নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর মিছিল, যোগ হল আরও একটি নাম। জেনে রাখি মৌলিক প্রতিরোধ এর করনীয় - পাহাড়ে যাওয়ার আগে।

২৩ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৪



বেশ কিছুদিন ধরেই অনলাইনে জানা যাচ্ছিল বান্দরবানের থানচি'তে চলছে খাদ্য সঙ্কট। আর সেই নিউজ কাভার করতে একাত্তর টিভির সাংবাদিক/ক্যামেরা ম্যান রিপন কিছুদিন আগে থানচির খাদ্য সংকট নিয়ে রিপোর্ট করতে বড় মোদক গেছিলো। ফিরে এসে কালকে সেরিব্রাল ম্যালেরিয়ায় মারা গেছে। আজ তাকেও শরিক হতে হল ম্যালেরিয়ার মৃত্যু মিছিলে......

আমার দৃষ্টিতে এডভেঞ্চার ট্রাভেলারদের জন্য পাহাড়ের সবচেয়ে বড় ঝুকিই হচ্ছে এই ম্যালেরিয়া।

আপনি যদি আপনার সর্বশেষ ট্রিপটি ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী চিকিতসা ছাড়াই করেও সুস্থ্য থাকেন তাহলে আপনি ছিলেন একজন ভাগ্যবান। কিন্তু এই ভাগ্য আপনার পরের ট্রিপে বজায় নাও থাকতে পারে।
তাই "ম্যালেরিয়ার প্রতিরোধী চিকিতসা ছাড়া পাহাড়ে ভ্রমন; কখনই না......" শ্লোগান টি ছড়িয়ে দিন
ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী চিকিতসা সম্পর্কে জানতে এই নোটটি পড়তে পারেন


- Md.Imrul Hasan Warsi

ইকোট্যুরিজম এডভেঞ্চার এন্ড নেচার স্টাডি ক্লাব এর অন্যতম একজন ইমরুল হাসান ওয়ারসি ভাই অনেক আগে থেকেই এই পাহাড়ে ভ্রমণের সময় ম্যালেরিয়া হতে সাবধানতার জন্য প্রচার চালিয়ে আসছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও গত কয়েকবছরে বেশ কিছু তাজা প্রাণ ঝরে গেছে এই ঘাতক ব্যাধিতে। মৃত্যুর মিছিল দিন দিন বড় হচ্ছে। আসন্ন বর্ষায় আরো হাজারো পর্যটক ছুটবেন পার্বত্য চট্টগ্রামে রোমাঞ্চ আর সৌন্দর্যের জাদুর হাতছানিতে। তাদের সবার জন্য ইমরুল ভাইয়ের বছর দুয়েক আগে লেখা একটি নোট উনার অনুমতি সাপেক্ষে এখানে পোস্ট আকারে দেয়া হলঃ

“ভ্রমন স্বাস্থ্য তথ্য”......“ম্যালেরিয়া”
MD.IMRUL HASAN WARSI·MONDAY
28 JULY 2014


