নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকার আঁতুড়ঘর এর শেকড়ের গভীরে - পুরাতন ঢাকার ঘিঞ্জি রাস্তাঘাট এর পেছনের গল্প।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭



“পুরাতন ঢাকা” শব্দটি শুনলে প্রথমেই চোখে ভেসে আসে ঘিঞ্জি অলিগলি’র একটা জনপদ, যেখানে পদে পদে খাবারের দোকান আর অধিবাসীদের মুখে হাস্যকর “ঢাকাইয়া ভাষা”র গালিগালাজ সম্বলিত কথাবার্তা।এর কতটুকু সত্য? আর যদিওবা তা হয়, তাহলে কিভাবে এই পুরাতন ঢাকার আজকের পরিবেশ গড়ে উঠেছে? প্রশ্ন কি জাগে মনে? এর জন্য আমাদের জানতে হবে কিছু ইতিহাস এবং তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, যার হাত ধরে সময়ের সাথে ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে আজকের পুরাতন ঢাকা। তাই পুরাতন ঢাকাকে জানতে হলে, পুরাতন ঢাকার এই জনপদ, জীবনাচারের শেকড়ের গভীরে ঢুকে একটু দেখে আসতে হবে যে, কি কারনে সেখানকার জীবনাচার এরকমটা হল। ইচ্ছে আছে পৃথক পৃথক'ভাবে পুরাতন ঢাকার অধিবাসী, রাস্তাঘাট, ভাষা, খাবার, উৎসব, আচার অনুষ্ঠান নিয়ে লেখার। আজকে মূলত আলোকপাত করবো “পুরাতন ঢাকার রাস্তাঘাট” নিয়ে। প্রথমেই পাঠককে মনে রাখতে হবে, পুরাতন ঢাকার ইতিহাসের সাথে ওতপ্রোতভাবে কিন্তু জড়িয়ে আছে সমগ্র ঢাকারই ইতিহাস। কেননা, পঞ্চাশ বছর আগ পর্যন্ত ঢাকার বিস্তৃতি মানেই ছিল পুরাতন ঢাকাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এক জনপদ।

আজকের দিনে সবাই একবাক্যে মেনে নিয়েছেন যে, ঢাকা শহর একটি অপরিকল্পিতভাবে বেড়ে ওঠা শহর, যা সময়ের সাথে সাথে কোন সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ছাড়াই গড়ে উঠেছে। আর এই পরিকল্পনাবিহীন শহরের সর্বত্র যানজট এতটাই তীব্র হয়েছে যে, ঢাকা শহরে পরিবহণের গড় গতিবেগ ঘন্টায় ছয় কিলোমিটারের নীচে নেমে এসেছে। এর মূল কারন পরিকল্পনাহীন রাস্তাঘাটের সাথে অনিয়ন্ত্রিত যানবাহনের ভীড়। আর এই অপরিকল্পনার প্রথম শিকার এবং সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী কিন্তু হয়েছে পুরাতন ঢাকা এবং এর অধিবাসীরা'ই। কিভাবে? আসুন একটু বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়া যাক।

একটি অপরিকল্পিত শহর একদিনে গড়ে ওঠে না| এই ঢাকা শহর ত্রুটিপূর্ণ এবং পরিকল্পনাহীন ভাবে কয়েক শত বছর ধরে গড়ে উঠেছে| এর শুরুর দিকে দৃষ্টিপাত করলে দেখা যায়, সুবেদার ইসলাম খান চিশতি (মুঘল সম্রাট আকবরের আধ্যাত্মিক গুরু, শেখ সেলিম চিশতির নাতি) ঢাকার ভৌগলিক গুরুত্বকে বিবেচনায় রেখে বাংলার রাজধানী হিসেবে ঢাকাকে বেঁছে নিয়েছিলেন সেই ১৬১০ সালে। কিন্তু কেন তিনি ঢাকাকে বাংলার রাজধানী হিসেবে বেঁছে নিয়েছিলেন? কারন, ঢাকা বৃহত্তর পূর্ববঙ্গের অঞ্চলগুলোর মধ্যে জল-স্থল বিস্তৃতির বিবেচনায় কেন্দ্রীয় অঞ্চল ছিল। একদিকে ঢাকাকে কেন্দ্র করে থাকা দুর্গসমূহ দক্ষিণের আরাকানি মগ এবং পুর্তগিজ জলদস্যুদের আক্রমন হতে সমগ্র পূর্ববঙ্গকে যেমন রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছিল, তেমনি অন্যদিকে নদীভিত্তিক ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যের কারনে সেই সময়ে ঢাকার বানিজ্যিক গুরুত্ব ছিল অনেক বেশী। আর তাইতো ইসলাম খান থেকে শুরু করে শায়েস্তা খান, সকল প্রশাসকেরা ঢাকাকে বেঁছে নিয়েছিলেন রাজধানী হিসেবে। কিন্তু সেই নদীকেন্দ্রিকতার কারনেই ঢাকা শহরের অভ্যন্তরীন পথঘাটের তেমন উন্নয়নের প্রয়োজন পড়ে নাই। কারন সেই সময়ে ভারী যানবাহনের কোন চলাচল এর প্রয়োজন ছিল না শহরের ভেতর দিয়ে। আর তাই হয়তো ইসলাম খানের ঢাকা আগমনের ৭০ বছর পর ১৬৭৮ সালে, আওরঙ্গজেবের পুত্র মোহাম্মদ আজমের শাসনামলে ঢাকায় প্রথম পাকা রাস্তা নির্মিত হয়েছিল। ইংরেজ আগমনের আগ পর্যন্ত ঠিকই ঢাকার গুরুত্ব ছিল মুঘল সম্রাজ্যের কাছে, কিন্তু সেই নদীপথই ছিল যোগাযোগের মুখ্য পথ। আর তাই তো, মুঘল শাসকেরা ঢাকায় নানান স্বতন্ত্র প্রাসাদ, দুর্গ, বাগান, মসজিদ প্রভৃতি তৈরীতে মনোযোগী হলেও উদাসীন ছিলেন এর সড়কপথ উন্নয়নে। এর সাথে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি এবং তৎকালীন সামাজিক অবকাঠামোয় নগরজীবনকে বিবেচনা করা হত নৈতিক অবক্ষয়ের সূতিকাগার হিসেবে। আর এসবের যৌথ ফলাফল হিসেবে কোতয়াল এবং পঞ্চায়েত ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থায় ঢাকার সামগ্রিক কোন নগরায়নের দর্শন গড়ে ওঠে নাই ১৭৬৫ সাল পর্যন্ত।

