নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

সামলে রাখুন আপনার আবেগকে, ছিনতাই হতে পারে বেনিয়াদের হাতে।

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩

ইদানীং একটি বিজ্ঞাপন ঈদ ও ঈদ পরবর্তী দিনগুলোতে চোখে পড়ল খুব বেশী, সেনোরা স্যানিটারি ন্যাপকিনের। মানুষের মানবিক আবেগ নিয়ে ব্যাবসায়ি গোষ্ঠীর নিদারুন এক ব্ল্যাকমেইলিং এর অপচেষ্টা। বিজ্ঞাপনের মূল বক্তব্য হল, বাংলাদেশের বেশীরভাগ মেয়ে শিশুর এখনো বিয়ে হয়ে যায় ১৪ বছর বয়সে। আর এই অবস্থা পরিবর্তন করতে পারে সেনোরা সুরক্ষা এবং আপনার সচেতনতা। এই বিজ্ঞাপন দেখে গত ঈদের সময়ে ফেয়ার এন্ড লাভলী ক্রিমের সেই কোটি টাকা চ্যালেঞ্জের দেশীয় কোম্পানি সেজে দেয়া বিজ্ঞাপন দেখে যে প্রতিক্রিয়া হল, সেই একই প্রতিক্রিয়া হল এবারও। এক্সকিউজ মি, বাল্য বিবাহ বন্ধের সাথে স্যানিটারি ন্যাপকিনের কি সম্পর্ক কেউ কি আমাকে একটু বুঝিয়ে বলবেন? থাক, আমি না হয় কিছু নিজেকে বুঝাই।

বাংলাদেশে বর্তমানে বিজ্ঞাপনের নামে চলছে প্রকাশ্যে মিথ্যাচার এবং এগুলো প্রতিদিন টেলিভিশন-রেডিও-পত্রপত্রিকা জুড়ে বিরামহীনভাবে চলছে। কোন সরকারী সংস্থা এগুলো দেখভালের জন্য আছে বলে মনে হয় না। মাস দুয়েক আগে একজন আইনজীবী ইউনিলিভারের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করেছে, সোনার চেইন উপহার হিসেবে পাওয়ার লোভ দেখিয়ে পণ্য বিক্রির অভিযোগে এবং হাইকোর্ট এই বিপনন কৌশলের বিপক্ষে রায় দিয়েছে। কিন্তু এরকম প্রতিটি দেশী বিদেশী কোম্পানি তাদের মার্কেটিং পলিসি মোতাবেক নানান মিথ্যাচারে ভরা বিজ্ঞাপন তৈরি করছে এবং তা প্রচারিত হচ্ছে সকল জায়গায়। বাংলাদেশে কি কোন বিজ্ঞাপন ছাড়পত্র দেয়ার সংস্থা আছে? মনে হয় না। আর তাইতো যার যা খুশী বিজ্ঞাপনে বলে যাচ্ছে।

দেশীয় কি বহুজাতিক, সব কোম্পানি আসলে মুনাফার লোভে ব্যাবসা করবে, এটাই স্বাভাবিক। আর জনগণের অভিভাবক হিসেবে সরকার তথা রাষ্ট্র এদের নিয়ন্ত্রণ করবে, এটাই নিয়ম। কিন্তু আমাদের দেশে বেনিয়া কোম্পানিগুলো থোরাই কেয়ার করে কোন নিয়মকে। আর তাইতো প্রাণের পণ্য নিয়ে অনেক বিতর্ক থাকা সত্ত্বেও আজ তারা দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি কর্পোরেট হাউজ। বিএসটিআই নামের সংস্থাটি আসলে যে কি কাজে আছে তা খোদ তারা নিজেরাও জানে বলে মনে হয় না। রমজান মাসের অভিযান শেষে আমাদের কর্তা ব্যাক্তিরা এখন দীর্ঘ সময়ের জন্য চলে যাবেন শীত নিদ্রায়। আর এই সুযোগে আপনার আমার আবেগকে পুঁজি করে মুনাফা লুটবে লুটেরার দল।

তো প্রথমে যে কথা বলছিলাম, সেনোরার বিজ্ঞাপনে যেটা করা হয়েছে, সেটা হল আমার আপনার আবেগকে সুকৌশলে ব্যাবহার করা হয়েছে। “আমাগো মেয়ে স্কুলে যাবে” এই একটি স্লোগান হাইলাইট করে তারা আপনার আবেগকে ছুঁয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। খেয়াল করে দেখবেন, পুরো বিজ্ঞাপনে এই একটি লাইন আপনার মনের কোথাও না কোথাও বসে গেছে। কিন্তু একটু যৌক্তিক চিন্তা করে দেখুন বাল্যবিবাহ না দিয়ে স্কুলে যাবে আমাদের মেয়ে এটার সাথে তাদের ঐ পণ্যের কোন সম্পর্ক আছে কি? উত্তর না। তাহলে তারা এমন বিজ্ঞাপন কেন নির্মাণ করল? কারণ বর্তমানে আমাদের এই উপমহাদেশে যে বিপণন কৌশল কোম্পানিগুলো অবলম্বন করছে তা হল মানুষের আবেগকে ব্যাবহার করে তার পণ্য বিক্রি করা।

মার্কেটিং এর বেসিক কনসেপ্ট হচ্ছে “ফোর পি” যা হচ্ছে প্রোডাক্ট, প্রাইস, প্লেস এবং প্রমোশন। আর বর্তমানে এই ফোর পি এর শুধুমাত্র প্রমোশন নিয়ে বেশী মনোযোগী কোম্পানিগুলো। কারণ, তারা জানে, উপমহাদেশে প্রোডাক্ট এর গুণমান যাই হোক না কেন, যে কোন প্রাইসে তা বিক্রয় করা সম্ভব যদি প্রপারলি তা প্রমোশন একটিভিটিজ দিয়ে কাস্টমার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। আর এই পৌঁছানোর জন্য তারা সুকৌশলে ব্যাবহার করছে আমাদের মানবিক আবেগের দিকটি। আপনার দেখা দশটি বিজ্ঞাপন নিয়ে একটু ভেবে দেখবেন, দেখতে পাবেন ঘটনা কতটুকু সত্য। ঢেউটিনের বিজ্ঞাপনে মায়ের জন্য কিছু একটা করার আকুলতা যোগ করা হয়েছে। বন্ধু ছাড়া জীবন অচল এটা এখন সব মোবাইল অপারেটর কোম্পানির মূল কথা। আসলে উদাহরণ দিয়ে শেষ করা যাবে না, এই ব্যাপারগুলো নিয়ে গত বছর লিখেছিলাম এই পোস্টটি প্রিন্টেড এবং ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন - ETHICS!!! আর মিথ্যার বেসাতী এবং নির্লজ্জ প্রদর্শন

