নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

রন্তু\'র কালো আকাশ - ২০ (ধারাবাহিক)

২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:২৮



সেই ভোরবেলা থেকে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে, কখনো থেমে থেমে, কখনো মুষলধারে। চারিদিক যেন পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। উঠোনে এরই মাঝে পানি জমে গেছে, শায়লা পানির দিকে তাকিয়ে আছে একমনে। ছোটবেলায় বৃষ্টিতে এরকম পানি জমে গেলে কাগজের নৌকা বানিয়ে ভাসিয়ে দিত তারা তিন ভাইবোন মিলে। শিবলি তখন অনেক ছোট, শায়লা আর তার থেকে তিন বছরের বড় ভাই শিপলু দুজনই মূলত মেতে উঠতো এই খেলায়। সেইসব দিনের কথা মনে করে শায়লা যেন সেই ছোট্ট খুকী হয়ে গেল। ইচ্ছে হচ্ছে রন্তুর খাতা হতে কিছু কাগজ ছিঁড়ে নিয়ে ঘরের চৌকাঠের উপর বসে বসে নৌকা বানিয়ে ভাসাতে থাকে এই জমে থাকা জলের মাঝে। এই কথা মনে হতেই শায়লা ঘরের ভেতরে রন্তুর দিকে চেয়ে দেখে ছেলে অঘোরে ঘুমাচ্ছে। আজ যদিও স্কুল খোলা ছিল, কিন্তু এই বৃষ্টি দেখে শায়লা আর ডেকে তোলে নাই, শায়লার মা, রন্তুর নানুও আজ রন্তুকে ডাকতে আসে নাই। সবাই যার যার ঘরে বসে বুঝি বর্ষণমুখর এই সকাল বেলা স্বাদ আস্বাদন করছে।

(পূর্ব ঘটনা প্রবাহঃ রন্তু, শায়লা আর জাভেদের একমাত্র সন্তান। জাভেদের সাথে শায়লার প্রনয় থেকে পরিণয়, পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে। কিন্তু বিয়ের পর শায়লা ধীরে ধীরে বুঝতে পারে জাভেদ ভয়ঙ্কর রকমের মানসিকভাবে অসুস্থ। এক সময় মানিয়ে নিতে না পেরে ছোট্ট শিশু রন্তুকে নিয়ে মায়ের বাসায় চলে আসে। তাদের মিউচুয়ালি ডিভোর্স হয়ে গেছে। মা-বাবার এই টানাপোড়নে শিশু রন্তুর মানসিক জগতের গল্প, সাথে তার নিত্যদিনকার প্যাচালি, এই হল এই গল্পের উপজীব্য। কয়েক মাস আগ পর্যন্ত জাভেদ রন্তুকে স্কুলের গেটে মাসে এক-দুইবার দেখা করতে আসতো, গত মাস ছয়েক আগে শেষবারের মত ছেলেকে দেখতে এসেছে। মানসিক সমস্যাগ্রস্থ জাভেদ পরিবার, আত্মীয় পরিজন হতে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে একাকী জীবন পথে হেঁটে চলেছে। অপর দিকে রন্তুর মা শায়লা এক প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরী করছে, যেখানে তার এক সিনিয়র পোস্টের সহকর্মী ইরফানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে গড়িয়েছে প্রণয়ের। ইদানীং রন্তুর মাঝে একটি মানসিক সমস্যা দেখা যাচ্ছে, সে বাবা-মা সহ নিজেদের একটি পরিবার খুব মিস করে। আর সেই অপ্রাপ্তি থেকে সে নিজের মনে একা একা এক কাল্পনিক জগতে বিচরন করে। এরমাঝে শায়লার প্রবাসী বড়ভাই দেশে এসেছে ছুটিতে। পিতামাতা’র সম্পর্কের এই টানাপোড়নের সাথে তার শিশু মনের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া এবং পরিবারের মানুষগুলোর মিথস্ক্রিয়া’য় কেমন চলছে আমাদের রন্তুর জগত তা জানার জন্য আসুন এবার আবার শুরু করা যাক)