এরপর এল ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ঔপনিবেশিক শাসন আমল। কোলকাতা হল ইংরেজদের পূর্ববঙ্গ’র কেন্দ্রস্থল। ফলে ঢাকার নগরায়নের বিকাশের যে সুযোগ ছিল তাও শেষ হয়ে যায়। ঔপনিবেশিক আমলে ঢাকাকে বিবেচনা করা হয়েছিল অনগ্রসর কৃষিভিত্তিক একটি জনপদ, যার পুরোটাই অতিরিক্ত খালবিল আর নিম্নজলাভূমি বেষ্টিত একটি অস্বাস্থ্যকর এলাকা। তাই ইংরেজ আমলে ভারতীয় উপমহাদেশের সমগ্র অর্থনীতি এবং ব্যবসা বাণিজ্য গড়ে ওঠে সমুদ্রনগরী তৎকালীন বোম্বে এবং মাদ্রাজ (আজকের মুম্বাই এবং চেন্নাই)’কে ঘিরে। যার সাথে পূর্ববঙ্গের সংযোগস্থল ছিল সমুদ্র নিকটবর্তী হুগলি নদীর প্রান্তিক শহর কোলকাতা। আর এর ফলস্বরূপ ১৭৬৫ এর পর থেকে আরও পেছাতে থাকে ঢাকার নগরায়ন।

আর এই বৈষম্যমূলক উন্নয়নধারায় ঢাকা একটি পিছিয়ে পরা জনপদে পরিণত হতে থাকে। চার্লস ডয়লী কিংবা জর্জ চিনারির ছবিগুলোতে সমকালীন ঢাকার যে চিত্র ফুটে উঠেছিল, তা ছিল একটি পরিত্যক্ত শহর ঢাকা, যেখানে রয়েছে পুরাতন কেল্লা, কাটারা, মসজিদের সাথে জলা-জংগলে ভরা এক অস্বাস্থ্যকর জনপদ। প্রায় শত বছর পর ১৮৬৪ সালে সিপাহী বিদ্রোহের পরপর ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন সুসংহত হলে পরে ঢাকায় মিউনিসিপাল কর্পোরেশন এর যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু তা কাগজে কলমেই শুধু রয়ে যায়, কাঙ্ক্ষিত কোন নগর উন্নয়ন সেই সময়ে দেখা যায় নাই। আর তাই তো ধীর গতির নগরায়ন সুবিধা যুক্ত হতে থাকে ঢাকা শহরে। ১৮৬৪ সালে বাকল্যান্ড বাঁধ, ১৮৭৮ সালে জলসরবরাহ প্রকল্প, ১৮৮২ সালে টেলিফোন সংযোগ, ১৮৮৫ সালে রেলগাড়ি যুক্ত হয় ঢাকা নগরীর ইতিহাসে। ১৮৮৫ সালে প্রথম পরিকল্পিত মহল্লা হিসেবে ওয়ারী গড়ে উঠেছিল ব্রিটিশ রাজের অধীনে কর্মরত কর্মচারীদের আবাসনের লক্ষ্যে।

পরবর্তীতে স্বল্পস্থায়ী বঙ্গভঙ্গের সময়কালে ১৯০৫ হতে ১৯১১ সাল ব্যাপী পূর্ববঙ্গ এবং আসামের রাজধানী ঢাকা হওয়ায় ঢাকা নগরে কিছুটা নগরায়নের উন্নয়ন ঘটেছিল। কিন্তু সেই স্বল্প সময়ে আর কতটুকুই বা হয়েছিল? বিংশ শতাব্দীর বিশের দশকের সময় হতে এই ভারতবর্ষের নগরায়নের কেন্দ্রভূমি ছিল নয়াদিল্লি। ঔপনিবেশিক স্থপতি এডুইন লাতিন্স আর হার্বার্ট বেয়ার এর মহা পরিকল্পনায় নতুন রাজধানী দিল্লিকে কেন্দ্র করে সকল উন্নয়ন পরিকল্পনা পরিচালনা হতে থাকে; ফলে সম্ভাবনা থাকা স্বত্বেও আধুনিক নগর হিসেবে ঢাকার উঠে আসা আর হয়ে উঠে নাই। যার জের প্রায় এক শতক পরেও আজ পর্যন্ত বয়ে চলেছে প্রাণপ্রিয় ঢাকা নগরী। আর এর সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হল পুরাতন ঢাকার জনপদ। অথচ ঢাকা শহরের সবচাইতে পরিকল্পিত এবং প্রাচীনতম রাস্তাঘাট এবং নগরব্যবস্থা নিয়ে পুরাতন ঢাকার আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকার কথা।

১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর পাকিস্তান আমলে ঢাকা ফের কেন্দ্রিয় গুরুত্বে উঠে আসে। এর ফলস্বরূপ পাকিস্তান আমলে ঢাকার জনসংখ্যা দ্রুত হারে বাড়তে থাকে, এর সাথেই পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে গৃহায়ণের চাহিদা। এর সাথে তেজগাঁও কেন্দ্রিক গড়ে উঠতে থাকা শিল্পাঞ্চলের প্রসার। এই দুইয়ের কারনে সৃষ্ট আবাসন ঘাটতি মেটাতে, বুড়িগঙ্গাকে একপাশে রেখে দক্ষিণ হতে ঢাকা সম্প্রসারিত হতে থাকে উত্তর দিকে। এর ফলে ঔপনিবেশিক আমলে ঢাকার অভিজাত এলাকা ওয়ারী, গেন্ডারিয়া, পুরানা পল্টন আভিজাত্য হারাতে থাকে। উত্তরে গড়ে ওঠা জনপদ প্রতিনয়ত পরিকল্পনা মাফিক আগাতে থাকলেও কোন সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার আওতায় আসে নাই পুরাতন ঢাকার বৃহৎ জনপদ। এই একপাক্ষিক উন্নয়নের জোয়ারে প্রশাসনিক এবং ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র ক্রমশ বুড়িগঙ্গা তীরবর্তি অঞ্চল হতে উত্তরমুখী সরতে থাকে।