তাই আমি বলি কি, ভোক্তা হিসেবে একটু সামলে রাখুন আপনার আবেগটুকু। যখন কিছু ক্রয় করবেন এইসব মিথ্যার বেসাতি দ্বারা যেন আপনার কনজিউমার বিহেভিয়ার নিয়ন্ত্রিত না হয়। কারণ নিজের সম্ভ্রমের মতই দামী কিন্তু আমার আপনার আবেগ, তাই নিশ্চয়ই চাইবেন না এই আবেগ নিয়ে যে কাউকে খেলা করতে দিতে। আমাদের তো আর ক্ষমতা নেই সব কিছুর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার দ্বারস্থ হওয়া, আমরা শুধু পারি নিজেদের গণ্ডিতে সর্বোচ্চ প্রতিবাদ করতে। মিথ্যাচারের এইসব বিজ্ঞাপন দিয়ে যখন কোম্পানিগুলো দেখবে কোন লাভ হয় না, তখন হয়ত এদের এইসব মিথ্যাচার বন্ধ হবে। আদৌ হবে কি না, কে জানে? কিন্তু আমি আপনি সবসময় যেন সচেষ্ট থাকি, এই সব আবেগ নিয়ে খেলা মিথ্যাচার করা কোম্পানি এবং তাদের পণ্যগুলো নিয়ে। রঙিন আর হৃদয় ছোঁয়া বিজ্ঞাপন নয়, চাই মানসম্মত পণ্য যার মূল্য হবে যৌক্তিক এবং সহনীয়, যে পণ্যের মূল্যের এক চতুর্থাংশ থাকবে না এই মিথ্যাচার করার ক্যাম্পেইন খরচ তুলে নেয়ার জন্য। কম-বেশী সকল কোম্পানির প্রোডাক্ট প্রাইসের একটি সিংহভাগ খরচ কিন্তু এইসব বিজ্ঞাপন নির্মাণ আর তার প্রচারের জন্য বরাদ্দ থাকে। তাই ভেবে দেখার সময় এসেছে আপনি আপনার টাকা দিয়ে আপনার আবেগকে ব্ল্যাকমেইল করতে দিবেন কি না? আর তার বিনিময়ে মানহীন, উচ্চমূল্যে কোন পণ্য নিজের এবং নিজের পরিবারের জন্য ক্রয় করবেন কি না? তাই শেষে বলি শুরুর কথা, “সামলে রাখুন আপনার আবেগকে, ছিনতাই হতে পারে বেনিয়াদের হাতে”।

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:১৫

রাতুলবিডি৫ বলেছেন: ভোক্তা হিসেবে একটু সামলে রাখুন আপনার আবেগটুকু : দরকারী কথা ।

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ রাতুলবিডি৫, ভালো থাকুন সবসময়।

২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

বীর সেনানী বলেছেন: আমাদের দেশ হলো মগের মুল্লুক দেশ, এই দেশেই সম্ভম অসম্ভবকে সম্ভব করা । বহিরাগত দেশগুলো আমাদের দেশে অগাধভাবে বৈধ অবৈধ ব্যবসা করে সাধারন জনগনকে বোকা বানিয়ে ফায়দা লুটে যাচ্ছে, আর সরকার তা দেখে বুড়া আঙ্গুল মুখে পুড়ে চুষে যাচ্ছে ।

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:২৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অসম্ভবকে সম্ভব করাই বোকা মানুষদের কাজ ;)

ব্যবসায়ী মাত্রই ফায়দা করবে এটাই স্বাভাবিক। এখানে প্রধান ভূমিকা রাখতে হবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে। তারপর ভোক্তা হিসেবে আমাদের সাধারণ জনগণকে। যেহেতু আমাদের দেশে এইসব আপাত দৃষ্টিতে ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে দেখার কেউ নেই, তাই ভোক্তা হিসেবে আমাদেরই সচেতন হতে হবে। আমার বাসার ড্রয়ারে থাকা অব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে আসব উনাদের হাতে, তার সাথে উনারা আরও পাঁচশত মোবাইলে সেট (১০০০ টাকা মূল্যের হলে খরচ ৫০০,০০০ টাকা মাত্র) দিয়ে সমাজসেবা চালাবেন। আর আমরা বোকা ভোক্তা হিসেবে আবেগে কাইন্দালাইছি। তাই আমাদের সচেতন হতে হবে, প্রয়োজনে নিজের কনজামশন প্যাটার্ন বদলে ফেলতে হবে, তবুও এসব ঠগবাজদের ধোঁকার জাল থেকে বের হয়ে আসতে হবে আমাদের নিজেদের প্রয়োজনেই।

ভালো থাকবেন, শুভকামনা রইল।

৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫

মো: আশিকুজ্জামান বলেছেন: “সামলে রাখুন আপনার আবেগকে, ছিনতাই হতে পারে বেনিয়াদের হাতে”।
--কে সামলাবে? আমরাইতো বেনিয়াদের হাতে যাওয়ার জন্য লাফালাফি করিছ।

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:২০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: জ্বী ভাই, আর তাইতো বলেছি আমরা যেন আমাদের আবেগকে বিকিয়ে না দেই এই বেনিয়াদের হাতে। তবে লাফালাফি করছি বলে আমি বিশ্বাস করি না, তারা অতি সুচতুরতার সাথে আমাদের আবেগকে ব্যাবহার করছে। ইচ্ছে আছে মার্কেটিং এবং এর অপব্যাবহার নিয়ে ভবিষ্যতে কিছু লেখার।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আমাদের রয়েছে বাঁধভাঙা আবেগ তাইতো জনগণের মালিকানা বহু আগেই ছিনতাই হয়েছে বেনিয়াদের কাছে

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:০৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এই বাঁধভাঙা আবেগই সকল সমস্যার মূলে, আমরা কথায় কথায় আবেগে কাইন্দালাই, আর ঘটনা ঘটার পর নিজে নিজেরে বলি, "আমার এতো আবেগ ক্যারে?"।

আসলেই কি ছিনতাই হয়েছে, নাকি আমরা বরগা দিয়েছি তাদের কাছে? এইটা ভেবে দেখার সময় এসেছে আজ।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১

নতুন বলেছেন: হুম আমাদের জজবা ওয়ালা জাতির জন্য টিভি এডগুলিও সেই ভাবেই বানায়। বিজ্ঞাপনে আবেগের ব্যবহার কমাতে হবে এবং পন্যের গুনাগুনে জোর দিতে হবে।

হালাল সাবান, রং ফরসাকারী ক্রিম, ৫ কোটি টাকার চ্যালেন্জ, দুধের শক্তিবাড়ানো বন্ধকরতে হবে।