আমাদের দেশে এডভেঞ্চার ট্রাভেলারদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। আর পার্বত্য জেলা সমূহ হয়ে উঠেছে এডভেঞ্চার ডেস্টিনেশন এর তালিকার প্রথম দিকে। একটু অবসর পেলেই আমাদের তরুণ এডভেঞ্চার ট্রাভেলাররা ছুটে যান পার্বত্য অঞ্চলে। আর যাবেই বা না কেন? উচু নিচু পাহাড়, সবুজ বনানী, ঝরনা, ছড়া, নানা রঙের পাখি আর বুনো ফুল, মূল্যবান জীব বৈচিত্র ভরা আমাদের পাহাড়ি অঞ্চল আর পাহাড়িদের বৈচিত্রময় সংস্কৃতি আমাদের সবাইকেই তো ম্যাজিকের মতই টানে।
কিন্তু এইসব সৈন্দর্যের পাশাপাশি এখানে রয়েছে ম্যালেরিয়া, সাপ, জোঁক, বিভিন্ন বিষাক্ত পোকামাকড়ের কামর, খাদ্যে বিষক্রিয়া, ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালান্স, ড্রওনিং, হিট স্ট্রোক, হিট এক্সসন, হাত পা মচকে যাওয়া, ভেঙ্গে যাওয়া, সহ নানা রকম ঝুকি যাদের যেকোনো একটি ওই ম্যাজিককে ট্রাজিক এ পরিনত করতে পারে।
তাই নির্বিঘ্নে এডভেঞ্চার করতে আমাদের হতে হবে "সচেতন, সতর্ক এবং প্রস্তুত"
আমরা এখানে পর্যায়ক্রমে ভ্রমন বিষয়ক সাধারণ সমস্যা গুলোর উপরে আলোচনা করব। আমাদের আলোচনার হবে প্রধানত প্রতিরোধ কেন্দ্রিক।

আপনাদের সক্রিয় অংসগ্রহণ আমাদের একান্ত ভাবেই কাম্য। আপনাদের যেকোনো প্রশ্ন কিংবা সমালোচনা আমাদের এই প্রচেষ্টাকে করবে অনেকখানি সম্মৃধ্য

আজকের বিষয় “ম্যালেরিয়া”

আমরা সবাই জানি এনোফিলিস জাতীয় স্ত্রী মশা এই রোগের জীবানু বহন করে এবং মশার কামড়েই মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়।
পাহাড়ে ভ্রমনকারী সচেতন মহলের কাছে ম্যালেরিয়া একটি মূর্তিমান আতংকের নাম। সঠিক সময়ে চিকিত্সা না নিলে মৃত্যু অনিবার্য। কোনো কোনো ম্যালেরিয়া যেমন সেরিব্রাল ম্যালেরিয়াতে আবার চিকিত্সার সময়ই পাওয়া যায় না। আমি পার্বত্য জেলায় এরকম বেশ কিছু কেস পেয়েছি যারা সেরিব্রাল ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে কোনো রকম চিকিত্সা নেবার আগেই।
অথচ একটু সচেতন হলেই এই ঘাতক ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকা যায়। ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার এবং মশারোধী ক্রিম শরীরের খোলা জায়গায় মেখে নিলে এবং সঠিক নিয়মে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী চিকিত্সা নিলে অনায়াসে ম্যালেরিয়া মুক্ত থাকা যায়।

ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের ABCD

A: Awareness about Malaria distribution অর্থাত ভ্রমণের স্থান ম্যালেরিয়া প্রবন কি না খোজ নিতে হবে
B: Bite control অর্থাত ম্যালেরিয়া প্রবন এলাকায় মশার কামর প্রতিরোধ করতে হবে
C: Chemoprophylaxis অর্থাত ম্যালেরিয়া প্রবন এলাকায় ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের চিকিত্সা নিতে হবে
D: Diagnosis and treatment অর্থাত দ্রুত রোগ নির্ণয় করে ম্যালেরিয়া হয়ে থাকলে চিকিত্সা নিতে হবে

A এবং B নিয়ে কিছুটা আলোকপাত করেছি এবারে C অর্থাত ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের চিকিত্সা নিয়ে আলোচনা করব

ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের প্রচলিত চিকিত্সা সম্পর্কিত এই টেবিল থেকে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী ওষুধ গুলি সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা পাওয়া যাবে

*এখন যদি কেউ প্রশ্ন করেন সবচেয়ে সহজ চিকিত্সা কোনটি?


