তমানে প্রচলিত বাংলা সন কে বৈজ্ঞানিক ভাবে নির্ধারন করা হয়।
খাজনা আদায়ে সুষ্ঠুতা প্রণয়নের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তিনি মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জতে সংস্কার আনার আদেশ দেন। সম্রাটের আদেশ মতে তৎকালীন বাংলার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়। অন্য আরেকটি সূত্র বলছে, বাংলাদেশে মুসলিম আমলের আগে শশাংক কর্তৃক প্রবর্তিত শকাব্দ ও বিক্রমাব্দ সহ বিভিন্ন ধরনের সন গননা প্রবর্তিত ছিল। আকবরের বাংলা ক্যালেন্ডার চালু হওয়ার পরও এই বাংলাদেশেই অন্যতম প্রচলিত ক্যালেন্ডার ছিল শকাব্দ বা শালিবাহন বর্ষ।
এখন আসা যাক, নববর্ষ উদযাপন প্রসঙ্গে। মুসলিম পুর্ব ভারতবর্ষে বিভিন্ন সন প্রচলিত ছিল। বাংলায় তখন যে সন প্রচলিত ছিল তার প্রথম দিন ছিল ১লা অগ্রাহায়ন। হায়ন শব্দের অর্থ বছর বা সুর্যের একটি পরিক্রমন এর সময়। একারনে সম্রাট আকবরের সময় প্রচলিত বাংলাসনের আগে বাংলাদেশে নববর্ষ উদযাপিত হতো ১লা অগ্রহায়ন। এছাড়া কার্তিক ও চৈত্র মাসকেও বিভিন্ন সময় বৎসরের প্রথম মাস হিসেবে নির্ধারনের প্রমান পাওয়া যায়। আকবরের সময়কাল থেকে পহেলা বৈশাখ উদযাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে হত।
আমাদের বাংলাদেশে যে আধুনিক বাংলা বর্ষ প্রবর্তিত রয়েছে, তা মূলত বাংলা একাডেমী কর্তৃক বাংলা সন সংশোধিত বর্ষ গণনা প্রক্রিয়া যার মূল প্রোথিত রয়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৬ সালে ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র নেতৃত্বে এ কমিটি বিভিন্ন বাংলা মাস ও ঋতুতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থ সাংস্কৃতিক জীবনে কিছু সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতাকে নির্ণয় করে সেগুলো হতে উত্তরণের প্রস্তাববালী প্রদান করেন । বাংলা সনের ব্যাপ্তি গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জির মতোই ৩৬৫ দিনের । যদিও সেখানে পৃথিবীর সূর্যকে প্রদক্ষিণের পরিপূর্ণ সময়কেই যথাযথভাবে নেয়া হয়েছে । এ প্রদক্ষিণের মোট সময় ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট এবং ৪৭ সেকেন্ড । এই ব্যবধান ঘোচাতে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে প্রতি চার বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে একটি অতিরিক্ত দিন যোগ করা হয় । ব্যতিক্রম হচ্ছে সে শতাব্দীতে যে শতাব্দীকে ৪০০ দিয়ে ভাগ করা যায় না বা বিভাজ্য । জ্যোর্তিবিজ্ঞান নির্ভর হলেও বাংলা সনে এই অতিরিক্ত দিনকে আত্মীকরণ করা হয়নি । বাংলা মাস অন্যান্য সনের মাসের মতোই বিভিন্ন পরিসরের । এই সমস্যাগুলোকে দূর করবার জন্য ডঃ মুহম্মদ শহীদূল্লাহ কমিটি বাংলা একাডেমীর কাছে কতকগুলো প্রস্তাব করে । এগুলো হচ্ছে-
• বছরের প্রথম পাঁচ মাস বৈশাখ হতে ভাদ্র হবে ৩১ দিনের
• বাকী মাসগুলো অর্থাৎ আশ্বিন হতে চৈত্র হবে প্রতিটি ৩০ দিনের মাস