একটি শহরের রাস্তাঘাটের বিকাশের পেছনে মূল দাবিদার এই শহরে চলমান যানবাহন। যানবাহনের উপর নির্ভর করে রাস্তাঘাটের বিস্তার এবং উন্নয়ন। যেমন মনে করেন, আপনার একটি প্রাইভেট কার আছে এবং আপনি একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করতে মনস্থির করেছেন। এখন আপনি নিশ্চয়ই এমন কোন ফ্ল্যাট পছন্দ করবেন না যা একটি সরু গলির ভেতর অবস্থিত কোন বিল্ডিং এ রয়েছে, যেখানে নেই উপযুক্ত পার্কিং সুবিধা। কিন্তু আপনার যদি প্রাইভেট কার না থাকে, তাহলে কিন্তু এই চওড়া রাস্তা আর কারপার্কিং এর ভাবনা মাথায় থাকবে না ফ্ল্যাট ক্রয় করার সময়। তবে হ্যাঁ, আপনি যদি সুদূরপ্রসারী চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে ভবিষ্যৎ এর চাহিদা হিসেবে প্রাইভেট কার এর কথা মাথায় রাখবেন। সমস্যার শুরু এখানেই। তৎকালীন নগর পরিকল্পনাবিদেরা পুরাতন ঢাকার এই ভবিষ্যতের কথা নিয়ে চিন্তাই করেন নাই। তাই তৎকালীন বিদ্যমান যানবাহন মাথায় রেখেই পুরাতন রাস্তার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়েছিল।

ঢাকা শহরের গণপরিবহনের দিকে ইতিহাসের পাতায় উঁকি দিলে সর্বপ্রথম নাম আসবে ঘোড়া গাড়ীর। ১৮৩০ সালে সর্বপ্রথম ঢাকা শহরে ঘোড়া গাড়ী চলাচলের কথা ইতিহাস হতে জানা যায়। যদিও ১৭৯০ সালের দিকেই সারা বঙ্গদেশে মাত্র ১০ জন ঘোড়া গাড়ির নির্মাতার তথ্য পাওয়া যায়। সর্বপ্রথম ইংরেজ শাসকেরা এই ঘোড়া গাড়ী ব্যবহার শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে সমাজের সামর্থ্যবান নাগরিকেরাও এর ব্যবহার শুরু করেন। আর্মেনীয়রা আঠারো এবং উনিশ শতকের শুরুর দিকে ঢাকায় বসবাসকারী প্রভাবশালী সম্প্রদায় ছিল। শাঁখারীবাজারের “সিরকো এন্ড সন্স” ছিল এরকম এক আর্মেনীয় পরিবারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যারা বিভিন্ন ইউরোপীয় জিনিসপত্র বিক্রয় করতো। ইতিহাস মতে, ১৮৫৬ সালে এই সিরকোই সর্বপ্রথম ঢাকায় পাবলিক ট্রান্সপোর্ট হিসেবে ঘোড়ার গাড়ির প্রচলন করে যা “ঠিকা গাড়ী” নামে পরিচিত ছিল। এর মাঝেই ঢাকা শহরে আগমন ঘটে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার। ১৮৮৫ সাল নাগাদ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ এবং ১৮৮৬ সালে ঢাকা-ময়মনসিংহ এর মাঝে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছিল। ফলে ঢাকা শহরের আভ্যন্তরীণ যোগাযোগ অবকাঠামোতে তেমন কোন উন্নয়ন হয় নাই, যেমনটা হয়েছিল বহিঃযোগাযোগ এর ক্ষেত্রে।

ঘোড়া গাড়ীর পরপরই আসবে রিকশার নাম। বাংলাপিডিয়ায় সিরাজুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন ১৯১৯ সালে তৎকালীন বার্মা থেকে সর্বপ্রথম ঢাকায় রিকশার আগমন ঘটে, যার কোন উপযুক্ত তথ্য সূত্র পাওয়া যায় নাই। আরেকটি সূত্র মোতাবেক এদেশে সর্বপ্রথম নারায়ণগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলের পাট ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য কলকাতা থেকে সর্বপ্রথম এই দেশে রিকশার আগমন ঘটান। যাই হোক, মোটামুটি ১৯৩০ দশকে ঢাকায় রিকশার উপস্থিতি প্রমাণিত। ১৯৪১ সালে ঢাকা শহরে রিকশা ছিল ৩৭টি যা ১৯৪৭ সালে এসে ১৮১ তে দাঁড়ায় (এব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোন প্রমাণিত তথ্য পাওয়া যায় না যদিও)। কিন্তু ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে রিকশার চাহিদা ঢাকা শহরের অধিবাসীদের মাঝে।

ঢাকা শহরে প্রথম মোটর গাড়ী দেখা যাওয়ার ইতিহাস হল, ১৯০৪ সাল নাগাদ। ১৮৯৮ সালে এইচ এইচ রেনল্ডস সর্বপ্রথম বোম্বে থেকে কলকাতায় মোটর গাড়ী নিয়ে আসেন। ধারনা করা হয়ে থাকে, ১৯০৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জন সস্ত্রীক কলকাতা থেকে ঢাকায় এসেছিলেন, তখন তাদের আগমন উপলক্ষ্যে চারটি গাড়ীর ঢাকায় অবস্থান করার কথা জানা যায়, স্যার সলিমুল্লাহর মালিকানায়। ধারণা করা হয়ে থাকে, সেগুলোই ছিল ঢাকায় চলাচলকারী প্রথম গাড়ী। বিংশ শতকের ত্রিশের দশক থেকে ঢাকা শহরে অভিজাত লোকদের ব্যক্তিগত মোটরগাড়ীর কথা জানা যায়। প্রায় সেই সময়ই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে প্রথম বাস সার্ভিস শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে ঢাকা-কালিয়াকৈর, ঢাকা-নয়ারহাট, ঢাকা-মিরপুর, ঢাকা-ডেমরা রুটেও বাস চলাচল শুরু করে বেসরকারী মালিকানায়। প্রায় সমসাময়িক সময় হতেই শুরু হয়েছিল ‘অটোরিকশা’ চলাচল যা আগে “বেবীট্যাক্সি” নামে অধিক পরিচিত ছিল। ১৯৫৯ সালে তৎকালীন ইস্ট পাকিস্তান রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন যা বর্তমানে বিআরটিসি নামে পরিচিত, গঠিত হয়। এরপর ধীরে ধীরে ঢাকা শহরের পরিবহণ ব্যবস্থা ব্যাপ্তি পেতে থাকে অপরিকল্পিতভাবে।