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন। প্রোডাক্ট প্রমোশনের জন্য কিন্তু প্রতিটি কোম্পানি তার টার্গেট মার্কেট তথা কনজিউমার ঠিক করে, তারপর তাদের জীবনাচার এবং মানসিক অবস্থা বিবেচনা করেই কিন্তু তারা এসব বিজ্ঞাপন নির্মাণ করে। যেহেতু এসব আবেগমাখা বিজ্ঞাপনে আমরা গলে গলে ভেসে যাই, তাই তো প্রতিনিয়ত এসব বিজ্ঞাপনের আধিক্য চোখে পড়ছে। আমরা যদি সচেতন এবং সচেষ্ট হই, তবেই এইসব অর্থহীন বিজ্ঞাপনের স্রোত বন্ধ হবে বলে মনে করি। সবচাইতে ভাল হয় যদি, সিনেমা'র মত কোন বিজ্ঞাপন সেন্সর বোর্ড গঠন করে এসব বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রনের ব্যাবস্থা করা যেত।

৬| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:

গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে এনেছেন।

ভোক্তা হিসেবে আমাদের আবেগকে সামলাতে হবে আগে।

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ বঙ্গরঙ্গ ভাই, আসলে শুধু ভোক্তা নয়, সামগ্রিক জীবনেই কিন্তু আবেগ সামলানোটা জরুরী। আর যখন টাকা দিয়ে কোন পণ্য কিনছেন ভোগ করার জন্য, তখনতো আরও আবেগ সামাল দিতে হবে। রিকশাওয়ালা কত কষ্ট করে রিকশা টানছে, একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে টেনে নিয়ে যাবে, আবেগে রিকশা চড়া ছেড়ে দিলাম বা রিকশাওয়ালাকে টাকা দিয়ে আমি হেঁটে চলে এলাম, এরকম আবেগ দিয়ে আমরা কি করিব? ;)

৭| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৪

সুমন কর বলেছেন: বাংলাদেশে বর্তমানে বিজ্ঞাপনের নামে চলছে প্রকাশ্যে মিথ্যাচার এবং এগুলো প্রতিদিন টেলিভিশন-রেডিও-পত্রপত্রিকা জুড়ে বিরামহীনভাবে চলছে। কোন সরকারী সংস্থা এগুলো দেখভালের জন্য আছে বলে মনে হয় না। -- একদম ঠিক কথা।

বিদেশে ভুয়া বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় এবং সেই বিজ্ঞাপন বন্ধ হবার ঘটনাও আছে। কিন্তু এ দেশে, হাহাহাহা..বন্ধু হাসো। কারণ কিচ্ছু হপে না। তারা এভাবেই চলবে।

বিজ্ঞাপন দেখে নয়, ব্যবহার করার পর যেটা ভালো লাগে সেটা ব্যবহার করি।

আর এ বিজ্ঞাপনটি দেখা হয়নি।

বন্ধু, শেষ প‌্যারায় দারুণ বলেছো।

১ম+।

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:২৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলে অতিসত্বর আমাদের দেশে একটি শক্তিশালী এবং যুগোপযোগী বিজ্ঞাপন নীতিমালা তৈরি হওয়া দরকার। যার যা খুশী, যেভাবে খুশী, যা তা দিয়ে, একগাদা মিথ্যাচার দিয়ে পণ্যের প্রচার করা যায় না। ফ্রুটিকা যা তৈরি হয়ে পুরো কেমিক্যাল দিয়ে আর বিক্রয় হয় ফলের জুস হিসেবে, সেটা খেলে আপনা থেকে বেড়িয়ে আসে মনের ভেতরের সত্য কথা। চারিদিকে বছরের পর বছর চলছে মিথ্যাচার, যা আইনের ভাষায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তোমাকে একটু ব্যাখ্যা করে বলি। যখন কোন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোন পণ্যের গুণগান করে প্রচার করা হয় তখন কিন্তু সেটা একটা অফার, যা কন্ট্রাক্ট ল এর আওতায় প্রথম ধাপ। এই অফার ক্রেতার মনপুতঃ হলে সে পণ্যটি ক্রয় করবে। কিন্তু ক্রয়ের পর যদি ক্রেতা ঐ সব ফিচার যা বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, তা না পায়, তাহলে ল অফ কন্ট্রাক্টের আওতায় কিন্তু বিক্রেতা চুক্তি ভঙ্গের দায়ে আসামী হিসেবে গণ্য হবে। কিন্তু আমাদের দেশে সাধারণ কন্ট্রাক্ট ল থেকে শুরু করে ভোক্তা অধিকার আইন, অথবা লেবার ল হতে শুরু করে ইনকাম ট্যাক্স ল, কোন কিছুই সাধারণ জনতা জানে না। বিধায় এরা এইসব জোচ্চুরি করার সাহস পায়। ইউনিলিভারের সোনার চেইনের উপহারের লোভ দেখিয়ে বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে মামলা হল। অথচ এক বছর আগে দেশী কোম্পানি এবং দেশী পণ্য হিসেবে দাবী করে পাঁচ কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ দেয়া বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে এর চাইতে বড় ধরেনের মামলা হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু কে করবে এসব মামলা, সাধারণ জনগণ? তাদের তো সেই ক্ষমতা নেই। বড় বড় শিল্প গ্রুপগুলো সব অন্যায় আর দুর্নীতি করে এতোদূর উঠে এসেছে, এটাই বাস্তবতা। এদের টাকার ক্ষমতার কাছে পরাজিত আমাদের রাজনৈতিক নেতারা, পরাজিত আমাদের সরকার ব্যবস্থা, পরাজিত রাষ্ট্র এবং এর সকল বিচার কাঠামো। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণ তাদের অধিকার এবং এই সম্পর্কিত আইনগুলো ভালোভাবে না জানবে, রাষ্ট্র সুসাশন প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হবে, ততক্ষণ এসব চলবেই। তাই এমন অবস্থায় আমাদের করণীয় আবেগে ভেসে না গিয়ে যুক্তি দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে আমাদের নিত্যদিনকার সকল পণ্য এবং সেবা ক্রয় করা। এতে হয়ত সমস্যার পূর্ণাঙ্গ সমাধান হবে না, কিন্তু আমাদের সাময়িক সুরক্ষা হতে পারে।

ভালো থাকা হোক সবসময়, শুভকামনা রইল।

৮| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬

কাবিল বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে এনেছেন।
রঙিন আর হৃদয় ছোঁয়া বিজ্ঞাপন নয়, চাই মানসম্মত পণ্য যার মূল্য হবে যৌক্তিক এবং সহনীয়, যে পণ্যের মূল্যের এক চতুর্থাংশ থাকবে না এই মিথ্যাচার করার ক্যাম্পেইন খরচ তুলে নেয়ার জন্য।
একদম ঠিক, সহমত।