রন্তুর ঘুমের অদ্ভুত ভঙ্গী দেখে শায়লা খুব অবাক হল, ছেলের সবকিছুতেই যেন জাভেদের প্রচ্ছন্ন ছায়া দেখতে পায় সে, ঘুমের ধরণেও জাভেদের সাথে কি মিল ছেলের। আসলে প্রকৃতিই মনে হয় জেনেটিক্যালি ছেলের মাঝে তার বাবা’র স্বভাবগুলোর বীজ বপন করে দিচ্ছে। শায়লা মনে মনে বলল, সব স্বভাব যেন না পায়। হুট করে শায়লার মনে হল এককাজ করলে কেমন হয়? রন্তুকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলে কাগজের নৌকা বানানো শিখিয়ে দেয়। রন্তু নৌকা বানিয়ে ভাসিয়ে দিবে উঠোনের জমে থাকা জলে, শায়লা রন্তুর মাঝে খুঁজবে তার হারানো সেই শৈশব। আচ্ছা রন্তু কি নৌকা বানাতে পারে? জানা নেই শায়লার। ছেলেটা চোখের সামনে বড় হয়ে উঠছে, কিন্তু অনেক কিছুই শায়লার অজানা থেকে যাচ্ছে। এই বছরখানেক আগেও যেন ছেলেটা তার মুঠোর মধ্যে ছিল, খুব ধীরে ধীরে নিজের অজান্তে সেই মুঠো গলে হারিয়ে যাচ্ছে। এতো কাছে থেকেও রন্তু যেন খুব অচেনা হয়ে যাচ্ছে শায়লার কাছে। শায়লা কি রন্তুর দিকে ঠিক আগের মত মনোযোগ দিতে পারছে না?

শায়লা এক অজানা অপরাধবোধে আক্রান্ত হল। ইরফানের সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর থেকে প্রতিনিয়ত অদ্ভুত সব অপরাধবোধে জর্জরিত হচ্ছে সে। আজানা কোন এক শঙ্কায় মাঝে মাঝে ভয় হয়। অদ্ভুত এই অনুভূতি, ইরফান তার জীবনে যেমন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে যাচ্ছে, তেমনই করে এক অজানা ভয় সারাক্ষণ তাড়িয়ে বেড়ায় তাকে। কি সেই ভয়, সংজ্ঞাহীন, বোধের ঊর্ধ্বে থাকা কোন এক অনুভূতি। একি প্রিয়জন হারানোর মূল্যে অন্য কোন প্রিয়জন পাওয়া। এই জটিল প্রশ্নগুলোর উত্তর শায়লারও জানা নেই, সে জানার চেষ্টাও করে না। একটু বেশী কিছু ভাবতে গেলে মাথায় খুব চাপ পড়ে, মাথার দুপাশের রগগুলো সব দপদপ করতে থাকে। শায়লা ঘরের উঠোন পেড়িয়ে ছাঁদে চলে এল, সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় দেখল বড় ভাই শিপলু তার ঘরে ঘুমাচ্ছে। সদ্য বিদেশ ফেরত এই ভাইটি যেন অন্য অচেনা কেউ, বহুদিনের দূরে থাকায় মানুষ কি এমন করে অচেনা হয়ে যায়? যায়ই তো, যেমন জাভেদ। শায়লা এখন নিজেই খুব অবাক হয় এই ভেবে যে, জাভেদের চেহারাও এখন মাঝে মাঝে মনে করতে কষ্ট করতে হয় তাকে। সেই জাভেদ, যাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল, সংসার করেছে বছর কয়েক। একই ছাঁদের নীচে কাটিয়েছে কতটি দিনরাত্রি। সেই জাভেদ, যাকে ঘিরে ছিল সব স্বপ্ন, সব কামনা-বাসনা, সব ইচ্ছের নীলঘুড়ি উড়ে বেড়াত শুধুই যার আকাশ জুড়ে। সেই জাভেদ কেমন করে এতো দূরে হারিয়ে গেল তিলতিল করে, ভাবতেই শায়লার চোখে জল এল। ছাঁদে উঠে বৃষ্টিতে ভিজতে লাগলো আনমনে, দক্ষিনের কার্নিশের দেয়ালে হাত দিয়ে দূরের আকাশ পাণে চেয়ে রইল। এই সকাল বেলা, কালো করে রাখা আকাশ যেন শায়লার মনের কান্নাগুলো বৃষ্টি হয়ে ঝরিয়ে যাচ্ছে।