আপনারা হয়ত ভাবছেন, এইসবের সাথে পুরাতন ঢাকার ঘিঞ্জি অলিগলি, রাস্তার কি সম্পর্ক? আছে, আছে... একটু বিস্তারিত আলোচনা দরকার এখানে। রিকশা, টমটম যখন পরিবহণ হিসেবে এল, সেগুলো পুরাতন ঢাকার ভেতরে চলাচলের জন্য সেগুলোর উপযোগী করে রাস্তাঘাট নির্মিত হল। ধোলাইখাল, সুত্রাপুর হতে দক্ষিণের চকবাজার, লালবাগ পেড়িয়ে একেবারে রায়েরবাজার অবধি, এই রাস্তাঘাটগুলো ভাল করে খেয়াল করলে দেখবেন সংখ্যায় কম ঘোড়া গাড়ী আর রিকশা চলাচলের জন্য যথেষ্ট উপযোগী ছিল তৎকালীন সময়েই। পরবর্তীতে বর্ধিত ঢাকা শহর যখন উত্তরে তার শাখা মেলতে থাকলো তখনো এই রাস্তাগুলোতে যানবাহনের চাপ ছিল না কোন। তাইতো, আহসান মঞ্জিল হতে বের হয়ে সদরঘাট, লক্ষীবাজার, ধুপখোলা হয়ে নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা মুখী রাস্তাগুলো দক্ষিণ-পশ্চিমের রাস্তাগুলো অপেক্ষা প্রসস্ত ছিল। অন্যদিকে পুরাতন ঢাকার সীমানা পঞ্চাশের দশকেও আজিমপুর হয়ে নিউমার্কেট অবধি বিস্তৃতি পেয়েছিল। ফলে সেই সময় এই সীমানা এলাকা হতে মিরপুর, নয়ার হাট, টঙ্গী বা ডেমরা অভিমুখে বাস-গাড়ী চলাচল উপযোগী প্রসস্ত রাস্তা গড়ে উঠলেও পুরাতন ঢাকার অভ্যন্তরীণ রাস্তাঘাট চওড়া করার কোন উদ্যোগ নেয়া হয় নাই, হয়ত তখন এর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় নাই। কিন্তু সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা ছিল না নগর পরিকল্পনাবিদদের মাঝেও। তাই তো সেই শত বছর আগের যান চলাচল উপযোগী রাস্তাঘাট নিয়েই এগিয়ে গেছে পুরাতন ঢাকা।

এরপর আসে জমির বিভক্তি। পুরাতন ঢাকার জমিজমা’র প্রাচীন দলিল ঘেটে দেখলে দেখবেন, আগে এক দাগে বিশাল জমির মালিকানা ছিল একজনের। সেগুলো বংশ পরম্পরায় ভাগ হয়েছে বারে বারে। আর এই বিভক্তির কারনে হোল্ডিং নাম্বার বেড়েছে, বেড়েছে মালিকানা। ভিন্ন ভিন্ন বসতবাড়ী গড়ে ওঠার কারনে এগুলোর মধ্যে যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে তুলতে মানুষের হাঁটাচলার উপযোগী গলিগুলো গড়ে ওঠে ব্যক্তিগত জমিজমার মধ্যে দিয়েই। দিনদিন এই জমির বিভক্তির ফলস্বরূপ জালের ন্যায় অভ্যন্তরীন যোগাযোগের জন্য নির্মিত রাস্তাগুলো গড়ে ওঠে। কালের পরিক্রমায় এবং প্রয়োজনে এগুলো ব্যক্তিগত ব্যবহারের গণ্ডি পেড়িয়ে জনগণের চলাচলের রাস্তায় পরিণত হয়েছে। ফলে শতবর্ষ পরে আজকে এই সরু রাস্তাগুলো আর পরিবর্ধিত করার কোন সুযোগ নাই। কিন্তু যুগের সাথে আধুনিক মোটর ভেহিকেল এর চলাচল জরুরী হয়ে পড়েছে পুরাতন ঢাকার এসব সরু গলিপথে। তার তাই তো এক লেনের উপযুক্ত পথগুলোতে এখন দুই লেনে যখন যানবাহন চলাচল করে তখন এক ভয়াবহ যানজটের তৈরি হয়ে যায়।

পুরাতন ঢাকার এই সরু পথঘাটের উন্নতকরণের বাস্তব সম্মত উপায় হচ্ছে বসতবাড়ী হতে জায়গা ছেড়ে দিয়ে রাস্তাঘাট চওড়া করে নেয়া। কিন্তু সেই বংশ পরম্পরায় ভাগ হতে থাকা জমিগুলো এখন একক মালিকানায় যেটুকু করে রয়েছে তাতে কেউই নিজ জায়গা হতে রাস্তা তৈরীর জন্য জায়গা ছেড়ে দিবে না। আর সেই জমিগুলোর আর্থিক মূল্যও আজকের বাজারে নেহায়েত কম নয়। তাই তো, অনেকে নিজের বাড়ী ভাড়া দিয়ে বা বিক্রি করে দিয়ে নতুন ঢাকার দিকে শিফট হয়ে গেছেন। এখন প্রায় অর্ধেকের বেশী জমির মালিকানা দিন দিন হাত বদল হয়ে চলে যাচ্ছে পুরাতন ঢাকার স্থানীয়দের মালিকানার বাইরে।