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৫২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কাবিল। একটু যদি আমরা যৌক্তিক আচরণ করি ক্রেতা হিসেবে, ভোক্তা হিসেবে, আবেগকে বশ করে; তাহলে কিন্তু এদের এইসব ভণ্ডামি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে। কিন্তু আমরা কি তা করি, বা করতে পারবো? এটাই হচ্ছে বড় কথা। ম্যাগি নুডুলসে মাত্রারিক্ত ক্ষতিকর সীসা থাকায় তা যখন পার্শ্ববর্তী দেশে ব্যান করা হয়, আমাদের দেশে সরকারী সংস্থা থেকে ঐ পণ্যের পক্ষে সাফাই গেয়ে নোটিশ জারি করা হয়। আর আমাদের অতি আধুনিক মা-বোনেরা সেই নুডুলস দেদারসে খাওয়াচ্ছে কোলের বাচ্চা থেকে শুরু করে জোয়ান-বুড়োসহ পরিবারের সকলকে। এই যদি হয় অবস্থা, তাহলে এরকম মিথ্যাচার করে বিজ্ঞাপন করা হবেই আর আমরাও তা হজম করতে থাকবোই।

৯| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: সময়োপযোগী লেখা। জনগণের দূর্বলতম জায়গা গুলোকে পুঁজি করে এরা ব্যবসা করতে চায়। পণ্যের গুণগত মানের চেয়ে বিক্রয়ের নিত্যনতুন ধান্দাবাজি উদ্ভাবনই এখন এদের কাছে মুখ্য বিষয়।
ধন্যবাদ।

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৩০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ প্লাবন ভাই। আমরা জনগণও পণ্যের গুণগত মানের চেয়ে এসব মন ভুলানো চটকদার বিজ্ঞাপনেই মজে থাকি। তাই আমাদের নিজ গরজেই এই সব মোহময় বিজ্ঞাপনে না ভুলে গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য যা যৌক্তিক মূল্যে বিক্রয় করা হয়, তার প্রতি আগ্রহ দেখাতে হবে।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামন রইল।

১০| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬

সপন মাহমোদ বলেছেন: মাঝে মাঝে চিন্তা করি fair & lovely. মেখে যদি ফরসা হওয়া যেত তাহলে আফ্রিকানরা কবেই নিজেদেরকে নিগ্রো অভিশাপ থেকে মুক্তি দিয়ে দিত

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমার মনে হয় ওরা মাখে "ডার্ক এন্ড ব্ল্যাক" টাইপের কোন ক্রিম। কারণ ওরা তো ওদের নিজেদের বৈশিষ্ট্য ছেড়ে দিয়ে মরা মানুষের চামড়ার মত সাদা হতে চাইবে না। =p~ =p~ =p~

১১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:১১

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ভালো পোষ্ট দিছেন ভাই। এডের জিঙ্গেলগুলাই কিছু কিছু ভাল্লাগে। কিন্তু প্রোডাক্ট কেমন আল্লাহই জানেন।

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:২৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ শতদ্রু। তাহলে তো ভালই, আয়েশ করে শুধু জিঙ্গেল শুনবেন, পণ্য কিনবেন না। ওরা কষ্ট করে টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন বানিয়ে বানিয়ে আমাদের জিঙ্গেল শুনিয়ে যাবে। =p~

১২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৩২

-সাইরাস বলেছেন: নির্লজ্জতাই এখন আধুনিকতা । একটা মেয়ে ছেলেদের সাথে নষ্টেমী ঢলাঢলি থেকে দূরে থাকে, সে হয়ে যাবে সাইকো । আর একটা মেয়ে ছেলেদের সাথে নষ্টেমি করতে পারে,নিজের প্রাইভেট ব্যপার নিয়ে বাপ দাদা চৌদ্দ গুষ্টিকে বলে বেড়াতে পারে, " এই জানিস(ছেলে বন্ধুকে),কাল রাত থেকে না আমার মাসিক শুরু হয়েছে !! " সে হয়ে যাবে স্মার্ট, আধুনিক, ড্যাশিং । এটাই এখন সমাজে মানদন্ড ।

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনার কথাগুলো যে একেবারে মিথ্যে তা নয়, কিন্তু আবার ঢালাওভাবে বলা যায় না। আসলে সব কিছুর মূলে থাকে রুচি, আদর্শ, শিক্ষা, পারিবারিক মূল্যবোধ, পারিপার্শ্বিক আরও নানান ফ্যাক্টর। তবে বর্তমানে মিডিয়ার মাধ্যমে আমদানিকৃত বিকৃত কিছু চিন্তা ভাবনা আর জীবনবোধ ভাইরাসের মত ছড়িয়ে পড়ছে। আপনি যাদের কথা বলেছেন, এরা আসলে সেই ভাইরাসে আক্রান্ত।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

১৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৪৬

জেন রসি বলেছেন: দেশীয় কি বহুজাতিক, সব কোম্পানি আসলে মুনাফার লোভে ব্যাবসা করবে, এটাই স্বাভাবিক। আর জনগণের অভিভাবক হিসেবে সরকার তথা রাষ্ট্র এদের নিয়ন্ত্রণ করবে, এটাই নিয়ম।[/sb

মূল সমস্যাটা কিন্তু এই লাইনের মধ্যেই আছে।মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে সব শাসকগোষ্ঠী বহুজাতিক কোম্পানি গুলোর কৌশলের কাছে জিম্মি হয়ে থাকে। সরকার কিংবা রাষ্ট্র এই বলয়ের মধ্যে থেকেই কাজ করতে বাধ্য হয়।আর আমাদের দেশে ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে তেমন ভাবে কোন সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠতে দেখা যায় না।