* ১ নম্বরে আসবে ম্যালেরণ(atovaquine+Proguanil) কারণ মাত্র ১ দিন আগে শুরু করে ভ্রমন শেষের মাত্র ৭ দিন এই কম্বিনেশন ওষুধ টি খেতে হবে। তাছাড়া নুন্বতম ৫ বছরের শিশু থেকে শুরু করে সবাই খেতে পারে এবং রেসিস্টান্ট হবার কোনো রিপোর্ট নাই।
তবে অত্যন্ত বাযবহুল এই ওষুধ এদেশে খুব একটা সহজ প্রাপ্যও নয়।


* Chloroquine এর ক্ষেত্রে ১ সপ্তাহ আগে শুরু করে ম্যালেরিয়া প্রবন এলাকায় যতদিন থাকবেন ততদিন প্রতি সপ্তাহে ১ টি করে খেতে হবে এবং ফিরে আসার পর ৪ সপ্তাহে চারটি ট্যাবলেট খেয়ে ডোজ কমপ্লিট করতে হবে। এখন ধরুন আপনি ওই এলাকায় ২ সপ্তাহ থাকলেন। তাহলে আপনার ডোজ হবে ৭ সপ্তাহের ৭ টি ট্যাবলেট ( ভ্রমণের পূর্বে ১ টি + ভ্রমন কালে ২ টি + ভ্রমন পরবর্তী ৪ টি )


* Doxicycline ১০০ মিগ্রা এর ক্ষেত্রে ১ দিন আগে শুরু করে ম্যালেরিয়া প্রবন এলাকায় যতদিন থাকবেন ততদিন প্রতি দিন ১ টি করে খেতে হবে এবং ফিরে আসার পর ৪ সপ্তাহে অর্থাত ২৮ দিন প্রতিদিন ১ টি করে ট্যাবলেট খেয়ে ডোজ কমপ্লিট করতে হবে। এখন ধরুন আপনি ওই এলাকায় ২ দিন থাকলেন। তাহলে আপনার ডোজ হবে ৩১ দিনের ৩১ টি ট্যাবলেট ( ভ্রমণের ১ দিন পূর্বে ১ টি + ভ্রমন কালে ২ টি + ভ্রমন পরবর্তী ২৮ টি )


* Mefloquine আর Chloroquine ডোজ একই রকম তবে শুরু করতে ভ্রমণের হবে ২ সপ্তাহ আগে। থাইল্যান্ড এ ওষুধ টি প্রায়ই রেসিস্তান্ট হয়ে গেছে তাই যারা ওই দেশের ম্যালেরিয়া প্রবন এলাকায় ভ্রমন করবেন তাদের Mefloquine ছাড়া অন্য রেজিমেন্ট নেয়া বাঞ্চনীয়


**মনে রাখত হবে যে এই অসুধ গুলোর একটি ডোজ ও যদি বাদ যায় আপনি ম্যালেরিয়ার ঝুকিতে থাকবেন এবং এই ওষুধ পরবর্তিতে আপনার জন্য কাজ নাও করতে পারে।


প্রসঙ্গ ক্রমে বলে রাখি যদিও Chloroquine (অব্লোকুইন) ম্যালেরিয়ার স্পেসিফিক ওষুধ তার পরেও এডভেঞ্চার টুরিস্ট দের ম্যালেরিয়ার জন্য আমি Doxicycline কেই এগিয়ে রাখি।


এর বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে যেমন
১। অধিকাংস সময়েই আমরা হুট করে ২/১ দিনের নোটিশে টুর প্লান করে থাকি ফলে ১ সপ্তাহ আগের ক্লোরোকুইন খাওয়া পসিবল হয় না কিন্তু Doxicycline আগের রাত্রেই শুরু করে একই ফল পাওয়া যায়।
২। Doxicycline পারা মহল্লার প্রায় সকল ওষুধের দোকানেই পাওয়া যায় অন্যদিকে Chloroquine এর ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।যদি আপনার কাছে ফুল ডোজ না থাকে কিংবা হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে যায়
৩। এডভেঞ্চার টুরে ম্যালেরিয়ার ঝুকি ছাড়াও পোকা মাকড়ের কামর কিংবা ছোট খাটো কাটা ছেড়া থেকেও ইন্ফেকসনের ঝুকি থাকে যা Doxicycline কভারেজে থাকার কারণে হ্রাস পায় । Chloroquine এর ক্ষেত্রে এই বাড়তি সুবিধা নাই।
৪। সপ্তাহে ১ টা ওষুধ খেতে হয় বলে Chloroquine এর ডোজ ভুলে যাবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৫। Chloroquine এর তুলনায় Doxicycline দামেও বেশ কম।
৬। Doxicycline দামে কম (একই সাথে লাভও কম) হবার কারণে ফার্মাসিতে বিক্রেতাদের কাছে কম জনপ্রিয়। ফলে যত্রতত্র ব্যবহার না হবার কারণে রেজিস্টান্স হবার সম্ভাবনা অনেক কম