পরিশেষে বলবো, অপরিকল্পিত ঢাকা নগরীর সবচাইতে বড় ভুক্তভোগী কিন্তু পুরাতন ঢাকার বাসিন্দারা। যাদের হাত ধরে এই শহরের গোড়া পত্তন, আজ তাদের নাম শুনলেই অনেকে নাক সিটকান। উচ্চ শ্রেনীয় ঢাকাবাসীর কাছে পুরাতন ঢাকা এক পিছিয়ে পড়া মূর্খ, শিষ্টাচার বহির্ভুত জনপদের নাম। ঘিঞ্জি গলিতে ছড়িয়ে থাকা জরাজীর্ণ বসতবাড়ীর এক পরিত্যক্ত জনপদ। কিন্তু মজার ব্যাপার হল, এই ঘিঞ্জি জনপদের জন্য দায় কি তাদের? বরং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাদের পথঘাটের উন্নয়নের দরকার ছিল, তাদের উন্নয়ন না হয়ে, উন্নত হয়েছে নতুন গড়ে ওঠা ঢাকার জনপদগুলো। বিশ্বের আর কোন প্রাচীন শহরই মনে হয় এমন পক্ষপাতমূলক উন্নয়নের শিকার হয় নাই। তাই, পুরাতন ঢাকার নামে নাক না সিটকে এর ইতিহাস জানুন, জানুন আজকের ঢাকার আঁতুড়ঘর সম্পর্কে।

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ The Daily Star

তথ্য কৃতজ্ঞতাঃ

1) সত্যেন সেন, শহরের ইতিকথা, সত্যেন সেন রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড), বাংলা একাডেমি জুন ২০১৬
2) মুনতাসীর মামুন, ঢাকা স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী (২য় খণ্ড), অনন্যা
3) মীজানুর রহমান, ঢাকা পুরাণ, প্রথমা প্রকাশন
4) Rob Gallagher, The Rickshaws of Bangladesh, University Press Limited, 1992
5) উইকিপিডিয়া
6) বাংলাপিডিয়া
7) বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত পত্রপত্রিকার রিপোর্ট

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৫

নীল আকাশ বলেছেন: বড় পোস্ট, পড়া শুরু করলাম। আপনাকে জানিয়ে গেলাম তাই।
আমার অনেক আগ্রহ এটা জানতে...........
ধন্যবাদ।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। :)

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫

নীল আকাশ বলেছেন: নিন আপনার লেখার জন্য একটা ছবি দিলাম।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ নীল আকাশ। গলিটা চেনা চেনা লাগছে...

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬

মা.হাসান বলেছেন: সুন্দর লেখা। পুরান ঢাকার হোল্ডিং ট্যাক্সের টাকা অতীতে গুলশান বনানী এলাকার উন্নয়নে খরচ করা হয়েছে, সিটি করপোরেশন ভাগ হবার পর ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুরে খরচ হচ্ছে। ট্যাক্সের পরিমান শুধু এলাকা না, বাড়িতে কত জন বাস করে তার উপরেও নির্ভর করে হিসাব করা দরকার। এক ওয়ার্ডের ট্যাক্সের টাকা অন্য ওয়ার্ডে খরচ হওয়া উচিৎ না। পুরান বা নতুন কোন ঢাকার পরিবর্তন ঘটানোর মতো ভিসন সম্পন্ন নেতার অভাব রয়েছে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভাল কথা বলেছেন। করের টাকাগুলো যদি সাম্যতার ভিত্তিতে কালেকশন এরিয়াতে খরচ করা যেত, খুব ভাল হত।

পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভালো থাকুন সবসময়।

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১০

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
অনেক অনেক কিছুই জানলাম। বেশ কষ্ট করেছেন লেখার জন্য সেটা পড়লেই বুঝা যায়। খাটাখাটনি ভালোই গেছে........
সোজা প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম। মাঝে মাঝে বের করে পড়া যাবে। খুবই চমৎকার লিখেছেন আর সেজন্যই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভ কামনা রইল!

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ নীল আকাশ। অনেক কিছু বলার ছিল, নাই বা হল বলা......... ;)

৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বড় পোস্ট । ভালো করে পড়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি । যেটুকু পড়লাম তাতে মনে হলো উত্তর কলকাতার ঘিঞ্জি এলাকা অথবা কলকাতার বড়বাজার চত্বরের সঙ্গে তুলনীয় ।

বসন্তের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন ।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ। সময় করে পুরোটা ভাল করে পড়ে মতামত জানাবেন। কলকাতাও যে পুরাতন ঢাকার পরিণতির সাথে সম্পর্কযুক্ত...

৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৪

আলাপচারী প্রহর বলেছেন: দারুণ ৷ অবশ্য পাঠ্য ৷

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ। বোকা মানুষের ব্লগে স্বাগতম।

৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকা মানুষ বলতে চায়,



নিঃসন্দেহে তথ্যমূলক চমৎকার একটি পোস্ট।

আগেও যেমন কোনও পরিকল্পনা ছিলোনা গ্রাম্য ঢাকাকে শহরায়নের, তেমনি আজও এই শহরটাকে নগরায়নের কোনই পরিকল্পনা নেই। যা আছে তা ত্রুটিপূর্ণ পরিকল্পনাকে ঘিরেই ঘিঞ্জি ও অসুন্দর ঢাকাকে হেজাব পড়িয়ে খানিকটা সুন্দরী বানানোর চেষ্টা!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হেজাব পড়িয়ে খানিকটা সুন্দরী বানানোর চেষ্টা! ভাল বলেছেন। আসলে যে পর্যন্ত নানান ব্যবসায়িক, বাণিজ্যিক শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি অধিদপ্তর সহ বিজিবি-ক্যান্টনমেন্ট শহরের মাঝখান হতে সরিয়ে নিয়ে বিকেন্দ্রীকরণ না করা হবে, ততদিন মনে হয় না, ঢাকা শহরের সমস্যাগুলো সমাধান করা সম্ভব। কারণ, সমাধানের দুটি পথ, (০১) রাস্তাঘাট প্রসস্থকরণ, নানান মেট্রোরেল, আন্ডারপাস, হাইরাইজ বিল্ডিং সহ নানান স্ট্রাকচারাল ডেভেলপমেন্ট করে প্রায় আড়াই কোটি জনসংখ্যা নিয়ে শহর পরিচালনা করা অথবা (০২) শহর হতে দ্রুত বিকেন্দ্রীকরণ বাস্তবায়ন করে কাজের জন্য এই শহরে থাকা লোকজনকে ঢাকা শহর হতে শিফট করে সরিয়ে নেয়া। দ্বিতীয় পথটা বেশী বাস্তবসম্মত হলেও কষ্টসাধ্য এবং টেকসই। কিন্তু আমাদের নীতি নির্ধারকরা নিজেদের ক্ষমতা টেকসই করায় ফোকাসড হওয়ায় দ্বিতীয় অপশনে কখনোই যাবে না বলেই মনে হয়।