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনার কথার সাথে আমি কিছুটা দ্বিমত পোষণ করছি। মুক্তবাজার অর্থনীতির কারণেই কিন্তু কোম্পানিগুলো বাধ্য থাকে মানসম্মত পণ্য যৌক্তিক মূল্যে বাজারে সরবরাহ করতে। আর সরকার কখনো জিম্মি থাকতে পারে না কোন কোম্পানির কাছে। আসলে সরকার ব্যাবস্থা একটি পৃথক সত্ত্বা আর রাজনৈতিক দল আলাদা সত্ত্বা। মজার ব্যাপার হল সারা বিশ্বে এই রাজনৈতিক দল দ্বারাই সরকার ব্যাবস্থা পরিচালিত হয়, হচ্ছে এবং হবে। আর রাজনৈতিক দল তাদের দলের ফান্ড ভারী করতে কম্প্রোমাইজ করে এইসব মুনাফালোভী বেনিয়াদের সাথে। আমেরিকা বা ব্রিটেনের নির্বাচনের আগে দেখবেন বড় বড় কর্পোরেট হাউজ রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষে ঘোষণা দিয়ে অনুদান দিয়ে থাকে। কিন্তু ঐসব দেশে ভোক্তা তথা সাধারণ জনগণ এতই সচেতন যে, জনগণের স্বার্থ সর্বাগ্রে রাখতে বাধ্য হয় তারা। আর আমাদের দেশে আমরা কতটুকু সচেতন তা আর নাই বা বললাম। ভোক্তা অধিকার তো পরের কথা, একজন মানুষ হিসেবে, দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের কার কতটুকু অধিকার তা বেশীরভাগ মানুষই জানি না কিন্তু। তাই আমাদের নিজ গরজে বিভিন্ন আইন এবং অধিকার সম্পর্কে জানতে হবে। যখন সবাই জানবে তার প্রাপ্য অধিকার কি কি, তখন সে এগুলো আদায়ের জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে। এখন তো আমরা বেশীরভাগ মানুষই জানি না আমার অধিকার কতটুকু।

ধন্যবাদ জেন রসি, ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা জানবেন।

১৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:০৬

রিকি বলেছেন: মার্কেটিং এর বেসিক কনসেপ্ট হচ্ছে “ফোর পি” যা হচ্ছে প্রোডাক্ট, প্রাইস, প্লেস এবং প্রমোশন।



'তোমার জন্য আমি প্রাণ দিয়ে দিব'--- এই অ্যাডে প্রথমে এবং পরে কি বোঝায় বোকা ভাই??? প্রাণ প্রথমে জীবন থাকে~~~~ পরে সেটা টিফিনবাটি হয়ে যায়~~~আমাদের অবস্থাও তাই হয়েছে!!! একসময় আমরা ঢেউ টিন ছিলাম, এখন দিনকে দিন আবেগের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলে পরিণত হচ্ছি। তবে এত কিছুর মধ্যেও আমার এক এবং একমাত্র পছন্দের একটা অ্যাড রয়েছে--- গ্রামীণফোনের আচারের বোতলে কথা রাখার অ্যাডটা। পোস্টে অনেক অনেক ভালো লাগা এবং অবশ্যই ৪+ । :) :)

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ রিকিমনি। :)

বিজ্ঞাপন নিয়ে কথা বলতে গেলে সারাদিন বলেও শেষ হবে না। পোস্টে দেয়া আমার লিঙ্কের পোস্টটায় এই ব্যাপারে কথা বলেছিলাম। আসলে বিজ্ঞাপনগুলো দেখলে মনে হয়ে কোন গাধায় এইগুলো বানায় অথবা কোন গাধাদের জন্য এগুলো বানায়?
তবে কিছু কিছু বিজ্ঞাপন আসলেই খুব টাচি হয়, যেমন গ্রামীণ ফোনের এই বিজ্ঞাপনটা। আমারও খুব ভাল লেগেছে এটা, বিশেষ করে ঐ পিচ্চি মেয়েটার এক্সপ্রেশনগুলো, এক কথায় অসাম। পিচ্চিরে একটা এ্যাওয়ার্ড দেয়া উচিত এই বিজ্ঞাপনের জন্য।

ভালো থাকা হোক সবসময়, শুভকামনা।

১৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:২৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কি একটা কিরিমের কতা কইলেন , ওইটার উৎপাদন খরচ নাকি ১২ টাকা । বাকি সব আমাদের আবেগ চিনতাইএর খরচ ।

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এক বোতল কোকাকোলা বা ঐ জাতীয় পানীয়ের উৎপাদন খরচ কত জানেন? মোট মূল্যের ২০% ও না কিন্তু... কিন্তু বাজারজাতকরণ আর বিপণন খরচ কিন্তু তার দ্বিগুণেরও বেশী। এইটা বেশীরভাগ পণ্যের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কি আর করবেন....

১৬| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১৮

মশিকুর বলেছেন:

বাংলাদেশের কিছু কিছু বিজ্ঞাপনের লজিক সেন্স দেখলে রূপকথার গল্প বলে মনেহয়। তারা আলোচিত বিষয়, মানুষের সফট কর্নার, আবেগ এসব নিয়ে খেলে অভ্যস্ত। টেলিকম কোম্পানিগুলো কেম্নে জানি বিজয় দিবস, ভাষা দিবস, পতাকা, কৃষক, ক্রিকেট এগুলোর সাথে প্রায়ই মিল খুজে পায়। কি একটা অফার নিয়ে চাইরটা মডেলরে একপাল ছাগল নিয়া ইন্ডিয়ান স্টাইলে লাফাইতে দেখা যায়। অবশ্য ক্রিকেটাররা যেভাবে তাদের ভাত মারতেছে =p~

দেশে কোন একটা উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটার আভাস দেখা দিলেই শুরু হয়ে যায় সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদের আবেগের খেলা। ডিজুস সিমের কথা মনে আছে? কত টিন-এজারদের জীবন যে ধ্বংস হইছে এইটার কারনে। এইতাও এক প্রকার ইয়াবা ছিল। বর্তমানে অবশ্য সব সিমই ইয়াবা :) তবে এখনকার পোলাপান এতে অভ্যস্ত + সচেতন।

আর কিছু কোম্পানিতো ইচ্ছা করেই ফালতু, লজিক ছাড়া, আজগুবি অ্যাড বানায়। যাতে আলোচনা হয়... সমালোচনা হয়... এটাই তাদের পুজি :)

শুভকামনা।

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:০৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমারতো ভাই এইসব বিজ্ঞাপন দেখলে মনে হয় যেসব কোম্পানি এই বিজ্ঞাপন টাকা খরচ করে বানায় এবং আরও বেশী টাকা খরচ করে রেডিও টেলিভিশনে প্রচার করে তাদের রুচি এবং চিন্তাধারা নিয়ে। আমার জানামতে, বেশীরভাগ কোম্পানিতেই কিন্তু উচ্চ ডিগ্রীধারী লোকজন এইসব উচ্চ পদে আসীন। তবে তারা কেন এসব বিজ্ঞাপন প্রচার করছে? কারণটা কি? নিশ্চয়ই তাদের অনুসন্ধানে তারা জেনেছে পাবলিক এই ধরণের বিজ্ঞাপনে কনভিন্সড। তাই তারা এই পথেই হাঁটছে। আর তাই তো এসব স্টুপিড বিজ্ঞাপন তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার, অনেক অনেক শুভকামনা।

১৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৪০

কাবিল বলেছেন:

