নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১
আমাদের দেশে পর্যটন মানেই সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য, নানান আনন্দ আয়োজন, আরামদায়ক হোটেল-মোটেল-কটেজ এর একটি ভারসম্যপূর্ণ সংমিশ্রন। আবার যারা এক্সট্রিম লেভেলের এডভেঞ্চারাস, তাদের জন্য পাহাড়ে ট্রেকিং, হাইকিং, অথবা গহীন অরণ্যে হারিয়ে যাওয়া মানেই পর্যটন। কিন্তু অতি সাধারণ মানুষের জন্য অতি সাধারণ কিছু বিষয়কে পুঁজি করে বিশ্বে বহু জায়গায় গড়ে উঠেছে নানান পর্যটন শিল্প। দরকার কিছুটা ভাবনা, কিছুটা ইচ্ছে আর কিছুটা উদ্দ্যোগ। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এক তীর্থধাম দর্শন নিয়ে গড়ে উঠেছে এক বিশাল পর্যটন শিল্প। এরকম হাজারো উদাহরণ টেনে এই লেখাকে বড় না করে আসুন শুরু করি নতুন একটা সিরিজঃ “পর্যটন ভাবনায় বৈচিত্র এবং সম্ভাবনা”। বহুদিন পর ইচ্ছেরা সব নাড়াচাড়া দিয়ে উঠছে, তাই ঘুমাতে যাওয়ার সময় এই সিরিজ নিয়ে লেখার অনেকদিনের চাপা ইচ্ছেটা আর চাপা দিয়ে রাখা গেল না। ভোর ছয়টায় অফিসের উদ্দেশ্যে ছুটতে হবে, তারপরও লিখতে বসে গেলাম। বহুদিন পর এই আগ্রহটা অদ্ভুত একটা ভাললাগায় ছেয়ে দিচ্ছে মনোজগৎ এর গহীনে সুপ্ত কিছু অনুভূতির দলকে।
এই সিরিজে আমাদের প্রচলিত পর্যটন ভাবনার বাইরে গিয়ে ভাবতে চেষ্টা করব আমাদের পর্যটন সম্ভাবনা নিয়ে। আশা করবো মন্তব্যে আপনাদের কাছ থেকে আরও নতুন অনেক কনসেপ্ট পাওয়া যাবে, যা নিয়ে আগামীতে এগিয়ে যাবে এই সিরিজ। আর কথা না বাড়িয়ে আসুন শুরু করি এই সিরিজের আজকের পর্বঃ ফলের হাট। ফলের হাট নিয়ে প্রথম ভ্রমণ মাথাচাড়া দিয়ে উঠে কলেজ লাইফে, ফজলি আম পনেরটাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল রাস্তার এক ফেরিওয়ালার কাছে, যদিও আমের কোয়ালিটি তেমন ভাল ছিল না। তখন এক বন্ধু বলল, আমাদের উত্তরবঙ্গে চলিস, রাজশাহীতে আমের হাট বসে, পাঁচ-দশ টাকা কেজি দরে আম বিক্রি হয় সেই হাটে! সেই প্রথম শুনি ফলের হাট নিয়ে গল্প। এরপর আরও অনেক সময় অনেক ফলের হাটের গল্প শুনেছি, গিয়েছি কয়েকটিতে। আজকের আলোচ্য থাকবে কয়েকটি বিশেষ ফলের বাজার নিয়ে। এর বাইরে আপনার জানা থাকলে কোন ফলের বাজারের কথা মন্তব্যে তুলে দিতে ভুলবেন না যেন।
ছবিঃ প্রথম আলো
আমের হাটঃ আমের হাটের কথা আসলেই চলে আসে উত্তরবঙ্গের নাম। রাজশাহী না চাপাই? কোথাকার আম বেশী ভাল এবং কোথাকার হাট বেশী জমজমাট? এই নিয়ে চলে বিস্তর গবেষণা। যাই হোক এই দুই জায়গাতেই গ্রীষ্মকালে বসে আমের হাট। রাজশাহীর চারঘাট ও বাঘায় অনেক আমের বাগান রয়েছে আর আমের বড় হাটটি বসে রাজশাহীর সবচেয়ে বড় আমের মোকাম বানেশ্বর বাজারে। কাকডাকা ভোরে জমজমাট হয়ে উঠে আমের বাজারগুলো। তবে আম বাগানের আসল মজা পেতে হলে যেতে হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। এখানকার শিবগঞ্জ উপজেলাকে বলা হয় আমের রাজধানী। আর কানসাটের আমের হাট এর কথা কে না জানে? কানসাটের আরেকনাম যেন আমের