৭। আর সবচেয়ে বড় যে কারণটা আমি মনে করি সেটা হচ্ছে এটা ম্যালেরিয়া রোগের কিওরেটিভ চিকিৎসায় ব্যাবহার হয় না। যার ফলে যদি এই অষুধ রেজিস্টেন্সও হয়ে যায় তার পরেও ম্যালেরিয়ার রুগিদের জন্য নির্ধারিত অষুধ গুলি কার্যকর থাকবে।

- Dr. Md.Imrul Hasan Warsi

সংযুক্তি:

এখন দেখে নিন ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে কি খাবেন? কখন খাবেন? কোন কোন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার আগে খাবেন?
সবচেয়ে বেস্ট হলো
1. Tab Malarone (adult strength = 250 mg atovaquone/100 mg proguanil hydrochloride) &
2. Cap Doxycycline 100mg ২টাই খুব ভালো প্রতিষেধক।
গ্রহনের নিয়ম হচ্ছেঃ
Cap Doxycycline 100mg – ট্যুর শুরু করার ১/
২দিন আগে থেকে শুরু করে যে কয়দিন ম্যালেরিয়া প্রবন অঞ্চলে থাকবেন ঐ কয়দিন প্রতিদিন ১টি করে রাতের খাবারের পর ভরা পেটে এবং ট্যুর শেষ করে আসার পর থেকে ২৮দিন পর্যন্ত। উদাহরন স্বরুপ ১টি ট্যুরের কথাই ধরুন –মনে করুন আপনার ট্যুর শুরু হচ্ছে ৭ই জুলাই। তাহলে আপনি খাওয়া শুরু করবেন ৫ই জুলাই থেকে। পার্বত্য অঞ্চলে থাকবেন ১০ই জুলাই পর্যন্ত। তাহলে ৫-১০ তারিখ পর্যন্ত আপনাকে খেতে হবে ৬টি ঔষধ। এবার ঢাকায় ফেরত এসে ১১ই জুলাই থেকে ২৮ দিন হিসাব করে আরো ২৮টি ঔষধ খাবেন ৭ই অগাস্ট পর্যন্ত......তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মোট ঔষধ খেতে হবে ৩৪টি।
সুবিধাঃ 1. খুব-ই সহজলভ্য,যেকোন ফার্মেসীতেই পাওয়া যায়, দামও অনেক কম। ১পাতা = ১০টার দাম ২০-২৫টাকা।
অসুবিধাঃ 1. লম্বা শিডিউলের কারণে অনেকেই Dose মিস করে ফেলেন।
Tab Malarone (adult strength = 250 mg atovaquone/100 mg proguanil hydrochloride) – ট্যুর শুরু করার ১/২দিন আগে থেকে শুরু করে যে কয়দিন ম্যালেরিয়া প্রবন অঞ্চলে থাকবেন ঐ কয়দিন প্রতিদিন ১টি করে রাতের খাবারের পর ভরা পেটে এবং ট্যুর শেষ করে আসার পর থেকে ৭ দিন পর্যন্ত। উদাহরন স্বরুপ ১টি ট্যুরের কথাই ধরুন –মনে করুন আপনার ট্যুর শুরু হচ্ছে ৭ই জুলাই। তাহলে আপনি খাওয়া শুরু করবেন ৫ই জুলাই থেকে। পার্বত্য অঞ্চলে থাকবেন ১০ই জুলাই পর্যন্ত। তাহলে ৫-১০ তারিখ পর্যন্ত আপনাকে খেতে হবে ৬টি ঔষধ। এবার ঢাকায় ফেরত এসে ১১ই জুলাই থেকে ৭ দিন হিসাব করে আরো ৭টি ঔষধ খাবেন ১৭ই জুলাই পর্যন্ত......তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মোট ঔষধ খেতে হবে ১৩ টি।
সুবিধাঃ 1. Latest Generation Drug এবং Worldwide এখন পর্যন্ত কোথাও Resistant হয় নি।
2. শিডিউল ছোট, মিস হবার চান্স কম, মনে রাখতেও সুবিধা।
অসুবিধাঃ 1. দাম অনেক বেশি, ১ পাতা = ১২টার দাম ফার্মেসী ভেদে ১০০০-১৫০০টাকা।