আবার আসলাম। :)
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কাবিল। একটু যদি আমরা যৌক্তিক আচরণ করি ক্রেতা হিসেবে, ভোক্তা হিসেবে, আবেগকে বশ করে; তাহলে কিন্তু এদের এইসব ভণ্ডামি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে। কিন্তু আমরা কি তা করি, বা করতে পারবো? এটাই হচ্ছে বড় কথা। ম্যাগি নুডুলসে মাত্রারিক্ত ক্ষতিকর সীসা থাকায় তা যখন পার্শ্ববর্তী দেশে ব্যান করা হয়, আমাদের দেশে সরকারী সংস্থা থেকে ঐ পণ্যের পক্ষে সাফাই গেয়ে নোটিশ জারি করা হয়। আর আমাদের অতি আধুনিক মা-বোনেরা সেই নুডুলস দেদারসে খাওয়াচ্ছে কোলের বাচ্চা থেকে শুরু করে জোয়ান-বুড়োসহ পরিবারের সকলকে। এই যদি হয় অবস্থা, তাহলে এরকম মিথ্যাচার করে বিজ্ঞাপন করা হবেই আর আমরাও তা হজম করতে থাকবোই।

আমরা যারা সাধারণ ভোক্তা, তারা কি ভাবে বুঝবে কোন পণ্যটা ব্যাবহার করা যাবে কোনটা যাবে না। বড় জোর ডেট অথবা বি এস টি আই অনুমোদিত সিল দেখে। এই অনুমোদিত এর মধ্যেই বড় ভেজাল যেখানে সাধারণ জনগণের করার কিছুই থাকে না। ম্যাগি নুডুলসে মাত্রারিক্ত ক্ষতিকর সীসা থাকায় তা যখন পার্শ্ববর্তী দেশে ব্যান করা হয়। এবার বুঝুন এটা সাধারণ মানুষ কয় জন জানে (আমিও জানতাম না, নুডুলস আমার খুব প্রিও)। আবেককে বশ করে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাদ দিলে জীবন অনেকটাই অচল। যতদিন না সরকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এ বিষয়ের উপর পদক্ষেপ নিবেন।

পরিশেষে আপনার কথাই বলি যেটা @জেন রসি তুলে ধরেছেন-----
দেশীয় কি বহুজাতিক, সব কোম্পানি আসলে মুনাফার লোভে ব্যাবসা করবে, এটাই স্বাভাবিক। আর জনগণের অভিভাবক হিসেবে সরকার তথা রাষ্ট্র এদের নিয়ন্ত্রণ করবে, এটাই নিয়ম। মূল সমস্যাটা কিন্তু এই লাইনের মধ্যেই আছে।

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৩৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সাধারণ ভোক্তা হিসেবে প্রথমে যেটা করণীয় তা হল আপনার কনজিউমার বিহেভিয়ার নিয়ন্ত্রন করা। লোভনীয় বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখে আজ আমাদের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের চাহিদা তৈরি হচ্ছে। বিজ্ঞাপনগুলো তৈরি করাই হয় এই চাহিদা তৈরির জন্য। তাই প্রথমেই যা করণীয় তা হল, আপনার একান্ত চাহিদাগুলো নির্ধারণ করা, অতঃপর সেগুলো কোন পণ্য অথবা সেবা দ্বারা পূর্ণ হতে পারে তার জন্য একটু খোঁজ করা। দেখুন বাস্তবতা হল আমরা বেশীরভাগ ক্রেতাই কিন্তু পণ্য কেনার সময় উৎপাদন তারিখ, মেয়াদ, বিভিন্ন সংস্থার সিল সহ আরও অনেক কিছুই চেক করে কিনি না। যেগুলো একটু সচেষ্ট হলেই করা সম্ভব। আর দেখবেন, যেসব কোম্পানির পণ্যের চাহিদা মাত্রারিক্ত সেগুলোই বেশী নকল ও ভেজাল হচ্ছে। দেখুন, সরকারী সংস্থা কতটুকু করছে বা করবে সেটার চেয়ে বেশী জরুরী নিজেকে সেইভ করা। তাই, নিজ প্রয়োজনে আপনাকে সচেতন হতে হবে। আমরা মুখে অনেক কথা বললেও, পণ্য ক্রয়ের সময় এসব রঙিন বিজ্ঞাপন দ্বারা পরিচিত হওয়া পণ্যের কথাই মাথায় রাখি, তাই নয় কি? জুসে ক্যামিক্যাল ছাড়া আর কিছুই নেই, তাহলে এসব জুস জেনেশুনে আমরা প্রতিনিয়ত কিনছি কেন? জুস, কোমল পানীয় ছাড়া কি জীবন অচল হয়ে যায়? এভাবে এক এক করে ভেবে দেখবেন, এসব বিজ্ঞাপন কিভাবে আমার আপনার ক্রয় আচরণ (পারচেস বিহেভিয়ার) প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করে দিচ্ছে। বাচ্চার ভালমত বেড়ে ওঠার জন্য দুধ খাওয়াবেন, সেই দুধে পুষ্টি আনতে হরলিক্স মিশাবেন। খাওয়া শেষে দাঁত ঠিক রাখতে প্রতিবেলা দাঁত মাজবেন, মাউথ ওয়াশ ব্যাবহার করবেন। এভাবে প্রতিনিয়ত বিজ্ঞাপন দিয়ে দিয়ে আপনার মনের অবচেতনেই কিন্তু পণ্যের চাহিদা তৈরি করা হচ্ছে। এভাবে হিসেব করে দেখবেন কতশত অনুষঙ্গ আমাদের জীবনে গত বিশ বছরে যুক্ত হয়েছে; যেগুলোর অস্তিত্ব বিশ বছর আগেও ছিল না। তখন কি জীবন চলে নাই? মানুষ সুস্থভাবে বেঁচে ছিল না? আমার লেখার মূল বক্তব্য এখানেই, এসব বিজ্ঞাপন হতে আপনার আবেগকে বাঁচিয়ে রাখুন, নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী পণ্য ক্রয় করুন, একটু সাবধানতার সাথে, কোন চটকদার বিজ্ঞাপনে মুগ্ধ হয়ে নয়।

সরকার অভিভাবক হিসেবে কতটুকু দায়িত্ব পালন করতে পারলো, সেই আলোচনা বৃথা। তাই সে প্রসঙ্গে আর কিছু বলার নেই। ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা জানবেন।

১৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮

মনসুররবি বলেছেন: চমৎকার একটি লেখা । অত্যন্ত সময়োপযোগী । খুব ভাল লাগলো। ধন্যবাদ।

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:২২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ মনসুররবি, পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রইল। ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা।

১৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:০৮

মানিক মুন্না বলেছেন: ভাল লিখেছেন। আসলে বিজ্ঞাপনের নামে যাতা অবস্থা

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৫৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ মানিক মুন্না। আসলেই বিজ্ঞাপনের নামে যা তা নির্মাণ হচ্ছে আজকাল।