হাট। তাই রাজশাহী না কানসাট, সেই বিতর্কে না গিয়ে বলি আমের মৌসুমে তথা এপ্রিলে-মে-জুন মাস জুড়ে চলা গ্রীষ্মকালে এই হাটে ভ্রমণ হতে পারে আপনার জীবনের অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং স্মরণীয় ভ্রমণ। দেশের যে কোন প্রান্ত হতে ছেড়ে যাওয়া উত্তরবঙ্গগামী বেশীরভাগ গাড়ীই রাজশাহী যায়, সেখান হতে চাপাই মাত্র কিলো পঞ্চাশেক দূরত্বে। তাই একরাতে রওনা দিয়ে ভোরবেলা রাজশাহী পৌঁছে ঢুঁ মারতে পারেন এই আমের হাটে, একদিন বেশী সময় থাকলে চাপাই হয়ে আসতে পারেন; এক ঢিলে দুই পাখি শিকার হবে তবে। চারিদিকে নানান জাতের আম, নানান রঙের আভার সাথে মিষ্টি সুবাস, পাইকারদের হাঁকডাক, ক্রেতাদের দরদাম, কুলিদের মাল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি, চারিদিকে এক উৎসবমুখর ব্যস্ততা সত্যি আপনাকে মুগ্ধ করবে। আর এই ফলের বাজারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠতে পারে ব্যতিক্রম এক পর্যটন কার্যক্রম। দরকার উদ্যোগ আর পরিকল্পনার।
ছবিঃ স্বাধীন বাংলা ২৪ ডট কম
লিচুর হাটঃ দিনাজপুরের লিচুর হাটের নাম শোনেন নাই এমন মানুষের দেখা মেলা ভার। বোম্বাই, চায়না, দেশী, মাদ্রাজি, বেদানা প্রভৃতি নামের লিচুর বাহারি সমারোহ মিলবে দিনাজপুরের লিচুর বাজারে। আলো ফোটার আগেই পাইকাররা এসে ভিড় করে এই হাটে। লিচু তোলা হয় নিলামে। হাজার লিচুর প্রাথমিক দর ধরে শুরু হয় নিলাম, এই দর বাড়তে থাকে তরতর করে। কারণ, এখানকার লিচুর স্বাদ এবং গুণ। হাজার টাকায় একশত লিচু বিক্রি হওয়া এখানে খুব সাধারণ ব্যাপার। লিচু নিয়ে এখানকার কর্মকাণ্ড দেখলে আপনি অবাক না হয়ে পারবেন না। তাই দিনাজপুর এসে একবার লিচুর হাট দেখার পর আপনিও আমার সাথে একমত হবেন, প্রতিটি মানুষ একবারের জন্য হলেও দিনাজপুরের লিচুর হাট দেখতে আসতে হবে। সাথে লিচু বাগানে ঢুঁ মারা, দিনাজপুর রাজবাড়ী আর কান্তজিউ মন্দির ভ্রমণ রয়েছে ফ্রি। ওহ, স্বপ্নপুরী? নাহ থাক, প্রথাগত পর্যটনের বাইরে বের হওয়া দরকার। তাই লিচুর বাগানে ঘুরে গাছ হতে লিচু পেড়ে খাওয়া আর লিচুর হাটে ঘোরাঘুরি করে বাড়ির জন্য কিছু লিচু নিয়েই না হয় ফিরতি পথ ধরা যাবেক্ষণ। এছাড়া উত্তরবঙ্গের ঈশ্বরদী সহ দেশের নানান অঞ্চলে মৌসুমে বসে লিচুর হাট।
ছবিঃ কালের কণ্ঠ
পেয়ারা বাজারঃ হালের ক্রেজ দক্ষিণের ঝালকাঠি-স্বরূপকাঠির ভাসমান পেয়ারা বাজার। অতি উৎসাহী অনেকেই যাকে তুলনা করছেন থাইল্যান্ডের ফ্লোটিং মার্কেটের সাথে। আসলে সেই তুলনায় না গিয়ে বরং এর সম্ভাবনার কথা বলা যাক। ব্যাকওয়াটার এর মাঝে নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়ানো, পানির মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা পেয়ারা বাগান, খালের মাঝে সারি সারি নৌকা বোঝাই কাঁচাপাকা পেয়ারার বহর, এর মাঝে চলছে বেচাকেনা... সে এক অপূর্ব সংমিশ্রন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে রয়ছে গ্রাম্য হাটের আবহাওয়া। আর তাই তো অতি অল্প