2. সহজে পাওয়া যায় না, ঢাকার কিছু ফার্মেসীতে পাওয়া যায়। গুলশান ১, ২ গোল চত্ত্বরের কিছু ফার্মেসী (তামান্না ফার্মেসী), পান্থপথের Lazz Pharma’র পাশে “তাজরিন ফার্মেসী” তে পাওয়া যায় প্রায়-ই।
*** অবশ্যই করণীয়ঃ ২টি ঔষধের ক্ষেত্রে অবশ্যই পালনীয় হচ্ছে – ভরা পেটে খেতে হবে এবং একই সময় মেইন্টেইন করতে হবে। সাজেশন হিসেবে আমরা, রাতের বেলা ডিনার এর পরে খেতে বলি কারণ ট্রেকিং এ অনেক ক্ষেত্রেই দুপুর বেলা তেমন ১টা খাওয়া হয় না। রাতে যেহেতু ট্রেকিং করা হয় না এবং কোন না কোন পাড়ায় থাকা-খাওয়া হয় তাই রাতের বেলাই সেবন করা উত্তম।
*** সাথে অবশ্যই Odomos Cream রাখতে হবে মশা দূরে রাখার জন্যে। Lazz Pharma, Mitford Hospital এর ফার্মেসী গুলোতে পাওয়া যায়।
*** বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ম্যালেরিয়া প্রবন অঞ্চল সমূহঃ
- বান্দরবানের রুমা, থানচি এবং রোয়াংছড়ির পরে যেকোন এরিয়া।
- খাগড়াছড়ির দিঘীনালা’র পর থেকে যেকোন এরিয়া।
- রাঙ্গামাটির শহর থেকে ভিতরের দিকে যেকোন এরিয়া যেমন – ছোট হরিনা, বরকল, কাট্টলি বিল।
*** ম্যালেরিয়া রোগ বাহিত মশা সাধারনত রাতের বেলা (অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে) আক্রমন করে বেশি।

লেখা: দেবু নাথ, ইকো ট্যুরিজম

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩

সুমন কর বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট।

২৫ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:০৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধু।

২| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১

অশ্রুকারিগর বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যবহুল পোস্ট। আজকে একাত্তর টিভির রিপোর্টারের ঘটনাটা শুনে খুব খারাপ লাগছিলো। পুরোটা পোস্ট পড়লাম, জেনে রাখলাম। প্রানঘাতী এই রোগ থেকে বেঁচে ফিরতে হলে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই।

২৫ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:২৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: প্রানঘাতী এই রোগ থেকে বেঁচে ফিরতে হলে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। +++

৩| ২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫১

মানস চোখ বলেছেন: তথ্যবহুল ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পোষ্ট !!!
ধন্যবাদ "বোকা মানুষ. ." !!!! পোষ্ট প্রিয়তে রাখলাম!!

২৫ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৩৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ মানস চোখ, ভাল থাকুন সবসময়।

৪| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:০৪

কালনী নদী বলেছেন: ট্যুরিস্ট কম্পালসারি!

