নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিরা\'দের জীবনে মিরাকল ঘটেনা :((

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:২১



তিনদিন হাওড়ে জল জোছনা গায়ে মেখে প্রফুল্ল মনে বাসায় ফিরে, ব্লগে ঢুকলাম ঢুলুঢুলু চোখে, সারারাত বাস জার্নি করে নির্ঘুম রাত কাটানোর ফলাফল। লগইন করতেই প্লাবন২০০৩ ভাইয়ের কাছ হতে নোটিফিকেশন পেলাম। হুবুহু কথাটি তুলে দিলামঃ

১২. ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:১৮০
প্লাবন২০০৩ বলেছেন: @ বো_মা ভাই, মিরাকল্‌ ঘটেনি। ডাক্তার আমাকে আজকে ডেকে পাঠিয়েছে, বোধহয় লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলবে। আমি আর লেখালিখি করতে পারব কিনা জানিনা। এই অল্প কয়েকদিনে আপনাদের সবাইকে এত ভালো লেগে গিয়েছিলো ........।
বলে বুঝাতে পারব না।

ভালো থাকবেন।


কিছুক্ষণ নির্বাক বসে রইলাম, অদ্ভুত এক কষ্টের অনুভূতি, বলে বুঝাতে পারবো না। অনেকক্ষণ ভেবেও পেলাম না, কি প্রতিত্তর দিব। কোনোমত একটা যেনতেন প্রতিত্তর হয়ত দিয়েছি, কিন্তু মনটাকে গতকাল থেকে কিছুতেই এই ঘটনা ভুলিয়ে রাখতে পারছি না। ঘটনার শুরু গত ১১ ই জুলাই, ২০১৫ তে প্লাবন ভাইয়ের পোস্ট “।। সামুর সকলকে, সকল ব্লগার ও পাঠককে আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ।।” হতে। সেই পোস্টে আমার একটা কমেন্টের প্রতিত্তরে জানতে পারি চমৎকার এবং জনপ্রিয় "কত কিছু জানি নারে ? পাঠক নিজ দায়িত্বে হজম করিবেন" সিরিজের রচয়িতা ব্লগার প্লাবন২০০৩ এর সহধর্মিণী গুরুতর অসুস্থ। আবেগি সেই কমেন্টটা ছিল এরকমঃ

১২ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৫৮০
লেখক বলেছেন: জ্বী, আপনাকে ধন্যবাদ ভাই। আমার বেলায় যে মজার ঘটনাটি ঘটেছে তা বলি।

আমার পোষ্টগুলোতে গড়পড়তা হিট ছিল ৬০০/৭০০, এর বেশী কিন্তু না। মাঝখানে কিছু সমস্যার জন্য দেড় মাসের মত ব্লগে ঢুকতে পারি নাই। আমি আবার আমার প্রতিটা পোষ্টের একটা স্টাস্টিক্যাল ডাটা তৈরী করি, মানে প্রতিটা পোষ্ট কতবার পড়া হল, প্রতিদিন কতবার, হিট পড়ার হার কি অনুপাতে বাড়ছে বা কমছে এই সব ডাটা আরকি। তো দেড় মাসের মত যখন গ্যাপ পড়ে তখন আমি খুব দুশ্চিন্তা করতাম যে আমার সিরিজটার আবেদনটা এই সময়ের গ্যাপে আবার হারিয়ে যায় কিনা।