ধন্যবাদ প্রি আহমেদ জী এস ভাই, ভালো থাকা হোক সবসময়।

৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:১১

বলেছেন: ঢাকার নতুন প্রকল্প মেট্রোরেল কি পরিকল্পিত নগরায়নের ধারণায় পড়ে?

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এটার উত্তর আমাদের বিজ্ঞ নগর পরিকল্পনাবিদেরা ভাল বলতে পারবেন।

১০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৪৫

সোহানী বলেছেন: ঢাকায় কিছুদিন পুরার ঢাকায় ছিলাম। ভয়াবহ জ্যাম, রাতে দিনে মাইকের আওয়াজ, চুরি ছিনতাই....... নিত্যদিনের জীবন। কিন্তু যেকোন উৎসবে যে আনন্দ হতো.... আতশবাজি, খাবার এর রকমারী........ তার কোন তুলনা নেই।

ভালোলাগলো তোমার পুরোন ঢাকা কথন.........

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: রাত দিন মাইকের আওয়াজ!!! নিশ্চয়ই আশেপাশে মাইক ভাড়া দেয়ার দোকান ছিল... তবে হ্যাঁ, ঘনবসতি হওয়ায় পুরাতন ঢাকার কোলাহল একটু বেশী। তাছাড়া এখন গলিগলিতে কারখানা, সারাদিন শব্দ দুষন চলছেই। কিছু এলাকায় বখাটে এবং নেশাখোরদের আনাগোনা বেশী, সেসব এলাকায় চুরি ছিনতাই হয়ে থাকে। কিন্তু এটাতো সমগ্র ঢাকা শহরেই চলছে। থানা ওয়ারি ক্রাইম রিপোর্ট অনুযায়ী পুরাতন ঢাকার চাইতে মোহাম্মদপুর, মিরপুর, বাসাবো-খিলগাও এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক বেশী খারাপ।

পুরাতন ঢাকার মানুষ তো, তাই কিছু যুক্তি দিলাম আর কি :P

অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার। ভাল থাকা হোক সবসময়।

১১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৫

আখেনাটেন বলেছেন: ঢাকা নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন। মুনতাসীর মামুনের বইটি পড়েছিলাম কিছু। অনেক তথ্য উঠে এসেছে আপনার লেখায়।

পুরান ঢাকার জৌলুস পুনরায় ফিরে আনতে হলে সিঙ্গাপুর কিংবা ইস্তাম্বুলের মতো মহাপরিকল্পনা নিতে হবে। পুরাতন দালান ভেঙে কীভাবে সমবায় ভিত্তিক বিল্ডিং করা যায়, রাস্তা প্রশস্ত করা যায় এগুলো নিয়ে সরকারের ভাবা উচিত। আর আমার মতে একটি মেট্রোলাইনের রুট যদি সদরঘাট হতে (পরবর্তীতে নারায়নগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত এক্সপান্ড করা যেতে পারে) বুড়িগঙ্গার পাড়ের নিচ দিয়ে তুরাগ হয়ে উত্তরা পর্যন্ত নেওয়া যেত। আর উপর দিয়ে চার লেনের রোড, তাহলে ঢাকার চেহারায় পাল্টে যাওয়ার কথা। নদীর দখলও কমত আবার যানজটের হ্যাপাও সামাল দেওয়া যেত।

প্রিয়তে নিয়ে রাখলুম, ঢাকাকে নিয়ে জানতে পরের যদি কাজে লাগে। :D

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ আখেনাটেন। আপনার সুচিন্তিত মতামতের প্রেক্ষিতে প্রথমেই যে সমস্যা হবে, তা হল পুরাতন ঢাকার স্থানীয় বাসিন্দারা সমবায় ভিত্তিক ভবন নির্মাণ করার বিপক্ষে থাকবে। সাম্প্রতিক একটি ঘটনা বলি, রাস্তার উপরের সাত/আট কাঠা জমির বাড়িটি ভাগ হল দশ ভাইবোনের মাঝে। প্রত্যেকে নিজের আধ/পৌনে এক কাঠা জমিতে এক রুমের ফ্ল্যাট বানিয়েছে চার পাঁচ তলা করে। মাঝখানে সরু একটা গলি মত জায়গা যেখানে কেউ মারা গেলে লাশ বের করার খাটিয়া পর্যন্ত বের করা সম্ভব হবে না। বুঝেন অবস্থা!! তবে মেট্রোরেল নিয়ে যা বলেছেন তার সাথে আমি শতভাগ একমত। বুড়িগঙ্গা হতে তুরাগ পর্যন্ত বেড়িবাঁধ এর রুট কাজে লাগাতে পারেননি আমাদের নগর পরিকল্পনাবিদেরা। গুলিস্থান হতে গাবতলী-মানিকগঞ্জগামী সব বাস উক্ত রুট দিয়ে চলাচল বাধ্যতামূলক করা উচিত ছিল আরও অনেক আগে। আর ঢাকা শহরের ভেতর দিয়ে দীর্ঘ রুটের গাড়ী চলাচল বন্ধ করা অতি দ্রুত দরকার। মানিকগঞ্জ-পাটুরিয়া বা নবীনগর-বাইপাইল হতে এদিকে নারায়ণগঞ্জ-সাইনবোর্ড রুটে হঠাৎ করেই ঝাঁকে ঝাঁকে গাড়ী নেমেছে। এসব গাড়ী বন্ধ করা উচিত সবার আগে। গুলিস্তান থেক গাবতলী-মিরপুর ১২ আর উত্তরে উত্তরা পর্যন্ত রুট সীমাবদ্ধ করা উচিত শহরের ভেতরে চলাচল করা সকল পাবলিক বাসগুলোর। এরপর এই প্রান্তিক স্টপেজগুলো থেকে বাহিরের দিকে আলাদা আলাদা বাস চলাচল করবে।