সময়ে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে এই পেয়ারা বাজার। দেশের স্বনামধন্য পর্যটন ব্যাক্তিত্ব, অকালে চলে যাওয়া মাহমুদুল হাসান ভাইয়ের হাত ধরে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে দেশের পর্যটন ক্ষেত্রে এই ভাসমান পেয়ারা বাজার। আল্লাহ্ উনাকে বেহেশত নসীব করুন। এরকম করে যদি আমাদের সামাজিক-সংস্কৃতি নিয়ে পর্যটনে আমরা এগিয়ে যাই, তবে আমাদের দেশেও খুঁজে পাবো বিশাল সব পর্যটন সম্ভাবনা। শুধু পেয়ারা নয়, আমড়া, তরমুজ ইত্যাদি নিয়েও ব্যস্ত থাকে এই ভাসমান বাজারগুলো; বিশেষ করে স্বরূপকাঠির পুরো জনপদ।
ছবিঃ প্রথম আলো
আনারসের বাজারঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরের জলছত্র বাজার, দেশের অন্যতম বড় আনারসের বাজার। সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর, এই সময়ে জমজমাট থাকে এই আনারস বাজার। দেশের নানান প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এসে ভিড় জমায় এই আনারসের হাটে। মধুপুরের শালবন ঘেঁষে থাকা গ্রামগুলোতে সারিসারি আনারস গাছের দেখা মেলে। আর এখানকার এই আনারস সব নিয়ে রাস্তার উপর বসে এই আনারসের হাট, ভরা মৌসুমে এ হাট ২৫ মাইলের মোড় থেকে অন্যদিকে পুলিশ ফাঁড়ি পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছে। সপ্তাহের মঙ্গল ও শুক্রবার জায়গাটিতে বিশাল হাট বসে। খুব সকাল থেকেই জমজমাট থাকে এ হাট। ঢাকার মহাখালি বাস স্টেশন থেকে বিনিময় ও শুভেচ্ছা পরিবহনের বাস যায় মধুপুর। এছাড়া মহাখালী থেকে যেকোনো বাসে চড়ে টাঙ্গাইল সদরে এসে সেখান থেকেও সহজেই মধুপুর আসতে পারেন। মধুপুর সদর থেকে অটো রিকশা ভাড়া করে আসতে হবে জলছত্র বাজার কিংবা মধুপুর জাতীয় উদ্যানে।
ছবিঃ মাগুরা নিউজ
কাঠালের হাটঃ দেশের নানান অঞ্চলে বসে কাঠালের হাট। এর মধ্যে শৈলকূপায় বসে অন্যতম বড় একটি হাট যেখানে মাদারীপুর, শরিয়তপুর, ফরিদপুর অঞ্চল থেকে আসে কাঠালের সরবরাহ। এছাড়া নড়াইল, ঝিনাইদহ, কুলাউড়া হতে শুরু করে পাহাড়ি জনপদ উখিয়ায় পর্যন্ত দেখা মেলে কাঠালের হাটের। মৌসুমী ফল হিসেবে গ্রীষ্মকালের শেষভাগে বসে এইসব কাঠালের হাট। কাঁঠালের মৌ মৌ গন্ধে বিভোর হয়ে যেতে হবে রসালো এই ফলের হাটে।
ছবিঃ ঢাকা ট্রিবিউন
লটকনের হাটঃ নরসিংদী জেলাকে বলা হয়ে “লটকন বাড়ী”, কারণ সারা দেশে যত জায়গায় লটকন উৎপন্ন হয় তার মধ্যে সবচেয়ে সুস্বাদু লটকন নরসিংদীর। জেলার শিবপুর ও রায়পুরা উপজেলা এবং এর আশপাশের এলাকা জুড়েই লটকনের চাষ হয়। তবে বেশি হয় শিবপুর উপজেলাতে। গ্রীষ্মের মাঝামাঝি থেকে বর্ষার শেষ অবধি থাকে এই লটকনের মৌসুম। এখানকার লটকন বিক্রির হাট বসে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রায়পুরার মরজাল বাজার বাসস্ট্যান্ড, শিবপুরের কামারটেক বাজার বাসস্ট্যান্ড, চৈতন্য বাজার ও গাবতলী বাজার। ঝুড়ি বোঝাই করে নানান এলাকা হতে লটকন নিয়ে ভোর থেকেই জড়ো হল চাষীরা, জড়ো হয় পাইকাররা। এরপর চলে বেচাবিক্রির ব্যস্ততা, ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশ ব্যাপী। গুলিস্তান, কমলাপুর, সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী থেকে সিলেট বা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গাড়িতে শিবপুরের কামারটেক নামা যাবে। সেখান থেকে হেঁটে বা অটো রিকশায় ছোটাবন্দসহ এর আশপাশের গ্রামের লটকন বাগানে যাওয়া যাবে।