এই গ্যাপটার পর যেদিন প্রথম সময় পেলাম লেখার সেদিন থেকেই খেটে খুটে প্রথমে দুইটা পোষ্টের উপাদান তৈরী করে ফেললাম। তার পর পোষ্ট দেবার আগে ব্লগ থেকে শেষ ডাটা নেবার সময় যখন ব্লগে ঢুকি তখন আমার রীতিমত আক্কেল গুড়ুম । একটা পোষ্টে ৫০০০ হিট, আরেকটা পোষ্টে ২৩০০০ হিট ! আপনিই বলেন এও কি সম্ভব ? যেখানে আমার চেয়ে কত বাঘা বাঘা ব্লগারের পোষ্টে ২০০০-৩০০০ এর বেশী হিট পড়ে না, সেখানে আমার পোষ্টে ২৩০০০ ! সত্যি বলতে কি তখন আমি ভয় পেয়ে গেলাম । ভয় পেলাম দুটো কারণে, প্রথম কারণ ছিল কিছুদিন আগে সামুর ব্লগ একবার হ্যাক হোল, আমার মনে হয়েছিল এরকমই কিছু হয়েছে কিনা, হ্যাকারের উলটা পালটা কাজের জন্যই আমার পোষ্টে হিট অনবরত বেড়ে যাচ্ছে কিনা। দ্বিতীয়ত হচ্ছে, সত্যি যদি এরকম হয় তাহলে নিশ্চয়ই সবাই আমাকে এর সাথে জড়িত মনে করবে, তখন কি হবে? এর মধ্যে আবার টিভি তে দেখলাম সাইবার ক্রাইম বিষয়ক অনুষ্ঠান। আরেকদিকে আমার স্ত্রী অসুস্থ ।

সত্যি বলতে কি, আমার অবস্থা তখন "ভিক্ষা চাইনা মা কুত্তা সামলা" অবস্থা । দুই রাত দুইদিন অনবরত সামুতে অভিযোগ পোষ্ট করতে লাগলাম, কিন্তু পোষ্ট আর যায় না। এবার আরো কনফার্ম হয়ে গেলাম, হ্যাঁ আমাকে নিয়ে হয়ত কিছু একটা হয়েছে। রাত দিন নেটে সামুর অফিস বা ফোন নাম্বার খুজতে লাগলাম। কিন্তু কিছু পাইনা । পাওয়ার মধ্যে শুধু এটুকু পেলাম গুলশানে কোথাও এদের কিছু থাকতে পারে।

এভাবে পুরো দুইদিন গেল। এমনি সময় হঠাৎ আমার এক বন্ধু আমাকে ফোন করে বলল যে, আমার পোষ্ট নাকি সে ফেইসবুকে দেখেছে, সাথে সাথে ঢুকলাম ঐ ঠিকানায়। সেখানে যখন দেখলাম সামু থেকে আমার পোষ্টটা লিঙ্ক করা হয়েছে আর লিঙ্কটাতে অলরেডি ২৯০০০ লাইক পড়ে আছে, তখন হাঁপ ছেড়ে বাচলাম।

এর মধ্যে আরেকটা ঘটনা বলি, আমার স্ত্রীর চাপে পড়েই কিন্তু আমার ব্লগে লেখালিখি করতে আসা। অন্যন্য ব্লগারের স্ত্রীরা যখন স্বামীর ব্লগিং কে সতীনের মত মনে করে, তখন আমার সহজ সরল স্ত্রী জোর করে আমাকে ব্লগার বানায়। ও মিযখন প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়ল, কয়েকদিন আগে ডাক্তাররা আমাকে বলে দিল খারাপ সংবাদের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত হবার জন্য । আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমি কি বলতে চাচ্ছি । আমি তখন ওকে সান্ত্বনা দেবার জন্য বললাম আরে কিছু হবে না। আমার অনেক বড় ব্লগার হওয়া তুমি দেখবে না ? ও তখন আমাকে বলেছিল যেদিন তোমার কোন পোষ্টে এক লাখ হিট পড়বে সেদিন বুঝবে আমি সুস্থ হয়ে যাব । আমি হেসে ওকে বলেছিলাম, এ কোন কথা হোল ? এর মানেই হচ্ছে তুমিই আমার কাছে থাকতে চাওনা, এক পোষ্টে এক লাখ হিট ! এ কি আমার পক্ষে কোনদিন সম্ভব ? ও কিছু বলেনি, ও জানত এটা সম্ভব না ।

ওর পরই কিন্তু দেশে এসে আমি আবার লেখা শুরু করি। আপনি চিন্তা করেন এর এক সপ্তাহের মধ্যেই আমার পোষ্টে এক লাখ হিট পড়ল !