• প্রতি চতুর্থ বছরের ফাল্গুন মাসে একটি দিন যোগ করে তা হবে ৩১ দিনের। বাংলা একাডেমী সরকারীভাবে এই সংশোধিত বাংলা মাসের হিসাব গ্রহণ করে ।
আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। প্রথম মহাযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্ত্তণ ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ১৯৩৮ সালেও অনুরূপ কর্মকান্ডের উল্লেখ পাওযা যায়। পরবর্তী সময়ে ১৯৬৭ সনের আগে ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালনের রীতি তেমন একটা জনপ্রিয় হয় নি। ১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠির নিপীড়ন ও সাংস্কৃতিক সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ১৯৬৭ সাল থেকে ছায়ানটের এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা। ১৯৮৯ সাল থেকে শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর চারুকলা ইন্সটিটিউট থেকে “মঙ্গল শোভাযাত্রা”।
মূলত পহেলা বৈশাখ ছিল গ্রাম বাংলার একটি অবিচ্ছেদ্য জীবনাচারের অংশ, এদিন পুরাতন বছরের হিসেব চুকিয়ে নতুন বছরের হিসেব খোলা হত। গত দুই দশকে এই অনুষ্ঠানে কর্পোরেট বানিজ্য এবং আমাদের যে কোন বিষয়ে মাত্রাতিরিক্ত আদিখ্যেতার জোয়ারে হারিয়ে গেছে গ্রাম বাংলার পহেলা বৈশাখ, জন্ম নিয়েছে নতুন এক হাইব্রিড পহেলা বৈশাখ। যেখানে হাজার টাকায় পান্তা ইলিশ খাওয়া হয়, বৈশাখী কনসার্ট আয়োজন করা হয়, বৈশাখী ডিজে পার্টি, বৈশাখী ফ্যাশন শো হয়, আরও কত কি হয় তা আমার জানা নেই।
এত কথার শেষ কথা, আপনি যে কোন উৎসব পালন করার স্বাধীনতা রাখেন যে কোনভাবে, কিন্তু সেই উৎসবকে আপনার মনের মত করে রাঙিয়ে কোন গোষ্ঠী, দল, জাতির কাছে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি বলে চালিয়ে দিতে পারেন না। প্রায় হাজার বছরের পুরানো বাংলা বর্ষ এবং নববর্ষ উদযাপনের ইতিহাস নিশ্চয়ই কয়েকযুগ আগে কতিপয় ব্যাক্তি দ্বারা প্রচলিত রীতি দ্বারা সীমাবদ্ধ থাকবে না। এই উন্মুক্ত তথ্যপ্রবাহের যুগে ইতিহাস আমাদের দোরগোড়ায় চলে আসবেই। তাই অধুনা প্রচলিত ‘বাংলা নববর্ষ উদযাপন’ই হাজার বছরের প্রচলিত বাংলা বর্ষবরণ সংস্কৃতি নয়। কোথায় রয়েছ কৃষিভিত্তিক বাংলার বর্ষবিদায় আর বর্ষবরণ? হালখাতা, বর্ষ শেষের ঝাড়ামোছা, গ্রাম বাংলার সেই বৈশাখী মেলা?
একেবারে শেষে শুধু একটা কথাই বলতে চাই, সব কিছুতে হাজার বছরের বাঙালীর ইতিহাস জুড়ে দিবেন না। হাজার বছর অনেক লম্বা সময় আর ইতিহাস অনেক গভীর একটি বিষয়।
(গতবছর লিখেছিলাম একটি বিশাল পোস্ট, যা আরও বিশদ জানতে চোখ বুলিয়ে নিতে পারেনঃ বাংলা বর্ষ এবং বর্ষবরণ (একটি ইতিহাস ভিত্তিক পর্যালোচনা) )
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:২৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ পরিবেশ বন্ধু, আপনাকেও শুদ্ধতম বৈশাখী শুভেচ্ছা।
ইয়ে, ইলিশ কয়টা কেনা হয়েছে? আসবো নাকি?