ছবিঃ বিডিনিউজ২৪
কলার হাঁটঃ গাইবান্ধার গাইবান্ধাসদর, পলাশবাড়ি, গোবিন্দগঞ্জ, সুন্দরগজ্ঞ, সাদুল্লাপু, ফুলছড়ি প্রভৃতি এলাকায় দেখা মিলবে সারি সারি কলাগাছের, কলাবাগানের জগত যেন পুরো গাইবান্ধা। গাইবান্ধায় উৎপাদিত কলা দেশের বিভিন্ন জেলাগুলোর চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করা হচ্ছে। এ কারণে একদিকে যেমন চাষিরা পাচ্ছেন কলার ন্যায্য মূল্য, অন্যদিকে এ বাজার ঘিরে ক্রেতা, বিক্রেতা, স্থানীয় কলা ব্যবসায়ীসহ কয়েক শত পরিবার স্বচ্ছল জীবন যাপন করছেন। আর এই কলা বেচাকেনা’কে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে কলার হাঁট। সদর উপজেলা, পলাশবাড়ি, সাদুল্লাপুর প্রভৃতি এলাকায় বসে এসব কলার হাঁট। গাইবান্ধার ফাঁসিতলা থেকে গোবিন্দগঞ্জ পর্যন্ত মহাসড়কের দুইপাশে সারি সারি সাজিয়ে রাখা কলার হাঁট শুরু হয়ে যায় সূর্য ওঠার সাথে সাথেই, চলে বেলা এগারোটা পর্যন্ত। দেশের নানান অঞ্চল হতে ব্যাপারীরা আসে এই কলা কিনতে। হাঁট ভাঙলে পরে ট্রাকে, ভ্যানে, পিক-আপ ভ্যানে করে এইসব কলা ছড়িয়ে পড়ে দেশের নানান প্রান্তে। একই চিত্রর দেখা মেলে উত্তরবঙ্গের নানান প্রান্তে। গোবিন্দগঞ্জ পার হয়ে বালুয়াহাট থেকে কোমরপুর, পলাশবাড়ি হয়ে রংপুরের পীরগঞ্জের ধাপেরহাঁট, বগুরার শিবগঞ্জ, সোনাতলে সহ নানান প্রান্তে বসে এই কলার হাঁট। যে কোন ছুটির অবসরে চলে যেতে পারেন বগুরা মহাস্থানগড়, সেখানে ঘুরে রাত কাটিয়ে পরদিন সকালবেলা দেখতে পারেন কলার হাঁট। সাথে করে নিয়ে আসতে পারেন কয়েক কাঁদি সুস্বাদু কলা।
ছবিঃ পরিবর্তন ডট কম
পেঁপের হাঁটঃ উত্তরবঙ্গ মূলত আমাদের ফলভান্ডার বলা যেতে পারে। উত্তরবঙ্গে কলা, আম, লিচুর মত প্রচুর পরিমানে উৎপাদিত হয় পেঁপে। গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়ন, মাগুরার শ্রীপুরের বারইপাড়া সহ রাজশাহী, বগুড়া প্রভৃতি এলাকাগুলোতে চোখে পড়ে সারি সারি পেঁপে গাছ, পেঁপে বাগান। বানিজ্যিকভাবে উৎপাদিত এসব পেঁপে চাষ করে রাতারাতি ভাগ্য ফিরছে প্রান্তিক চাষীদের। দেশের নানান প্রান্ত থেকে পাইকাররা এসে নিয়ে যাচ্ছে এসব পেঁপে। রাজশাহী জেলার দূর্গাপুর, পুঠিয়া, পবা, নারিকেলবাড়িয়া এলাকায় নানান জাতের পেঁপে উৎপাদিত হয়, এর মধ্যে “শাহী পেঁপে”র কদর সারা দেশ জুড়ে। বর্তমানে রাজশাহী, নাটোর, বগুড়া, যশোর, কুষ্টিয়া, মাগুরা ও পাবনায় শাহী জাতের পেঁপে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হচ্ছে। মাঠের পর মাঠ শুধু পেঁপের ক্ষেত। কেউ ক্ষেতের পেঁপে পরিচর্যা