আপনি কি বলবেন এটাকে ?


কমেন্ট পড়ে নিজের অজান্তেই চোখে জল চলে আসল। খুব অস্থির লাগছিল নিজেকে, খুব বেশী। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় লিখে ফেলেছিলাম একটি গল্প, “মিরা’র মিরাকল”। আমি কোন গল্পকার নই, সাহিত্যিক নই, তাই কোন আবেগি গল্পতো দূরের কথা কোন গল্প হয়ে উঠেনি সেই লেখাটি। তবুও সেই লেখাটি তুলে দিলাম হুবুহু নীচেঃ

মিরা'র মিরাকল

মিরা’র মন খারাপ, ভীষণ খারাপ কি না বলা যাচ্ছে না। তবে মুখের ভাব দেখে বোঝা যাচ্ছে আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা খুব ভালো করেই হয়েছে। রফিকের উপর তার খুব অভিমান হচ্ছে, খুব, খুব, খুব। মিরার শরীরে দানা বাঁধা ভয়ঙ্কর দানবগুলো খুব ধীরে ধীরে ক্ষয়ের শেষ প্রান্তে নিয়ে যেতে যাচ্ছে, তার সাথে যেন পাল্লা দিয়ে দিন দিন কেমন মিইয়ে যাচ্ছে রফিক। মিরার খুব খারাপ লাগে রফিকের মনমরা মুখখানি দেখতে। জীবন ঘুড়ির নাটাই যদি আমাদের হাতেই থাকতো তবে তো কোন সমস্যা ছিল না, যখন খুশী, যেথায় খুশী উড়িয়ে দেয়া যেত ইচ্ছে ঘুড়িটিকে। আবার একইভাবে সময়মত ফিরিয়ে নিয়ে আসা যেত নীড়ের ঠিকানায়। কিন্তু নাটাই যখন অন্যের হাতে তখন আর মন খারাপ করে কি লাভ, যখন সেই নাটাইওয়ালা টান দিবেন নিজের কাছে ফেরত নিতে, চলে যেতে হবে। মিরা এই চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে, শুধু চিন্তা আর কষ্ট রফিকের জন্য। মিরা জানে তাকে ছাড়া কতটা অসহায় রফিক।

রফিকের এই ঝিমিয়ে পড়া দূর করতে প্রথমে ফেসবুকে একাউণ্ট খুলে দিয়েছিল মিরা, রফিক খুব আধুনিক মানুষ হলেও, অন্তঃজাল কেন্দ্রিক সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়াতে নারাজ। ওর কথা ভার্চুয়ালিটি ইজ ভার্চুয়ালিটি, বাস্তবের মানুষ আমি কেন ভার্চুয়াল জগতে বিচরণ করব। ফেসবুকে কয়েকদিন সময় দিয়ে হাঁপিয়ে উঠে রফিক, সবার সারাক্ষণ একই প্রশ্ন মিরার কি অবস্থা, ডাক্তার কি বলল এসব। ডাক্তার কি বলেছে তা সবাই জানে, তারপরও প্রতিনিয়ত এই প্রশ্ন যেন রফিককে আরও বেশী দুর্বল করে দেয়। শেষে মিরা রফিকের জন্য ব্লগে একটা একাউণ্ট খুলে দেয়, মিরার পীড়াপীড়িতে সেখানে দু’তিনটি লেখাও পোস্ট করেছিল রফিক। আজ রফিকের সেই ব্লগ একাউণ্টে ঢুঁকে দেখে সব কয়টা লেখা মুছে ফেলেছে রফিক। মিরার খুব খারাপ লাগছে, এভাবে নিজেকে গুটিয়ে নিলে মিরার প্রস্থানের পর রফিক কিভাবে বেঁচে থাকবে, কাকে নিয়ে বেঁচে থাকবে?