হুহ... অনেক কথা বলে ফেললা, তাই না? বোকা মানুষের মাথায় কেন এত চিন্তা আসে, বলেন দেখি কেমন সমস্যা না একটা? :-B

১২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঢাকাইয়া ভাষাকে হাস্যকর বলা ঠিক হয় নাই। আমার খুবই পছন্দ। এজন্যে তেব্র পরতিবাদ করছি। :P

আমার শৈশব এবং বাল্যকালের পুরোটা; আর যৌবনকালের একটা অংশ কেটেছে পুরানো ঢাকার লালবাগ এলাকায়।
আপনার এই তথ্যবহুল লেখা ভালো লাগলো।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসেন গান গাই, "ইস্ট অর ওয়েস্ট, পুরান ঢাকা ইজ বেস্ট..." ;)

১৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩০

আখেনাটেন বলেছেন: এরকম ক্ষেত্রে জনগণ সাধারণত বিপক্ষেই থাকে, তবে জনস্বার্থে সরকারী উদ্যোগের কারণে কিছু করার থাকে না। এভাবেই বিশ্বের অনেক বড় বড় শহরেই অারবান ডুয়েলিং এর আধুনিকতা অানয়ন করা হচ্ছে।

পুরান ঢাকার লোকজন ত্যাঁদড়ামী করলে ধরে ধরে বুড়িগঙ্গার কালা পানিতে চুবানো হবে এই মতে সরকারী ঘোষণা দরকার, তাইলেই কেল্লাফতে<<<<< :P =p~ :-P (পারডন)

আর রুটের কথাগুলো চমৎকার বলেছেন। এর সাথে দরকার সার্কুলার রোড বৃহৎ পরিসরে। সরকারগুলো উদ্যোগ নিয়ে কেন যেন বাস্তবায়নে বিরাট গড়িমসি। এছাড়া মেইন ট্রেন স্টেশন গাজীপুরে নিয়ে গাজীপুর থেকে কমলাপুর ও কমলাপুর থেকে নারায়নগঞ্জ পর্যন্ত দশ মিনিট পর পর কমিউটার ট্রেন চালু করলে ঢাকার যানযট নিমেষেই কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু যারা এইসব পলিসি...সর্ষের ভিতরেই ভূত..........

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কন কি মিয়া? আপনে কেম্নে বিসসাস করলেন, পুরান ঢাকার লোকজনরে ধইরা ধইরা বুড়িগঙ্গার কালা পানিতে চুবানের সাহস কোন মায়ের লালের আছে? কি যে কন না আপনেরা... হালায় এই কথাও হুনবার লাগলো!! মর জ্বালা ;) :P

=p~ =p~ =p~

রেলস্টেশনের কথাটিও দারুণ বলেছেন। কেননা ইন্টারসিটি রেলগুলো টঙ্গী/এয়ারপোর্টের পর একেবারে কমলাপুর এসে থামে। ফলে শহরের মাঝখানে থাকা অধিবাসীদের শহরের ভেতরের জ্যাম ঠেলে বাসায় পৌঁছতে হয়। কমিউটার ট্রেন চালু করলে সেগুলো টঙ্গী-বিমানবন্দর-ক্যান্টনমেন্ট-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর এই রুটে যাত্রি উঠানো/নামানো'র ব্যবস্থা থাকলে মনে হয় শহরের রাজপথে যাত্রীর চাপ অনেকটা কমবে। একইভাবে সদরঘাট হতে নৌপথে গাবতলী আমিনবাজার রুটে আরও নিয়মিত এবং উন্নত নৌ সুবিধা চালু করলে অনেক যাত্রী আগ্রহী হবে। তবে তা অবশ্যই স্বল্প সময় পরপর এভেইলেবল থাকতে হবে। আগে নামানো এক/দেড় ঘন্টা পরপর ছেড়ে যাওয়া বোট সার্ভিসের মত হলে হবে না।

কিন্তু যারা এইসব পলিসি করছেন, তারা কি শুনবেন আমাদের কথা? আর হ্যাঁ, এখন কিন্তু সর্ষের ভিতরে ভূত থাকেনা, ভূতেদের পকেটে মাঝে মধ্যে দু'চারটা সর্ষে পাওয়া যায় ;)

ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার, ভাল থাকুন সবসময়।

১৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আসেন গান গাই, "ইস্ট অর ওয়েস্ট, পুরান ঢাকা ইজ বেস্ট..." ;) আপনার গানের ওয়েস্ট শুনে আমার স্কুলের কথা মনে পড়ে গেল।
আমি ওয়েস্ট এন্ড স্কুলের ছাত্র ছিলাম! :)

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৫৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বাহ! তাই নাকি? কত সালের ব্যাচ? এখনো কি পুরাতন ঢাকাতেই থাকা হয়? অনেক কিউরিওসিটি.... :)

১৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: বাংলাদেশের একটি কোম্পানী'র সাপ্লাই চেইন ডিপার্টমেন্টে কাজ করার সময় ভালো করে পুরাণ ঢাকার সাথে পরিচয় ঘটে। এর আগে ঢাকার এই অংশ বলতে আহসান মঞ্জিল আর খাবারের মহা সমাগমের একটি জায়গা বলে পরিচিত ছিলো আমার কাছে।

অলিতে-গলিতে ঘুরতে ঘুরতে দেখেছি, যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে স্পেয়ার পার্টসের হোলসেলার কি নেই এখানে! এমনও শুনেছি- জিঞ্জি্রার দোকানীরা একটি আস্ত গাড়ি খুলে তা আবার জোড়া লাগাতে পারে।

তখনই ভাবতাম এত্তো ছোট-ছোট গলি-ঘুপচিতে যারা থাকেন তারা কেমন অবস্থায় আছেন। এতো ছোট ছোট রাস্তায় কি মনে করে গড়ে তোলা হয়েছিলো!