২৫ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

ভাল থাকুন সবসময়।

৫| ২৪ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

ডট কম ০০৯ বলেছেন: ভাল জিনিশ জানলাম। ধন্যবাদ

২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:২৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও সময় করে পোস্টটি পাঠ এবং মন্তব্য করে ভাল লাগা জানানোর জন্য।

ভাল থাকুন সবসময়।

৬| ২৪ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৩৫

সায়ান তানভি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ পোস্টের জন্য।

২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:০৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, ভাল থাকুন সবসময়।

৭| ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮

ব্লগারনির্ভীক বলেছেন: সুন্দোর পোষ্ট সব সময় মানুষকে উপকৃত করে

২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:১৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকুন সবসময়।

৮| ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯

ব্লগারনির্ভীক বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট সব সময় মানুষকে উপকৃত করে

৯| ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬

ডাঃ শেখ মাহ্ফুজুল হক সোহাগ বলেছেন: আর যাই করেন ব্লগ পড়ে নিজের ওপর কোন ডাক্তারি করতে যাবেন না। সতর্কতা হওন। অন্যকে সতর্কীকরণ করুন। ভ্রমনের আগে ডাক্তারের পরামর্শ মতে, বয়স এবং শরিরের ওজনের সাথে ডোজ এ্যডযান্ট করে ঔষুধ সেবন করুন। প্রতিরোধ করুন আগে।

২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:১৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ডাঃ শেখ মাহ্ফুজুল হক সোহাগ ভাই, আপনার প্রশ্নের উত্তর নীচে ডাঃ ওয়ারসি ভাই নিজেই দিয়েছেন।

ধন্যবাদ আপনাকে, সময় করে পোষ্টটি পাঠ এবং সুচিন্তিত মতামতের জন্য।

ভাল থাকুন সবসময়।

১০| ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: খুবই ভালো পোস্ট। আমি যেখানে থাকি এখানে অসুখ বলতেই ম্যালেরিয়া।
জর আসলেই ম্যালেরিয়া হয়ে যায়। তাই খুব চিন্তায় থাকি।

২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৫৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কি বলেন আপু, সাবধানে থাকবেন, এ তো ভয়াবহ কথা। আমায় তো মশা কামড়ালেই এখন ভয় লাগে।

ভাল থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

১১| ২৪ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর উপকারী পোস্ট।

২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:১৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। ভাল থাকুন সবসময়।

১২| ২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:২১

দাড়ঁ কাক বলেছেন: এখানে ডক্সিসাইক্লিনের উপর বেশ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। উইকি কিন্তু ডক্সিসাইক্লিনের ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক হিসেবে একক ভাবে ব্যাবহারে ভিন্নমত পোষন করছে। "Doxycycline is an antibiotic that is used in the treatment of a number of types of infections caused by bacteria and protozoa. It is useful for bacterial pneumonia, acne, chlamydia infections, early Lyme disease, cholera and syphilis. It is also useful for the treatment of malaria when used with quinine and for the prevention of malaria. Doxycycline can be used either by mouth or intravenously.[1]"

উইকি বলছে ডক্সিসাইক্লিনকে ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক হিসেবে ব্যাবহার করতে হলে কুইনিন জাতীয় ঔষধের সাথে যৌথভাবে ব্যাবহার করতে বলছে।

It is used in prophylaxis against malaria. It should not be used alone for initial treatment of malaria, even when the parasite is doxycycline-sensitive, because the antimalarial effect of doxycycline is delayed. This delay is related to its mechanism of action, which is to specifically impair the progeny of the apicoplast genes, resulting in their abnormal cell division.[13]
It can be used in a treatment plan in combination with other agents, such as quinine.[14]