দুমাস পরের ঘটনা, মিরা এখন একটি নিঃস্পন্দন দেহ নিয়ে কৃত্রিম ব্যাবস্থায় ডাক্তারি পরিভাষায় বেঁচে আছে, একে কি আদৌ বেঁচে থাকা বলে? রফিক জানে না। তবে রফিকের কেন যেন মনে হয় কোন একটা মিরাকল ঘটবে, সেই মিরাকলে রফিকের প্রাণপ্রিয় মিরা আবার আগের মত কলকল ধ্বনিতে হেসে বেড়াবে, উড়ে বেড়াবে রফিকের আঙ্গিনায়। রফিক এখন নিয়মিত ব্লগে সময় দিচ্ছে, মিরার শরীর ভীষণভাবে খারাপ হওয়ার আগে রফিক মিরাকে কথা দিয়েছে সে নিয়মিত লিখে যাবে ব্লগে। আর তাইতো নিত্য নতুন লেখা নিয়ে নিজেকে ভুলিয়ে রাখে যন্ত্রণাময় রাতগুলোতে। কিন্তু বাস্তবেই কি ভুলিয়ে রাখতে পারে? রফিকের প্রতিটি পোস্টের প্রতিটি শব্দ যে অশ্রুস্নাত। কিন্তু ব্লগ দুনিয়ায় আজ রফিকের পোস্টগুলো খুব জনপ্রিয় হচ্ছে। একেক পর্ব আগের পর্বের রেকর্ড ভেঙ্গে দিচ্ছে পাঠক প্রিয়তায়। রফিকের আজ খুব মনে পড়ছে সেই দিনের কথা, যেদিন রাতের বেলা মিরা ভীষণ মন খারাপ করেছিল কেন রফিক তার পোস্টগুলো মুছে ফেলেছে বলে। সেদিন রফিক বলেছিল, আমার এইসব ছাইপাশ লেখা কে গিলতে আসবে। দেখনা শখানেক হিটও পড়ে না লেখায়। এসব ছাইপাশ লেখা রেখে কি হবে? সেদিন মিরা বলেছিল, দেখ একদিন তোমার লেখা লাখ লাখ মানুষ পড়বে, হয়ত সেদিন আমি তোমার পাশে থাকব না, কিন্তু দূর কোন ভুবনে, যেখানেই থাকি আমি দেখব, তুমি রাতের আঁধার আকাশের বুকে আমাকে খুঁজে নিও। আজ হঠাৎ করেই ব্লগে ঢুঁকে রফিক দেখে তার গত সপ্তাহের পোস্টখানি একলাখ বারেরও বেশী পঠিত হয়েছে। রফিক অঝরে কেঁদে ভিজিয়েছে ল্যাপটপের কিবোর্ড, আজ মিরা চেতনাহীন হয়ে লাইফ সাপোর্ট নিয়ে পরে আছে হাসপাতালের আইসিইউ’তে। রফিকের খুব ইচ্ছে হচ্ছে সেখানে ঢুঁকে চিৎকার করে বলে, মিরা তুমি দূরের ভুবনে হারানোর আগেই আমার লেখা তোমার স্বপ্ন ছুঁয়েছে। লাখো লোক পড়ছে আমার লেখা, শুধু তুমি ছাড়া। মিরা একবার শুধু চোখ খুলে তাকাও আমার দিকে, একবার শুধু পড়ে দেখ আমার লেখা। আমি জানি মিরা সেই মিরাকল ঘটবেই, আজ না হয় কাল, কিন্তু ঘটবেই। তুমি শুধু হারিয়ে যেও না, সময় অতি সন্নিকটে।


কিন্তু মানুষ যাই ভাবুক না কেন, বাস্তবে সব চাওয়া পূরণ হয় না। হয় নাই আমাদের সবার চাওয়া পূর্ণ। মিরা’র মিরাকল ঘটেনি। প্লাবন ভাইয়ের স্ত্রী দীপালি ভাবী সুস্থ হয়ে উনার জীবনে ফিরলেন না, শেষ ভরসাও শেষ করে লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলেছেন ডাক্তারের। তথ্যটা জেনেই বুকটা হুহু করে উঠলো, মনে মনে একটা কথাই চিন্তায় এল, “এতো কষ্ট কেন জীবনে? কেন? কেন? কেন?”