ভালো থাকুন, বোকা মানুষের ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।

২০| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: আসলে অতিসত্বর আমাদের দেশে একটি শক্তিশালী এবং যুগোপযোগী বিজ্ঞাপন নীতিমালা তৈরি হওয়া দরকার। যার যা খুশী, যেভাবে খুশী, যা তা দিয়ে, একগাদা মিথ্যাচার দিয়ে পণ্যের প্রচার করা যায় না। ফ্রুটিকা যা তৈরি হয়ে পুরো কেমিক্যাল দিয়ে আর বিক্রয় হয় ফলের জুস হিসেবে, সেটা খেলে আপনা থেকে বেড়িয়ে আসে মনের ভেতরের সত্য কথা। চারিদিকে বছরের পর বছর চলছে মিথ্যাচার, যা আইনের ভাষায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তোমাকে একটু ব্যাখ্যা করে বলি। যখন কোন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোন পণ্যের গুণগান করে প্রচার করা হয় তখন কিন্তু সেটা একটা অফার, যা কন্ট্রাক্ট ল এর আওতায় প্রথম ধাপ। এই অফার ক্রেতার মনপুতঃ হলে সে পণ্যটি ক্রয় করবে। কিন্তু ক্রয়ের পর যদি ক্রেতা ঐ সব ফিচার যা বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, তা না পায়, তাহলে ল অফ কন্ট্রাক্টের আওতায় কিন্তু বিক্রেতা চুক্তি ভঙ্গের দায়ে আসামী হিসেবে গণ্য হবে। কিন্তু আমাদের দেশে সাধারণ কন্ট্রাক্ট ল থেকে শুরু করে ভোক্তা অধিকার আইন, অথবা লেবার ল হতে শুরু করে ইনকাম ট্যাক্স ল, কোন কিছুই সাধারণ জনতা জানে না। বিধায় এরা এইসব জোচ্চুরি করার সাহস পায়। ইউনিলিভারের সোনার চেইনের উপহারের লোভ দেখিয়ে বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে মামলা হল। অথচ এক বছর আগে দেশী কোম্পানি এবং দেশী পণ্য হিসেবে দাবী করে পাঁচ কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ দেয়া বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে এর চাইতে বড় ধরেনের মামলা হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু কে করবে এসব মামলা, সাধারণ জনগণ? তাদের তো সেই ক্ষমতা নেই।
বড় বড় শিল্প গ্রুপগুলো সব অন্যায় আর দুর্নীতি করে এতোদূর উঠে এসেছে, এটাই বাস্তবতা। এদের টাকার ক্ষমতার কাছে পরাজিত আমাদের রাজনৈতিক নেতারা, পরাজিত আমাদের সরকার ব্যবস্থা, পরাজিত রাষ্ট্র এবং এর সকল বিচার কাঠামো। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণ তাদের অধিকার এবং এই সম্পর্কিত আইনগুলো ভালোভাবে না জানবে, রাষ্ট্র সুসাশন প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হবে, ততক্ষণ এসব চলবেই। তাই এমন অবস্থায় আমাদের করণীয় আবেগে ভেসে না গিয়ে যুক্তি দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে আমাদের নিত্যদিনকার সকল পণ্য এবং সেবা ক্রয় করা। এতে হয়ত সমস্যার পূর্ণাঙ্গ সমাধান হবে না, কিন্তু আমাদের সাময়িক সুরক্ষা হতে পারে।

সহমত। ++++

২৭ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু ভাই। আসলেই আমাদের সুরক্ষার জন্য আমাদের নিজেদেরই এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়া উপায় নেই।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

২১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১৯

প্রামানিক বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে চিন্তায় আছি। আমরা সবাই তো মিথ্যা তথ্যে এইভাবে ভুগে থাকি। ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।

২৭ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলেই চিন্তার বিষয়, তাই কোন পণ্য বা সেবা ক্রয়ের আগে দুইবার ভাববেন সবাই আশা করি।

ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই, ভালো থাকুন সবসময়।

২২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৪২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কিছু বলতে যেয়ে থমকে গেলাম,আরে!আমার কথাগুলির জবাব তো ৭নং মন্তব্যের উত্তরে আছে।। তাই শুধু বলবো আমার দূর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে রাষ্ট্রের কিছু দূর্নীতিপরায়ন কর্মচারী বিনিময়ে তরা এই বেনিয়া ব্যাবসার প্রচর ও প্রসারের সুযোগ করে দিচ্ছে।।
হয়তো দেখবো এই লেখাটি নিয়ে আলোচনার পরও স্ত্রী বা কন্যা কেউ একজন সেই পন্যটা কিনে এনেছে।। বাস্তবতা এখানে হার মেনেছে "গোয়েবলীয় প্রচারের কাছে"।।

২৭ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হয়তো দেখবো এই লেখাটি নিয়ে আলোচনার পরও স্ত্রী বা কন্যা কেউ একজন সেই পন্যটা কিনে এনেছে।। বাস্তবতা এখানে হার মেনেছে "গোয়েবলীয় প্রচারের কাছে" সহমত। আমার এক আত্মীয়াকে ম্যাগি নুডুলস সম্পর্কে বলার পরে উনার ভাষ্য ছিল, ''আমার দুই বছরের বাচ্চাটা ম্যাগি ছাড়া যে কিছু খায় না"!!!!! বুঝেন অবস্থা। অনেক বাবা মা শিশুকে খুশী করতে তথাকথিত জুস আর কোমল পানীয় কিনে দিয়ে আত্মতৃপ্তি পান। অথচ উনারা নিজেরাও জানেন না কি ক্ষতিই না করছেন নিজের সন্তানের।

২৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:৩৭

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: কয়েকদিন আগে নেসলের একটা কফির বিজ্ঞাপণ নিয়ে লিখবো ভেবেছিলাম।

জোক্স না শুনিয়ে যাবোই না বিজ্ঞাপনে "ওপর ওয়ালাকে ধন্যবাদ, কফির জন্য; যার জন্য আমিও জেগে ছিলাম, আপনারাও জেগে ছিলেন।" কথাটা কতটা ওদ্ধ্যত্যের পর্যায়ে যেতে পারে ধারনা করতে পারেন?