কোন ডাক্তার ভাই কি ব্যাপারটা ক্লিয়ার করবেন তা নাহলে ব্যাপারটা ঝুকিপুর্ন হয়ে যাবে কেননা পার্বত্য চট্টগ্রামে ঘুরতে যাওয়া অভিযাত্রীরা প্রায় সবাই সহজলভ্যতার কারনে ডক্সিসাইক্লিন ব্যাবহার করে থাকে।

২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ৩:০২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ দাঁড়কাক ভাই। ডাঃ ওয়ারসি ভাই এর মন্তব্য দ্রষ্টব্য।

ভাল থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

১৩| ২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ৩:০৯

ইমরুল ওয়ার্সী বলেছেন: ১২ নং প্রশ্ন কর্তা উইকির ইংরেজিটা সঠিক ভাবে বুঝতে পারেননি। প্রথম বাক্যে লেখা হয়েছে It is used in prophylaxis against malaria... এখানে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী চিকিতসার কথা বলা হয়েছে এবং এখানে এর সাথে অন্য কোন মেডিসিন এড করতে বলা হয়নি। পরের বাক্যটি লক্ষ করুন It should not be used alone for initial treatment of malaria, even when the parasite is doxycycline-sensitive, because the antimalarial effect of doxycycline is delayed. এখানে initial Treatment of Malaria বলতে curative treatment বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ কেউ যখন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয় তার প্রাথমিক চিকিতসা শুধু ডক্সিসাইক্লিন দিয়ে করা যাবে না....
উইকির আরটিক্যাল চিকিতসার ক্ষেত্রে কোনো রেফারেন্স হিসাবে গন্য হয় না। আপনি CDC( center for diseases control & prevention) এর ওয়েব সাইট দেখতে পারেন যেখানে শুধুই Doxicilne এর কথাই বলা হয়েছে সাথে অন্য কোন মেডিসিন না Click This Link
সাধারন ভাবে Treatment বলতে curative Treatment ই বুঝানো হয়। অর্থাৎ যখন কেউ কোন রোগে আক্রান্ত হয় তখন ওই রোগ মুক্তির জন্য যে চিকিতসা দেয়া হয়। অন্য দিকে prophylaxis/ Chemoprophylaxis বলতে preventive Treatment বা প্রতিরোধী চিকিতসা বুঝানো হয়। অর্থাৎ রোগ হবার আগেই যে চিকিতসা দেয়া হয়। এখানে একটি লিঙ্ক দিচ্ছি পড়ে নিলে আশা করি বুঝতে পারবেন প্রতিরোধী চিকিতসায় শুধুমাত্র ডক্সিসাইল্কিন দিয়ে আর প্রতিষেধক হিসেবে ডক্সির সাথে অন্য মেডিসিন দিতে বলা হয়েছে Click This Link

১৪| ২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ৩:১৫

ইমরুল ওয়ার্সী বলেছেন: ১২ নং প্রশ্ন কর্তা উইকির ইংরেজিটা সঠিক ভাবে বুঝতে পারেননি। প্রথম বাক্যে লেখা হয়েছে It is used in prophylaxis against malaria... এখানে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী চিকিতসার কথা বলা হয়েছে এবং এখানে এর সাথে অন্য কোন মেডিসিন এড করতে বলা হয়নি। পরের বাক্যটি লক্ষ করুন It should not be used alone for initial treatment of malaria, even when the parasite is doxycycline-sensitive, because the antimalarial effect of doxycycline is delayed. এখানে initial Treatment of Malaria বলতে curative treatment বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ কেউ যখন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয় তার প্রাথমিক চিকিতসা শুধু ডক্সিসাইক্লিন দিয়ে করা যাবে না....
উইকির আরটিক্যাল চিকিতসার ক্ষেত্রে কোনো রেফারেন্স হিসাবে গন্য হয় না। আপনি CDC( center for diseases control & prevention) এর ওয়েব সাইট দেখতে পারেন যেখানে শুধুই Doxicilne এর কথাই বলা হয়েছে সাথে অন্য কোন মেডিসিন না Click This Link
সাধারন ভাবে Treatment বলতে curative Treatment ই বুঝানো হয়। অর্থাৎ যখন কেউ কোন রোগে আক্রান্ত হয় তখন ওই রোগ মুক্তির জন্য যে চিকিতসা দেয়া হয়। অন্য দিকে prophylaxis/ Chemoprophylaxis বলতে preventive Treatment বা প্রতিরোধী চিকিতসা বুঝানো হয়। অর্থাৎ রোগ হবার আগেই যে চিকিতসা দেয়া হয়। এখানে একটি লিঙ্ক দিচ্ছি পড়ে নিলে আশা করি বুঝতে পারবেন প্রতিরোধী চিকিতসায় শুধুমাত্র ডক্সিসাইল্কিন দিয়ে আর প্রতিষেধক হিসেবে ডক্সির সাথে অন্য মেডিসিন দিতে বলা হয়েছে Click This Link