রন্তু ঘুম থেকে জেগে দেখে স্কুল টাইম পেড়িয়ে গেছে প্রায় ঘণ্টাখানেক আগে, বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে খুব। কিছুক্ষণ ঘুমঘুম চোখে বসে রইল খাটে। কিছুটা অবাক হল, মা অথবা নানু কেউই আজ তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলল না দেখে। ধীরে ধীরে খাট হতে নেমে চারিপাশে দেখার চেষ্টা করল। কারো কোন শব্দ নেই, শুধু রান্নঘর হতে খুটখাট শব্দ পাচ্ছে, নানু নিশ্চয়ই রান্না করছে। বৃষ্টির ছাট গায়ে মেখে রন্তু রান্না ঘরে চলে এল, নানু রান্নায় ব্যস্ত।

‘নানু, ঘুম থেকে ডাক নাই কেন? আজতো স্কুল কামাই হয়ে গেল’

‘হলে হল, দুই একদিন স্কুল কামাই গেলে কিছু হয় না’

‘তোমাকে বলেছে’

‘হ্যাঁ বলেছে, যা ভাগ, গিয়ে শুয়ে থাক, এই বৃষ্টিতে বাইরে বের হওয়ার দরকার নেই।’

‘নানু মা কোথায়, অফিস চলে গেছে?’

‘না তো, ও তো ঘরেই ছিল, দেখ গিয়ে’

‘না কোথাও পেলাম না তো’

‘জানি না, যা ঘরে যা, আমাকে জ্বালাসনে’

রন্তু রান্নঘর থেকে বের হয়ে এল, পুরো রান্নঘরে খিচুড়ির ঘ্রাণে ভরে আছে। আজ তাহলে সকালের নাস্তা খিচুড়ি, রন্তুর মুখে হাসি ফুটে উঠলো। নানুর হাতের খিচুড়ি রন্তুর খুব পছন্দ, বৃষ্টি হলেই নানু খিচুড়ি রাঁধবে, এটা যেন নিয়ম হয়ে আছে। রন্তু ভেবে পেল না, মা কোথায় গেল। সব জায়গা খুঁজে না পেয়ে রন্তু ছাঁদে উঠে আসল, সিঁড়িঘর হতে দেখল মা এই ঝুম বৃষ্টিতে কার্নিশের দেয়াল ধরে দাঁড়িয়ে আছে। আকাশের দিকে মুখ তুলে যেন বৃষ্টির ফোঁটাগুলোকে দেখতে চাচ্ছে। মাকে খুব সুন্দর লাগছে, রন্তু নিঃশব্দে অনেকক্ষণ মায়ের দিকে চেয়ে রইল। একসময় রন্তুর ডাকে শায়লা ফিরে তাকাল, ছেলের ডাকে ধীরে ধীরে এগিয়ে এল তার দিকে। রন্তু মায়ের সাথে বৃষ্টিতে ভিজতে চাইলেও শায়লা ওকে সাথে করে নেমে আসল ছাদ থেকে। এই সাত সকালে বৃষ্টিতে ভিজে নিজেই যেন লজ্জা পেল।

খিচুড়িটা খেতে দারুণ হয়েছে, রন্তু অন্যদিনের চেয়ে একটু বেশী খেয়ে ফেলল। নানু ওর খাওয়া দেখে হেসে দিল, বড় মামা সামনে ছিল বলেই বুঝি তাকে কিছু বলল না। অন্যদিন হলে রন্তুকে কিছু না কিছু বলে ক্ষ্যাপাতই। খাওয়া শেষে সবাই বসে আছে, রন্তুর মা শায়লা চা ঢালছে কাপে, এমন সময় রন্তুর বড় মামা শিপলু কথা বলা শুরু করল।

‘তো শায়লা, কি ভাবছিস?’

‘কোন ব্যাপারে ভাইয়া?’