করছেন, আবার কেউ কেনাবেচা করছেন। পেঁপে দাঁড়িপাল্লায় মেপে বস্তাভর্তি করছেন কৃষক ও ব্যাপারীরা। বাগানের পাশে নসিমন বা ট্রাকে তোলা হচ্ছে পেঁপের বস্তা। মাগুরার বারইপারা, গাইবান্ধার সাঘাটায়, রাজশাহী’র দুর্গাপুর, নারিকেলবাড়িয়ায় দেখা যায় পেঁপের হাঁট। তবে বেশীরভাগ পেঁপের লেনদেন সম্পন্ন হয় বাগান থেকে। পাইকাররা বাগান থেকেই পেঁপে সংগ্রহ করে নিয়ে যায় দেশের নানান প্রান্তে। পেঁপের এই রমরমা বাজার ঘুরে দেখতে আজই চলে যেতে পারেন উত্তরবঙ্গ।
তথ্য এবং ছবি কৃতজ্ঞতাঃ জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হ্যাঁ আপু, ফিরবো ফিরবো করে আর ফেরা হচ্ছে না পুরোপুরি। অনেকটা আগেকার টিভি চ্যানেলের ঝিরঝির করে চ্যানেল ক্যাচ করার মত; আসি আবার হারাই, ফিরি আবার হারাই টাইপ... নাহ, ভালমত ফিরতে হবে এবার। দোস্ত ব্লগার সোহানী'র মন্তব্য দেখছেন। ফিরতেই হবে এবার।
২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩১
রিএ্যাক্ট বিডি বলেছেন: awesome
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪১
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: শুধুমাত্র প্রচারেই পিছিয়ে আছি আমরা, আমাদের দেশ।। শুধু সীবিচটির কথাই ভেবে দেখুন।। থাইল্যান্ডের পাতাইয়া বীচের তুলনায় আমরা কত পিছিয়ে!! এটা যদি ওখানে থাকতো?? সুন্দরবন নিয়ে ভারতের প্রচারটাও দেখুন।। সেখানে আমাদের পর্যটন বিভাগ দায়সারা ভাবে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেই দায়িত্ব সারছে
এই যখন অবস্থা সেখানে পর্যটনকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে আপনার এই প্রচেষ্টা অবশ্যই প্রশংসনীয়।। অনেক শুভেচ্ছা রইলো।।
আরেকটি শুভেচ্ছা ফিরে আসায়।।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ হ্যাপী ভাই। ফিরতে আর পারছি কই, তৈলাক্ত বাঁশে বানরের উঠানামা মত ফিরি আবার হারাই অবস্থা।
কেমন আছেন আপনি? আশা করি ভাল। খুব শীঘ্রই নিয়মিত হব আশা করি।
ভাল থাকুন সবসময়, প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ।
৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বেশ চমৎকার গুছিয়ে দারুন এক প্রস্তাবনা !!!
আপনার সিরিজের সাথে থাকলাম ;
২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, বরাবরের মত সাথে থাকার জন্য।
৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫১
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: খুবই ভালো প্রস্তাব।
আজকাল অনেকেই যাচ্ছেন এমন কিছু ফলের বাজার দেখতে।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ রুহী আপু, এই শখের ভ্রমণ'কে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েই গড়ে তুলতে হবে পর্যটন শিল্পকে।
৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৪২
ওমেরা বলেছেন: ওমা গো লটকন গাছে কত সুন্দর করে লটকন ধরে আছে ।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ওমা ওমেরা!!
ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার, পাঠ এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ জানবেন। ভাল থাকুন সবসময়।
৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৪২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই গুরুত্বপুর্ণ তথ্যসমৃদ্ধ প্রয়োজনীয় পোষ্ট ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আলী ভাই। পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবনে। ভাল থাকুন সবসময়।
৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: মেনন সাহেবকে দিয়ে পর্যটনে উন্নতি সম্ভব না।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সভা সেমিনার এ ভাল যায়...
৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকা মানুষ বলতে চায় ,
আপনার লেখার প্রথম লাইনটির বক্তব্য ঠিক নয় । আমাদের দেশে কোনও পর্যটন নেই , যেখানেই ভ্রমনে যাবেন সেখানেই যতো অঘটন । ভ্রমনপিপাসুরা নিজেদের মনে নিজেরাই ভ্রমন করেন এদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা, নিরাপত্তা, বিনোদনের চরম অব্যবস্থার মাঝেও । বিদেশি ভ্রমনকারীরা কজন আসে আমাদের দেশে ? সে হিসেব, খাতার নীচে পড়ে থাকার মতো । পর্যটনের জন্যে এমন একটি খাতকে দেখান যেখানে একটু স্বস্তির দেখা মেলে ! অথচ কি সম্ভাবনাময় হতে পারতো এই পর্যটন খাতটি !
তবুও শত প্রতিকুলতার কথা জেনেও আপনি ভাবনার যে বৈচিত্রের কথা বলেছেন , তা ভালো লাগলো । এর সাথে পর্যটনের জন্যে কি কি ইনফ্রাষ্ট্রাকচারে প্রয়োজন সবচেয়ে আগে, তার কথাও লিখুন ।
লেখাটির সাথে আছি ....কারন, চাই যে পৃথিবীর মানুষ দেখুক - এ দেশের মাটি ও মানুষকে , দেখুক সমতলের ধানশালিখ-গাঙচিল !!!!!!!!!!!
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হা হা হা, ভাল ভাল বলেছেন ভাই, "আমাদের দেশে কোনও পর্যটন নেই , যেখানেই ভ্রমনে যাবেন সেখানেই যতো অঘটন।"
আসলে এর মূলে রয়েছে পর্যটন সম্ভাবনা এবং এর অর্থকরী দিক নিয়ে সচেতনতার অভাব। একটি পর্যটন এলাকার সকল শ্রেনীর মানুষ যখন পর্যটন শিল্প'র সম্ভাবনা এবং ফাইন্যান্সিয়াল লং টাইম বেনিফিট সম্পর্কে উপলব্ধি করবে তখনই এসব অঘটন বন্ধ হবে। সাথে দরকার পর্যটনের জন্য প্রয়োজনীয় ইনফ্রাস্ট্রাকচার, সেফটি এন্ড প্রোটেকশন সহ আরও অনেক আনুষাঙ্গিক বিষয়াদি।
খুব ইচ্ছে আছে ধারাবাহিকভাবে লেখার, যদি সময়, সুযোগ এবং সামর্থ্যে কুলোয়, তবে লিখবোই লিখবো ইনশাল্লাহ।
আমিও চাই, "পৃথিবীর মানুষ দেখুক - এ দেশের মাটি ও মানুষকে , দেখুক সমতলের ধানশালিখ-গাঙচিল"
১০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এভাব্ই বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরলে আমাদের প্রিয় দেশটিকে পৃথিবীর মানুষ জানতে ও বুঝতে পারবে।
ধন্যবাদ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমাদের সকলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় এগিয়ে যেতে পারে আমাদের দেশের সম্ভাবনাময় পর্যটন খাতটি। তাই, সকলের নিজ নিজ অবস্থান থেকে এর জন্য যতটুকু পারা যায়, কাজ করে যাওয়া উচিত বলে মনে করি।
ধন্যবাদ আপনাকে, পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন সবসময়।
১১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
মনে রাখার মতো অনেক তথ্য দিয়েছেন।
গাইবান্ধার কলার হাঁট আর রাজশাহী'র পেপের হাঁট মনে হয় বাদ পড়ে গেছে।
প্রিয়তে নিলাম।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গাইবান্ধার কলার হাঁট আর রাজশাহীর পেপের হাঁট সংযুক্ত করে দিব আজকের মধ্যে। ধন্যবাদ আপনাকে।
১২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭
জুন বলেছেন: এই সব স্থানকেই বিভিন্ন দেশে কত সুন্দর করে তুলে ধরে পর্যটকদের চোখে বোকা মানুষ । জোনাকী পোকা দেখিয়ে মালয়েশিয়া দুহাতে পয়সা রোজগার করছে । তবে সেই দেখানোতেও আছে অভিনবত্ব আর কৌশল । আমাদের কত কিছু আছে অনাদরে অবহেলায় । লপবুরির মাংকি টেম্পল দেখতে কত কষ্ট করে মানুষ যায় আর আমাদের কান্তাজীর মন্দির তার থেকে কত সুন্দর কারুকার্য্য আর নকশায় ।
আশাকরি এবার থেকে নিয়মিত হবেন । পর্যটন সম্ভাব্য একটি বিষয় নিয়ে লেখায় অনেক ভালোলাগা রইলো ।
+
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপু। আমিও আশা করি নিয়মিত হব। ভাল থাকুন সবসময়।
১৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঘোরাঘুরি আমার নেশা। দেশে-বিদেশে প্রচুর ঘুরেছি। বিদেশে যেখানেই যাই, দেশের সাথে তুলনা চলে আসে। অপার পর্যটন সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ; কোন সন্দেহই নাই। শুধু নিরাপত্তা আর লোকজনের মন-মানসিকতা - এই দুইএর উন্নতিই শুধু বাংলাদেশকে অনেক দুর নিয়ে যেতো। কোনো সরকারই এই কাজটুকু করতে পারলো না। সবই আমাদের কপাল......... ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ মফিজ ভাই। আসলেই, "অপার পর্যটন সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ"। দরকার শুধু সঠিক উদ্দ্যোগ, পরিকল্পনা আর পৃষ্ঠপোষকতা।
একটা প্রশ্ন ছিল, "মফিজ কেন ভুয়া?"
১৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৭
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
ফলের রাজা আমাদের বাংলাদেশের চমৎকার চিত্র তুলে এনেছেন!!
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভাই!!!
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ বীথি আপা। ভাল থাকুন সবসময়।
১৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৯
সোহানী বলেছেন: ওই তুমি কই?? মাঝে মাঝে দেখি উকিঁ দিয়ে আবার গায়েব হয়ে যাও?????
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: "মিঃ ইন্ডিয়া" মুভির মত "মিঃ সামু" হইয়া গেছি। থাকি থাকি গায়েব হয়ে যাই।
১৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১০
ডি মুন বলেছেন: কি খবর বোকা মানুষ ভাই, কেমন আছেন?
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এই তো ভাই আছি ভালই, তবে প্রচন্ড ব্যস্ততায় জান পেরেশান। সাথে তেমন ভাল নাই এই দেহখান...
১৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহাহা মাত্রই দেখলাম ভাইয়া !!!!
পড়েছেন মুঘলের হাতে !!!!
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মন্তব্যটা বুঝি নাই আপু।
১৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কাঠালের, লটকনের আর পেয়ারার হাট দেখেছি
ভাল আইডিয়া
++++++++
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভ্রাতা।
১৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১
শায়মা বলেছেন: একি অপরূপ রুপে মা তোমায় হেরিনু পল্লী জননী!!!!!
আমের হাট, জামের হাট, কাঁঠাল লিঁচু, পেয়ারার হাট!!!!!
দেখেই চোখ জুড়ালো।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন সবসময়।
২০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: একটা প্রশ্ন ছিল, "মফিজ কেন ভুয়া?" এই লিঙ্কে view this link ৫ নং কমেন্টের উত্তর দেখেন।
তারপরও কোনো প্রশ্ন থাকলে করতে দ্বিধা করবেন না.... ।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ওরে আপনার পোষ্ট !!!!!!!
বোকা মানুষ বলতে চায় ভাইয়া !!
ফিরে আসায় শুভেচ্ছা , লেখা পড়ার আগে মন্তব্য করলাম ।
ফিরছি আবার ।