যে বিজ্ঞাপন যতটা আমাদের ইমোশনের ওপর ভর করতে পারে যে পন্যের মার্কেটিং তত বৃদ্ধি পায়।

২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:১১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: যে বিজ্ঞাপন যতটা আমাদের ইমোশনের ওপর ভর করতে পারে যে পন্যের মার্কেটিং তত বৃদ্ধি পায়। এটাই তো স্বাভাবিক, কারণ বিজ্ঞাপন মার্কেটিং এর একটি অন্যতম টুলস। এইসব ভিত্তিহীন, যুক্তিহীন বিজ্ঞাপন মানুষ গ্রহণ করে পণ্যের প্রচার মাধ্যম হিসেবে, ফলশ্রুতিতে ঐ পণ্যের বিক্রয় বাড়ে। তাহলে বলেন এরকম বিজ্ঞাপন বানাবে না কেন? তা চাই সেটা যতই ঔদ্ধত্যপূর্ণ হোক না কেন।

ধন্যবাদ জাহাজী ভাই, ভালো থাকুন সবসময়। অনেক অনেক শুভকামনা জানবেন।

২৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকা মানুষ বলতে চায় ,



মার্কেটিং এর কনসেপ্টে এখন আর “ফোর পি” নয় , যোগ হয়েছে আরো অনেকগুলো "পি" ।
সব "পি" র মূলে সূত্র একটাই " চাহিদা" সৃষ্টি ।

মার্কেটিং বা বিপণন হলো চাহিদা সৃষ্টির মাধ্যমে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা । তাই চাহিদা সৃষ্টিতে আপনার আবেগে সুড়সুড়ি যে দিতেই হয় । নইলে আপনার চাহিদা সৃষ্টি হবে কিভাবে ? ফলে যা খুশি, তিলকে তাল বানিয়ে না বললে প্রতিযোগিতায় আপনি যে হেরে যাবেন ।
তবে বাজারে এই তিল না তাল, তা চশমা দিয়ে দেখার জন্যে " বিএসটিআই" নামের যে চশমাটি আছে তার লেন্স এর পাওয়ারই তো নাই । যেমনটা আপনি বলেছেন , কি কাজে আছে তা খোদ তারা নিজেরাও জানে বলে মনে হয় না।
ফলে নিম্নমানের পণ্যও বাজারের অলিগলি ভাসিয়ে দিব্যি বহাল তবিয়তে আছে এবং থাকবেও ।

আপনি একথাটি ঠিক বলেছেন - সামলে রাখুন আপনার আবেগকে, ছিনতাই হতে পারে বেনিয়াদের হাতে
মার্কেটিংয়ের এই চাহিদা সৃষ্টির জোয়ারে আমাদের আবেগের নৌকাটিকে ভেসে যেতে না দিলেই সব সমস্যার সমাধান ।

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:১১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলে ঐ ফোর পি এর প্রমোশনটারে বিকৃত করে নিত্য নতুন শাখা প্রশাখা গজায় নিছে। চাহিদা সৃষ্টি, এইটা কিন্তু বিজনেস পলিসি। সেই ব্রিটিশ আমলে ফ্রিতে নাকি চা পান করতে দেয়া হত, ফলে আজ চা ছাড়া আমাদের বেশীরভাগ মানুষের দিন কাটে না। তাই এটা করাটাই স্বাভাবিক। মার্কেটে সারভাইভ করতে হলে নিত্য নতুন পণ্য এবং সেবা ভাবনা নিয়ে আসতে হবে। এটা ব্যাবসায়িক দিক থেকে অবশ্যই আমি সাপোর্ট করি। কিন্তু ভোক্তা হিসেবে আমাদের ভাবতে হবে কোন পণ্য বা সেবাটা আমার কতটুকু প্রয়োজন। আমি পুরাতন ঢাকায় থাকি, এখানে এমনও দেখেছি মাসে পাঁচ হাজার টাকা আয় করে না যে ছেলেটা সে বিশ-পঁচিশ হাজার টাকা দিয়ে মোবাইল কিনছে। এই ছেলে থেকে শুরু করে ধনী লোক, যে প্রতি বছর পারলে ফার্নিচার চেঞ্জ করে; এগুলো সবই হচ্ছে কারণ আমাদের পারচেস বিহেভিয়ার এইসব বিজ্ঞাপন দ্বারা সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রন করছে এইসব বেনিয়ার দল। কারণ, আমরা সচেতন নই।

আর সরকারী সংস্থা সম্পর্কে কিছু বলার নেই, কেননা আমাদের মত দেশে এইসব দেখার চেয়ে আরও অনেক অনেক জরুরী অনেক কিছুই দেখার কেউ নেই। তাই এইক্ষেত্রে নিজেদের সচেতন হওয়া ছাড়া আর কিছু করার নেই। নিজের কি প্রয়োজন, কোনটা প্রয়োজন এটা ঠাণ্ডা মাথায় নিজেকে ভেবে দেখতে হবে। তার জন্যই বলা, সামলে রাখুন নিজের আবেগকে। :)

ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার, অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

২৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:১৮

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ''সত্যি করে বল,আমি কি তোমার ফার্স্ট লাভ?''
''এ জগতে হায় কে ভাইয়া হতে চায়?''
এই সমস্ত রুচিহীন বিজ্ঞাপনের পণ্য ব্যবহার করাও রুচিহীনতা।
মিডিয়া সমাজের দর্পণ।দেশ সমাজ প্রজন্ম কোথায় যাচ্ছে ভাবলে শিউরে উঠি

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলেই আমাদের দেশ সমাজ প্রজন্ম কোথায় যাচ্ছে? তা হয়ত নিজেরাই জানে না। বিজ্ঞাপন তথা মিডিয়ায় কিন্তু সমাজের বাস্তব চিত্রই প্রতিফলিত হয়। এসব বিজ্ঞাপনই এই সাক্ষ্য দেয় যে, আমরা কোথায় যাচ্ছি।

ভালো থাকুন ভাই, বোকা মানুষের ব্লগে স্বাগতম।

২৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:২৭

নক্ষত্রচারী বলেছেন: রং ফর্সাকারী ক্রিমের বিজ্ঞাপনগুলো দ্বারা একটা বড়ধরনের বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে! অপেক্ষাকৃত কম সুন্দর কিংবা কালোদের খর্ব করা হচ্ছে কৌশলে । আমাদের আবেগ আর ব্যবসায়ীদের চাটুকারিতা এই দুয়ের মাঝখানে চাপা পড়াদের চুষে ফুলেফেপে উঠছে কিছু কর্পোরেট বাণিজ্য সংস্থ্যা । অবশ্য এখন সৃষ্টিশীল কিছু নির্মাতাদের হাত ধরে জনসাধারণ এই গণ্ডি থেকে বের হয়ে আসছেন । যেমনটা আমরা দেখতে পাই মেরিল স্প্ল্যাশের বিজ্ঞাপনে ।

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হা হা হা, এখানেই কর্পোরেট হাউজের সব কারিগরি রে ভাই। মেরিল স্প্ল্যাশ যে কর্পোরেট হাউজের, ঐ একই হাউজেরই প্রোডাক্ট হল সেনোরা। আশা করি বুঝতে পারছেন, কি বলতে চাইছি... =p~ =p~ =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.