‘এই যে, এভাবে চাকুরী করে আর কয়দিন কাটাবি?’

‘কেন হঠাৎ এই প্রশ্ন?’

‘না, জাভেদের সাথে তো সব চুকেবুকেই গেছে। তাই বলে কি সারাজীবন এমন একা থাকবি?’

‘ও...’

‘আবার একটা বিয়েথা করে নতুন করে শুরু কর।’

‘ভাইয়া এসব কথা এখন থাক প্লিজ’

‘আমার সাথে আমার অফিসে এক ভদ্রলোক কাজ করেন। উনার বউটা হুট করে ক্যান্সার হয়ে মারা গেল, একটা ছোট পাঁচ বছরের মেয়ে আছে। আমার খুব ভালো লাগে ভদ্রলোককে, দেখতে শুনতে মন্দ নয়, স্বভাব চরিত্রও বেশ ভালো।’

‘ভাইয়া প্লিজ, রন্তুর সামনে এসব কি না বললেই নয়’

‘এই রন্তু, তুই তোর ঘরে যা। না এক কাজ কর শিবলিকে গিয়ে ডেকে তুল গিয়ে, এতো বেলা হল এখনো উঠে না’ রন্তু ঘর হতে ছাঁদের দিকে পা বাড়াল, ছাঁদের চিলেকোঠার ছোট মামার ডেরায়।

‘মা তুমি কি বল?’ শিপলু মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল।

‘আমি আর কি বলব? আমার বলায় কি হবে? তোরা বড় হয়েছিস, ভালমন্দ সব বুঝিস, তোরা যেটায় ভাল মনে করবি সেটাই করবি’

‘মা, তুমি মুরব্বী, তোমার একটা মতামত আছে না’

‘প্লিজ ভাইয়া, আমি এসব নিয়ে কিছু ভাবছি না। এখন এসব কথা বাদ দাও দয়া করে।’

‘কেন? বাদ দিব কেন? তোর বয়স কিই বা হয়েছে, তুই আবার থেকে নতুন করে সব শুরু করতেই পারিস। আর ঐ ভদ্রলোকের ছবি নিয়ে এসেছি, তুই দেখ, যদি ভাল না লাগে অন্য কথা। আর রন্তুকে নিয়ে চিন্তা করার কিছুই নেই, ওকে ক্যাডেট স্কুলে ভর্তি করে দিব, ওখানে ভালো যত্নেও থাকবে, সাথে পড়ালেখাটাও ভালো হবে।’

‘উফ, ভাইয়ে আমি গেলাম...’ বলে শায়লা নিজের ঘরের দিকে রওনা হল।

‘তাহলে যা শুনেছি তাই বুঝি সত্যি।’ বড় ভাইয়ের এই কথায় শায়লা যেন বিদ্যুৎস্পৃষ্টর মত চমকে উঠলো। ঘুরে দাঁড়িয়ে ভাইয়ের দিকে তাকালো।

‘কি শুনেছ?’

‘তোর অফিসের একটা ছেলের সাথে তোকে অনেকদিন অনেকজন দেখেছে, আমার কাছে রিপোর্ট আছে’

‘রিপোর্ট? তুমি কি গোয়েন্দা লাগিয়েছ আমার পেছনে, যে তারা রিপোর্ট করে তোমার কাছে’ শায়লা গলা যেন একটু উঁচুতে উঠলো।

‘যা বললাম তা সত্য কি না তা বল?’

‘তোমার সেটা জেনে কি লাভ?’

‘আমার কি লাভ সেটা বড় কথা না, বড় কথা হল এভাবে ঘোরাফেরা করাটা শোভন নয়। হাজার হলেও আমরা একটা সমাজে বাস করি। আর তুই এখন নিশ্চয়ই কলেজ পড়ুয়া ছোট খুকী নেই, যে কোন ছেলের হাত ধরে হেঁটে বেড়াবি রাস্তাঘাটে, মনে রাখিস তুই একটা আট বছরের ছেলের মা।’