আজ এর উত্তর পেলাম। এমন দিনে উত্তর পেয়েছি যখন সেই এলাকার মানুষ খুব বিপদের মুখে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ, পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন। পুরাতন ঢাকার উপর গবেষণা হওয়া উচিত ছিল অনেক আগেই। বিভিন্ন বিশব্বিদ্যালয়ের একাডেমিক রিসার্চের অধীনে পুরাতন ঢাকার ইতিহাস এবং বর্তমান নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু তা হয় নাই। এরচেয়ে হতাশাজনক আর কি হতে পারে?

পরিকল্পনা এবং সঠিক তদারকি'র অভাবে আজ এক ব্যর্থ এবং পরিত্যক্ত লোকালয় পুরাতন ঢাকা। যাকে নিয়ে কোন ভাবনা নেই কারোরই। তাইতো, ৬৯ জন প্রাণ হারালো নির্মমভাবে আগুনে ঝলসে.... :((

১৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১২

সোহানী বলেছেন: সব ঠিক আছেতো?

পুরোন ঢাকায় আগুনের কথা শুনে খুব খারাপ লাগছে। নীমতলীর আগুনের সময় আমি সেখানে ছিলাম। সে অভিজ্ঞতা বলবো কোন এক সময়।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মাথার ভেতরটা যেন অসাড় হয়ে গেছে। সব ঠিক থেকেও ঠিক নেই। খুব কাছের এলাকায় সত্তরটি প্রাণ ঝরে গেল চোখের নিমিষে, এতটুকু প্রতিরোধ করতে পারলো না কেউ। মাথায় শুধু একটা কথাই ঘুরছে, আমিওতো ঐ সময় ঐ জায়গায় থাকতে পারতাম? :(( :(( :((

১৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার লেখা।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা আপু।

১৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন বিশ্লেষনী ঐতিহাসিক তথ্য উপাত্ত সহ এক পোষ্ট পড়ে ভাল লাগলো।

কারণতো অনুসন্ধান হলো এবার সমাধানেও হয়ে যাক যুগান্তকারী এমনি আরেক পোষ্ট!
বিশ্বের ঐতিহাসিক পুরনো শহর সমূহ কিভাবে সময়ের সাথৈ আধুনিক হয়েছে, তার নমুনা নিয়ে আমাদের প্রেক্ষাপটে
ঐতিহ্যবাহী পর্যটন শহর বানানোর মহা পরিকল্পনা করতে হবে।

পর্যটন থেকে বাৎসরিক টার্নওভার দিয়ে শহর রক্ষনাবেক্ষন এবং উন্নয়নে ব্যায় হবে।
নতুন ঢাকায় জায়গার বদলে জায়গা এবং প্রয়োজনে বাড়ী করে দিয়ে সড়কের জন্য জায়গা বের করতে হবে
অথবা হাইরাইজ ভবনের প্লান করে ঐ সড়কের বাড়ীর মালীকানা অনুপাতে ফ্লাট ভাগ করে দিয়েও করা যেতে পারে।
বাকী মুক্তাঞ্চলে থাকবে কমন খেলার জায়গা, পার্ক, বিনোদন কেন্দ্র ইত্যাদি সহ পর্যটনের জন্য মুক্ত পরিবেশ।

এভাবে পুরানো ঢাকাই হয়ে উঠতে পারে, প্রাচের ভেনিস বা ঐতিহাসিক শহর গুলোর মধ্যেকার কোন অন্যতম শহরের মাঝে অন্যতম। আমাদের গর্ব করার শহর। ইতিহাসের শহর। ঐতিহ্যের শহর।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ভৃগু ভাই। সমাধান তো আমাদের হাতে নাই, তারপরও আগামীতে আরও কিছু পোস্ট থাকবে এই ব্যাপারে। এরই মধ্যে ঘটে গেল চকবাজারের চুড়িহাট্টা'র অগ্নিকান্ড'র ঘটনা। দেখেছেন তো, সেগুলো নিয়েও পোস্ট ছিল। ইচ্ছে আছে কিছুদিন পুরাতন ঢাকা নিয়ে লেখালেখি করার। কারন? যে এলাকার মাটিতে জন্ম, বেড়ে ওঠা; তার প্রতি কিছুটা দায়বদ্ধতা তো থেকেই যায়।

পুরাতন ঢাকার পর্যটন সম্ভাবনা নিয়েও লেখার ইচ্ছে আছে, আমার পর্যটন সম্ভাবনা সিরিজে। দেখা যাক, আল্লাহ্‌ কতটুকু তৌফিক দেন আমাকে।

পুরাতন ঢাকার সম্ভাবনাগুলোকে মাথায় রেখে যুগোপযোগী পরিকল্পনা এবং এর ফলে সেখানকার অধিবাসীরা স্বল্প এবং দীর্ঘ মেয়াদে কতটুকু উপকৃত হবে তা তুলে ধরে তাদের সাথে আলোচনায় বসতে হবে নীতিনির্ধারকদের। যে কোন মূল্যে সেই আলোচনা ফলপ্রসূ করতে হবে। মনে রাখতে হবে পুরাতন ঢাকা বৃহত্তর ঢাকারই একটি অংশ; বাংলাদেশেরই একটি অংশ। তাই শরীরের একটি অংশ পচে গেলে তা ফেলে দিতে হবে; এই মানসিকতা হতে বের হয়ে আসতে হবে। আর পুরাতন ঢাকাকে কোনভাবেই তো ফেলেও দেয়া যাবে না, শহরের বুকে সে যে আরেক আজব শহর।

ভাল থাকুন প্রিয় ব্লগার, ভাল কাটুক প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ।

১৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৫

Sreyan বলেছেন: আপনার সাথে কীভাবে যোগাযোগ করা যাবে? কােনো মেইল অ্যাড্রেস?

১১ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এখানেই যে কোন কিছু জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.