হয়ত লেখাটি অনেকের কাছে আদিখ্যেতা মনে হতে পারে, তাদের কাছে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী আমার এই লেখাটি পড়ে তাদের সময় নষ্ট করানোর জন্য। কি করব, বোকা মানুষ আমি, আবেগটাও হয়ত খুব বোকা। সবশেষে বলব, দীপালি ভাবী যেখানেই থাকুন না কেন, যে জগতেই থাকুন না কেন, ভাল থাকুন, খুব ভাল। :((

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৩২

শায়মা বলেছেন: :(

দীপালীভাবী ভালো থাকুক। যেখানেই থাকুক।

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৫৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমার কিছু বলার নেই| সত্যিই

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:




এই অসীম দু:খের খবরটা শুনতে হলো

৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:২৪

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: কি লিখব, বুঝতে পারছি না। মনটা খারাপ হয়ে গেল।

৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:২৭

সুমন কর বলেছেন: কি বলব, ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আজ এমনিতেই মনটা খারাপ, আরো খারাপ হলে গেল, বন্ধু।

দীপালী ভাবী যেখানে থাকুক, সব সময় ভালো থাকুক।

৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫৪

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আমি কিছু পড়েছিলাম। কি বলবো? কখন যে দুই ফোটা পানি গড়িয়ে পড়লো জানিনা...

৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: “এতো কষ্ট কেন জীবনে?!!

৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:২৭

রিকি বলেছেন: কিছু বলার মত পাচ্ছি না বোকা ভাই...যেখানেই থাকুক মানুষটা ভালো থাকুক. মিরাকল সত্যিই ঘটেনা...একটা কথা বলতে চাই প্লাবন ভাইকে...আপনার মধ্যে দিয়ে ভাবী একটা নতুন স্বপ্ন দেখতে চেয়েছিলেন এবং পেয়েছিলেনও, হয়ত সেটা সান্নিধ্যে থেকে আপনার সাথে ভাগাভাগি করতে পারেননি. মানুষটার আপনাকে অনেক অনেক বড় দেখার সেই স্বপ্নটা বাঁচিয়ে রাখুন..বাঁচিয়ে রাখুন তাকে তার সেই স্বপ্নের রাজ্যে.

৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:১৩

নতুন বলেছেন: এমন একটা ফোন কল আমিও পেয়েছিলাম বছর ২ আগে.. স্কয়ার হাসপাতাল থেকে। আমার মেয়ে এনআইসিউ তে ছিলো। ফোন করে বলেছিলো তার অবস্তার অবনতি হয়েছে, তারাতাড়ি আসুন।

লেখাটা পড়ে আবার বুকটা ভারি হয়ে গেলো।
সান্তনা দেবার ভাষা আমার কখনোই ছিলোনা। আশা করি তিনি এই শোক কাটিয়ে উঠবেন।

১০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:০৭

এম এম করিম বলেছেন: খুব কষ্ট লাগল।

সান্তনা জানানোর ভাষা নেই।

১১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭

আমিনুর রহমান বলেছেন:



প্লাবনের সাথে সম্ভবত একবারই আমার কমেন্ট আদান-প্রদান হয়েছিলো। ব্লগের ৮ বছরে একজন নতুন ব্লগার হিসেবে তার বিনয়ী ব্যবহার আমার মন ছুয়েছে প্রথমবারই। আর আজকে এই পোষ্ট সত্যি ভাষা খুজে পাচ্ছি না কি বলবো।

দীপালী ভাবী জানতো সে থাকবে না বলেই হয়ত প্লাবনকে ব্লগিং করতে বলেছিলো, প্লাবনকে বলছি দীপালী ভাবী তার সতীনের হাতে তুলে দিয়ে গেছেন আপনাকে। ব্লগিংটা করে যাবেন আশা করি অন্তত্য দীপালী ভাবীর খুশির জন্য।