‘ভাইয়া আমি কারো হাত ধরে ঘুরে বেড়াই নাই রাস্তাঘাটে। আর যদি ঘুরেও বেড়াই তাতে কারো কিছু বলার আছে বলে আমি মনে করি না। আমার জীবন, আমি ভাল বুঝি কিভাবে চলব। আশা করি এই ব্যাপারে তোমরা কেউ আর আমার সাথে আর কোন কথা বলবে না।’ শায়লা ঘর হতে বেড়িয়ে নিজের ঘরে চলে এল, মাথার দুপাশের রগগুলো লাফাতে শুরু করেছে।

রন্তু ছাঁদে উঠে ছোটমামার ঘরের দাওয়ায় বসে আছে চুপচাপ। বড় মামার কথাগুলো তার কানে বাজছে, কথাগুলো ঠিকমত বুঝতে না পারলেও, কেন যেন তার বুক ফেটে খুব কান্না পাচ্ছে। কেন জানে না কিছু, শুধু জানে অনেক অনেক কান্না জমে আছে তার বুকের মাঝে। আওয়াজ করে কান্না করতে পারছে না, পাছে ছোট মামা ঘুম থেকে জেগে যায়। কিন্তু কান্নার দমকে থেকে থেকে কেঁপে উঠছে ছোট রন্তুর সারা শরীর। আকাশ ভেঙ্গে আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে, আজ বুঝি ভাসিয়েই নিবে পুরো পৃথিবী এই বাঁধভাঙ্গা বৃষ্টির দল। এর সাথে যদি ভেসে যেতে পারতো ছোট রন্তু এই পঙ্কিল পৃথিবী হতে।

'রন্তু'র কালো আকাশ' এর আগের সব পোস্টগুলোঃ
রন্তু'র কালো আকাশ - ১
রন্তু'র কালো আকাশ - ২
রন্তু'র কালো আকাশ - ৩
রন্তু'র কালো আকাশ - ৪
রন্তুর কালো আকাশ - (১-৫)
রন্তু'র কালো আকাশ - ৬
রন্তু'র কালো আকাশ - ৭
রন্তু'র কালো আকাশ - ৮
রন্তু'র কালো আকাশ - ৯
রন্তু'র কালো আকাশ - ১০
রন্তু'র কালো আকাশ - ১১
রন্তু'র কালো আকাশ - ১২
রন্তু'র কালো আকাশ - ১৩
রন্তু'র কালো আকাশ - ১৪
রন্তু'র কালো আকাশ (পর্ব ১-১৪ ফিরে দেখা)
রন্তু'র কালো আকাশ - ১৫
রন্তু'র কালো আকাশ - ১৬
রন্তু'র কালো আকাশ - ১৭
রন্তু'র কালো আকাশ - ১৮
রন্তু'র কালো আকাশ - ১৯

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৩৮

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই, ভালো থাকুন।

২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: চলুক।

৩০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী, ভালো থাকুন সবসময়।

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩

কাবিল বলেছেন: শায়লার নিজের পছন্দ হোক অথবা ভাইয়ার পছন্দই যদি নতুন করে জীবন শুরু করে তাহলে রন্তু'র আকাশে কালো মেঘ জমতে থাকবে।
দেখা যাক কি হয়----------

আমার মনের আকাশেও পরবর্তী পর্ব গুলো পড়তে লোভ জাগছে।

৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ কাবিল, আপনাদের আগ্রহই আমার লেখনীর প্রেরণা। জানিনা আপনাদের এই ভালোলাগা আগামীতেও ধরে রাখতে পারবো কি না...

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩

কম্পমান বলেছেন: অনেক দিন পর ২ পর্ব এক সাথে পড়লাম।। ভাল লাগল। কিন্তু মনে হল, পূর্বে ধারাবাহিক একটার সাথে অন্যটির মিল পাওয়া যেত (১-১৮), ১৮-১৯, ১৯-২০ এই ৩পর্বের একটির সাথে অন্যটির মিল কম পাওয়া গেল।। তার পরও অনেক ভাল লাগল পরের পর্বগুলো চাই তাড়াতাড়ি।........................... ++++++++++++++++++++++++

৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ কম্পমান। মিল কম পাওয়ার ব্যাপারটা দৃষ্টিগোচর করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পড়ে দেখলাম, হ্যাঁ কিছুটা জাম্প করছে কাহিনী। আসলে ২৫ পর্বে শেষ করার একটা তাড়া কাজ করছে অবচেতনে, তার সাথে রন্তুর জীবনের অন্যতম দ্রুত মোড় নেয়া সময় ছিল এটা। ঘটনাগুলো এখন খুব দ্রুত ঘটবে বলে এরকম মনে হতে পারে সামনের পর্বগুলোতেও। তাই সামনের কয়েকপর্বে এরকম একটু বিচ্ছিন্ন মনে হবে পর্বগুলোকে। দেখি জুড়ে দেয়া যায় কি না... তবে ভবিষ্যতে যখন এই লেখাটি উপন্যাস আকারে লিখবো, তখন এই ব্যাপারটা ওভারকাম করতে পারবো আশা করি। তবে, কেন জানি আমি এই পর্বটা লিখে তৃপ্তি পেয়েছি, কেন জানিনা।

বরাবরের মত উৎসাহ দিয়ে সাথে থাকার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভালো থাকুন সবসময়।

৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৩৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: একি প্রিয়জন হারানোর মূল্যে অন্য কোন প্রিয়জন পাওয়া। যাতে নেই প্রশান্তি।। শুধুই দোমনো ভাব।। আর এটাই মানুষের আয়ুকে কমিয়ে দেয় অনেকখানি।। জানি না শায়লার কপালে কি ছক আপনি লিখে রেখেছেন।।
(বাহুল্যে বলছি,আমি বোদ্ধা,সমলোচকও নই।। এতগুন আমর মাঝে নেই।। গল্প বা পোষ্ট পড়ে তাৎক্ষনিক য মনে সে তাই মন্তব্যে প্রকাশ করি।। এতে ভুলভ্রান্তী থকতেই পারে,বোঝাবুঝির)।।

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:২০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ হ্যাপী ভাই। শায়লার জীবনে কি আছে সামনে জানবেন, কিন্তু আমার কথা হল রন্তুর জীবনে কি আছে? রন্তুদের ভাগ্যাকাশের কালো মেঘ শুধু বেড়েই চলে, আর অশ্রু হয়ে ঝরে পড়ে সময় অসময়ে।

বোদ্ধা বা সমালোচক হওয়ার দরকার নেই, আপনি আমার প্রিয় পাঠক, এটুকুতো বলতেই পারি? তাই নয় কি? আর পাঠকের মতামত লেখকের কাছে অমূল্য। আর তাই তো আপনাদের মতামতের জন্য তীর্থের কাকের মত চেয়ে থাকি প্রতিনিয়ত।

ভালো থাকা হোক, শুভরাত্রি।

৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২

সুফিয়া বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:১৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ সুফিয়া আপা, রন্তু সিরিজে আপনার উপস্থিতি ভালো লাগলো। :)

৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: রন্তুর কথা তো আগেই বলেছি,হয়তো আমার মত সবপেয়ে হারানোর দলে থাকবে।। হয়তো জীবনে অর্ধেকের চেয়েও বেশী সময় কাটবে নিঃসঙ্গভাবে।। তবে আমার ব্যাপারে যেমন আমার হাত ছিল না(না-ই বা বলি কিভাবে??)কিন্তু রন্তুর ব্যাপারে আপনার হাত বা কলম যাই বলুন না কেন,সুতরাং সাধু সাবধান!!

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:১৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলে সমস্যা হল একটা বাস্তব ঘটনা এবং বাস্তব চরিত্রের জীবনের ছায়া অবলম্বনে এই উপন্যাসটি লিখছি। বিশেষ করে কিছু মেজর টার্ন রয়েছে, যেগুলো বাস্তব জীবনে ঘটিত অতীত, ফলে আমার হাতে নেই সেই টার্নগুলো। আর ঐ টার্নগুলো পরিবর্তন করলে মূল থিম পরিবর্তিত হয়ে যায় এই গল্পের। :)