২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: এখন যোগ হয়েছে ইলিশ পান্তা তাও আবার মাটির পাত্রে -- বাহ্ হাজার টাকা দিয়ে পান্তা ইলিশ খেয়ে এক দিনেই আমরা হয়ে যাব বাঙালী আর বলে বেড়াবো এটা আমাদের হাজার বছরের ইতিহাস
কোথায় আমাদের চিরা মুড়ি দই খই !!!!!! কোথায় সেই বৈশাখী মেলার শেখর !!!! কোথায় সেই টকি বায়োস্কপ !!!!! কোথায় সেই নাগর দোলা আর ঘুড়ি উড়ানো -------সেই কাবাডি, বৌচি, দাঁড়িবন্দা খেলা কোথায় হারিয়ে গেল
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ আপা, সব হারানোর মিছিলে সামনের দিনগুলোতে আরও কি কি হারাবে দেখা যাক।
কোথায় আমাদের চিরা মুড়ি দই খই !!!!!! প্রসঙ্গে একটা এক লাইনের গল্প বলি, “ছেলে, ‘বাবা,বাবা, খই কি জিনিস?’ বাবা গম্ভীর হয়ে উত্তর দিল, ‘পপকর্ণ’।”
ভালো থাকুন, বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল।
৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০
সুমন কর বলেছেন: একেবারে শেষে শুধু একটা কথাই বলতে চাই, সব কিছুতে হাজার বছরের বাঙালীর ইতিহাস জুড়ে দিবেন না। হাজার বছর অনেক লম্বা সময় আর ইতিহাস অনেক গভীর একটি বিষয়।
বাংলা নববর্ষের অগ্রীম শুভেচ্ছা, রইলো বন্ধু।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:১৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ সুপ্রিয় বন্ধুবর সুমন কর। বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল। কাল সারাদিন বাসায় খুব মজা করা হবে তাই না? বাসার সবাইকে আমার পক্ষ হতে শুভেচ্ছা জানাবেন। ভালো থাকুন আগত সারাটি বছর জুড়ে, সবসময়।
৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪
শাহ আজিজ বলেছেন: ভালো । কদিন ধরে আমিও ভাবছিলাম বাংলাঅব্দের আগে বাংলা , আসাম , ত্রিপুরা, উড়িষ্যা থেকে শ্রীলংকা পর্যন্ত ঋতুর রীতিতে বর্ষ আবাহন নিয়ে লিখি। আমি এসব এলাকার লোক ও সহ ছাত্রদের সাথে এই বিষয়ে আলাপ করেছি। এসব এলাকাতে বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ উচ্চারনের নামে মাস আছে। আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রমান হচ্ছে পঞ্জিকা। এই পঞ্জিকা কখন সৃষ্টি হয়েছিল আজো খুজে পাইনি। পঞ্জিকাতে গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান , চাদের প্রতিপাদ ও অমাবশ্যা নিখুতভাবে লেখা আছে। কোথায় পেয়েছিল আগের পণ্ডিতরা এসব? আর এখন বৈশাখ উদযাপন নষ্ট করতে আরবিয় ভাব আর ইলিশ পান্তার সংযোজন একটি চক্রান্ত মাত্র। আকবরের আগেও এদেশ ছিল , ছিল তার নিজস্ব সংস্কৃতি। কম করে হলেও আমাদের কৃষক আর জেলেরা আরবদের মতো জঘন্য জীব ছিল না।
যাহোক অনেক কিছু বললাম । কাল চৈত্র সঙ্ক্রান্তি , দুপুরে তেতো খাবেন অবশ্যই।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শাহ আজিজ ভাই। আপনি গত বছর পহেলা বৈশাখে লেখা আমার পোস্টটি পড়ে দেখতে পারেন, সেখানে এই বিষয়গুলো কিছুটা হলেও আলোচনা করেছিলাম। এই পোস্টের একেবারে নীচে লিঙ্ক দেয়া আছে।
বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল।
ভালো থাকুন সবসময়, প্রতিটি ক্ষণ।
৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন:
এই কথা আমিও বলতা চাই। আমাদের হাজার বছরের সংস্কৃতির সাথে শহুরে পহেলা বৈশাখের অনেক অমিল। তবু যে যেভাবে ইচ্ছা পালন করুক নিজ নিজ উৎসব, অসুবিধার কিছুও নাই। খালি জোর কইরা না চালাইতে চাইলেই হয়।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: তবু যে যেভাবে ইচ্ছা পালন করুক নিজ নিজ উৎসব, অসুবিধার কিছুও নাই। একমত হতে পারলাম না ভাই। যে যেভাবে ইচ্ছা যে কোন উৎসব পালন করতে পারে না। কিছু উৎসব থাকে ব্যক্তিগত (বিয়ে, জন্মদিন ইত্যাদি) এগুলো আপনি আপনার ইচ্ছামত পালন করতে পারেন। কিন্তু জাতীয় এবং সামাজিক উৎসব ইচ্ছা কইলেই যে কেউ তার মনমত পালন করতে পারে না। পহেলা বৈশাখ মূলত বাঙালী জাতিসত্ত্বার একমাত্র টিকে থাকা উৎসব যা সার্বজনীনভাবে পালন করা হয়। কিন্তু এই উদযাপনে শহুরে অপসংস্কৃতি’র সাথে বাণিজ্যিক কার্যক্রম এসে সব বিনষ্ট করে দিচ্ছে। তাই এই কথা বলা।
বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল।
ভালো থাকুন সবসময়।
৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:০৩
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: পহেলা বৈশাখকে ঘিরে যে উন্মাদনা যে আনন্দোৎস্নের আয়োজন তা মেনে নেওয়া যায় কিন্তু বাঙালির প্রাণের উৎসব বা ঐতিহ্য বলার ক্ষেত্রে আমার দ্বিমত।
একেবারে শেষে শুধু একটা কথাই বলতে চাই, সব কিছুতে হাজার বছরের বাঙালীর ইতিহাস জুড়ে দিবেন না। হাজার বছর অনেক লম্বা সময় আর ইতিহাস অনেক গভীর একটি বিষয়। //
একমত।
পান্তা ইলিশের অতিরঞ্জিত আহ্লাদযুক্ত বড়লোকিপনাতেও আমার ব্যাপক এলার্জি। সত্যি কথা হল আমি কোন পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে পান্তা ইলিশ খাই নি। এটা আমাদের মতো দেশে যেখানে এখনো লোক একমুঠো ভাতের জন্য বিবেক বিকিয়ে দেয় সেখানে এক্টা বাহুল্যতা।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:১৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমাদের মতো দেশে যেখানে এখনো লোক একমুঠো ভাতের জন্য বিবেক বিকিয়ে দেয় সেখানে একটা বাহুল্যতা। ঠিক বলেছেন।
বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল। ভালো কাটুক প্রতিটি দিন।
৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:০৫
সোহানী বলেছেন: সত্যিই কর্পোরেট বানিজ্য এর প্রোডাক্ট এ হাইব্রিড পহেলা বৈশাখ।
... কি করবে বলুন, আমাদের যে আনন্দ করার কোন জায়গা বা উপলক্ষ নেই... আর আমার কর্পোরেট ধান্দাবাজরা বিশেষ করে মোবাইল কোম্পানীগুলা এটাকে পুরাপুরি বানিজ্যিক বানায়ে ফেলেছে... মার্কেটে যেয়ে দেখেন ঢুকতে পারবেন না...... সব ধান্দাবাজরা আরেকটা উপলক্ষ্য বানিয়েছে ফেলেছে ধান্দা করার জন্য। অবশ্য ভালোদিক হলো, নতুন হাইব্রিড কালচার তৈরী হয়েছে..........
ভালোলাগা দোস্ত ব্লগার...........
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:০৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমার কাছে ইদানীং মনে হচ্ছে আমাদের যে কোন একটা উপলক্ষ্য ধরিয়ে দিতে পারলেই আমরা সেটা নিয়ে মেতে উঠছি। পাশ্চাত্যর সব কিছু'র পেছনে আমরা ছুটেছি। গেলবার হ্যালোইন উৎসব হল, আরও কত কত উৎসব যে আসছে কে জানে? ইসস... কর্পোরেট হাউসগুলো যদি প্রতিটি দিবসে ছুটি দিত কি মজা হত, আহ কত ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পাওয়া যেত!!!
বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল দোস্ত ব্লগার। ভালো কাটুক সারাটি বছর, সারাক্ষণ।
৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৪২
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: সবাইতো আর হাজার টাকার পান্তা ইলিশ ,ভর্তা খেতে পারে না ,তাই প্রতি বছর
এসময় দেখা যায় অনেকে পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয় । তারপরও আমাদের
দেশের কর্ণধার ব্যক্তিরা কেন সময় থাকতে ব্যাপার গুলো নিয়ে সচেতন হয়ে ওঠেন না বুঝতে পারিনা । আপনার জন্য নবষের শুভেচ্ছা ।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন:
আচ্ছা আগামীকালকের সকালের মেন্যুতে আমাদের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী, স্পিকারসহ সবার নাস্তায় কি পান্তা ইলিশ থাকবে? জানা যেত যদি?
শুভ বাংলা নববর্ষ, ভালো থাকুন সারাটা বছরময়...
৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: আপনার জন্য নববর্ষের শুভেচ্ছা ।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:২৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু।
বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানবেন, ভালো কাটুক আগত দিনগুলো।
১০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:১৭
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রেজওয়ানা আলী তনিমা।
বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল। ভালো কাটুক সারাটা বছর।
১১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:২৭
ডি মুন বলেছেন:
মূলত পহেলা বৈশাখ ছিল গ্রাম বাংলার একটি অবিচ্ছেদ্য জীবনাচারের অংশ, এদিন পুরাতন বছরের হিসেব চুকিয়ে নতুন বছরের হিসেব খোলা হত। গত দুই দশকে এই অনুষ্ঠানে কর্পোরেট বানিজ্য এবং আমাদের যে কোন বিষয়ে মাত্রাতিরিক্ত আদিখ্যেতার জোয়ারে হারিয়ে গেছে গ্রাম বাংলার পহেলা বৈশাখ, জন্ম নিয়েছে নতুন এক হাইব্রিড পহেলা বৈশাখ। যেখানে হাজার টাকায় পান্তা ইলিশ খাওয়া হয়, বৈশাখী কনসার্ট আয়োজন করা হয়, বৈশাখী ডিজে পার্টি, বৈশাখী ফ্যাশন শো হয়, আরও কত কি হয় তা আমার জানা নেই।
------এটাই আসল কথা। না জেনে না বুঝে আমরা হাজার বছরের ঐতিহ্যের ধ্বজাধারী হয়ে যাই। এটা দুঃখজনক।
অনেককিছু জানা হলো এই পোস্টটা থেকে।
কোথায় রয়েছ কৃষিভিত্তিক বাংলার বর্ষবিদায় আর বর্ষবরণ? হালখাতা, বর্ষ শেষের ঝাড়ামোছা, গ্রাম বাংলার সেই বৈশাখী মেলা?
দরকারী পোস্ট। প্রিয়তে নিলাম
++
ধন্যবাদ বোকা মানুষ ভাই
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ডি মুন।
বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল। আগত বছর ধুয়ে দিয়ে যাক সকল গ্লানি, ক্লান্তি আর জীর্ণতাকে; বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি আর সমৃদ্ধি। ভালো কাটুক সারাটা বছর।
শুভকামনা নিরন্তর।
১২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন:
কে ক্যামনে করবে নিজের বিষয়, ইলিশই খাক, আর পান্তাই খাক, আমার তাতে কিছু আসবে যাবে না। জাতিরও না। খালিনিজের ইচ্ছাটা সংকৃতি বইলা দাবী না করুক, তাইলেই হবে। এইটাই আমার কথার মুল বক্তব্য।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:০২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অকে... খালি নিজের ইচ্ছাটা সংকৃতি বইলা দাবী না করুক
১৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২৯
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: শুভ নববর্ষ।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: শুভ নববর্ষ রাজপুত্র। ভালো কাটুক সারাটা বছর।
১৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:৫৭
এহসান সাবির বলেছেন: বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল!!
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: শুভ নববর্ষ এহসান সাবির ভাই। ভালো কাটুক আগত বছরের প্রতিটি দিন এই কামনা রইল।
১৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫
সুমন কর বলেছেন: শুভ নববর্ষ !!
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন:
১৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯
রোদেলা বলেছেন: দুইটি পোস্টি পড়লাম,আবার ঞ্জান অর্জিত হলো।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ঞ্জান বিতরণের কোন উদ্দেশ্যে পোস্ট লিখি নাই। আর আমার মত বোকা মানুষের সেই গুণ বা ক্ষমতাও নেই। জাস্ট ইনফরমেশনগুলো একত্রিত করে সবার সাথে শেয়ার করা।
ভালো থাকুন সবসময়।
১৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৫২
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: আপনার জন্য নববর্ষের শুভেচ্ছা ।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:২২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায়, আপনিও বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানবেন। ভালো কাটুক সারাটা বছর, ভালো থাকুন সবসময়।
১৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২১
কলমের কালি শেষ বলেছেন: গত দুই দশকে এই অনুষ্ঠানে কর্পোরেট বানিজ্য এবং আমাদের যে কোন বিষয়ে মাত্রাতিরিক্ত আদিখ্যেতার জোয়ারে হারিয়ে গেছে গ্রাম বাংলার পহেলা বৈশাখ, জন্ম নিয়েছে নতুন এক হাইব্রিড পহেলা বৈশাখ। যেখানে হাজার টাকায় পান্তা ইলিশ খাওয়া হয়, বৈশাখী কনসার্ট আয়োজন করা হয়, বৈশাখী ডিজে পার্টি, বৈশাখী ফ্যাশন শো হয়, আরও কত কি হয় তা আমার জানা নেই।
চমৎকার বলেছেন ।+++
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ কলমের কালি শেষ ভাই। পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভালো থাকা হোক সবসময়।
১৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২৮
শায়মা বলেছেন: বোকাভাইয়া!!!!!!!!!
নতুন বছর শুভ হোক।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: খেলুম না... এই তিন দীন কোথায় ছিলে?
নববর্ষের ফরমালিনমুক্ত শুভেচ্ছা। ভালো কাটুক আগতদিনগুলো। শুভকামনা নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৪১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বাংলা নববর্ষ বা ১লা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে সুন্দর পোস্টে অভিনন্দন ।
থাকল ১লা বৈশাখে সুদ্ধতম শুভেচ্ছা ।