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:২২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইমরুল ওয়ার্সী ভাই। সবার জন্য আপনার এই কমেন্ট জরুরী ছিল।

আর একটা রিকোয়েস্ট আছে। প্লিজ ব্লগে মাসে দুয়েকটা করে হলেও লেখা দিয়েন। আপনাদের মত গুণীজনের লেখায় সমৃদ্ধ হোক সামুর আঙ্গিনা এই কামনা করি। প্লিজ, প্লিজ, প্লিজ...

ভাল থাকুন সবসময়, প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ।

আসন্ন ঈদের শুভেচ্ছা রইল।

১৫| ২৮ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:৩৪

দাড়ঁ কাক বলেছেন: এখন বুঝতে পেরেছি। আপনার ব্যাখ্যা পোষ্টটিকে সম্পুর্নতা দান করেছে। না হলে আমার মত অজ্ঞ লোকদের কনফিউশন থেকেই যেত। ধন্যবাদ।

০৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:২৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে প্রসঙ্গটি নিয়ে আসার জন্য। ইমরুল ওয়ার্সী ভাই এবং আপনার প্রশ্নের কল্যাণে আমরা সবাই আরও একটু বিশদ জানতে পারলাম।

ভাল থাকুন সবসময়, নিরাপদে থাকুন। শুভকামনা।

১৬| ৩০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৪২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আমিতো ক'দিন আগেই ঘুরে এলাম, হায় হায়!!!
আপনার এই উপকারী লেখার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা!!!
ভবিষ্যতে মনে রাখব।

একাত্তর টিভির সাংবাদিক/ক্যামেরা ম্যান রিপন -এর মৃত্যু দুঃখজনক!!! :(

০৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু।

অটঃ ভাগ্য ভাল এই পোস্টে ছবি নাই একটা ছাড়া, নইলে ক্যাপশনজনিত ধর্মঘটের কবলে পড়তাম... :P

১৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অটঃ ভাগ্য এই পোস্টে ছবি নাই একটা ছাড়া, নইলে ক্যাপশনজনিত ধর্মঘটের কবলে পড়তাম... :P ---



২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। আমার আসলেই ক্যাপশন দিতে গেলে ক্লান্ত লাগে, কিন্তু পোস্ট লিখতে না। অনেক দেরীতে উত্তর দিচ্ছি, আট দিনের একটা ট্যুরে ছিলাম দার্জিলিং এর ঐ দিকে। তাও দেশে ফেরার দশ-বারো দিন হয়ে গেল। কিন্তু অদ্ভুত এক আলস্য ছেয়ে আছে শরীর মন জুড়ে। তাই উত্তর দিতে দেরী। আশা করি সপ্তাহখানেকের মধ্যে আগের মত নিয়মিত হতে পারবো।

আপনি আছেন কেমন? আশা করি ভাল। ভাল থাকুন সবসময়, অনেক অনেক শুভকামনা রইবে সতত।

১৮| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০৭

নিশি মানব বলেছেন: এর টিকা সম্পর্কে কিছু বলেন।

০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: Check the comments of ইমরুল ওয়ার্সী

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.