ধন্যবাদ হ্যাপী ভাই, ভালো থাকুন সবসময়।

৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৪১

কম্পমান বলেছেন: ভাই আর কই????????????? ২১,২২,২৩,২৪,২৫???????????????? কোনদিন পাব???? X(( X( X(( X( X(( X( X(( X( X(( X( X(( X( X(( X( X(( X( X(( X( X(( X( X(( X( X(( X( X(( X( X(( X( X(( X( X(( X( X(( X( X(( X( X(( X(

১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:০২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: লেখক হিসেবে আমি পাঠকের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। আসলে ব্যক্তিগতভাবে একটু মানসিকভাবে অস্থিরতার মধ্যে আছি, এই অবস্থায় অন্যান্য পোস্ট দেয়া গেলেও গল্প লেখাটা অনেক কঠিন। খেয়াল করে দেখবেন শুধু রন্তু সিরিজ না, কোন গল্পই কিন্তু পোস্ট করা হয় নাই। গত কয়েকদিন ধরেই লিখব লিখব বলে ভাবছি, মনে মনে চাপ অনুভব করিছি, কিন্তু লিখতে পারছি না। কি অবস্থা দেখেন, যেন একেবারে পুরোদস্তুর লেখক হয়ে গেছি। আবার ভাববেন না যেন ভাব নিচ্ছি, সত্য অবস্থাটা জানালাম। মনে মনে ভয়ে ছিলাম এই বুঝি কম্পমানের কমেন্ট এলো, আর কত? আর কত?

যাই হোক, আজ অথবা কালকের মধ্যে অবশ্যই লেখা পেয়ে যাবেন আশা করি।

ভালো থাকুন সবসময়, আর রাগ করিয়েন না প্লিজ। শুভকামনা জানবেন।

৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:৩৭

কম্পমান বলেছেন: একজন লেখক যে তার পাঠক কে মূল্যায়ন করে তার জন্য ভাল লাগল।। সত্যি বলতে কি আমি গল্পের জন্য ক্ষুর্ধাত থাকি সবসময়।।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: :) ধন্যবাদ কম্পমান। ঘুম থেকে দেরী করে উঠে নাস্তা শেষে এক মগ চা খেয়ে বসেছিলাম লিখতে, এখনো একটা শব্দও লিখি নাই :P

আজকের মধ্যে অবশ্যই অবশ্যই পর্ব ২০ পোস্ট করবো ইনশাল্লাহ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: দেখছেন পর্বের সংখ্যাও ভুলে গেছি! পর্ব ২১ হবে...

১০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: রন্তু 'র আকাশ কি কালোই থাকবে
মিরাকল ঘটানো যায় না :(
লেখা খুব ভালোহয়েছে।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ইচ্ছে করলেই কালো আকাশের মেঘ সরিয়ে সুখের সোনালি মেঘে ভরে দিতে পারি রন্তুর আকাশটা, লেখক হিসেবে এইটুকু আমি করতেই পারি। কিন্তু যে বাস্তব রন্তুর জীবন নিয়ে আমার এই ধারাবাহিক, তাতে রন্তুর ভাগ্যাকাশে কালো মেঘের ঘনঘটাই বেশী। তাই আপাতত রন্তু'র আকাশ কালোই থাকবে। তবে ইচ্ছে আছে রন্তুকে নিয়ে ট্রিলজি লেখার, এর পরের পর্বগুলো হয়ত এতোটা কালো মেঘে ছেয়ে থাকবে না, কিন্তু তারপরও কালো মেঘ থাকবেই।

ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা আপু, পাঠ এবং মন্তব্যে ভালোলাগা রইল। ভালো থাকুন সবসময়, অনেক শুভকামনা রইল।

১১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৪৭

কলমের কালি শেষ বলেছেন: এই পর্বটা পড়ে বিস্বাদী হয়ে গেলাম । চমৎকার বর্ণনা এবং কাহিনীর আরেক ধাপে প্রবর্তন । চলুক ।

শুভ কামনা রইলো । :)

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:০৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কি আর করার ককাশে, এই সিরিজটাই যে মন খারাপ করে দেয়ার সিরিজ। :(

পাঠ এবং মন্তব্যে ভালোলাগা রইল, ভালো থাকা হোক সবসময়। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.