১২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কারো কোন মন্তব্যের প্রতিত্তর দিতে পারছি না। এমন ঘটনায় আসলে ভাষা খুঁজে পাওয়া বড়ই দুস্কর। আমিনুর রহমান ভাইয়ের সাথে একাত্মতা পোষণ করে বলছি, দীপালী ভাবী তার সতীনের হাতে তুলে দিয়ে গেছেন আপনাকে। ব্লগিংটা করে যাবেন আশা করি অন্তত্য দীপালী ভাবীর খুশির জন্য।

সবাই প্লাবন ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন।

১৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০

প্রামানিক বলেছেন: মনটা খারাপ হয়ে গেল। কি লিখবো বুঝতে পারছি না।

১৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

এস কাজী বলেছেন: দীপালী ভাবির জন্য দোয়া :(

১৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫

আবু শাকিল বলেছেন: দীপালি ভাবী যেখানেই থাকুন না কেন, যে জগতেই থাকুন না কেন, ভাল থাকুন, খুব ভাল।

১৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: লেখাটা মর্মস্পর্শী । কোন এক লাইন এ এসে বুঝলাম কান্নার নোনা জল আমাকে ভিজিয়ে দিয়েছে । আমি কান্না করছি । দিপালি যেখানেই থাকুন ভাল থাকুন। যিনি এতো বড় কষ্ট বয়ে বেড়াবেন তাকে আল্লাহ কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা দিন । পুরুষের কষ্ট বড় গভীর । বড় বেশি বিধ্বংসী । দিপালির দীপ নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে এই পৃথিবীর মানুষ এর ভালবাসায় আপনি ভাল থাকুন প্লাবন ।

১৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:০৪

জেন রসি বলেছেন: :( :(

১৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৫৮

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ধন্যবাদ@বো_মা ভাই, সেই সাথে ধন্যবাদ সবাইকে। আমি ফিরে আসব আবার। আমাকে ফিরতেই হবে। আমার ছেলেটার জন্য হলেও। বিশ্বাস করেন আমি প্রতি মূহুর্তে চেষ্টা করছি সব কিছু সামলে নেবার।

কিন্তু বারবার নিজেকে হারিয়ে ফেলছি, আমার মেমোরি থেকে অনেক কিছু হারিয়ে যাচ্ছে। কোথাও পড়েছিলাম মানুষ যখন অতিরিক্ত কষ্ট অনুভব করে তখন তার শরীর এক ধরণের কেমিক্যাল নিঃস্বরণ করে, ওটা তার কষ্টের স্মৃতিগুলোকে কুয়াশার মত ঘিরে ফেলে। কোথায় পড়েছিলাম তাও মনে আসছে না।

আপনাদের মত সঙ্গী পেয়ে আমি আসলেই কৃতজ্ঞ। দেখা নেই, পরিচয় নেই তারপরও এতখানি সহমর্মিতা। হয়ত ব্লগার বলেই। ব্লগাররা হয়ত মানুষ না, এর থেকেও উঁচু কিছু। বিশ্বাস করেন, আমি এখন মনে প্রাণে ব্লগার হতেই চাই।

ভালো থাকবেন।

১৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকা মানুষ বলতে চায়




একটা কেবলই দুঃখের ঘোরের মধ্য থেকে উঠে এলুম ।

ঁঁঁ@প্লাবন২০০৩ দীপালী যে দীপ জ্বেলে দিয়ে গেছেন আপনার জীবনে তা যেন আলোর প্লাবন হয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যায় এ ব্লগকে ।
শ্বান্তনা নয় , সহমর্মিতা জানাচ্ছি । প্রার্থনা, সকল কষ্ট যেন অতিক্রম করে যেতে পারেন সে শক্তি আপনার করতলগত হোক ।

২০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:০৬

খেয়ালি দুপুর বলেছেন: শব্দ দিয়ে অনুভূতি প্রকাশের অবস্থায় নেই আমি। প্লাবন ভাইয়া আর দীপালী ভাবির জন্য রইল আমার শ্রদ্ধাসহ দোয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.